Bartaman Patrika
আমরা মেয়েরা
 

ডুব দে রে মন কালী বলে 

জব চার্নকের শহরে উত্তর থেকে দক্ষিণ অজস্র কালীবাড়ি রয়েছে। কোনও কালীবাড়ি সম্ভ্রান্ত পরিবারের রানির হাত ধরে, কোনওটা বা ফিরিঙ্গি সাহেবের প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। সারাবছর যে নিয়মই থাকুক না কেন দীপান্বিতা অমাবস্যায় অর্থাৎ কালীপুজোর বিশেষ দিনে কীভাবে পূজিত হন কলকাতার বিখ্যাত সব মন্দিরের মাতৃমূর্তি? নিয়মকানুন, রীতি-নীতিই বা কী কী রয়েছে? এমন নানা প্রশ্ন আমাদের মনে উঁকি মারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক।

দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির: কালীপুজো উপলক্ষে অন্তত দশদিন আগে দেবী মায়ের অঙ্গরাগ শুরু হয়। কালীপুজোর দিনে ভোরে বিশেষ মঙ্গল আরতিই পুজোর প্রধান আকর্ষণ। এছাড়া রয়েছে ঘট স্নান। যে ঘটটি মন্দিরে থাকে সেটিকেই গঙ্গায় নিয়ে গিয়ে নতুন করে জল ভরে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়। কালীপুজোর রাতে এখানে ডাবের জল দিয়ে পুজোর নিয়ম রয়েছে। শ্রীরামকৃষ্ণ প্রদর্শিত পথেই দেবীর আরাধনা হয়। কালীপুজোর রাতে জাঁকজমকপূর্ণ পুজোয় থাকে নানাবিধ ভোগ-উপচার। সাদাভাত, ঘি, পাঁচরকমের ভাজা, শুক্তো, তরকারি, চার থেকে পাঁচরকমের মাছের পদ, চাটনি, পায়েস আর মিষ্টি নিবেদন করা হয়। সেদিন মন্দির চত্বর সারাদিন খোলা থাকে। পুজো শেষের পর মায়ের ভোগ ভক্তদের হাতে হাতে দেওয়া হয়। কালীপুজোয় বলিপ্রথা বন্ধ। ভবতারিণী মাকে অন্যান্য দিনের মতো বেনারসি পরানো হয়। পরানো হয় সোনার অলঙ্কার। সোনার বাউটি, বালা, তাবিজ, বাজু, গলায় চিক, মুক্তোর সাতনর মালা, বত্রিশনর, তারাহার, সোনার মুণ্ডমালা। মাথায় মুকুট। কানে কানবালা, কানপাশা, ঝুমকো। নাকে নোলক ও নথ। এছাড়াও অন্যান্য বহু অলঙ্কারে সুসজ্জিত হন মা। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের একটি বিশেষ বিষয় হল এখানে মা সারাবছর বেনার঩সি শাড়ি পরিধান করেন। কোনও ভক্ত যদি দিতে চান তাহলে আজকের দিনের হিসেব অনুযায়ী প্রায় সতেরো-আঠারো বছর পর তা মাকে পরানো হবে। তবে তার আগে চিঠি দিয়ে তাঁকে বা তার পরিবারকে জানানো হয়।

ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি: বিধান সরণীতে অবস্থিত ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি। সারাবছর ভক্ত সমাগম এখানে লেগেই থাকে। প্রায় তিনশোর বেশি বয়েসের পুরনো এই মন্দির। এখানে রামকৃষ্ণদেব নিজে আসতেন। শিষ্য কেশবচন্দ্র সেন অসুস্থ থাকার সময় তিনি ডাব আর চিনি দিয়ে সিদ্ধেশ্বরী মাকে মানত করে পুজো দিয়েছিলেন। দীপান্বিতা কালীপুজোর জন্য কৃষ্ণাপঞ্চমীতে মাকে বেদি থেকে নামানো হয়। সে সময় দেবীর অঙ্গরাগ হয়। ধন ত্রয়োদশীতে ‘মা’কে পঞ্চমুণ্ডির আসনে আবার প্রতিষ্ঠা করা হয়। কালীপুজোর দিন পরানো হয় দুর্মূল্য বেনারসি শাড়ি। এছাড়া নানা অলঙ্কারে সাজানো হয় বিগ্রহকে। কালীপুজোর দিন ঠনঠনিয়া মন্দিরে সাজ সাজ রব। বিশাল আয়োজন। ভূতচতুর্দশীতে মা সিদ্ধেশ্বরীকে সাজানো হয় রাজরাজেশ্বরী রূপে। দেবীর মাথায় নটি রুপোর ছাতা, মুকুট, কানপাশা, বালা, কঙ্কণ, মানতাসা, সীতাহার তোড়া সহ নানা অলঙ্কারে সুসজ্জিতা করা হয়। মন্দিরের বহু বছরের পুরনো সেবায়েত গুণময় ভট্টাচার্যের কথায় মায়ের রাজরাজেশ্বরী বেশ দেখার জন্য দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে আসে। এদিন মঙ্গলারতি হয় ভোর চারটেয়। রাতে নিরামিষ ভোগ হয়। ভক্তরা কুপন কাটলে মায়ের প্রসাদ পেতে পারেন। কালীপুজোর বিশেষ ভোগে থাকে লুচি, তিন থেকে পাঁচরকম ভাজা, আলুর দম, ধোঁকার ডালনা, ও নানা ধরনের মিষ্টি। আজও এই মন্দিরে বলিদান হয়। পুরোহিত গুণময় ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, কালীপুজোর দিন বা অন্যান্য সময়ে ভক্তদের দেওয়া সমস্ত উপচার মাকে অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে নিবেদন করা হয়।

ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি: প্রথম এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয় শিবমন্দির হিসেবে। পরবর্তীকালে অ্যান্টনি সাহেবের হাত ধরে আজ থেকে প্রায় সাড়ে তিনশো থেকে চারশো বছর আগে মায়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই নামানুসারে এবং ফিরিঙ্গি পাড়া হিসেবে এই মায়ের মন্দিরের নাম হয়ে যায় ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি। হিন্দু ব্রাহ্মণ বিধবা নারী সৌদামিনির সঙ্গে বিয়ের পর সাহেব ক্রমশ হিন্দু ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। চর্চাও বেড়ে যায়। এরপর তিনি কবিগানও গাইতে শুরু করেন। মন্দিরের বর্তমান সেবায়েত সুদর্শন বিরাজ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে এই সুপ্রাচীন ইতিহাস শুনতে খুব ভালো লাগছিল। দীপান্বিতা অমাবস্যায় এই মন্দিরে বিশেষ পুজোপাঠ চলে। যার তোড়জোড় শুরু হয় লক্ষ্মীপুজোর পর থেকেই। মন্দির সাফসুতরো ও রং হয়। অঙ্গরাগ শুরু হয়ে যায় দেবীর। চলে সাত দিন ধরে। কালীপুজোর আগের দিন মাকে সাজিয়ে বেদিতে তোলা হয়। জমকালো শাড়িতে ও গয়নায় সুসজ্জিত করা হয়। নতুন রূপে, নতুন সাজে মায়ের রূপ দেখে মোহিত হয় দর্শনার্থীরা। সোনা, রুপোর মায়ের যত গয়না আছে মুকুট, বালা, চূড়, শাঁখা, পলা, হার, নাকের নথ, সোনা ও রুপোর মুণ্ডমালা, পায়ের নূপুর সবই মাকে পরানো হয়। সেবায়েতের তরফ থেকে শাড়ি পরানো হলেও ভক্তদের দেওয়া বিশেষ বিশেষ শাড়ি প্রায় একুশটা মতো শাড়ি মাকে পরানো হয় পর্যায়ক্রমে। এছাড়াও বাদবাকি সমস্ত শাড়ি ঘটে ও মায়ের চরণে নাম-গোত্র ধরে নিবেদন করে পুজো করা হয়। ওইদিন পঞ্চব্যঞ্জনসহ অন্ন ভোগ দেওয়া হয়, পোলাও, খিচুড়ি, সাত থেকে ন’রকম ভাজা, তরকারি দু’রকম, পায়েস এবং ন’রকমের মিষ্টি। সর্বসাধারণের মধ্যে পুজো শেষে ভোগ বিতরণ করা হয়। পরের দিন থাকে অন্নকূট মহোৎসব।

কালীঘাট মন্দির: একান্ন শক্তিপীঠের অন্যতম হিন্দু তীর্থক্ষেত্র এই কালীঘাট মন্দির। পৌরাণিক কিংবদন্তি অনুসারে, সতীর দেহত্যাগের পর তাঁর ডান পায়ের চারটি (মতান্তরে একটি) আঙুল এই তীর্থে পড়ে। এই তীর্থের পীঠদেবী দক্ষিণাকালী এবং ভৈরব বা পীঠরসক দেবতা নকুলেশ্বর। কালীঘাট মন্দির আটচালা গড়নের। মন্দিরের চূড়ায় তিনটি কলস। মাঝেরটিতে একটি পতাকা ও ত্রিশূলের অবস্থান। শিব ও শক্তির বর্ণময় সমারোহ কালীঘাটের মন্দির শীর্ষে। মন্দিরটি ছটি ভাগে বিভক্ত। ষষ্ঠীতলা, নাটমন্দির, জোড়বাংলা, হাড়িকাঠতলা, রাধাকৃষ্ণ মন্দির এবং কুণ্ড পুকুর। বড়িশার বিখ্যাত জমিদার সাবর্ণ রায়চৌধুরিদের বংশধরদের উদ্যোগে বর্তমান মন্দিরটি নির্মিত হয়। তবে আদি মন্দিরটি কত পুরনো তা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদ আছে।
দীপান্বিতা অমাবস্যায় কালীঘাটের মহাকালীকে পুজো করা হয় লক্ষ্মীরূপে। কালী নয়, লক্ষ্মীকেই মূর্তির মধ্যে প্রত্যক্ষ করার রীতি এই শক্তিপীঠে। সারারাত ধরে চলে মা লক্ষ্মীর আরাধনা। নিত্যপূজার সঙ্গে ঘোর অমানিশার রাতে রাজবেশে অপরূপা সাজে আবির্ভূতা হন দেবী কালিকা। এদিনও দেবীর নিত্যপূজায় কোনও পরিবর্তন হয় না। খুব ভোরে দেবীকে জাগিয়ে মঙ্গলারতি করা হয়। দুপুরবেলা দেবীকে আরতি করে ভোগ নিবেদন হয়। নিত্যদিনের ভোগ হিসেবে থাকে বেগুনভাজা, পটলভাজা, কপি, আলু ও কাঁচকলা ভাজা, ঘিয়ের পোলাও, ঘি ডাল, শুক্তো, শাকভাজা, মাছের কালিয়া, পাঁঠার মাংস ও চালের পায়েস। অসংখ্য পাটকাঠি জ্বেলে মন্দিরকে তিনবার প্রদক্ষিণের পর শুরু হয় মায়ের রাত্রিকালীন পুজো। রাতে নিরামিষ ভোগ দেওয়া হয় লুচি, বেগুনভাজা, আলু ভাজা, জ্বাল দেওয়া দুধ, ছানার সন্দেশ আর রাজভোগ। কালীপুজোর রাতে মায়ের অঙ্গসজ্জায় চোখ ধাঁধানো রূপ। লাল বেনারসি, জরিপাড়ের শাড়িতে সিঁদুর পরিয়ে রাজবেশ ধারণ করানো হয়। সোনার অলঙ্কার আর ফুলের সাজে মায়ের তখন মোহময়ী মহামায়া রূপ। কষ্টিপাথরের এই মূর্তির জিভ, খাঁড়া, মুণ্ডমালা সব সোনার। ভক্তদের দেওয়া অলঙ্কার, শাড়ি, ফুল, মালা ভোগ সবই নিবেদন করা হয় দেবী কালিকাকে।

বাগবাজার ভবতারিণীর মন্দির: শোভাবাজার রাজবাড়ি থেকে দানপত্র হিসেবে এই মন্দিরটি পেয়েছেন বাগবাজার নিবাসী মুখোপাধ্যায় পরিবার। প্রায় তিনশো বছরের পুরনো। পূর্বপুরুষ কালীকিঙ্কর মুখোপাধ্যায়, অমূল্যরতন মুখোপাধ্যায়, পরেশনাথ মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে বর্তমানে কেদারনাথ মুখোপাধ্যায় আর অমরনাথ মুখোপাধ্যায় চারপুরুষের মন্দির। সকাল সাড়ে ছ’টা থেকে দুপুর একটা অবধি খোলা থাকে। আবার বিকেল সাড়ে চারটে থেকে রাত সাড়ে ন’টা। সারা বছর পুজোপাঠ লেগে থাকে। এই ভবতারিণী মায়ের অঙ্গরাগ অন্যান্য মন্দিরের মতো কালীপুজোর আগে হয় না। অঙ্গরাগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায় মহালয়ার আগে থেকেই। সারাবছর অমাবস্যার পুজো দিনেরবেলা হয়। শুধু কালীপুজো আর ফলহারিণীপুজো রাতে পুজো হয়। রাত এগারোটা থেকে ভোর তিনটে অবধি অমাবস্যা তিথি অনুযায়ী পুজো চলে। মা তো রাজরাজেশ্বরী তাই উনি বেনারসি পরেন। দুর্গাপুজো থেকেই মাকে সুন্দর করে সাজানো হয়। একেকদিন চার পাঁচখানা শাড়ি হয়। ভক্তরা কামনা-বাসনা পূর্ণ হলে মাকে দেয়। কালীপুজোর দিন ভক্তদের দেওয়া সব শাড়ি মাকে দেওয়া হয়। বারোমাসই মা বেনারসি পরেন। এক ভক্ত প্রতি মাসে তিরিশ তারিখে এসে বেনারসি দিয়ে যান। কালীপুজোর দিন ও মন্দির প্রতিষ্ঠার দিনে মায়ের বিশেষ ভোগ হয়। খিচুড়ি, পোলাও, বেগুনি, আলুরদম, ফুলকপির কোর্মা, ন’রকমের ভাজা, মিষ্টি, খেজুর-আমসত্ত্বের চাটনি, পায়েস। প্রত্যেক মাসের মঙ্গলবার ঘটের ডাব পাল্টানোর রীতি। শীতলা মন্দিরও রয়েছে। শীতলা মন্দিরও খুব জাগ্রত। মন্দির থেকে শাড়ি, চাদর দুঃস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। কালীপুজোর দিন ভোররাত থেকে পরের দিন পর্যন্ত সবাইকে প্রসাদ দেওয়া হয়।
তনুশ্রী কাঞ্জিলাল মাশ্চরক 
26th  October, 2019
অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় রাকুল 

রাকুল প্রীত সিংয়ের কেরিয়ার শুরু মডেলিং দিয়ে। এখন তিনি দক্ষিণের এবং বলিউডের ব্যস্ততম নায়িকা। নিজের লাইফস্টাইেলর কথা জানালেন রাকুল। 
বিশদ

16th  November, 2019
অ্যাথলেটিক্সে নয়া নজির
দুই মায়ের বিশ্বরেকর্ড 

অ্যাথলেটিক্সের ইতিহাসে দাপট এখন মেয়েদের, বলা চলে দুই মায়ের। যারা অসম্ভবকে সম্ভব করলেন। সম্প্রতি দোহায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে জামাইকার ‘স্প্রিন্ট কুইন’ শেলি অ্যান ফ্রেজার প্রাইস ১০০ মিটার দৌড়ে চার নম্বর সোনা জিতলেন দুর্দান্তভাবে।  বিশদ

16th  November, 2019
দুয়ের বেশি সন্তান মায়েদের
জন্য অশনিসংকেত 

দুয়ের বেশি সন্তান যে সব মায়েদের, তাঁদের জন্য আশঙ্কার খবর শুনিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যাঁদের সন্তান সংখ্যা দুই বা তার বেশি তাঁরা স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে রয়েছেন। সাম্প্রতিক এক গবেষণার শেষে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নারীরা দুয়ের বেশি কয়টি সন্তানের জননী, তার ওপর নির্ভর করে তিনি কতটা স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে রয়েছেন।   বিশদ

16th  November, 2019
পুরুষের তুলনায় ঘুমের
বেশি প্রয়োজন নারীদের 

নারী ও পুরুষের শারীরিক চাহিদা যে আলাদা সে কথা প্রায় সবারই জানা। যেমন পুরুষের তুলনায় নারীর ঠান্ডা লাগে বেশি। তেমনই ঘুম ব্যাপারটি পুরুষের তুলনায় নারীরই বেশি প্রয়োজন। সমীক্ষায় এমনই তথ্য সামনে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে নারীদের ঘুমের প্রয়োজন বেশি হওয়ার মূল কারণ দুটি। বিশদ

16th  November, 2019
নারীবাদ ও নারীমুক্তি  

মহিষাসুরের কবল থেকে স্বর্গরাজ্য উদ্ধারের জন্য দেবতাগণ দেবী দুর্গার আবাহন করেছিলেন। তিনি দশভুজা, অসুরদলনী এবং সর্বোপরি তিনি মা। নারীকে তুলনা করা হয় দেবী দুর্গার সঙ্গে। ঋগ্‌বেদের যুগে সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক। সেই সমাজে নারীই ছিল প্রধান।  বিশদ

16th  November, 2019
 শিশুর সামাজিক বিকাশে নারীর ভূমিকা

বর্তমান জীবনের প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ করলে শিশু কতটা সফল তা অনেকটাই নির্ভর করে শিশুর সামাজিক বিকাশের উপর। সুন্দর সামাজিক বিকাশ শিশুকে পরবর্তী জীবনে করে তোলে সফল, সক্ষম ও সুনাগরিক। বিশদ

09th  November, 2019
 ৭৫ বছর ধরে মেয়েদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে
নারী সেবা সংঘ

  ১৯৪৩ সাল। সবে শেষ হয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। দেশ তথা বাংলা তখন ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে প্রায় বিধ্বস্ত। আর সে সময়ই বাংলার কিছু সমাজ সচেতন ব্যক্তি এগিয়ে আসেন, দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে করুণ অবস্থার শিকার হওয়া মহিলা আর শিশুদের উপকার করার জন্য। বিশদ

09th  November, 2019
 অগ্নিযোদ্ধা তানিয়া

 হাতে সময় মাত্র ২ মিনিট ১৮ সেকেন্ড, আর সেটাই হচ্ছে সারভাইভাল টাইম। বিমান দুর্ঘটনা ঘটলে, এটুকু সময়ের মধ্যেই যা করার করতে হবে। উদ্ধার কাজ শেষ করার জন্য বরাদ্দ এই সময়টাকে কাজে লাগাতে না পারলে প্রাণ বাঁচানো যাবে না বিমানযাত্রী এবং কর্মীদের। তাই গোটা প্রক্রিয়াটাই খুব চ্যালেঞ্জিং।
বিশদ

09th  November, 2019
মানুষ চেনা খুব কঠিন: অন্বেষা হাজরা 

মেয়েটির ভূত দেখার খুব ইচ্ছে। তাই সে ভূত দেখার জন্য যখন তখন হানাবাড়িতে হানা দেয়। কিন্তু ভূতের বদলে সেখানে দেখা মেলে শুধুমাত্র চোরের। মেয়ের ভূত দেখার তাড়নায় অতিষ্ঠ হয়ে বাড়ির লোক মেয়েটিকে বলে যে, তাকে ভূতের বাড়িতেই বিয়ে দেবে। যেখানে শাশুড়ি হবে শাকচুন্নি আর ননদ হবে পেতনি। 
বিশদ

02nd  November, 2019
বিদ্যাসাগরের বিধবারা 

বঙ্গবিধবাদের জগন্নাথধাম ‘পালানো’ সম্পর্কে এই বর্ণনা পাওয়া যায় ১৮৪৯ সালের ‘সম্বাদ রসরাজ’ পত্রিকায়— ‘নগরেতে হইয়াছে গেল গেল রব।/ পলাইয়া ক্ষেত্রে যায় নরনারী সব।।/ কাহারো পলায়ে গেল বিধবা বহুড়ী।/ এর বাড়ি তার বাড়ি খুঁজিছে শাশুড়ী।।’  
বিশদ

02nd  November, 2019
মা দুর্গার আর এক অন্য রূপ জ গ দ্ধা ত্রী

মা জগদ্ধাত্রী মহাশক্তির প্রতীক, তিনি সর্বস্থানে বিচরিত, তিনি চির শাশ্বত। তাঁর ধ্যান মন্ত্রে পাওয়া যায়,
সিংহ স্কন্ধ সমারূঢ়াং নানালঙ্কার ভূষিতাং।
চতুর্ভুজাং মহাদেবীং নাগ যজ্ঞোপবীতিধারিণীং...
নারদাদ্যৈ মুনিগণৈঃ সেবিতাং ভবসুন্দরীয়।।  বিশদ

02nd  November, 2019
যুগে যুগে ভা ই ফোঁ টা 

‘ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমদুয়ারে পড়ল কাঁটা’— বোনেরা এই মন্ত্র উচ্চারণে কপালে চন্দনের ফোঁটা দিয়ে তাদের ভাইদের দীর্ঘায়ু কামনা করে। এই নিয়ম যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। কিন্তু এখন তো প্রায় সবাই একা একা বড় হচ্ছে। তাই আগেকার মতো ভাইফোঁটা সবাই কি পালন করতে পারে? নাকি ভাইফোঁটা হারিয়ে যাচ্ছে? 
বিশদ

26th  October, 2019
মা কালী ও তন্ত্রসাধনা 

তন্ত্র সাধনার দেশ ভারতবর্ষ। সেই সুপ্রাচীন কাল থেকে ভক্ত তার সিদ্ধিলাভের জন্য তন্ত্র সাধনা করে আসছেন। যে সব দেব-দেবীর উদ্দেশ্যে তন্ত্র সাধনা হয়ে থাকে তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় দেবী হলেন কালী। বিভিন্ন উদ্দেশ্যে সাধক-সাধিকারা মা কালীর নানা রূপের সাধনা করেন। তন্ত্র সাধনা খুবই গুপ্ত ও কঠিন সাধনা। 
বিশদ

26th  October, 2019
দেবী কালিকার দেশমাতৃকা রূপ 

জাতীয়তাবাদের প্রথম ও সর্বশ্রেষ্ঠ পরিচয় ‘মা’ শব্দটি। মাতৃশক্তি এমনই বৈশিষ্ট্য সমন্বিত যে মাতৃজাতির সৃষ্টি না হলে দেশকে বা ভগবানকে মাতৃজ্ঞানে অর্চনা করার অধিকারী আমরা হতাম না। বিশ্বাত্মবোধ, জাতীয়তাবাদ ও স্বদেশপ্রেম চিরন্তনী এই ত্রিধারা শাশ্বত ভারতে মাতৃবন্দনার বিশ্বরূপ। দেশমাতারূপে মহাশক্তি মহামায়া মহাকালিকাকে প্রত্যক্ষ করা সেই প্রেরণারই জীবন্ত প্রতিমা। 
বিশদ

26th  October, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, ইসলামপুর: সোমবার সকালে উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর থানার বেলন গ্রাম পঞ্চায়েতের পটুয়া এলাকায় ধান খেতে এক অজ্ঞাতপরিচয়ের যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।   ...

ইসলামাবাদ, ১৮ নভেম্বর (পিটিআই): ভারতের অগ্নি-২ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষার একদিন পরেই পাকিস্তান শাহিন-১ নামের একটি ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ করল। ৬৫০ কিলোমিটার দূরের বস্তুকে আঘাতে সক্ষম পাক ক্ষেপণাস্ত্র শাহিন-১। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শয়নে স্বপনে এখন শুধুই গোলাপি টেস্ট। যার উন্মাদনা কেবল সমর্থকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যেও। দেশের মাটিতে প্রথমবার ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দু’টি পরীক্ষার মধ্যে দু-একদিন করে ছুটি থাকবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৩৮: সমাজ সংস্কারক কেশবচন্দ্র সেনের জন্ম
১৮৭৭: কবি করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১৭: ভারতের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জন্ম
১৯২২: সঙ্গীতকার সলিল চৌধুরির জন্ম
১৯২৮: কুস্তিগীর ও অভিনেতা দারা সিংয়ের জন্ম
১৯৫১: অভিনেত্রী জিনাত আমনের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৮৪ টাকা ৭২.৫৪ টাকা
পাউন্ড ৯১.০৬ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
ইউরো ৭৭.৮৫ টাকা ৮০.৮১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৫৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৬০৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,১৫৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৯ নভেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ২৪/১১ দিবা ৩/৩৬। অশ্লেষা ৩৮/৩৮ রাত্রি ৯/২২। সূ উ ৫/৫৫/২২, অ ৪/৪৮/২৩, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪০ মধ্যে পুনঃ ৭/২৩ গতে ১১/০ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৬ গতে ৮/১৯ মধ্যে পুনঃ ৯/১১ গতে ১১/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১/৩৪ গতে ৩/১৯ মধ্যে পুনঃ ৫/৫ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৭/১৬ গতে ৮/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৩ গতে ২/৫ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫ মধ্যে। 
২ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৯ নভেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ১৯/২৬/৫২ দিবা ১/৪৩/৫৬। অশ্লেষা ৩৬/১/৪১ রাত্রি ৮/২১/৫১, সূ উ ৫/৫৭/১১, অ ৪/৪৮/১৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫০ মধ্যে ও ৭/৩০ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/২১ মধ্যে ও ৯/১৪ গতে ১১/৫৪ মধ্যে ও ১/৪১ গতে ৩/২৮ মধ্যে ও ৫/১৪ গতে ৫/৫৮ মধ্যে, বারবেলা ৭/১৮/৩৬ গতে ৮/৪০/১ মধ্যে, কালবেলা ১২/৪৩/১৫ গতে ২/৫/৪০ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৭/৪ গতে ৮/৫/৪০ মধ্যে।
২১ রবিয়ল আউয়ল  

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বৃষ: বিদ্যার্থীরা শুভ ফল ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৩৮: সমাজ সংস্কারক কেশবচন্দ্র সেনের জন্ম১৮৭৭: কবি করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম১৯১৭: ...বিশদ

07:03:20 PM

দিল্লিতে ভূমিকম্প 

07:07:50 PM

বুধেরহাটে অ্যাসিড খেয়ে আত্মঘাতী বধূ 
স্বামীর সঙ্গে অশান্তির জেরে অ্যাসিড খেয়ে আত্মঘাতী হলেন এক বধূ। ...বিশদ

06:22:42 PM

মালদহের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 

06:13:00 PM

বিধানসভায় পালিত হবে সংবিধান দিবস 
২৬ এবং ২৭ নভেম্বর রাজ্য বিধানসভায় পালিত হবে সংবিধান দিবস। ...বিশদ

03:59:00 PM