কয়েক দিন বাদেই সরস্বতী পুজো। কেমন ভোগ দেবেন মায়ের শ্রীচরণে? রেসিপি সহযোগিতায় দেবারতি রায়।
ভ্যালেন্টাইন’স ফুড কালচার আবার মাছে-ভাতে সম্পূর্ণ হয় না। তার জন্য চাই বিদেশি খাবারদাবার। বিদেশি ধাঁচের খাওয়াদাওয়ার স্বাদ পেতে চলুন চ্যাপ্টার ২ রেস্তরাঁয়। রেস্তরাঁর চরিত্র ও খাবারের ধরন নিয়ে কথা বললেন চ্যাপ্টার ২-এর দুই কর্ণধার শিলাদিত্য ও দেবাদিত্য চৌধুরী। সাক্ষাৎকারে কমলিনী চক্রবর্তী। সঙ্গে থাকছে রেস্তরাঁর দু’টি রেসিপি।
আগামিকাল ভ্যালেন্টাইন’স ডে। ভালোবাসার দিবসের উষ্ণতা বাড়াতে বিভিন্ন হোটেল, রেস্তরাঁয় ভুরিভোজের সঙ্গে কোথাও সপ্তাহব্যাপী উৎসবও শুরু হয়েছে। খবরে চৈতালি দত্ত।
মিষ্টিতে বাঙালি-অবাঙালি দু’রকম স্বাদই পাবেন। তাই ঘরোয়া পদ্ধতিতে বানানোর মতো কিছু বাঙালি ও কিছু অবাঙালি কুইজিনের মিষ্টির রেসিপি দিলেন মনীষা দত্ত। এই ধরনের মিষ্টি বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারবেন আপনিও।
মাটন মানেই জিভে জল। ভাত, পোলাও, পরোটা সহযোগে খাওয়ার জন্য বিভিন্ন কায়দায় রাঁধা মাংসের রেসিপি দিলেন মণিকাঞ্চন দে।
মেন কোর্সের পাশাপাশি চিকেন দিয়ে বানাতে পারেন দারুণ সব স্ন্যাক্স আইটেম। তেমনই দু’টি রেসিপি দিলেন বিলিয়নস রেস্তরাঁর এগজিকিউটিভ শেফ রঞ্জন নায়ক।
১টা বড় ডাবের জল, ইলিশ মাছের গাদা-পেটি সহ একছেয়ে করে কাটা টুকরো ২৫০ গ্রাম, সর্ষের তেল ৩০ মিলি, ২টি ডাবের পাল্প, সর্ষে বাটা ১ টেবিল চামচ, কাঁচালঙ্কা বাটা ১ টেবিল চামচ, কালোজিরে অল্প, নুন স্বাদ মতো, কাজু ও পোস্ত বাটা ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়ো সামান্য, নারকেল তেল ২০ মিলি।
কাতলা মাছের কালিয়া: উপকরণ: কাতলা মাছ ৪ টুকরো, পেঁয়াজ ২টো,আদা বাটা ১টেবিল চামচ, রসুন ৪-৫ কোয়া (বাটা), টম্যাটো ২টো, টক দই কাপ, দারচিনি ১টুকরো, এলাচ ২টো, তেজপাতা ১টা, কাঁচালঙ্কা ৩-৪টে, জিরে গুঁড়ো ১ চা চামচ, ধনে গুঁড়ো ১ চা চামচ, লঙ্কা গুঁড়ো ১ চা চামচ
মেছো বাঙালি বিয়ের ভোজেও মাছের বিভিন্ন পদ খোঁজে। চেনা মাছকে অচেনা রূপে ধরতে তার জুড়ি নেই। তাই মেনুকার্ড সাজে মাছের সুস্বাদু স্বাদে। তেমনই দু’টি রেসিপি দিলেন সপ্তপদী-র এগজিকিউটিভ শেফ রঞ্জন বিশ্বাস।
মাছ মানেই তার ঝাল ঝোল বা অম্বল নয়। বরং স্টিমড, গ্রিলড বা বেকড স্বাদও মাছে মানানসই। মাছের কয়েক পদ বিদেশি রেসিপি দিলেন মনীষা দত্ত।
শীতের আমেজ আর পিঠের স্বাদ যেন একে অপরের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার। পিঠের ছ’ধরনের রেসিপি দিলেন দেবারতি রায়।
জে ডব্লু ম্যারিট হোটেলে সেই সুযোগই পাবেন। হিমেল হাওয়া গায়ে লাগিয়ে একটু ভিন্ন স্বাদে সন্ধেটা কাটাতে পারেন বার-বি-কউ আর সিজলারের সঙ্গে।
শীত মানেই বাহারি পায়েস। আজ তেমনই কয়েক পদ পায়েসের রেসিপি থাকছে যা স্বাদে অপরিচিত। রেসিপি দিলেন প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যার বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
কখনও আমিষ, কখনও নিরামিষ। কোনওটা দেশি, কোনওটা বা বিদেশি। খিচুড়িতে পাবেন নানারকম স্বাদ। ভিন্ন স্বাদের খিচুড়ির রেসিপি দিলেন সোমা রায়চৌধুরী।
ভেন পোঙ্গল
উপকরণ: মুগ ডাল ২ কাপ, গোবিন্দভোগ চাল ২ কাপ, ঘি আন্দাজ মতো, নুন, আধ ভাঙা গোলমরিচ ১ চামচ, কাজুবাদাম, ফোড়নের জন্য সাদা জিরে ও অল্প সর্ষে, কারিপাতা, হিং ও আদা কুচি।
প্রণালী: ডাল ও চাল ধুয়ে নিয়ে একটু শুকিয়ে নিন। হালকা ড্রাই রোস্ট করে চামচ ঘি দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে রাখুন। এবার এই মিশ্রণ কুকারে দিয়ে জল, নুন ও অল্প সাদা তেল ছড়িয়ে সেদ্ধ করে নিন। সেদ্ধটা একটু বেশিই করবেন, একটু গলে যায় যেন খেয়াল রাখবেন। তারপর একটি তরকা প্যানে ৩ চামচ ঘি দিয়ে তাতে জিরে, সর্ষে, কাজুবাদাম, কারিপাতা ও হিং দিয়ে সুন্দর গন্ধ বে়রলে সেদ্ধ করা চাল ডাল মিশিয়ে ভালো করে নেড়ে নিন। তাহলেই তৈরি হবে ভেন পোঙ্গল। পরিবেশনের সময় ওপর দিয়ে ঘি ছড়িয়ে দিলে অপূর্ব স্বাদ হবে।
খানদেসি মশলা খিচুড়ি
উপকরণ: সেদ্ধ চাল ৩ কাপ, অড়হর ডাল ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২টি, আদা-রসুন ও কাঁচা লঙ্কা বাটা ২ চামচ, বড় সাইজের আলু টুকরো করা, বাদাম, হলুদ ও লঙ্কা গুঁড়ো আন্দাজ মতো, ধনে গুঁড়ো চামচ, গরমমশলা গুঁড়ো অল্প, সাদা তেল, জিরে ও সর্ষে ফোড়নের জন্য, কারিপাতা হিং ও ধনেপাতা, নুন ও চিনি স্বাদ মতো।
প্রণালী: চাল, ডাল ধুয়ে নি়ন। আধ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে দিন। তারপর কুকারে সাদা তেল দিয়ে জিরে সর্ষে ফোড়ন দিয়ে হিং দিয়ে আদা-রসুন বাটা দিয়ে নাড়াচাড়া করে বাদাম, আলু ও পেঁয়াজ দিন। ভালো করে ভেজে নিন। তারপর কারিপাতা দিয়ে নাড়াচাড়া করে চাল ডাল দিয়ে সমস্ত গুঁড়ো মশলা ও নুন ও চিনি দিয়ে কষে নিন। তারপর জল দিয়ে কুকারে ৩টি সিটি দিয়ে নামিয়ে নিন। তৈরি খানদেসি মশলা খিচুড়ি।
চিজি ক্রিম বেলপেপার রিসোতো
উপকরণ: রিসোতো বানাতে আরবোরিও রাইস লাগে। সেটা না পেলে গোবিন্দভোগ চাল ২কাপ, ৩ রকম বেলপেপার ছোট ছোট টুকরো করে কাটা ২কাপ, দুধ ১কাপ, চিজ কোড়ানো ১ কাপ, ফ্রেশ ক্রিম আন্দাজ মতো, বেসিল, ওরেগ্যানো ১ চা চামচ, নুন ও অলিভ অয়েল প্রয়োজন মতো, গোলমরিচ সামান্য, কর্নফ্লাওয়ার।
প্রণালী: চাল ধুয়ে সেদ্ধ করতে হবে একটু বেশি করে। দুধ, চিজ ও কর্নফ্লাওয়ার জলে গুলে ফুটিয়ে নিন। তাতে ওরেগ্যানো ও গোলমরিচ মেশান। সবটা একসঙ্গে মিশে গেলে হোয়াইট স্যস তৈরি হয়ে যাবে। কড়াইতে অলিভ অয়েল দিয়ে বেসিল, বেলপেপার দিয়ে নাড়াচাড়া করে হোয়াইট স্যস দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ভাত দিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে আর একটু ওরেগ্যানো, গোলমরিচ ও নুন দিন। ফ্রেশ ক্রিম ছড়িয়ে দিলে অসাধারণ স্বাদের রিসোতো তৈরি হয়ে যাবে।
চিকেন প্রন পায়া
উপকরণ: বাসমতি চাল ২ কাপ, ২টো পেঁয়াজ কুচিয়ে কেটে নেওয়া, লাল বেলপেপার ১টা ছোট সাইজের, শুকনো লঙ্কা কুচি ২-৩টে, রসুন কুচি ৮-১০ কোয়া, টম্যাটো পিউরি আন্দাজ মতো, নুন স্বাদ অনুযায়ী, কেশর অল্প, সাদা তেল সামান্য, বোনলেস চিকেন ২৫০গ্ৰাম, ছোট চিংড়ি ২০০গ্ৰাম। গোটা রান্নাটা চিকেন স্টকে হবে। ফলে অন্তত ১ কাপ চিকেন স্টক মজুত রাখবেন।
প্রণালী: চাল ধুয়ে ভিজিয়ে রাখুন। চিংড়ি অল্প ভাপিয়ে রেখে দিন। প্যানে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি দিন। পেঁয়াজ ভাজা হলে রসুন কুচি দিয়ে ভাজুন। তারপর বেলপেপার কুচি দিন। ভাজতে ভাজতেই চিকেন দিন। বেশ ভাজা ভাজা হলে এবং চিকেনে রং ধরলে টম্যাটো পিউরি ও কেশর দিন। তারপর চাল ও চিংড়ি দিয়ে নাড়াচাড়া করে নিন। একদম শেষে পরিমাণ মতো চিকেন স্টক দিয়ে ঢিমে আঁচে ঢাকা দিয়ে বসিয়ে রাখুন। সেদ্ধ হতে দিন। জল শুকিয়ে গেলেই বুঝবেন চিকেন প্রন পায়া তৈরি।
ভেন পোঙ্গল
উপকরণ: মুগ ডাল ২ কাপ, গোবিন্দভোগ চাল ২ কাপ, ঘি আন্দাজ মতো, নুন, আধ ভাঙা গোলমরিচ ১ চামচ, কাজুবাদাম, ফোড়নের জন্য সাদা জিরে ও অল্প সর্ষে, কারিপাতা, হিং ও আদা কুচি।
প্রণালী: ডাল ও চাল ধুয়ে নিয়ে একটু শুকিয়ে নিন। হালকা ড্রাই রোস্ট করে চামচ ঘি দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে রাখুন। এবার এই মিশ্রণ কুকারে দিয়ে জল, নুন ও অল্প সাদা তেল ছড়িয়ে সেদ্ধ করে নিন। সেদ্ধটা একটু বেশিই করবেন, একটু গলে যায় যেন খেয়াল রাখবেন। তারপর একটি তরকা প্যানে ৩ চামচ ঘি দিয়ে তাতে জিরে, সর্ষে, কাজুবাদাম, কারিপাতা ও হিং দিয়ে সুন্দর গন্ধ বে়রলে সেদ্ধ করা চাল ডাল মিশিয়ে ভালো করে নেড়ে নিন। তাহলেই তৈরি হবে ভেন পোঙ্গল। পরিবেশনের সময় ওপর দিয়ে ঘি ছড়িয়ে দিলে অপূর্ব স্বাদ হবে।
খানদেসি মশলা খিচুড়ি
উপকরণ: সেদ্ধ চাল ৩ কাপ, অড়হর ডাল ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২টি, আদা-রসুন ও কাঁচা লঙ্কা বাটা ২ চামচ, বড় সাইজের আলু টুকরো করা, বাদাম, হলুদ ও লঙ্কা গুঁড়ো আন্দাজ মতো, ধনে গুঁড়ো চামচ, গরমমশলা গুঁড়ো অল্প, সাদা তেল, জিরে ও সর্ষে ফোড়নের জন্য, কারিপাতা হিং ও ধনেপাতা, নুন ও চিনি স্বাদ মতো।
প্রণালী: চাল, ডাল ধুয়ে নি়ন। আধ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে দিন। তারপর কুকারে সাদা তেল দিয়ে জিরে সর্ষে ফোড়ন দিয়ে হিং দিয়ে আদা-রসুন বাটা দিয়ে নাড়াচাড়া করে বাদাম, আলু ও পেঁয়াজ দিন। ভালো করে ভেজে নিন। তারপর কারিপাতা দিয়ে নাড়াচাড়া করে চাল ডাল দিয়ে সমস্ত গুঁড়ো মশলা ও নুন ও চিনি দিয়ে কষে নিন। তারপর জল দিয়ে কুকারে ৩টি সিটি দিয়ে নামিয়ে নিন। তৈরি খানদেসি মশলা খিচুড়ি।
চিজি ক্রিম বেলপেপার রিসোতো
উপকরণ: রিসোতো বানাতে আরবোরিও রাইস লাগে। সেটা না পেলে গোবিন্দভোগ চাল ২কাপ, ৩ রকম বেলপেপার ছোট ছোট টুকরো করে কাটা ২কাপ, দুধ ১কাপ, চিজ কোড়ানো ১ কাপ, ফ্রেশ ক্রিম আন্দাজ মতো, বেসিল, ওরেগ্যানো ১ চা চামচ, নুন ও অলিভ অয়েল প্রয়োজন মতো, গোলমরিচ সামান্য, কর্নফ্লাওয়ার।
প্রণালী: চাল ধুয়ে সেদ্ধ করতে হবে একটু বেশি করে। দুধ, চিজ ও কর্নফ্লাওয়ার জলে গুলে ফুটিয়ে নিন। তাতে ওরেগ্যানো ও গোলমরিচ মেশান। সবটা একসঙ্গে মিশে গেলে হোয়াইট স্যস তৈরি হয়ে যাবে। কড়াইতে অলিভ অয়েল দিয়ে বেসিল, বেলপেপার দিয়ে নাড়াচাড়া করে হোয়াইট স্যস দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ভাত দিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে আর একটু ওরেগ্যানো, গোলমরিচ ও নুন দিন। ফ্রেশ ক্রিম ছড়িয়ে দিলে অসাধারণ স্বাদের রিসোতো তৈরি হয়ে যাবে।
চিকেন প্রন পায়া
উপকরণ: বাসমতি চাল ২ কাপ, ২টো পেঁয়াজ কুচিয়ে কেটে নেওয়া, লাল বেলপেপার ১টা ছোট সাইজের, শুকনো লঙ্কা কুচি ২-৩টে, রসুন কুচি ৮-১০ কোয়া, টম্যাটো পিউরি আন্দাজ মতো, নুন স্বাদ অনুযায়ী, কেশর অল্প, সাদা তেল সামান্য, বোনলেস চিকেন ২৫০গ্ৰাম, ছোট চিংড়ি ২০০গ্ৰাম। গোটা রান্নাটা চিকেন স্টকে হবে। ফলে অন্তত ১ কাপ চিকেন স্টক মজুত রাখবেন।
প্রণালী: চাল ধুয়ে ভিজিয়ে রাখুন। চিংড়ি অল্প ভাপিয়ে রেখে দিন। প্যানে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি দিন। পেঁয়াজ ভাজা হলে রসুন কুচি দিয়ে ভাজুন। তারপর বেলপেপার কুচি দিন। ভাজতে ভাজতেই চিকেন দিন। বেশ ভাজা ভাজা হলে এবং চিকেনে রং ধরলে টম্যাটো পিউরি ও কেশর দিন। তারপর চাল ও চিংড়ি দিয়ে নাড়াচাড়া করে নিন। একদম শেষে পরিমাণ মতো চিকেন স্টক দিয়ে ঢিমে আঁচে ঢাকা দিয়ে বসিয়ে রাখুন। সেদ্ধ হতে দিন। জল শুকিয়ে গেলেই বুঝবেন চিকেন প্রন পায়া তৈরি।
