বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যার বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলা সহ মঙ্গলকোট, আউশগ্রাম ও কেতুগ্রামে শুধুমাত্র মহিলাদের নিয়ে জনসভার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অনুব্রতবাবু। প্রথমে অনেকেই ভেবেছিলেন, শুধুমাত্র মহিলা দিয়ে মাঠ ভরানো অসম্ভব। কিন্তু এদিন মাঠের ছবিটা সেই আশঙ্কাকে কার্যত ভুল প্রমাণিত করেছে। এদিনের সভায় অনুব্রতবাবু বিজেপির উদ্দেশে সুর চড়িয়ে বলেন, যারা বাংলার কোনও উন্নয়ন করে না, রাজ্যে এসে ভুল কথা বলে, তাদের বাংলার মানুষ ভোট দেবেন না। আর নাড্ডা না ফাড্ডা আমি জানি না, এসেছিলেন বীরভূমের তারাপীঠে মা তারার কাছে। মোদি তুমি পাঠালে, আর মা তারা জবাব দিয়ে তোমাদের বাড়ি পাঠিয়ে দিল। আজ তোমরা নারীদের সম্মান দাও না। উত্তরপ্রদেশে প্রতি পাঁচ মিনিটে একটি করে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। তোমার লজ্জা লাগে না? তুমি আবার বড় বড় জ্ঞান দাও? মানুষ তোমার কথা শুনবে না।
এদিন অনুব্রতবাবু বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উদ্দেশে বলেন, আমরা পশ্চিমবাংলার মানুষ। যখন মা দুর্গার পুজো হয়, তখন আমরা সবাই রীতিমতো তাঁর আরাধনা করি। আর তুমি তাকে যা তা বলে অপমান করলে। তুমি কি মানুষ? তুমি মহিলাকে অপমান করছ। দু’দিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমান করেছ। তোমার কোনও মান-সম্মান নেই।
এদিন বিকেলে সভা হলেও শুধুমাত্র অনুব্রতবাবুর বক্তব্য শোনার জন্য হেঁশেল সামলে দুপুর থেকে ঠায় বসেছিলেন মহিলারা। সভার শুরু থেকেই মহিলাদের স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে মাঠ।
তাঁদের মনোরঞ্জনের জন্য এদিন বীরভূম থেকে বাউলশিল্পীদের আনার ব্যবস্থা করেন অনুব্রতবাবু। তাঁরা উপস্থিত মহিলাদের গান শোনান। অনুব্রতবাবু বলেন, মহিলারা রান্নাঘর সামলে সভায় এসেছেন। তাঁদের মনোরঞ্জনের খুব একটা সুযোগ থাকে না। তাই এই আয়োজন করেছি।
এদিন ক্ষীরগ্রাম অঞ্চল থেকে বিজেপির প্রায় ২০০ নেতা-কর্মী অনুব্রতবাবুর হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন। মঞ্চে অনুব্রতবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, দলের মঙ্গলকোটের ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী প্রমুখ।