Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জয় শ্রীরাম,
বাংলা ও বাঙালি
তন্ময় মল্লিক

‘জয় শ্রীরাম’। বাংলার বুকে হিন্দুত্বকে সামনে রেখে হিন্দুয়ানি দেখানোর নয়া স্লোগান। কেউ জয় শ্রীরাম বললে কারও নাক কোঁচকানোর কথা নয়। কিন্তু, বলার ধরনে ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরির মানসিকতা যখন প্রকট হয়, তখনই ওঠে প্রশ্ন। গেরুয়া ফেট্টিধারীদের ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে ভক্তির চেয়েও আস্ফালন বেশি। বিপরীত মেরুতে থাকা লোকজনকে শঙ্কিত ও কটাক্ষ করার উদ্দেশ্যেই যেন উচ্চারিত হচ্ছে এই শব্দবন্ধ। সেই কারণেই ‘জয় শ্রীরাম’ হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক স্লোগান। বঙ্গে নির্বাচন আসন্ন। তাই ভিনরাজ্যের বিজেপি নেতারা বাঙালি সাজতে মরিয়া। নেতাদের ভাষণে ঘুরে ফিরে আসছে রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ, বঙ্কিমচন্দ্রের নাম। আর মাঝেমধ্যে ‘জয় শ্রীরাম’। জোর করে উত্তর ভারতের সংস্কৃতি বাংলার মানুষকে গেলানোর অবিরাম চেষ্টা। কিন্তু যুগ যুগ ধরে বাঙালির হৃদয়ে বিরাজ করছেন রবীন্দ্রনাথ-রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ। তাঁদের আদর্শ ও ভাবনাকে কি ‘অগভীর আধ্যাত্মবাদ’ দিয়ে ঢেকে দেওয়া যায়? এতটাই ঠুনকো বাংলার সংস্কৃতি?
রবীন্দ্রনাথ ‘ধর্মমোহ’ কবিতায় বলেছেন, ‘ধর্মের বেশে মোহ যারে এসে ধরে/ অন্ধ সে জন মারে আর শুধু মরে।’ স্বামী বিবেকানন্দের কথায়, ‘যখন দেখবে কেউ বলছে, কেবলমাত্র আমিই ঠিক, আমার সম্প্রদায়ই যথার্থ পথ ধরেছে এবং অন্য সকলে ভুল করছে তখন জানবে, তারই সব ভুল।’ আর রামকৃষ্ণ বলেছেন, ‘যত মত তত পথ।’ বাংলা তো এই সংস্কৃতিতেই বিশ্বাসী। সে সব ভুলিয়ে দিয়ে ‘জয় শ্রীরাম’কে ত্রাতা হিসাবে প্রমাণে ঝাঁপিয়েছেন বিজেপি নেতারা। বাংলার বুকে তাঁরা ‘জয় শ্রীরাম’ সংস্কৃতির জন্ম দিতে চাইছেন। 
ভারতীয় সনাতন সংস্কৃতি, আধ্যাত্মবাদ আমাদের শিখিয়েছে, সহিষ্ণুতা মহৎ গুণ। ক্ষমা পরম ধর্ম। বাঙালির সংস্কৃতি শান্ত ও স্নিগ্ধ। তাই সেখানে ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরির যত চেষ্টাই হোক না কেন, তা স্থায়ী হতে পারে না। যে কোনও ধর্মীয় উন্মাদনা ঝড়ের মতো। প্রচণ্ড বেগে তা প্রবাহিত হয়। তার বিধ্বংসী ক্ষমতাও প্রচণ্ড। তাই তাকে সবাই ভয় পায়। সে অনেক কিছু নষ্ট করে দিতে পারলেও তার স্থায়িত্ব কম। তবে ধর্মীয় উন্মাদনা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে বুঝতে হবে, প্রলয় আসন্ন। 
শ্রীরামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল জন্মসূত্রে কেউ হিন্দু, কেউবা মুসলিম। কিন্তু তাঁদের ধর্মীয় পরিচয়ের গণ্ডিতে বেঁধে রাখা যায়নি। তাঁদের কর্মে, তাঁদের উদারতায় তাঁরা হয়ে উঠেছেন আপামর বাঙালির হৃদয়ের মানুষ। শুধু বাংলা বা ভারতবর্ষ নয়, গোটা বিশ্ব তাঁদের আদর্শ ও কর্মের সামনে মাথা নত করেছে। শিকাগোর ঐতিহাসিক ভাষণে বিবেকানন্দ বলেছিলেন, ‘আমরা শুধু সকল ধর্মকে সহ্য করি না, সকল ধর্মকেই আমরা সত্য বলিয়া বিশ্বাস করি। যে জাতি পৃথিবীর সকল ধর্মের ও সকল জাতির নিপীড়িত ও আশ্রয়প্রার্থী জনগণকে চিরকাল আশ্রয় দিয়ে আসছে, আমি সেই জাতির অন্তর্ভুক্ত বলে নিজেকে গর্বিত মনে করি।’ বিবেকানন্দের এই ভাবনার জন্যই গোটা বিশ্ব তাঁর প্রিয় ভারতবর্ষকে নতুন করে চিনেছিল। 
স্বামী বিবেকানন্দের বাংলায় বিভাজনের রাজনীতি কায়েমের চেষ্টা চলছে। ‘পরিবর্তন যাত্রা’র নামে বের করা হচ্ছে রথ। ইতিহাস বলছে, রথযাত্রার মধ্যে দিয়েই হয়েছে বিজেপির উত্থান। ১৯৯০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গুজরাতের সোমনাথ মন্দির থেকে লালকৃষ্ণ আদবানি ‘রাম রথ’ বের করায় বিজেপি বিপুল সাফল্য ঘরে তুলেছিল। রাম জন্মভূমি সম্পর্কে দেশবাসীকে জানানোর জন্য ‘রাম রথযাত্রা’ বলা হলেও আসল উদ্দেশ্য ছিল ধর্মীয় মেরুকরণ স্পষ্ট করা। ২৩ অক্টোবর বিহারের সমস্তিপুরে লালুপ্রসাদ যাদব সেই রথ আটকানোয় উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। বিজেপির ভারতবর্ষের মসনদ দখলের ভিত সেদিনই গাঁথা হয়ে গিয়েছিল। তারপর সঙ্কটমুক্তি বা লক্ষ্য পূরণের জন্য বিজেপি  বারেবারে ‘রথযাত্রা’কে হাতিয়ার করেছে।
বঙ্গ দখলের লক্ষ্যে বাংলার বুকে আমদানি করা হয়েছে ‘রথযাত্রা’ সংস্কৃতি। বিজেপি দেশ চালালেও এই মুহূর্তে বাংলার মানুষের কাছে তাদের সরকারের হয়ে সওয়াল করার মতো হাতে কিছুই নেই। ডাল, পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল সহ সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। রান্নার গ্যাস, পেট্রল, ডিজেলের দামও লাগামছাড়া। পেট্রল, ডিজেল পৌঁছে গিয়েছে সেঞ্চুরির দোরগোড়ায়। সাধারণ মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। সরকারি চাকরির দরজাও প্রায় বন্ধ। অথচ বছরে ২কোটি করে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। 
এই অবস্থায় বঙ্গ দখলের জন্য বিজেপির সামনে একটা রাস্তাই খোলা, ধর্মীয় মেরুকরণ। সেই লক্ষ্যে ধর্মকে মন্দির থেকে রাস্তায় নামিয়ে আনতে উঠেপড়ে লেগেছেন নেতারা। বিজেপি নেতৃত্ব হয়তো ভাবছে, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটবে। বিহারের সমস্তিপুরের মতো ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের বুকে ঘটার আশায় রয়েছেন তাঁরা। রথযাত্রা নিয়ে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেই প্রশস্ত হবে বিভাজনের পথ। তাহলেই বিজেপির ফায়দা। কিন্তু তার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। কারণ বিবেকানন্দ সকল ধর্মের ও সকল জাতির নিপীড়ত ও আশ্রয়প্রার্থীকে চিরকাল আশ্রয় দিতে শিখেছেন। তাঁর বাংলা সেই শিক্ষায় শিক্ষিত।
এরাজ্যের মানুষ আষাঢ় মাসে রথযাত্রা দেখতে অভ্যস্ত। বিজেপির সৌজন্যে মাঘ মাসে শুরু হয়েছে রথযাত্রা। তবে বিজেপি নাম দিয়েছে ‘পরিবর্তন যাত্রা’। নাম যাই হোক না কেন, রথযাত্রার উদ্দেশ্য একটাই, ভোটের মেরুকরণ ঘটানো। অনেকে বলছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠদের কাছে টানার এটাই বিজেপির শেষ ‘ট্রাম্প কার্ড’। তবে, কোনও অশান্তি না হলে বিজেপির পক্ষে ম্যাচ বের করা কঠিন।
আষাঢ় মাসে রথযাত্রার সময় জগন্নাথদেবের  রথের রশি টানার জন্য ধর্মপ্রাণ হিন্দুদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। কারণ তাঁরা বিশ্বাস করেন, রথের রশি টানলে পুণ্য হয়। কিন্তু, বিজেপির রথ ঘিরে কোনও উন্মাদনা নেই। এমনকী, বিজেপি সমর্থকরাও এই ‘পরিবর্তন যাত্রার’ রথ নিয়ে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। রথযাত্রার সূচনা পর্বে তারাপীঠের এবং লালগড়ের ফাঁকা মাঠ তার বড় প্রমাণ। তারাপীঠে ভিড় না হওয়ার জন্য অনেকে অনুব্রত মণ্ডলের হুমকির দিকে আঙুল তুলতে পারেন। কিন্তু লালগড়ে ভিড় হল না কেন?
লালগড়েও স্বয়ং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা উপস্থিত ছিলেন। তা সত্ত্বেও মাঠের সিকিভাগ ভরাতেই গেরুয়া শিবিরের নেতাদের হিমশিম খেতে হয়েছে। লোকের অভাবে বাতিল করতে হয়েছে ঝাড়গ্রামের সভা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের জেলায় এমনটা হওয়ায় গেরুয়া শিবিরের কর্মীদের মনোবলে চিড় নয়, ফাটল ধরেছে। কারণ ঝাড়গ্রাম লোকসভা আসনটি বিজেপির দখলে। পঞ্চায়েত ভোটেও এই জেলায় তারা ব্যাপক সাফল্য পেয়েছিল। সেই জেলায় লোকের অভাবে নাড্ডাজির সভা বাতিল! ভাবতেও পারছেন না বিজেপি সমর্থকরা। ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ করার জন্য বিজেপিকে সাংবাদিক সম্মেলন করতে হয়েছে। কিন্তু, এসব করেও নাড্ডাজির সভা বাতিলের ‘বদনাম’ ঘোচানো যাচ্ছে না।
বিজেপির সভাগুলিতে লোকজন কমে যাওয়ার জন্য অনেকে বাম সমর্থকদের দিকে আঙুল তুলছেন। তাঁরা বলছেন, এতদিন বিজেপির সভাগুলিতে বাম কর্মী-সমর্থকরাই বেশি ভিড় জমাতেন। কিন্তু, নয়া কৃষি আইনের প্রতিবাদে বামেরা সক্রিয় হতেই কর্মী-সমর্থকরা পুরনো দলে ফিরতে শুরু করেছেন। তাঁরা নিজের দলের কর্মসূচি সফল করার দিকে মন দিয়েছেন। তাই বিজেপির সভাগুলিতে আগের মতো উচ্ছ্বাস ও ভিড় দেখা যাচ্ছে না। দিলীপ ঘোষের মতো নেতাকেও ‘চায়ে পে চর্চায়’ লোক আনার জন্য এলইডি বাল্ব বিলি করতে হচ্ছে। ভোট ঘোষণা হলে হয়তো আরও অনেক কিছুই বিলি করতে দেখা যাবে! এসব দেখেই কি নরেন্দ্র মোদি ‘ম্যাচ ফিক্সিং’ এর অভিযোগ এনেছেন?
এর ঠিক উল্টো ছবি দেখা যাচ্ছে শাসক দলের সভাগুলিতে। তৃণমূলের জেলা ও রাজ্যস্তরের নেতাদের সভাতেও ভিড় হচ্ছে যথেষ্ট। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাগুলি ভিড়ের নিত্যনতুন রেকর্ড গড়ছে। কিন্তু, এত ভিড়ের কারণটা কী? স্বাস্থ্যসাথী? দুয়ারে সরকার? নাকি রাজ্যের মানুষ সঙ্কটকালে বিবেকানন্দের বাণীকেই আঁকড়ে ধরতে চাইছেন? বিবেকানন্দ বলেছেন, ‘যে ধর্ম বা যে ঈশ্বর বিধবার অশ্রু মোচন করতে পারে না অথবা অনাথ শিশুর মুখে এক মুঠো খাবার দিতে পারে না, আমি সে ধর্মে বা সে ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না।’ মানুষ কি তাহলে এই মন্ত্রবলেই ‘জয় শ্রীরামে’র উন্মাদনা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছেন? নাকি তাঁরাও স্বামীজির ভাবনার সঙ্গে একাত্মতা অনুভব করে বুঝেছেন, ধর্মের চেয়েও জরুরি পেটের ভাত।
বিপ্লবের ত্রিপুরা,
মমতার বাংলা
মৃণালকান্তি দাস

সজাগ থাকুন, ত্রিপুরার মতো বঙ্গভোটেও চাকরির ‘টোপ’ আসবে। আসবে ‘সোনার বাংলা’ গড়ার প্রতিশ্রুতিও। আপনিই ঠিক করুন, বিপ্লব দেবের মতো কোনও ‘অযোগ্য’ বিজেপি নেতার হাতে নিজের জীবন সঁপে দেবেন কি না! বিশদ

12th  February, 2021
বিজেপির মুখে গণতন্ত্র আসলে
ভূতের মুখে রাম নাম

বিজেপি নেতারা প্রায়ই অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই। মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা নেই। মানুষের সামনে তুলে ধরেন জোর করে তৃণমূলের পঞ্চায়েত দখলের কথা। ক্ষমতা দখলের পর বিজেপি ত্রিপুরার পঞ্চায়েতের প্রায় ৯৫ শতাংশ আসনে কাউকে দাঁড়াতেই দেয়নি। বিজেপির বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতার রেকর্ড জ্বলজ্বল করছে। তাই অনেকের মতে, বিজেপির মুখে গণতন্ত্র আসলে ভূতের মুখে রাম নাম। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় গণতন্ত্রের হাঁসফাঁস অবস্থা। ‘বর্তমান’-এর সাংবাদিক তন্ময় মল্লিককে সেকথা শুনিয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। বিশদ

11th  February, 2021
নারীর ক্ষমতায়নই মমতার সবচেয়ে বড় সাফল্য
হারাধন চৌধুরী

মোদির পার্টি দুর্গা বাহিনী তৈরি করেছে। কিন্তু সেই নকল দশভুজাদের দশ হাতই শূন্য। মমতার রক্ত-মাংসের দ্বিভুজা কন্যাশ্রীদের এক হাতে শিক্ষা আর অন্য হাতে সুস্বাস্থ্য। একটা মানবজীবন সুন্দরভাবে পেরতে আর কোন অস্ত্রের প্রয়োজন?
বিশদ

10th  February, 2021
দেশ না বেচে কি উন্নয়ন হয় না?
শান্তনু দত্তগুপ্ত​​​​​​​


 

নরেন্দ্র মোদি হলদিয়ায় এসে দাবি করছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর জমানায় কোনও উন্নয়নই করেননি! তাঁর তাঁবেদাররাও এই প্রচারে তালি বাজাচ্ছে। কিন্তু মানুষ কী ভাবছে? তাঁর ঘরে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী আছে, সবুজ সাথীর সাইকেল আছে, আছে কর্মসংস্থানের দিশা। যা ফাঁপা নয়। বিশদ

09th  February, 2021
হৃদয়শূন্য একটা হিসেবি মাথার বাজেট
পি চিদম্বরম

গরিব মানুষ, পরিযায়ী শ্রমিক, দিনমজুর, ছোট চাষি, এমএসএমই-র মালিক, বেকার ব্যক্তি (তাঁর পরিবার) এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণি নিজেদের প্রতারিত ভেবেছেন। যেহেতু খবরের কাগজে তাঁদের এবং তাঁদের হয়ে কথা বলার লোকদের জায়গা হবে না, তাই যাবতীয় ক্ষোভ-হতাশার কথা তাঁরা উগরে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিশদ

08th  February, 2021
সোনার বাংলা গড়বে এরা!
হিমাংশু সিংহ

যাঁরা মিথ্যে স্বপ্ন ফেরি করে পশ্চিমবঙ্গকে নিজেদের স্বার্থে নরকের পথে ঠেলে দেওয়ার বন্দোবস্ত পাকা করতে মরিয়া, বাংলার মানুষ তাঁদের কাছে হিসেব তো নিয়েই ছাড়বে। মানুষ মনে রাখবে, অত্যন্ত সীমিত আর্থিক ক্ষমতার মধ্যেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে জনমুখী, জনদরদি বাজেট উপহার দিলেন তার কথা। বিশদ

07th  February, 2021
রাজ্য বাজেট: আন্তরিক
উন্নয়নই পাখির চোখ
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

সামান্য কয়েক মাসের একটি ভোট অন অ্যাকাউন্ট নিয়ে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চর্চা। প্রশ্ন উঠল রাজ্যের বাজেটে এত যে প্রস্তাব দেওয়া হল তার টাকা আসবে কোথা থেকে? এই বাজেটের অর্থনৈতিক ভিত্তি কী? বিশদ

06th  February, 2021
নেতা ধরতে গিয়ে জনতা
‘বিসর্জন’ বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

কথায় আছে, যত গর্জে তত বর্ষে না। বিজেপির অবস্থা এখন অনেকটা তেমনই। বিজেপির নেতারা বঙ্গ জয় নিয়ে যতই তর্জন গর্জন করুন, যতই ২০০ আসনের কথা বলুন, বাস্তবের মাটি বড়ই রুক্ষ। সেটা তাঁরাও জানেন।
বিশদ

06th  February, 2021
পদ্মশ্রী ও দলবদল, দুটি
ভিন্ন দুনিয়ার কথা
সমৃদ্ধ দত্ত

দলবদল করা রাজনীতিকরা কাজকে নয়, প্ল্যাটফর্ম তথা দলকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। কারণ একটাই, তাঁদের একক শক্তিই নেই। তাঁরা জানেন, একা আমার কোনও মূল্য নেই। ক্ষমতাও নেই। মানুষ পাশে থাকবে কি না সেই আত্মবিশ্বাসই নেই। তা‌ই তাঁদের দল অথবা গোষ্ঠীর দরকার হয় ভেসে থাকার জন্য। বিশদ

05th  February, 2021
বিজেপির ‘ডবল ইঞ্জিনে’র প্রচার যে ফাঁদ, 
তা হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছেন ত্রিপুরাবাসী

‘চলো পাল্টাই’ স্লোগান তুলে ত্রিপুরায় বাম শাসনের শিকড় উপড়ে দিয়েছিল বিজেপি। বিজেপি শাসনে কেমন আছে ত্রিপুরা? বিজেপির ‘ডবল ইঞ্জিনে’র প্রচার যে একটা ফাঁদ, তা ত্রিপুরার মানুষকে বামেরা বোঝাতে পারেনি। সেই ফাঁদে পা দিয়ে ত্রিপুরাবাসী এখন কপাল চাপড়াচ্ছেন। ‘বর্তমান’ এর সাংবাদিক তন্ময় মল্লিকের কাছে অকপটে সে কথা জানিয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
বিশদ

04th  February, 2021
আমি ক্যাসাবিয়াঙ্কা কিংবা নবকুমার
মদন মিত্র

সেদিনও দেখেছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আমি ভয় করব না,  ভয় করব না’ রূপ। মৃত্যুভয়ে, নিজে বাঁচার জন্যে সবাইকে ছেড়ে পালাবার চেষ্টা তিনি করেননি। ভেসে ওঠার 
চেষ্টা করছেন। আর ভেসে উঠেছিলেন বলেই, বাংলার মানুষ বলল, তুমি মহাসমুদ্রে ভেসে উঠবে। এই জনসমুদ্রে তাই বারবার ভেসে উঠছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 
  বিশদ

04th  February, 2021
এবার ভোটের লড়াই
উন্নয়ন বনাম কুৎসার
সন্দীপন বিশ্বাস

মমতা ভোটের আগে পুরোপুরি অ্যাটাকিংয়ে। একের পর এক এক উন্নয়ন প্রকল্প দিয়ে ভেঙে ফেলছেন গেরুয়া বাহিনীর ডিফেন্স। বিজেপির আক্রমণের মুখে তাঁর অস্ত্র উন্নয়ন ও শান্তি। সেই উন্নয়ন সেই সব সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে, যাঁরা বিজেপির কাছে উপেক্ষিত। বিশদ

03rd  February, 2021
একনজরে
পিম্প্রি-চিঞ্চওয়াড় পুর এলাকায় সংক্রমণের গ্রাফ এখন নিম্নমুখী। কমছে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যাও। আর এর জেরেই কাজ হারাতে চলেছেন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে সেখানকার প্রায় ৫০০ জন কোভিড যোদ্ধা। ...

মঙ্গলকোটে অনুব্রত মণ্ডলের মহিলা সমাবেশে জনস্রোত বয়ে গেল। শুক্রবার বিকেলে ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত থেকে কাতারে কাতারে মহিলা মাথরুনের স্কুলমাঠে ভিড় করেন। ...

বুধবার রাতে পুরাতন মালদহ ব্লক অফিসে ইঞ্জিনিয়ারকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তরা এখনও অধরা। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর দু’দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিস অভিযুক্তদের নাগাল পায়নি। ...

দ্বিতীয় সারির দল বার্নসলেকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে এফএ কাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছল চেলসি। বৃহস্পতিবার অ্যাওয়ে ম্যাচে একমাত্র গোলটি টমি আব্রাহামের। উল্লেখ্য, কোচ টমাস টুচেলের অধীনে টানা চতুর্থ ম্যাচে জয় পেল চেলসি।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যার বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব রেডিও দিবস
১৬০১ - ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সমুদ্র পথে ভারত আগমন
১৮৩২ - লন্ডনে প্রথম কলেরার প্রাদুর্ভাব
১৮৭৯: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও কবি সরোজিনী নাইডুর জন্ম
১৮৮২ - কলকাতায় প্রথম পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত।
১৯৩১ - ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে নয়াদিল্লিতে স্থানান্তর হয়
১৯৪৫: অভিনেতা বিনোদ মেহরার জন্ম
১৯৬০: ফ্রান্সের সফল পরমাণু পরীক্ষা
১৯৮৫: টেনিস খেলোয়াড় সোমদেব দেববর্মনের জন্ম 
২০১৫ - কেশব রেড্ডি, ভারতীয় চিকিৎসক ও লেখক



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭১.১৫ টাকা ৭৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ৯৮.০৩ টাকা ১০২.৭৭ টাকা
ইউরো ৮৬.১৬ টাকা ৯০.৩৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৮,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৮,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ ফাল্গুন ১৪২৭, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১। দ্বিতীয়া ৪৩/৪৮ রাত্রি ১২/৫৩। শতভিষা নক্ষত্র ২২/২৪ দিবা ৩/১১। সূর্যোদয় ৬/১৩/৪৫, সূর্যাস্ত ৫/২৮/১১। অমৃতযোগ দিবা ৯/৫৮ গতে ১২/৫৮ মধ্যে রাত্রি ৮/০ গতে ১০/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১২/১৬ গতে ১/৫৮ মধ্যে পুনঃ ২/৫০ গতে ৪/৩২ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৮ মধ্যে  পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৮ গতে উদয়াবধি।  
৩০ মাঘ ১৪২৭, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১। দ্বিতীয়া রাত্রি ১২/৪১। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ৩/১৭। সূর্যোদয় ৬/১৬, সূর্যাস্ত ৫/২৭। অমৃতযোগ দিবা ৯/৫২ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৪ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/১২ গতে ১/৫২ মধ্যে ও ২/৪১ গতে ৪/২১ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪০ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪০ মধ্যে ও ৪/৩ গতে ৫/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩ মধ্যে ও ৪/৪০ গতে ৬/১৬ মধ্যে । 
৩০ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রাজ্যে আগামী ২১ শে মোদি ও ১৮ ফেব্রুয়ারি অমিত শাহ
আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি ফের রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন ...বিশদ

09:26:38 PM

মাস্ক ছাড়াই গ্যালারিতে বহু দর্শক, করোনাবিধি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
ভারত-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্টে দর্শকদের মাঠে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কোভিডবিধি ...বিশদ

04:36:39 PM

মালদহে কালভার্টের কাছে যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার
মালদহের বলদা হুড়া এলাকার একটি নির্মীয়মাণ কালভার্টের কাছে মিলল এক ...বিশদ

04:22:23 PM

মুম্বইয়ের খার এলাকায় ৩৩ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ মাদক সহ গ্রেপ্তার ২ পাচারকারী 

04:18:00 PM

দ্বিতীয়বার বিয়ে  করছেন দিয়া মির্জা!
সামনেই ভ্যালেন্টাইনস ডে। ভালোবাসার মরশুম চলছে। এর মধ্যেই এল সুখবর। ...বিশদ

04:09:41 PM

দীঘায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১
দীঘা থেকে বাড়ি ফেরার পথে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ...বিশদ

04:00:30 PM