Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এবার ভোটের লড়াই
উন্নয়ন বনাম কুৎসার
সন্দীপন বিশ্বাস

নবযুগের মহাকাব্য ‘মেঘনাদ বধ কাব্যে’ রামায়ণকে নতুন আলোকে বিশ্লেষণ করেছিলেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত। আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে তিনি ‘ভিখারি রাঘবের’ থেকে রাবণের বীরত্বকে অনেক বেশি মহিমান্বিত করেছিলেন। রামশিবির চেয়েছিল, ‘মারি অরি পারি যে কৌশলে’। তার জন্য তাঁরা বিভীষণের সাহায্য নিয়েছিলেন। বিভীষণ হলেন পৃথিবীর প্রথম দলবদলু। অবশ্য বাস্তবে নয়। কেন না রাম চরিত্র কোনও ঐতিহাসিক চরিত্র নয়। তা পৌরাণিক। রবীন্দ্রনাথ লিখলেন, ‘নারদ কহিলা হাসি, সে সত্য যা রচিবে তুমি-/ ঘটে যা তা সব সত্য নহে। কবি তব মনোভূমি / রামের জনমস্থান, অযোধ্যার চেয়ে সত্য জেনো।’ যাই হোক, মেঘনাদকে বধ করার জন্য বিভীষণ গোপন পথে লক্ষ্মণকে নিয়ে নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে এলেন। সেখানে নিরস্ত্র অবস্থায় মেঘনাদকে হত্যা করেন লক্ষ্মণ। মৃত্যুর আগে তিনি বিভীষণকে বলেছিলেন, ‘নিজগৃহপথ তাত দেখাও তস্করে?/ চণ্ডালে বসাও আনি রাজার আলয়ে?’ 
আজ এই নির্বাচনের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের নেতৃত্বে বিজেপির রাজনৈতিক রিয়েলিটি শো দেখতে দেখতে রাজ্যের মানুষের মেঘনাদ বধ কাব্যের বিভিন্ন অংশ মনে পড়বেই। আজ যাঁরা দলে দলে পদ্মশিবিরে ভিড় করছেন, তাঁদের অনেকেই বলছেন, এই রাজ্যে কোনও উন্নয়ন হয়নি। উন্নয়নের স্বার্থেই নাকি তাঁরা পদ্মশিবিরে যোগ দিচ্ছেন। তাঁরা সম্ভবত এ রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন নিয়ে কেন্দ্রের প্রকাশিত রিপোর্টগুলিই উপেক্ষা করছেন। উন্নয়নের নিরিখে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই রাজ্য অন্যদের থেকে অনেক এগিয়ে। এতো কেন্দ্রের রিপোর্টই বলছে। আসল কথা হল রাজ্যের উন্নয়ন নয়, তাঁদের লক্ষ্য আত্ম-উন্নয়ন। আজ কিন্তু অনেকেই ভুলে গিয়েছেন, একদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই এঁদের রাজনৈতিক জন্ম দিয়েছিলেন। পথে পড়ে থাকা অনাথ শিশুকে অনেকেই যেমন কুড়িয়ে এনে মানুষ  করেন, একটা সুস্থ জীবন দেন, এঁদেরও তেমন মমতা ক্ষমতা দিয়েছিলেন, খ্যাতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের বিবেকহীনতার এই নগ্নতা রাজ্যের মানুষ কি সত্যিই ক্ষমার চোখে দেখবেন? সত্যিই কি আজ মানুষ বলবেন, মমতা ভুল করেছেন, আর এরা আজ সবাই ঠিক? আসলে তৃণমূলের শিবির ভাঙতে না পারলে বিজেপি এই রাজ্যে একশোটি আসনেও প্রার্থী দিতে পারত না। তাই এতদিন যাঁদের তারা গালমন্দ করেছে, তাঁদেরই দল ভাঙিয়ে লোক নিয়ে গিয়ে গোডাউন বোঝাই করছে। কিন্তু এদের ক’জনের নিজ ক্ষমতায় জেতার মুরোদ রয়েছে, সে ব্যাপারে কি বিজেপির জানা নেই? জানলেও অবশ্য কিছু করার নেই। ভোটে প্রার্থী চাই তো। তাই চলছে বিজেপির রিয়েলিটি শো।
একবার সদ্যপ্রসূত বাজেটের দিকে তাকিয়ে দেখুন। স্বাধীন ভারতে এমন রদ্দিতম বাজেট এর আগে হয়েছে কি না সন্দেহ! বাজেটের নমুনা দেখলেই সরকার পক্ষের বড় বড় ব্যক্তিত্বের অর্থনীতি সংক্রান্ত জ্ঞানগম্যি বোঝা যায়। আসলে দেশের অর্থনীতিকে ফোঁপরা করে দিয়েছে বিজেপি সরকার। সরকারের ভাণ্ডার যে শূন্য, তা এই বাজেটই বলে দিচ্ছে। তাই কোথাও যেমন বড় বরাদ্দ নেই। তেমনই কোথায় কর মকুবের ব্যাপারও নেই। একমাত্র কোভিডের জন্য সরকারকে বরাদ্দ বাড়াতে হয়েছে। ভোটের দিকে তাকিয়ে পশ্চিমবঙ্গে রাস্তার জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। সবটাই কিন্তু কাগজে কলমে। এর দশ শতাংশ টাকাও কিন্তু আসবে না। ভোট মিটলেই সব ভুলে যাবে কেন্দ্র। পাশাপাশি সবকিছ বেচে দেওয়ার পথ হাট করে খুলে দিয়েছে বেচুবাবু সরকার। বেচো আর খাও। আর কী চাই! এও তো সরকার চালানোর এক রিয়েলিটি শো। উজ্জ্বল আলোর বৃত্তে শুধু ভোজবাজির খেলা। মন কি বাত শুনলে আপনার কিন্তু মনে হতে পারে, এই সরকার পৃথিবীর সেরা সরকার। 
আর একটা রিয়েলিটি শোয়ের কথা মনে পড়ল। মনে করে দেখুন তো, ভিক্টোরিয়া চত্বরে বাঙালির পরম শ্রদ্ধেয় মানুষ নেতাজির জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠানটি। মঞ্চে আলম্বশ্মশ্রু নরেন্দ্র মোদি আছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। তাঁরা উঠে একে একে দেশনায়কের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। সেই সময় তাল কাটল এক গুটখাসেবী যুবকের চীৎকারে। সে বলে উঠল ‘জয়শ্রী রাম’ (উচ্চারণ অনুযায়ী এমনই শোনা গিয়েছে। দেখেছি অনেকে জয় শ্রীরাম ঠিকমতো বলতেই পারে না।)। যে অনুষ্ঠানে বলা উচিত ছিল ‘জয়তু নেতাজি’ বা ‘জয়হিন্দ’, সেই অনুষ্ঠানে বিজেপির একদল অশিক্ষিত চিৎকার করে বললেন ‘জয়শ্রী রাম’। আসলে সাভারকর, নাথুরাম ভক্তরা নেতাজি কে জানেন না। মানেনও না। শুধু ভোটের দায়বদ্ধতাকে মেনে নিয়ে তাদের এই নকল নেতাজি প্রীতি। যতই মোদিকে এনে সাজানো গোজানো অনুষ্ঠান হোক না কেন, ভিক্টোরিয়া অনুষ্ঠানে সান্ধ্য লগ্নে সব উদ্দেশ্যটুকুই নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়ে গেল। মোদিজির উপস্থিতিও সেই লজ্জাটুকু ঢাকতে পারল না। এখান থেকেই বোঝা যায়, এই বাংলাকে গেরুয়া বাহিনীর তাবড় নেতারা কোন দৃষ্টিতে দেখেন। মঞ্চে দাঁড়িয়ে মোদির অশুদ্ধ উচ্চারণে মহাপুরুষের নামাবলী পাঠ ভোট বৈতরণী পারাপারের কড়ি জোগাড় করতে পারবে না। বাঙালি এই অপমান মেনে নেবে না। বাঙালি জানে, যে আসনে নেতাজি, গান্ধীজি, ক্ষুদিরামের স্থান, সে আসনে ঠাঁই পেতে পারেন না সাভারকর, নাথুরামরা। ‘মেলাবেন তিনি মেলাবেন’ বলে ঝাঁপিয়ে পড়লেও পারবেন না। 
সেদিন কিন্তু ভিক্টোরিয়ার ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সেদিন সকাল থেকে দুর্গাপুর, আসানসোল সহ বিভিন্ন জেলায় বিজেপির তালেবররা নেতাজির ছবি নিয়ে ‘জয়শ্রী রাম’ বলে পদযাত্রা করেছেন। গুটখা লাঞ্ছিত মস্তিষ্ক এর থেকে উন্নততর সংস্কৃতি জানে না। ধারও ধারে না। গুটখা রঞ্জিত ঠোঁট থেকে কোনওদিন ‘জয়তু নেতাজি’ বেরবে না। ‘জয় শ্রীরাম’ বা ‘জয় নাথুরাম’ বেরতে পারে। বিজেপির সেদিনের আচরণের পর এই রাজ্যের অবিলম্বে শুদ্ধকরণ দরকার। নির্বাচনই হতে পারে সেই শুদ্ধকরণ পদ্ধতি। হয় আমরা বাংলা সংস্কৃতির হাত ধরে বাঁচব, অথবা গুটখা সংস্কৃতির দাসত্ব মেনে ধ্বংস হয়ে যাব। এখানেই এসে পড়ে শেক্সপিয়রের হ্যামলেটের ‘টু বি অর নট টু বি’ প্রসঙ্গটি। তা সত্ত্বেও সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। বেঁচে ওঠার পথ না কি মৃত্যুর তমসুক?
বিজেপিবাবুরা বলছেন, ক্ষমতায় এলে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব। বোঝাই যাচ্ছে, এটা হতাশার বাণী। বুঝে গিয়েছেন, ক্ষমতায় আসা সম্ভব নয়। তাই এখন দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে বীররসের কথা, বাহুবলের কথা বলছেন। তাঁরাই আবার সাফাই গেয়ে বলেছেন, ‘জয় শ্রীরাম বলে বেশ করেছি।’ এই ঔদ্ধত্য বিহার, উত্তরপ্রদেশের গুন্ডাগার্দি সংস্কৃতি হতে পারে। বাংলার নয়। বাংলার শিল্পী-সাহিত্যিক ও জনগণ একে ধিক্কার জানিয়েছেন। আই কিউ লেভেল যাঁদের কম বা যাঁরা গোরুর দুধে সোনা খুঁজে পান, ঘুঁটেতে অ্যান্টিরেডিয়েশন খুঁজে পান, পাঁপড় ভাজায় করোনা তাড়ানোর ওষুধ খুঁজে পান, উত্তরপ্রদেশ বা বিহারে তাঁদের বিরাট দাম থাকতে পারে, কিন্তু এ রাজ্যের শিক্ষিত মানুষ তাঁদের গ্রহান্তরের কোনও জীব হিসাবে মনে করেন। রাজ্যের মানুষও কিন্তু ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে হিসাব মেলাচ্ছেন। মমতার কাজ এবং মোদিজির কাজ মানুষ ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে মেলাচ্ছেন। মানুষ নজর রেখেছেন কৃষক আন্দোলনের দিকে। মানুষ জানেন, কাদের স্বার্থে মোদি কৃষক বিরোধী আইন তুলে নিতে পারছেন না। আন্দোলনে দিশাহারা মোদিজি আঙুল তুলে বলছেন, ওদের চালাচ্ছে পাকিস্তান। তিনি নিজেকে দেশের চৌকিদার বলে দাবি করেন। অথচ তিনি মানুষকে দিনে দিনে সর্বস্বান্ত করছেন। ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে নরকে তিনি নিয়ে গিয়েছেন। আর কিছুদিন পর ব্যাঙ্কে টাকা রাখলে হয়তো আপনাকেই সুদের টাকা গুনতে হবে। কার স্বার্থে এটা হয়েছে। গ্যাসের দাম কৌশল করে ভর্তুকি ব্যবস্থা করলেন। এখন আটশো টাকায় গ্যাস কিনে ক’ পয়সা আপনার ব্যাঙ্কে জমা পড়ছে, একবার পাসবই খুলে দেখে নেবেন। সবটাই ভক্কিবাজি। কার স্বার্থে এসব হচ্ছে, মানুষ আজ বুঝে গিয়েছে। কর্পোরেটের স্বার্থ দেখতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে ঠেলে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন দুর্বিপাকের কানাগলিতে। প্রতিবাদের কথা বললেই, আন্দোলনের কথা বললেই আপনি কিন্তু পাকিস্তানের চর। 
পাশাপাশি মমতা ভোটের আগে পুরোপুরি অ্যাটাকিংয়ে। একের পর এক এক উন্নয়ন প্রকল্প দিয়ে ভেঙে ফেলছেন গেরুয়া বাহিনীর ডিফেন্স। বিজেপির আক্রমণের মুখে তাঁর অস্ত্র উন্নয়ন ও শান্তি। সেই উন্নয়ন সেই সব সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে, যাঁরা বিজেপির কাছে উপেক্ষিত। সেইসব কৃষক, সেইসব শ্রমিক, সেইসব হতভাগ্য মানুষের দল আজও বিবেকের তাড়নায় দলবদলু হতে পারবে না। সত্যিটা বেছে নেবেন সেইসব জনগণই। কেননা এবারে ভোটের লড়াই উন্নয়ন বনাম কুৎসার।
03rd  February, 2021
বিপ্লবের ত্রিপুরা,
মমতার বাংলা
মৃণালকান্তি দাস

সজাগ থাকুন, ত্রিপুরার মতো বঙ্গভোটেও চাকরির ‘টোপ’ আসবে। আসবে ‘সোনার বাংলা’ গড়ার প্রতিশ্রুতিও। আপনিই ঠিক করুন, বিপ্লব দেবের মতো কোনও ‘অযোগ্য’ বিজেপি নেতার হাতে নিজের জীবন সঁপে দেবেন কি না! বিশদ

12th  February, 2021
বিজেপির মুখে গণতন্ত্র আসলে
ভূতের মুখে রাম নাম

বিজেপি নেতারা প্রায়ই অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই। মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা নেই। মানুষের সামনে তুলে ধরেন জোর করে তৃণমূলের পঞ্চায়েত দখলের কথা। ক্ষমতা দখলের পর বিজেপি ত্রিপুরার পঞ্চায়েতের প্রায় ৯৫ শতাংশ আসনে কাউকে দাঁড়াতেই দেয়নি। বিজেপির বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতার রেকর্ড জ্বলজ্বল করছে। তাই অনেকের মতে, বিজেপির মুখে গণতন্ত্র আসলে ভূতের মুখে রাম নাম। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় গণতন্ত্রের হাঁসফাঁস অবস্থা। ‘বর্তমান’-এর সাংবাদিক তন্ময় মল্লিককে সেকথা শুনিয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। বিশদ

11th  February, 2021
নারীর ক্ষমতায়নই মমতার সবচেয়ে বড় সাফল্য
হারাধন চৌধুরী

মোদির পার্টি দুর্গা বাহিনী তৈরি করেছে। কিন্তু সেই নকল দশভুজাদের দশ হাতই শূন্য। মমতার রক্ত-মাংসের দ্বিভুজা কন্যাশ্রীদের এক হাতে শিক্ষা আর অন্য হাতে সুস্বাস্থ্য। একটা মানবজীবন সুন্দরভাবে পেরতে আর কোন অস্ত্রের প্রয়োজন?
বিশদ

10th  February, 2021
দেশ না বেচে কি উন্নয়ন হয় না?
শান্তনু দত্তগুপ্ত​​​​​​​


 

নরেন্দ্র মোদি হলদিয়ায় এসে দাবি করছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর জমানায় কোনও উন্নয়নই করেননি! তাঁর তাঁবেদাররাও এই প্রচারে তালি বাজাচ্ছে। কিন্তু মানুষ কী ভাবছে? তাঁর ঘরে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী আছে, সবুজ সাথীর সাইকেল আছে, আছে কর্মসংস্থানের দিশা। যা ফাঁপা নয়। বিশদ

09th  February, 2021
হৃদয়শূন্য একটা হিসেবি মাথার বাজেট
পি চিদম্বরম

গরিব মানুষ, পরিযায়ী শ্রমিক, দিনমজুর, ছোট চাষি, এমএসএমই-র মালিক, বেকার ব্যক্তি (তাঁর পরিবার) এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণি নিজেদের প্রতারিত ভেবেছেন। যেহেতু খবরের কাগজে তাঁদের এবং তাঁদের হয়ে কথা বলার লোকদের জায়গা হবে না, তাই যাবতীয় ক্ষোভ-হতাশার কথা তাঁরা উগরে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিশদ

08th  February, 2021
সোনার বাংলা গড়বে এরা!
হিমাংশু সিংহ

যাঁরা মিথ্যে স্বপ্ন ফেরি করে পশ্চিমবঙ্গকে নিজেদের স্বার্থে নরকের পথে ঠেলে দেওয়ার বন্দোবস্ত পাকা করতে মরিয়া, বাংলার মানুষ তাঁদের কাছে হিসেব তো নিয়েই ছাড়বে। মানুষ মনে রাখবে, অত্যন্ত সীমিত আর্থিক ক্ষমতার মধ্যেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে জনমুখী, জনদরদি বাজেট উপহার দিলেন তার কথা। বিশদ

07th  February, 2021
রাজ্য বাজেট: আন্তরিক
উন্নয়নই পাখির চোখ
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

সামান্য কয়েক মাসের একটি ভোট অন অ্যাকাউন্ট নিয়ে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চর্চা। প্রশ্ন উঠল রাজ্যের বাজেটে এত যে প্রস্তাব দেওয়া হল তার টাকা আসবে কোথা থেকে? এই বাজেটের অর্থনৈতিক ভিত্তি কী? বিশদ

06th  February, 2021
নেতা ধরতে গিয়ে জনতা
‘বিসর্জন’ বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

কথায় আছে, যত গর্জে তত বর্ষে না। বিজেপির অবস্থা এখন অনেকটা তেমনই। বিজেপির নেতারা বঙ্গ জয় নিয়ে যতই তর্জন গর্জন করুন, যতই ২০০ আসনের কথা বলুন, বাস্তবের মাটি বড়ই রুক্ষ। সেটা তাঁরাও জানেন।
বিশদ

06th  February, 2021
পদ্মশ্রী ও দলবদল, দুটি
ভিন্ন দুনিয়ার কথা
সমৃদ্ধ দত্ত

দলবদল করা রাজনীতিকরা কাজকে নয়, প্ল্যাটফর্ম তথা দলকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। কারণ একটাই, তাঁদের একক শক্তিই নেই। তাঁরা জানেন, একা আমার কোনও মূল্য নেই। ক্ষমতাও নেই। মানুষ পাশে থাকবে কি না সেই আত্মবিশ্বাসই নেই। তা‌ই তাঁদের দল অথবা গোষ্ঠীর দরকার হয় ভেসে থাকার জন্য। বিশদ

05th  February, 2021
বিজেপির ‘ডবল ইঞ্জিনে’র প্রচার যে ফাঁদ, 
তা হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছেন ত্রিপুরাবাসী

‘চলো পাল্টাই’ স্লোগান তুলে ত্রিপুরায় বাম শাসনের শিকড় উপড়ে দিয়েছিল বিজেপি। বিজেপি শাসনে কেমন আছে ত্রিপুরা? বিজেপির ‘ডবল ইঞ্জিনে’র প্রচার যে একটা ফাঁদ, তা ত্রিপুরার মানুষকে বামেরা বোঝাতে পারেনি। সেই ফাঁদে পা দিয়ে ত্রিপুরাবাসী এখন কপাল চাপড়াচ্ছেন। ‘বর্তমান’ এর সাংবাদিক তন্ময় মল্লিকের কাছে অকপটে সে কথা জানিয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
বিশদ

04th  February, 2021
আমি ক্যাসাবিয়াঙ্কা কিংবা নবকুমার
মদন মিত্র

সেদিনও দেখেছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আমি ভয় করব না,  ভয় করব না’ রূপ। মৃত্যুভয়ে, নিজে বাঁচার জন্যে সবাইকে ছেড়ে পালাবার চেষ্টা তিনি করেননি। ভেসে ওঠার 
চেষ্টা করছেন। আর ভেসে উঠেছিলেন বলেই, বাংলার মানুষ বলল, তুমি মহাসমুদ্রে ভেসে উঠবে। এই জনসমুদ্রে তাই বারবার ভেসে উঠছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 
  বিশদ

04th  February, 2021
একনজরে
দ্বিতীয় সারির দল বার্নসলেকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে এফএ কাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছল চেলসি। বৃহস্পতিবার অ্যাওয়ে ম্যাচে একমাত্র গোলটি টমি আব্রাহামের। উল্লেখ্য, কোচ টমাস টুচেলের অধীনে টানা চতুর্থ ম্যাচে জয় পেল চেলসি।   ...

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। বারাসত শহরে তৈরি হল অত্যাধুনিক মানের ইন্ডোর স্টেডিয়াম। ৬৫ লক্ষ টাকায় শহরের কে এন সি রোডে এই স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়েছে। এখানে ...

মঙ্গলকোটে অনুব্রত মণ্ডলের মহিলা সমাবেশে জনস্রোত বয়ে গেল। শুক্রবার বিকেলে ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত থেকে কাতারে কাতারে মহিলা মাথরুনের স্কুলমাঠে ভিড় করেন। ...

বুধবার রাতে পুরাতন মালদহ ব্লক অফিসে ইঞ্জিনিয়ারকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তরা এখনও অধরা। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর দু’দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিস অভিযুক্তদের নাগাল পায়নি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যার বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব রেডিও দিবস
১৬০১ - ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সমুদ্র পথে ভারত আগমন
১৮৩২ - লন্ডনে প্রথম কলেরার প্রাদুর্ভাব
১৮৭৯: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও কবি সরোজিনী নাইডুর জন্ম
১৮৮২ - কলকাতায় প্রথম পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত।
১৯৩১ - ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে নয়াদিল্লিতে স্থানান্তর হয়
১৯৪৫: অভিনেতা বিনোদ মেহরার জন্ম
১৯৬০: ফ্রান্সের সফল পরমাণু পরীক্ষা
১৯৮৫: টেনিস খেলোয়াড় সোমদেব দেববর্মনের জন্ম 
২০১৫ - কেশব রেড্ডি, ভারতীয় চিকিৎসক ও লেখক



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭১.১৫ টাকা ৭৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ৯৮.০৩ টাকা ১০২.৭৭ টাকা
ইউরো ৮৬.১৬ টাকা ৯০.৩৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৮,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৮,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ ফাল্গুন ১৪২৭, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১। দ্বিতীয়া ৪৩/৪৮ রাত্রি ১২/৫৩। শতভিষা নক্ষত্র ২২/২৪ দিবা ৩/১১। সূর্যোদয় ৬/১৩/৪৫, সূর্যাস্ত ৫/২৮/১১। অমৃতযোগ দিবা ৯/৫৮ গতে ১২/৫৮ মধ্যে রাত্রি ৮/০ গতে ১০/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১২/১৬ গতে ১/৫৮ মধ্যে পুনঃ ২/৫০ গতে ৪/৩২ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৮ মধ্যে  পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৮ গতে উদয়াবধি।  
৩০ মাঘ ১৪২৭, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১। দ্বিতীয়া রাত্রি ১২/৪১। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ৩/১৭। সূর্যোদয় ৬/১৬, সূর্যাস্ত ৫/২৭। অমৃতযোগ দিবা ৯/৫২ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৪ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/১২ গতে ১/৫২ মধ্যে ও ২/৪১ গতে ৪/২১ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪০ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪০ মধ্যে ও ৪/৩ গতে ৫/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩ মধ্যে ও ৪/৪০ গতে ৬/১৬ মধ্যে । 
৩০ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রাজ্যে আগামী ২১ শে মোদি ও ১৮ ফেব্রুয়ারি অমিত শাহ
আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি ফের রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন ...বিশদ

09:26:38 PM

মাস্ক ছাড়াই গ্যালারিতে বহু দর্শক, করোনাবিধি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
ভারত-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্টে দর্শকদের মাঠে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কোভিডবিধি ...বিশদ

04:36:39 PM

মালদহে কালভার্টের কাছে যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার
মালদহের বলদা হুড়া এলাকার একটি নির্মীয়মাণ কালভার্টের কাছে মিলল এক ...বিশদ

04:22:23 PM

মুম্বইয়ের খার এলাকায় ৩৩ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ মাদক সহ গ্রেপ্তার ২ পাচারকারী 

04:18:00 PM

দ্বিতীয়বার বিয়ে  করছেন দিয়া মির্জা!
সামনেই ভ্যালেন্টাইনস ডে। ভালোবাসার মরশুম চলছে। এর মধ্যেই এল সুখবর। ...বিশদ

04:09:41 PM

দীঘায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১
দীঘা থেকে বাড়ি ফেরার পথে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ...বিশদ

04:00:30 PM