Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

হৃদয়শূন্য একটা হিসেবি মাথার বাজেট
পি চিদম্বরম

২০২১-২২ অর্থবর্ষের বাজেটটা সরকার এবং বিরোধীদের মধ্যে মত পার্থক্য দূর করার একটা সুযোগ হয়ে উঠতে পারত। নীতি, কাজ, অকর্মণ্যতা প্রভৃতির কারণে সবচেয়ে গরিব শ্রেণি, কৃষক, পরিযায়ী শ্রমিক, ছোট ও মাঝারি শিল্প-বাণিজ্য ক্ষেত্র (এমএসএমই সেক্টর), মধ্যবিত্ত শ্রেণি ও বেকারদের মধ্যে সরকার সম্পর্কে একটা বিরূপ মনোভাব গড়ে উঠেছে। এসব শুধরে নেওয়ারও একটা সুযোগ হয়ে উঠতে পারত এই বাজেট। কিন্তু ন্যায্য প্রাপ্যের সবচেয়ে বেশিটাই তাদের ভাগ্যের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু আমার কোনও প্রত্যাশা নেই, তাই  আমার নেই কোনও হতাশাও। কিন্তু অগণিত মানুষ নিজেদের প্রতারিত ভাবছেন। 
খুব ধনী আর বাকি অন্যদের মধ্যে বিভাজনটা আরও বাড়িয়ে তুলেছে এই বাজেট। 
বাজেট হল পরিস্থিতি ভিত্তিক
তামিল ব্যাকরণে একটা নিয়ম আছে: স্থান, বিষয় ও সুযোগ নষ্ট হয়, যেমন একজন দৃষ্টিহীনের হাতে একটা আলো। এর নিহিতার্থ হল, কর্তা এবং কর্মকে অবশ্যই বিচার করতে হবে স্থান, বিষয় এবং সুযোগ বা সময়ের নিরিখে। এক‍টা সিদ্ধান্ত থেকে কতটা সুফল মিলবে সেটা এই পরিস্থিতিই নির্ধারণ করে দেয়। একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে অর্থমন্ত্রী ২০২১-২২ সালের বাজেট পেশ করেছেন, যেটা কতকগুলো কারণে বিশিষ্ট হয়ে রয়েছে: 
এক)    ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ হল বৃদ্ধির নিম্নহারের দু’টো বছর। 
দুই)    প্রত্যেকের জীবনে ভয়ানক ব্যাঘাত ঘটে গিয়েছে, বিশেষত প্রত্যেক গ্রাম ও শহরাঞ্চলের কমবেশি  ৩০ শতাংশ গরিব মানুষের মধ্যে। 
তিন)    লক্ষ লক্ষ মানুষকে দারিদ্র্যসীমার নীচে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং তাদের মাথায় চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে পাহাড়প্রমাণ ঋণের বোঝা। 
চার)    শ্রমিক বাহিনী থেকে ছিটকে যাওয়া ৬ কোটি ৪৭ লক্ষ মানুষের মধ্যে ২২.৬ শতাংশ মহিলা।
পাঁচ)    ২ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ চাকরির খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরছেন।  
ছয়)    ছোট ও মাঝারি শিল্প-বাণিজ্যের (এমএসএমই) ৩৫ শতাংশ চিরতরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
উপর্যুক্ত অর্থনৈতিক বিষয়গুলো ছাড়াও দু’টো নিদারুণ ঘটনা রয়েছে: (এক) ভারতের মাটিতে চীনের বেআইনি দখলদারি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে একটা বিপদ এবং (দুই) স্বাস্থ্য পরিকাঠামমোকে শক্তিশালী করার জন্য বিপুল বিনিয়োগের প্রয়োজন। 
একটা ছাড়া সবক’টাতে ব্যর্থ
ঠিক এই প্রসঙ্গে আমি দু’টো তালিকা 
তৈরি করেছিলাম—একটা ‘অপরিহার্য’ (নন-নেগোশিয়েবল) এবং অন্যটা হল ‘১০ পয়েন্ট উইশ লিস্ট’ (০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ তারিখে ‘বর্তমান’-এ প্রকাশিত ‘কোনও প্রত্যশা নেই, নেই কোনও হতাশাও’ শিরোনামের বিশেষ নিবন্ধ দ্রষ্টব্য)। 
বাজেটে সন্নিবেশিত তথ্যাদি এবং অর্থমন্ত্রীর বাজেট ভাষণ বিশ্লেষণ করে আমি যে স্কোর কার্ড তৈরি করেছি সেটা এইরকম: 
নন-নেগোশিয়য়েবলস: ০/২
উইশ লিস্ট: ১/১০
একটামাত্র পয়েন্টে এই বাজেট ‘পাস’ করেছে, সেটা হল ‘সরকারের মূলধনী ব্যয় বৃদ্ধি’ (বিষয়টি গভীরতর অনুসন্ধান সাপেক্ষ)।
বাজেট দেশের সেনা বাহিনীর প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। তাঁর পৌনে দু’ঘণ্টার বাজেট ভাষণে অর্থমন্ত্রী ‘ডিফেন্স’ বা ‘প্রতিরক্ষা’ শব্দটা উচ্চারণই করেননি, এটা একটা নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত। প্রতিরক্ষা খাতে ২০২১-২২ সালের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ ৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ৮৮ কোটি টাকা। যেখানে চলতি বছরে রিভাইজড এস্টিমেট ছিল ৩ লক্ষ ৪৩ হাজার ৮২২ কোটি টাকা। অর্থাৎ  আগামী অর্থবর্ষের জন্য বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির পরিমাণ মাত্রই ৩ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা। মূল্যবৃদ্ধির হিসেবটা মাথায় রাখলে পরবর্তী বছরের জন্য এই বাবদ বরাদ্দটা কিন্তু ‘কমে গেল’। 
স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ঘোষণা নিয়েও অর্থমন্ত্রী কিন্তু আর একটা চালাকি করেছেন। তিনি গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করেছেন যে স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় বরাদ্দ ১৩৭ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। অঙ্কটা চলতি বছরের ৯৪ হজার ৪৫২ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে আগামী বছরের জন্য ২ লক্ষ ২৩ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা করা হয়েছে! কিন্তু ধাপ্পাটা ধরা পড়ে গেল ঘণ্টা কয়েকের ভিতরে: বাজেট ডিভিশন থেকে ‘বাজেট এক নজরে’ (পৃষ্ঠা ১০)-এর সংখ্যাগুলো পরিষ্কার হয়ে গেল। এগুলো হল ২০২০-২১-এর রিভাইজড এস্টিমেট ৮২ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা এবং ২০২১-২২-এর বাজেট এস্টিমেট ৭৪ হজার ৬০২ কোটি টাকা। ব্যাপারটা বাস্তবে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির থেকে অনেক দূরের ব্যাপার, বরং বরাদ্দের পরিমাণ ‘কমানো হয়েছে’! জাদুকরী পরিষ্কার যেটা করেছেন সেটা হল: টিকাকরণ কর্মসূচির এককালীন খরচের অঙ্ক, পানীয় জল সরবরাহ ও স্যানিটেশন বিভাগের জন্য বরাদ্দ অর্থ এবং পানীয় জল সরবরাহ, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যের জন্য রাজ্যগুলোকে অর্থ কমিশন থেকে যে অনুদান দেওয়া হয় সেই সমস্ত টাকা একসঙ্গে যোগ করে দেখিয়েছেন। বরাদ্দ অর্থের চেহারাটা বড়সড় দেখাতেই এই কারিকুরি!
এই দু’টো অপরিহার্য বিষয়কে সরিয়ে রেখে বলা যায়, অর্থমন্ত্রীর মুখে অর্থনীতির সবচেয়ে নীচের ২০-৩০ শতাংশ পরিবারের জন্য একটাও সহমর্মিতার শব্দের জোগান ছিল না—এমএসএমই ক্ষেত্র এবং তাদের চাকরি খোয়ানো শ্রমিকদের জন্যও না। সেক্টর বা ক্ষেত্র ধরে ধরে রিভাইভাল প্যাকেজ দেওয়ার দরকার ছিল। উদাহরণ হিসেবে টেলি যোগাযযোগ, বিদ্যুৎ, নির্মাণ, খনি, অসামরিক বিমান পরিবহণ, ভ্রমণ, পর্যটন ও হোটেল শিল্পের মতো ক্ষেত্রগুলোর কথা বলা যায়। কিন্তু তাদের জন্য অর্থমন্ত্রী এরকম কোনও প্যাকেজ দেননি। তিনি জিএসটির হারও কমাননি। উল্টে পেট্রল ও ডিজেলের মতো কিছু পণ্যের উপর সেস-এর বোঝা বাড়িয়ে দিয়েছেন, যার ফলে রাজ্যগুলোর আর্থিক ক্ষতি হবে। মূলধনী ব্যয় ছাড়া বাকি সমস্ত ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রী মানুষকে হতাশই করেছেন। 
এফআরবিএম’কে রসাতলে পাঠিয়ে ধনীদের তোল্লা দেওয়া
এমনকী মূলধনী ব্যয়ের ক্ষেত্রেও কোনওরকম সাহসী কিংবা উদ্ভাবনী পদক্ষেপ লক্ষ করা যায়নি। ৩১ মার্চ, ২০২১-এর মধ্যে অর্থমন্ত্রী অতিরিক্ত ১০ লক্ষ ৫২ হাজার ৩১৮ কোটি টাকার ঋণ নেবেন। কিন্তু অতিরিক্ত মূলধনী ব্যয়ের পরিমাণ হবে মাত্র ২৭ হাজার ৭৮ কোটি টাকা! মূলধনী সম্পদ সৃষ্টির জন্য আমরা সাহায্য অনুদানের (গ্রান্টস ইন এইড) অঙ্কটা যোগ করতে পারি, অতিরিক্ত ওই অর্থের পরিমাণ হল ২৩ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা। ৩ লক্ষ ৮০ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকার রাজস্ব ব্যয় বৃদ্ধি, রাজস্ব সংগ্রহে ঘাটতি ৪ লক্ষ ৬৫ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা এবং বিলগ্নিকরণ প্রক্রিয়ায় ঘাটতি ১ লক্ষ ৭৮ হাজার কোটি টাকার জন্য দায়ী ছিল বাকি বিষয়গুলো। অন্যদিকে, অর্থমন্ত্রীর দাবি ছিল যে তিনি শুধুই রাজকোষ ঘাটতির (৯.৫ শতাংশ) মধ্যে কাটিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবটা হল, যে-আয়ের ভরসায় তিনি বাজেট তৈরি করেছিলেন, সেই কর এবং করবহির্ভূত রাজস্ব তিনি সংগ্রহ করেননি। এমনকী তিনি রাজস্ব ব্যয়টাও বাজেটের মধ্যে রাখতে পারেননি। এই ঘাটতি পূরণের জন্য ঋণ নেওয়া ছাড়া অন্যকোনও উপায় তাঁর সামনে ছিল না। 
গরিব মানুষ, পরিযায়ী শ্রমিক, দিনমজুর, ছোট চাষি, এমএসএমই-র মালিক, বেকার ব্যক্তি (তাঁর পরিবার) এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণি নিজেদের প্রতারিত ভেবেছেন। যেহেতু খবরের কাগজে তাঁদের এবং তাঁদের হয়ে কথা বলার লোকদের জায়গা হবে না, তাই যাবতীয় ক্ষোভ-হতাশার কথা তাঁরা উগরে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। 
আমি অস্বীকার করব না যে এর পিছনে একটা হিসেবি মাথা ছিল, যেটা ‘ফিসকাল রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড বাজেট ম্যানেজমেন্টকে (এফআরবিএম) রসাতলে পাঠিয়ে ধনীদের তোল্লা দেওয়া’র বাজেট তৈরির জন্য কলকাঠি নেড়েছিল। কোনও সংশয় নেই, এর পিছনে কোনও হৃদয় কাজ করেনি। 

                                                                                                                                                                          লেখক সংসদ সদস্য ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী
 
08th  February, 2021
বিপ্লবের ত্রিপুরা,
মমতার বাংলা
মৃণালকান্তি দাস

সজাগ থাকুন, ত্রিপুরার মতো বঙ্গভোটেও চাকরির ‘টোপ’ আসবে। আসবে ‘সোনার বাংলা’ গড়ার প্রতিশ্রুতিও। আপনিই ঠিক করুন, বিপ্লব দেবের মতো কোনও ‘অযোগ্য’ বিজেপি নেতার হাতে নিজের জীবন সঁপে দেবেন কি না! বিশদ

12th  February, 2021
বিজেপির মুখে গণতন্ত্র আসলে
ভূতের মুখে রাম নাম

বিজেপি নেতারা প্রায়ই অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই। মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা নেই। মানুষের সামনে তুলে ধরেন জোর করে তৃণমূলের পঞ্চায়েত দখলের কথা। ক্ষমতা দখলের পর বিজেপি ত্রিপুরার পঞ্চায়েতের প্রায় ৯৫ শতাংশ আসনে কাউকে দাঁড়াতেই দেয়নি। বিজেপির বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতার রেকর্ড জ্বলজ্বল করছে। তাই অনেকের মতে, বিজেপির মুখে গণতন্ত্র আসলে ভূতের মুখে রাম নাম। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় গণতন্ত্রের হাঁসফাঁস অবস্থা। ‘বর্তমান’-এর সাংবাদিক তন্ময় মল্লিককে সেকথা শুনিয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। বিশদ

11th  February, 2021
নারীর ক্ষমতায়নই মমতার সবচেয়ে বড় সাফল্য
হারাধন চৌধুরী

মোদির পার্টি দুর্গা বাহিনী তৈরি করেছে। কিন্তু সেই নকল দশভুজাদের দশ হাতই শূন্য। মমতার রক্ত-মাংসের দ্বিভুজা কন্যাশ্রীদের এক হাতে শিক্ষা আর অন্য হাতে সুস্বাস্থ্য। একটা মানবজীবন সুন্দরভাবে পেরতে আর কোন অস্ত্রের প্রয়োজন?
বিশদ

10th  February, 2021
দেশ না বেচে কি উন্নয়ন হয় না?
শান্তনু দত্তগুপ্ত​​​​​​​


 

নরেন্দ্র মোদি হলদিয়ায় এসে দাবি করছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর জমানায় কোনও উন্নয়নই করেননি! তাঁর তাঁবেদাররাও এই প্রচারে তালি বাজাচ্ছে। কিন্তু মানুষ কী ভাবছে? তাঁর ঘরে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী আছে, সবুজ সাথীর সাইকেল আছে, আছে কর্মসংস্থানের দিশা। যা ফাঁপা নয়। বিশদ

09th  February, 2021
সোনার বাংলা গড়বে এরা!
হিমাংশু সিংহ

যাঁরা মিথ্যে স্বপ্ন ফেরি করে পশ্চিমবঙ্গকে নিজেদের স্বার্থে নরকের পথে ঠেলে দেওয়ার বন্দোবস্ত পাকা করতে মরিয়া, বাংলার মানুষ তাঁদের কাছে হিসেব তো নিয়েই ছাড়বে। মানুষ মনে রাখবে, অত্যন্ত সীমিত আর্থিক ক্ষমতার মধ্যেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে জনমুখী, জনদরদি বাজেট উপহার দিলেন তার কথা। বিশদ

07th  February, 2021
রাজ্য বাজেট: আন্তরিক
উন্নয়নই পাখির চোখ
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

সামান্য কয়েক মাসের একটি ভোট অন অ্যাকাউন্ট নিয়ে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চর্চা। প্রশ্ন উঠল রাজ্যের বাজেটে এত যে প্রস্তাব দেওয়া হল তার টাকা আসবে কোথা থেকে? এই বাজেটের অর্থনৈতিক ভিত্তি কী? বিশদ

06th  February, 2021
নেতা ধরতে গিয়ে জনতা
‘বিসর্জন’ বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

কথায় আছে, যত গর্জে তত বর্ষে না। বিজেপির অবস্থা এখন অনেকটা তেমনই। বিজেপির নেতারা বঙ্গ জয় নিয়ে যতই তর্জন গর্জন করুন, যতই ২০০ আসনের কথা বলুন, বাস্তবের মাটি বড়ই রুক্ষ। সেটা তাঁরাও জানেন।
বিশদ

06th  February, 2021
পদ্মশ্রী ও দলবদল, দুটি
ভিন্ন দুনিয়ার কথা
সমৃদ্ধ দত্ত

দলবদল করা রাজনীতিকরা কাজকে নয়, প্ল্যাটফর্ম তথা দলকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। কারণ একটাই, তাঁদের একক শক্তিই নেই। তাঁরা জানেন, একা আমার কোনও মূল্য নেই। ক্ষমতাও নেই। মানুষ পাশে থাকবে কি না সেই আত্মবিশ্বাসই নেই। তা‌ই তাঁদের দল অথবা গোষ্ঠীর দরকার হয় ভেসে থাকার জন্য। বিশদ

05th  February, 2021
বিজেপির ‘ডবল ইঞ্জিনে’র প্রচার যে ফাঁদ, 
তা হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছেন ত্রিপুরাবাসী

‘চলো পাল্টাই’ স্লোগান তুলে ত্রিপুরায় বাম শাসনের শিকড় উপড়ে দিয়েছিল বিজেপি। বিজেপি শাসনে কেমন আছে ত্রিপুরা? বিজেপির ‘ডবল ইঞ্জিনে’র প্রচার যে একটা ফাঁদ, তা ত্রিপুরার মানুষকে বামেরা বোঝাতে পারেনি। সেই ফাঁদে পা দিয়ে ত্রিপুরাবাসী এখন কপাল চাপড়াচ্ছেন। ‘বর্তমান’ এর সাংবাদিক তন্ময় মল্লিকের কাছে অকপটে সে কথা জানিয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
বিশদ

04th  February, 2021
আমি ক্যাসাবিয়াঙ্কা কিংবা নবকুমার
মদন মিত্র

সেদিনও দেখেছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আমি ভয় করব না,  ভয় করব না’ রূপ। মৃত্যুভয়ে, নিজে বাঁচার জন্যে সবাইকে ছেড়ে পালাবার চেষ্টা তিনি করেননি। ভেসে ওঠার 
চেষ্টা করছেন। আর ভেসে উঠেছিলেন বলেই, বাংলার মানুষ বলল, তুমি মহাসমুদ্রে ভেসে উঠবে। এই জনসমুদ্রে তাই বারবার ভেসে উঠছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 
  বিশদ

04th  February, 2021
এবার ভোটের লড়াই
উন্নয়ন বনাম কুৎসার
সন্দীপন বিশ্বাস

মমতা ভোটের আগে পুরোপুরি অ্যাটাকিংয়ে। একের পর এক এক উন্নয়ন প্রকল্প দিয়ে ভেঙে ফেলছেন গেরুয়া বাহিনীর ডিফেন্স। বিজেপির আক্রমণের মুখে তাঁর অস্ত্র উন্নয়ন ও শান্তি। সেই উন্নয়ন সেই সব সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে, যাঁরা বিজেপির কাছে উপেক্ষিত। বিশদ

03rd  February, 2021
একনজরে
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। বারাসত শহরে তৈরি হল অত্যাধুনিক মানের ইন্ডোর স্টেডিয়াম। ৬৫ লক্ষ টাকায় শহরের কে এন সি রোডে এই স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়েছে। এখানে ...

চা ও কৃষি বলয়ের উন্নয়নই এবার জলপাইগুড়ি জেলার বিধানসভা নির্বাচনে শাসক দলের মূল ইস্যু। জেলায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ চালু, মেডিক্যাল কলেজ ...

দ্বিতীয় সারির দল বার্নসলেকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে এফএ কাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছল চেলসি। বৃহস্পতিবার অ্যাওয়ে ম্যাচে একমাত্র গোলটি টমি আব্রাহামের। উল্লেখ্য, কোচ টমাস টুচেলের অধীনে টানা চতুর্থ ম্যাচে জয় পেল চেলসি।   ...

বুধবার রাতে পুরাতন মালদহ ব্লক অফিসে ইঞ্জিনিয়ারকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তরা এখনও অধরা। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর দু’দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিস অভিযুক্তদের নাগাল পায়নি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যার বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব রেডিও দিবস
১৬০১ - ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সমুদ্র পথে ভারত আগমন
১৮৩২ - লন্ডনে প্রথম কলেরার প্রাদুর্ভাব
১৮৭৯: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও কবি সরোজিনী নাইডুর জন্ম
১৮৮২ - কলকাতায় প্রথম পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত।
১৯৩১ - ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে নয়াদিল্লিতে স্থানান্তর হয়
১৯৪৫: অভিনেতা বিনোদ মেহরার জন্ম
১৯৬০: ফ্রান্সের সফল পরমাণু পরীক্ষা
১৯৮৫: টেনিস খেলোয়াড় সোমদেব দেববর্মনের জন্ম 
২০১৫ - কেশব রেড্ডি, ভারতীয় চিকিৎসক ও লেখক



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭১.১৫ টাকা ৭৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ৯৮.০৩ টাকা ১০২.৭৭ টাকা
ইউরো ৮৬.১৬ টাকা ৯০.৩৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৮,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৮,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ ফাল্গুন ১৪২৭, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১। দ্বিতীয়া ৪৩/৪৮ রাত্রি ১২/৫৩। শতভিষা নক্ষত্র ২২/২৪ দিবা ৩/১১। সূর্যোদয় ৬/১৩/৪৫, সূর্যাস্ত ৫/২৮/১১। অমৃতযোগ দিবা ৯/৫৮ গতে ১২/৫৮ মধ্যে রাত্রি ৮/০ গতে ১০/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১২/১৬ গতে ১/৫৮ মধ্যে পুনঃ ২/৫০ গতে ৪/৩২ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৮ মধ্যে  পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৮ গতে উদয়াবধি।  
৩০ মাঘ ১৪২৭, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১। দ্বিতীয়া রাত্রি ১২/৪১। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ৩/১৭। সূর্যোদয় ৬/১৬, সূর্যাস্ত ৫/২৭। অমৃতযোগ দিবা ৯/৫২ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৪ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/১২ গতে ১/৫২ মধ্যে ও ২/৪১ গতে ৪/২১ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪০ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪০ মধ্যে ও ৪/৩ গতে ৫/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩ মধ্যে ও ৪/৪০ গতে ৬/১৬ মধ্যে । 
৩০ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রাজ্যে আগামী ২১ শে মোদি ও ১৮ ফেব্রুয়ারি অমিত শাহ
আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি ফের রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন ...বিশদ

09:26:38 PM

মাস্ক ছাড়াই গ্যালারিতে বহু দর্শক, করোনাবিধি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
ভারত-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্টে দর্শকদের মাঠে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কোভিডবিধি ...বিশদ

04:36:39 PM

মালদহে কালভার্টের কাছে যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার
মালদহের বলদা হুড়া এলাকার একটি নির্মীয়মাণ কালভার্টের কাছে মিলল এক ...বিশদ

04:22:23 PM

মুম্বইয়ের খার এলাকায় ৩৩ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ মাদক সহ গ্রেপ্তার ২ পাচারকারী 

04:18:00 PM

দ্বিতীয়বার বিয়ে  করছেন দিয়া মির্জা!
সামনেই ভ্যালেন্টাইনস ডে। ভালোবাসার মরশুম চলছে। এর মধ্যেই এল সুখবর। ...বিশদ

04:09:41 PM

দীঘায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১
দীঘা থেকে বাড়ি ফেরার পথে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ...বিশদ

04:00:30 PM