Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রাজ্য বাজেট: আন্তরিক
উন্নয়নই পাখির চোখ
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

সামান্য কয়েক মাসের একটি ভোট অন অ্যাকাউন্ট নিয়ে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চর্চা। প্রশ্ন উঠল রাজ্যের বাজেটে এত যে প্রস্তাব দেওয়া হল তার টাকা আসবে কোথা থেকে? এই বাজেটের অর্থনৈতিক ভিত্তি কী? উন্নয়নের কোনও দিশা সত্যিই কি দেখাতে পারল? বাস্তবে কতটা ফল দিতে পারে? সংশয় এসব নিয়েই। মোদ্দা জিজ্ঞাসা, বাজেট উন্নয়নমুখী না ভোটমুখী ভাওতা? দেখা যাক কোনটা সত্যি। 
প্রথম কথা, খরচ করবার আগে দেখা দরকার টাকাটা আসবে কোথা থেকে? আর যদি দেখা যায় যথেষ্ট টাকা আছে তখন দেখা হবে খরচটা কীসের জন্য করা হচ্ছে এবং সেটা কতটা প্রয়োজনীয় ছিল মানুষের স্বার্থে? এই দু’টি প্রশ্নের উত্তর এই বাজেট সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে দিয়েছে। বাজেটের তথ্য-সংখ্যা বিশ্লেষণ করলে প্রথমেই দেখা যাবে, যে-পরিমাণ খরচের কথা বলা হয়েছে তার সংস্থান রাজ্যের আয় থেকেই হচ্ছে। ঘাটতি আছে সামান্যই। প্রায় ২ লক্ষ ৫৫ হাজার কোটি টাকার বাজেটটি দাঁড়িয়ে আছে নিজস্ব আয় সংস্থানের উপর। অভূতপূর্ব বিষয় এটাই। কেন্দ্রের অনুদান বা কেন্দ্রের প্রকল্প সামনে রেখে রাজ্যে উন্নয়নের মানচিত্র তৈরি করা হয়নি। কারণ, এখানে কাজ করেছে একটা বিকল্প ভাবনা। ভাবনাটা এই যে, প্রচলিত পথে যেখানে শিল্পের লগ্নি খুব বেশি নেই, এবং চাইলেই কাল সেই লগ্নির জোয়ার বাংলায় আসবে না, তাহলে বাংলার উন্নয়ন হবে কী দিয়ে? আবগারি শুল্ক, স্ট্যাম্প ডিউটি থেকে? না। জিএসটি বাবদ রাজ্য বিপুল টাকা পায়। আছে কয়লার রয়্যালটি এবং পেট্রল-ডিজেলে করের ভাগ। এরকম নানা সূত্রে যে অর্থাগম হচ্ছে সেটা প্রতি মাসেই বাড়ছে। সেই অতিরিক্ত অর্থ পরিকল্পনা করে ব্যবহারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যাতে বাংলার মানুষের হাতে নানাভাবে অর্থের জোগান বাড়ে। নানারকম প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে টাকাটা মানুষের হাতে পৌঁছলে প্রকৃতই মানুষ উপকৃত হয়, বাড়ে রাজ্যের অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদা। 
এই বর্ধিত চাহিদা আরও বেশি খরচের মধ্যে দিয়ে রাজ্যের কোষাগারে জিএসটি বাবদ আয় বাড়িয়ে দেবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এত সবুজশ্রী কন্যাশ্রী রূপশ্রী ইত্যাদি নানা সব জনমুখী প্রকল্প করে টাকা জনগণের হাতে তুলে দিচ্ছে। তাতেই একই সঙ্গে বাড়ছে রাজ্যের আয় এবং কর্ম সংস্থান। খেয়াল করুন, এরাজ্যে শিল্পবৃদ্ধি একটি মাত্রায় আটকে থাকলেও কিন্তু বাণিজ্যের বৃদ্ধি ঘটছে। প্রথাগত ক্ষেত্রে চাকরি সৃষ্টি নাহলেও রাজ্যের অসংগঠিত ক্ষেত্রের বৃদ্ধি সারা দেশে সব চাইতে বেশি। গ্রামীণ আয় বাড়াতে রাজ্যের কৃষি খুব ভালো সাপোর্ট দিচ্ছে। সামগ্রিকভাবে রাজ্য তাই নিজের অর্থ সংস্থানের বিকল্প উৎস তার নিজের নীতির আর প্রয়োগের মধ্যেই পেয়ে গেছে। শিল্প ছাড়াও একটি রাজ্যের অর্থনীতি কতটা তেজিভাবে এগতে পারে সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বিকল্প ভাবনার প্রয়াসের সাফল্য দেখিয়ে দিয়েছে। কেন্দ্রের সমীক্ষা সেই কথাই বলছে। সারা দেশে ১০০ দিনের কাজে রাজ্য প্রথম। এর মানে, ১০০ দিনের মজুরির টাকাটা নিয়মিত স্থানীয় বাজারে বিভিন্ন দোকানে ভাগে ভাগে খরচ হচ্ছে। তাতে এলাকায় বেচাকেনা বাড়ছে। আয় বাড়ছে অন্য শ্রেণির মানুষের। সেই দোকানদারের আয় অন্যত্র খরচ হচ্ছে, যা রাজ্যের শহরকেন্দ্রিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে শক্ত ভিত তৈরি করে দিচ্ছে। তার উপর দাঁড়িয়ে খুচরো বাজার, নির্মাণশিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রাস্তাঘাট ও বিবিধ পরিকাঠামোর মধ্যে দিয়ে রাজ্য সরকারের দেওয়া নানা খাতের টাকা হাতে হাতে ঘুরছে। ফলে নতুন চাহিদার সৃষ্টি হচ্ছে। এই চাহিদা বৃদ্ধি করতে পারাটাই রাজ্যের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির আসল কৌশল। 
তাতে একই সঙ্গে রাষ্ট্রের আয় বাড়ে, জনগণের আয় বাড়ে, বেকারের কর্মসংস্থান ঘটে। ঠিক এভাবেই মমতার সরকার বিগত বাজেটগুলি করে আসছে। এতে একটা ধারাবাহিক উন্নয়নের ট্রেন্ড তৈরি হয়েছে। এই সত্যটা কেন্দ্রের পরিসংখ্যান মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত তথ্যেই পরিষ্কার। তিনটি ক্ষেত্রে মমতার সরকার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে: (১) সংগঠিত শিল্প ছাড়াও উন্নয়নের হার বৃদ্ধি। (২) উন্নয়ন অব্যাহত রেখে বিপুল ঋণের বোঝা কমানো। (৩) বিকল্প পথে আয় সৃষ্টি করার ক্ষমতা। এভাবেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার দেশের জাতীয় বৃদ্ধির চাইতেও বেশি বৃদ্ধি নিজের রাজ্যে বজায় রেখেছে। এটাও কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য। অন্যদিকে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য হল, বাম আমলে যে পরিমাণ ঋণের বোঝা ছিল তৃণমূল সরকার তা শোধ করার ক্ষেত্রে অনেক বেশি দক্ষতা দেখাতে পেরেছে। 
কিন্তু যেটা পারেনি সেটা হল, সংগঠিত ক্ষেত্রে শিল্প উন্নয়ন। ফলে মধ্যবিত্ত শ্রেণি যে ধরনের চাকরি চায় সেটা সৃষ্টি করতে পারেনি। এই বাজেটে সেই দিকেও নজর দেওয়া হল। সামগ্রিক উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান ধরে রাখার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ কিন্তু দেশের প্রথম সারির রাজ্যগুলির মধ্যে একটি। এই তথ্য আবারও বলছি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দেওয়া নয়, এটিও মোদি সরকারের দেওয়া।
তাই রাজনৈতিক বিরোধিতা করার জন্য এই রাজ্যের অর্থনীতি নিয়ে যেভাবে গেল গেল রব তোলা হয় সেটা আদৌ ঠিক নয়। আসলে, দশ বছরে পায়ের তলার মাটি এতটা শক্ত হয়েছে বলেই একটার পর একটা জনমুখী প্রকল্প মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দেওয়ার মতো সাহস দেখাতে পেরেছে। তবে এই বাজেটে সঙ্গতভাবে কয়েকটা প্রশ্ন উঠতে পারে। মাত্র ৫০ কোটি টাকা দিয়ে বা ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে যে সমস্ত কথা বলা হচ্ছে তা কি আদৌ করা সম্ভব? এখানে প্রতিশ্রুতি বিলানো হচ্ছে যা আদৌ কোনওদিন বাস্তব রূপ পাবে না! বিরোধীদের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এটাও বাজেটের স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, এই ঘোষণাগুলি একবছরের জন্য নয়। এটা আগামী পাঁচ বছরের জন্য একটা ভাবনা। এই পাঁচবছরে রাজ্যের আয়ের সংস্থান আরও বাড়বে। বর্তমান হার বজায় থাকলে কমপক্ষে দুই থেকে তিনগুণ হবে। অর্থনীতিতে মানি মাল্টিপ্লায়ার থিওরি বলে একটি কথা আছে। রাষ্ট্রীয় খরচের মধ্যে দিয়ে ওই তত্ত্বে কতটা আয় এবং চাহিদা বাড়ানো যায় সেই ভাবনাটা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার চলছে। বাজেটের মধ্যেই তার অন্তর্নিহিত শক্তি লুকিয়ে আছে ওই তাত্ত্বিক ভিত্তিতে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থনৈতিক দর্শন তাই যে বাজেট প্রস্তুত করে তার বিশ্লেষণ করতে হবে ওই আলোয়। যেমন, অশোকনগরে তেল কতটা পাওয়া যাবে তার চাইতেও বেশি সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে পরোক্ষে। তেল খুঁড়তে গেলে যত টাকা লগ্নি হবে, তার পরোক্ষ প্রতিক্রিয়ার ফলে এলাকায় অনেক দোকান হবে। মজুরি বাড়বে। ঘরবাড়ির ভাড়া বাড়বে। রোজগার বাড়বে এলাকার মানুষের। কাজের অনেক সুযোগ হবে। এটাকেই এই সরকার বলে কর্মসংস্থান, এবং এটা ঘটনা যে এরাজ্যে সরকারি হিসেবে (প্রথাগত সংগঠিত ক্ষেত্রের হিসেবে) চাকরি নেই, কিন্তু কাজ করার লোকগুলো বসেও নেই। এলাকায় কাউকে কর্মহীন দেখা যাবে এমন মানুষের সংখ্যা কমে আসে প্রতি বছর। এটাও ঠিক যে কৃষিক্ষেত্রে কাজ নেই, এলাকায় কাজ নেই, তাই দলে দলে বেকার যুবক ভিন রাজ্যে যাচ্ছে। আজ তারাই পরিযায়ী। এই সমস্যা মেটাতে এই সরকার এবার গ্রামোন্নয়ন এবং সড়ক নির্মাণে জোর দিয়েছে। পরিকাঠামো খরচ বাড়িয়ে কর্মসংস্থানের রাস্তা খোলার প্রস্তাব দিয়েছে, যাতে এলাকাতেই অনেক শ্রমনিবিড় কাজ সৃষ্টি হয়। 
শেষ করারার আগে একটা কথা বলতেই হবে, দেশটা মানুষের। তাদের কথা ভেবে, তাদের ব্যথা দূর করার কথা ভেবে একটা সরকারকে দেশ চালাতে হয়। এই বাজেটে ঘোষিত উপর্যুপরি প্রকল্পগুলি তার প্রমাণ রেখেছে। গণতন্ত্রকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার একটা আপ্রাণ চেষ্টা আছে। আর আছে আগামী প্রজন্মকে তৈরি করার জন্য জোরের জায়গা হিসেবে শিক্ষাকে বেছে নেওয়া। তাই বিকল্প অর্থনৈতিক ভাবনা শুধু নয়, দলীয় তন্ত্র ছেড়ে দায়বদ্ধ গণতন্ত্র অনুশীলন এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতির আবহে রাজ্যের অর্থনীতিকে সাজানোর চেষ্টা আছে, যেটা খুব প্রয়োজন। এই বাজেট তাই শুধুই একটা ভোট অন অ্যাকাউন্ট নয়। আগামিদিনে বাংলার ঘুরে দাঁড়ানোর পথ এবং অনৈক্য কমিয়ে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের উন্নয়নের জন্য ভাবনা এতে রয়েছে। নতুন দিশায় সাজানো এই বাজেটের অনেক কথার মধ্যে একটা কথা বলার আছে, করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় করতে জনস্বাস্থ্য এই বাজেটে উপেক্ষিত। সেটা ভাবা দরকার ছিল।
 লেখক অর্থনীতির বিশ্লেষক। মতামত ব্যক্তিগত 
06th  February, 2021
বিপ্লবের ত্রিপুরা,
মমতার বাংলা
মৃণালকান্তি দাস

সজাগ থাকুন, ত্রিপুরার মতো বঙ্গভোটেও চাকরির ‘টোপ’ আসবে। আসবে ‘সোনার বাংলা’ গড়ার প্রতিশ্রুতিও। আপনিই ঠিক করুন, বিপ্লব দেবের মতো কোনও ‘অযোগ্য’ বিজেপি নেতার হাতে নিজের জীবন সঁপে দেবেন কি না! বিশদ

12th  February, 2021
বিজেপির মুখে গণতন্ত্র আসলে
ভূতের মুখে রাম নাম

বিজেপি নেতারা প্রায়ই অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই। মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা নেই। মানুষের সামনে তুলে ধরেন জোর করে তৃণমূলের পঞ্চায়েত দখলের কথা। ক্ষমতা দখলের পর বিজেপি ত্রিপুরার পঞ্চায়েতের প্রায় ৯৫ শতাংশ আসনে কাউকে দাঁড়াতেই দেয়নি। বিজেপির বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতার রেকর্ড জ্বলজ্বল করছে। তাই অনেকের মতে, বিজেপির মুখে গণতন্ত্র আসলে ভূতের মুখে রাম নাম। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় গণতন্ত্রের হাঁসফাঁস অবস্থা। ‘বর্তমান’-এর সাংবাদিক তন্ময় মল্লিককে সেকথা শুনিয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। বিশদ

11th  February, 2021
নারীর ক্ষমতায়নই মমতার সবচেয়ে বড় সাফল্য
হারাধন চৌধুরী

মোদির পার্টি দুর্গা বাহিনী তৈরি করেছে। কিন্তু সেই নকল দশভুজাদের দশ হাতই শূন্য। মমতার রক্ত-মাংসের দ্বিভুজা কন্যাশ্রীদের এক হাতে শিক্ষা আর অন্য হাতে সুস্বাস্থ্য। একটা মানবজীবন সুন্দরভাবে পেরতে আর কোন অস্ত্রের প্রয়োজন?
বিশদ

10th  February, 2021
দেশ না বেচে কি উন্নয়ন হয় না?
শান্তনু দত্তগুপ্ত​​​​​​​


 

নরেন্দ্র মোদি হলদিয়ায় এসে দাবি করছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর জমানায় কোনও উন্নয়নই করেননি! তাঁর তাঁবেদাররাও এই প্রচারে তালি বাজাচ্ছে। কিন্তু মানুষ কী ভাবছে? তাঁর ঘরে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী আছে, সবুজ সাথীর সাইকেল আছে, আছে কর্মসংস্থানের দিশা। যা ফাঁপা নয়। বিশদ

09th  February, 2021
হৃদয়শূন্য একটা হিসেবি মাথার বাজেট
পি চিদম্বরম

গরিব মানুষ, পরিযায়ী শ্রমিক, দিনমজুর, ছোট চাষি, এমএসএমই-র মালিক, বেকার ব্যক্তি (তাঁর পরিবার) এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণি নিজেদের প্রতারিত ভেবেছেন। যেহেতু খবরের কাগজে তাঁদের এবং তাঁদের হয়ে কথা বলার লোকদের জায়গা হবে না, তাই যাবতীয় ক্ষোভ-হতাশার কথা তাঁরা উগরে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিশদ

08th  February, 2021
সোনার বাংলা গড়বে এরা!
হিমাংশু সিংহ

যাঁরা মিথ্যে স্বপ্ন ফেরি করে পশ্চিমবঙ্গকে নিজেদের স্বার্থে নরকের পথে ঠেলে দেওয়ার বন্দোবস্ত পাকা করতে মরিয়া, বাংলার মানুষ তাঁদের কাছে হিসেব তো নিয়েই ছাড়বে। মানুষ মনে রাখবে, অত্যন্ত সীমিত আর্থিক ক্ষমতার মধ্যেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে জনমুখী, জনদরদি বাজেট উপহার দিলেন তার কথা। বিশদ

07th  February, 2021
নেতা ধরতে গিয়ে জনতা
‘বিসর্জন’ বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

কথায় আছে, যত গর্জে তত বর্ষে না। বিজেপির অবস্থা এখন অনেকটা তেমনই। বিজেপির নেতারা বঙ্গ জয় নিয়ে যতই তর্জন গর্জন করুন, যতই ২০০ আসনের কথা বলুন, বাস্তবের মাটি বড়ই রুক্ষ। সেটা তাঁরাও জানেন।
বিশদ

06th  February, 2021
পদ্মশ্রী ও দলবদল, দুটি
ভিন্ন দুনিয়ার কথা
সমৃদ্ধ দত্ত

দলবদল করা রাজনীতিকরা কাজকে নয়, প্ল্যাটফর্ম তথা দলকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। কারণ একটাই, তাঁদের একক শক্তিই নেই। তাঁরা জানেন, একা আমার কোনও মূল্য নেই। ক্ষমতাও নেই। মানুষ পাশে থাকবে কি না সেই আত্মবিশ্বাসই নেই। তা‌ই তাঁদের দল অথবা গোষ্ঠীর দরকার হয় ভেসে থাকার জন্য। বিশদ

05th  February, 2021
বিজেপির ‘ডবল ইঞ্জিনে’র প্রচার যে ফাঁদ, 
তা হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছেন ত্রিপুরাবাসী

‘চলো পাল্টাই’ স্লোগান তুলে ত্রিপুরায় বাম শাসনের শিকড় উপড়ে দিয়েছিল বিজেপি। বিজেপি শাসনে কেমন আছে ত্রিপুরা? বিজেপির ‘ডবল ইঞ্জিনে’র প্রচার যে একটা ফাঁদ, তা ত্রিপুরার মানুষকে বামেরা বোঝাতে পারেনি। সেই ফাঁদে পা দিয়ে ত্রিপুরাবাসী এখন কপাল চাপড়াচ্ছেন। ‘বর্তমান’ এর সাংবাদিক তন্ময় মল্লিকের কাছে অকপটে সে কথা জানিয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
বিশদ

04th  February, 2021
আমি ক্যাসাবিয়াঙ্কা কিংবা নবকুমার
মদন মিত্র

সেদিনও দেখেছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আমি ভয় করব না,  ভয় করব না’ রূপ। মৃত্যুভয়ে, নিজে বাঁচার জন্যে সবাইকে ছেড়ে পালাবার চেষ্টা তিনি করেননি। ভেসে ওঠার 
চেষ্টা করছেন। আর ভেসে উঠেছিলেন বলেই, বাংলার মানুষ বলল, তুমি মহাসমুদ্রে ভেসে উঠবে। এই জনসমুদ্রে তাই বারবার ভেসে উঠছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 
  বিশদ

04th  February, 2021
এবার ভোটের লড়াই
উন্নয়ন বনাম কুৎসার
সন্দীপন বিশ্বাস

মমতা ভোটের আগে পুরোপুরি অ্যাটাকিংয়ে। একের পর এক এক উন্নয়ন প্রকল্প দিয়ে ভেঙে ফেলছেন গেরুয়া বাহিনীর ডিফেন্স। বিজেপির আক্রমণের মুখে তাঁর অস্ত্র উন্নয়ন ও শান্তি। সেই উন্নয়ন সেই সব সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে, যাঁরা বিজেপির কাছে উপেক্ষিত। বিশদ

03rd  February, 2021
একনজরে
বুধবার রাতে পুরাতন মালদহ ব্লক অফিসে ইঞ্জিনিয়ারকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তরা এখনও অধরা। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর দু’দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিস অভিযুক্তদের নাগাল পায়নি। ...

মঙ্গলকোটে অনুব্রত মণ্ডলের মহিলা সমাবেশে জনস্রোত বয়ে গেল। শুক্রবার বিকেলে ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত থেকে কাতারে কাতারে মহিলা মাথরুনের স্কুলমাঠে ভিড় করেন। ...

দ্বিতীয় সারির দল বার্নসলেকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে এফএ কাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছল চেলসি। বৃহস্পতিবার অ্যাওয়ে ম্যাচে একমাত্র গোলটি টমি আব্রাহামের। উল্লেখ্য, কোচ টমাস টুচেলের অধীনে টানা চতুর্থ ম্যাচে জয় পেল চেলসি।   ...

পিম্প্রি-চিঞ্চওয়াড় পুর এলাকায় সংক্রমণের গ্রাফ এখন নিম্নমুখী। কমছে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যাও। আর এর জেরেই কাজ হারাতে চলেছেন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে সেখানকার প্রায় ৫০০ জন কোভিড যোদ্ধা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যার বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব রেডিও দিবস
১৬০১ - ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সমুদ্র পথে ভারত আগমন
১৮৩২ - লন্ডনে প্রথম কলেরার প্রাদুর্ভাব
১৮৭৯: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও কবি সরোজিনী নাইডুর জন্ম
১৮৮২ - কলকাতায় প্রথম পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত।
১৯৩১ - ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে নয়াদিল্লিতে স্থানান্তর হয়
১৯৪৫: অভিনেতা বিনোদ মেহরার জন্ম
১৯৬০: ফ্রান্সের সফল পরমাণু পরীক্ষা
১৯৮৫: টেনিস খেলোয়াড় সোমদেব দেববর্মনের জন্ম 
২০১৫ - কেশব রেড্ডি, ভারতীয় চিকিৎসক ও লেখক



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭১.১৫ টাকা ৭৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ৯৮.০৩ টাকা ১০২.৭৭ টাকা
ইউরো ৮৬.১৬ টাকা ৯০.৩৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৮,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৮,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ ফাল্গুন ১৪২৭, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১। দ্বিতীয়া ৪৩/৪৮ রাত্রি ১২/৫৩। শতভিষা নক্ষত্র ২২/২৪ দিবা ৩/১১। সূর্যোদয় ৬/১৩/৪৫, সূর্যাস্ত ৫/২৮/১১। অমৃতযোগ দিবা ৯/৫৮ গতে ১২/৫৮ মধ্যে রাত্রি ৮/০ গতে ১০/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১২/১৬ গতে ১/৫৮ মধ্যে পুনঃ ২/৫০ গতে ৪/৩২ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৮ মধ্যে  পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৮ গতে উদয়াবধি।  
৩০ মাঘ ১৪২৭, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১। দ্বিতীয়া রাত্রি ১২/৪১। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ৩/১৭। সূর্যোদয় ৬/১৬, সূর্যাস্ত ৫/২৭। অমৃতযোগ দিবা ৯/৫২ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৪ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/১২ গতে ১/৫২ মধ্যে ও ২/৪১ গতে ৪/২১ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪০ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪০ মধ্যে ও ৪/৩ গতে ৫/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩ মধ্যে ও ৪/৪০ গতে ৬/১৬ মধ্যে । 
৩০ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রাজ্যে আগামী ২১ শে মোদি ও ১৮ ফেব্রুয়ারি অমিত শাহ
আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি ফের রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন ...বিশদ

09:26:38 PM

মাস্ক ছাড়াই গ্যালারিতে বহু দর্শক, করোনাবিধি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
ভারত-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্টে দর্শকদের মাঠে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কোভিডবিধি ...বিশদ

04:36:39 PM

মালদহে কালভার্টের কাছে যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার
মালদহের বলদা হুড়া এলাকার একটি নির্মীয়মাণ কালভার্টের কাছে মিলল এক ...বিশদ

04:22:23 PM

মুম্বইয়ের খার এলাকায় ৩৩ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ মাদক সহ গ্রেপ্তার ২ পাচারকারী 

04:18:00 PM

দ্বিতীয়বার বিয়ে  করছেন দিয়া মির্জা!
সামনেই ভ্যালেন্টাইনস ডে। ভালোবাসার মরশুম চলছে। এর মধ্যেই এল সুখবর। ...বিশদ

04:09:41 PM

দীঘায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১
দীঘা থেকে বাড়ি ফেরার পথে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ...বিশদ

04:00:30 PM