বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যার বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
গত বছর সরকারি উদ্যোগে আলু কেনার যে ব্যবস্থা করা হয়েছিল এবারও সেটাই করা হতে পারে। গত বছর আলু কেনার জন্য সরকারকে নিজের তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ করতে হয়নি। সরকার উদ্যোগ নিয়ে হিমঘর মালিকদের সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। ওই ঋণের টাকায় হিমঘর মালিকরা চাষিদের কাছ থেকে বাজার দরে আলু কিনে সংরক্ষণ করেন। ব্যাঙ্কের সুদ, হিমঘরের ভাড়া ও অন্যান্য খরচ এবং ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়ে নির্ধারিত দামে হিমঘর মালিকদের কাছ থেকে আলুর ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করে সরকার। যে তারিখে আলু কেনা হয়েছিল তখন বাজার দর কত ছিল সেটাও দাম নির্ধারণের সময় বিবেচনা করা হয়। মোটামুটি ১২-১৩ টাকা কেজি দরে চাষিদের কাছ থেকে আলু কেনা হয়েছিল। পুজোর সময় ২০ টাকা কেজি দরের আশপাশে হিমঘর মালিকদের কাছ থেকে আলু কিনে নেয় সরকার। ওই আলু সুফল বাংলার স্টল ছাড়াও বেশ কিছু বাজারে বিক্রির জন্য ২২ টাকা কেজি দরে সরবরাহ করা হয়েছিল। ক্রেতারা তা কেনেন ২৫ টাকা দরে। প্রসঙ্গত, গত বছর প্রথম থেকেই আলুর দাম চড়া ছিল। পুজোর পর তা আরও বাড়তে শুরু করে ৪০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।
গত বছর সরকারি উদ্যোগে আলু কেনার নির্দেশিকা জারি হয়েছিল মার্চ মাসে। গতবার এমনিতেই উৎপাদন অনেক কম হয়েছিল। তার উপর দেরিতে উদ্যোগী হওয়ায় বেশি আলু কেনা সম্ভব হয়নি। মার্চের শেষদিকে লকডাউন হয়ে যাওয়ায় কেনা বন্ধ হয়ে যায়। সব মিলিয়ে সরকারি উদ্যোগে প্রায় ৪২ হাজার টন আলু কেনা হয়। এবার আগেভাগে বিজ্ঞপ্তি জারি করে গতবারের তুলনায় অনেক বেশি আলু কিনে চাষিদের সুবিধা দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করলেই আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হয়ে যাবে। তার আগে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গেলে সরকারি উদ্যোগে আলু কেনার ক্ষেত্রে কোনও বাধা থাকবে না বলে সরকারি আধিকারিকরা মনে করছেন।