Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নারীর ক্ষমতায়নই মমতার সবচেয়ে বড় সাফল্য
হারাধন চৌধুরী

পঞ্চাশোর্ধ্ব সুনীতিবালা দাস নিজের নামটা বারবার পড়ছিলেন। স্বাস্থ্যসাথীর ফ্যামিলি কার্ডটা হাতে পেয়ে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। কার্ডে শুধু তাঁর নাম লেখা, পাশে তাঁর ছবি। নীচে তাঁর লিঙ্গপরিচয়, জন্মসাল এবং কার্ড ইস্যুর তারিখ। রেশন কার্ড থেকে আধার, ভোটার কার্ড, ছেলের বার্থ সার্টিফিকেট সবেতেই তিনি পিতা/স্বামীর পরিচয়ে পরিচিত। স্বামী প্রাইমারি স্কুলশিক্ষক। পাড়ায় তাঁর পরিচয় ‘মাস্টারের বউ’। কেউ কেউ তাঁকে এখন ‘সুমনের মা’ বলেও অবশ্য ডাকে। এর বাইরে তাঁর পরিচয় কিছু হতে পারে বলে তিনি কখনও ভাবেননি। সেই চাহিদাও তাঁর ভিতরে তৈরি হয়নি আজ অবধি। কিন্তু এবার যেন মেঘ না চাইতেই জল! তাঁর নামে ইস্যু করা একটা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের অধীনে চলে এলেন স্বামী, ছেলে, বৃদ্ধ শ্বশুর, কলেজ পড়ুয়া এক দেওর—পরিবারের সবাই। এতকাল সুনীতিবালা যাঁদের পরিচয়ে পরিচিত হয়েছেন তাঁরাই চলে এলেন তাঁর পরিচয়ের ফোল্ডারে। সুনীতিবালার মনে হচ্ছে পাশার দানটা একেবারে উল্টে গেল। 
একজীবনে এও হয়! বাংলার সব পরিবারের সবার জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যের রাজ্য সরকারি স্বাস্থ্য প্রকল্পের নাম স্বাস্থ্যসাথী। পরিবারের যে-কোনও সদস্যের হাসপাতালে ভর্তি হয়ে গুরুতর চিকিৎসা/অপারেশনের জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেওয়া হয়েছে। সারা রাজ্যে নথিভুক্ত সরকারি/বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বছরে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ‘ক্যাশলেস’ চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’হাজারের বেশি প্যাকেজভুক্ত রোগের চিকিৎসায় এই কার্ড গ্রাহ্য। চিকিৎসা সবার অধিকার। এসব এতদিন বড় বড় কেতাবি বুলির মতোই গুরুত্বহীন ছিল। পাশাপাশি চিকিৎসা ছিল একটা আতঙ্কের নাম। মমতা সেই আতঙ্ক থেকে সবাইকে মুক্তি দেওয়ার প্রতিজ্ঞা নিয়েছেন। 
লোকে জানত, চিকিৎসা গরিবের জন্য নয়। তাদের দৌড় বড় জোর সরকারি হাসপাতাল। সেখানে সারাদিন হত্যে দিয়ে আউটডোরে ডাক্তার দেখানোটা হয়তো হয়ে যায়, কিন্তু ভর্তি হয়ে অপারেশন বা গুরুতর অসুখের চিকিৎসা পাওয়া? ডেট পেতে পেতে রোগীই দুনিয়া থেকে সরে যায়, রোগ আর সারে না। এই যেখানে পরিস্থিতি ছিল, সেখানে বেসরকারি চিকিৎসা ক্ষেত্রের দরজাও মমতা খুলে দিলেন গরিবদের জন্য। বড়লোক আর মধ্যবিত্ত শ্রেণির একটা অংশই শুধু বেসরকারি হাসপাতাল/ নার্সিংহোমের দামি চিকিৎসা নিতে অভ্যস্ত। তাঁদের বেশিরভাগের ব্যক্তিগত বা কর্পোরেট স্বাস্থ্য বিমা করা থাকে। তার জন্য মোটা অঙ্কের প্রিমিয়াম গুনতে হয়। তারপরেও থাকে ‘ক্ষুদ্র অক্ষর’-এর একগুচ্ছ শর্ত। তাতে অনেক চিকিৎসার ন্যায্য দাবিই নস্যাৎ হয়ে যায় কার্যকালে। প্রিমিয়ামের হার নানা অজুহাতে ক্রমবর্ধমান, করোনার ধাক্কায় তা আরও বেড়েছে। তাই ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য বিমা মধ্যবিত্তেরও নাগালের বাইরে। 
মমতা নিশ্চয় এটা নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। স্বাস্থ্যসাথী তাঁর সেই মানবিক মুখেরই ছবি। এই স্কিমের বিশেষত্ব: পুরনো রোগেরও চিকিৎসা মিলবে এবং গরিব রোগীরা হাসপাতালে যাতায়াতের কিছু খরচা পাবেন। কোনও উন্নাসিক বেসরকারি হাসপাতাল/নার্সিংহোম পরিষেবা দিতে অস্বীকার করলে তার লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে সাফ জানিয়ে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। 
সুনীতিবালার বাড়িতে কাজ করেন রূপালি ভুঁইয়া। স্বামীপরিত্যক্তা মহিলা। বছর তিরিশের রূপালির একটি ছেলেও আছে। রূপালি আতঙ্কে থাকে, তার যাবতীয় আশা-ভরসা ছেলেটার যদি বড় কোনও রোগ হয়! রূপালির সেই আতঙ্ক দূর হয়ে গিয়েছে সুনীতিবালার সুপরামর্শে। রূপালির হাতেও এখন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। বহুদিন বাদে দীপকের ফোন পেয়েছে রূপালি। নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছিল না। দীপক হল রূপালির ছেলে গাবলুর বাবা। দীপকের আর্জি, রূপালির স্বাস্থ্যসাথীতে তার নামটাও যদি রাখা হয়! তার যুক্তি, সে এখনও রূপালির ‘স্বামী’, তাদের তো কোর্ট মারফত ছাড়াছাড়ি হয়নি। রূপালি এই প্রথম দাপটের সঙ্গে দীপকের মুখের উপর তার দরজা বন্ধ করে দিতে পেরেছে। 
স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে পরিবারের কোনও একজন মহিলাকেই বেনিফিসিয়ারি রাখার নিয়ম। বাংলার সমাজে একটি মেয়েকে শেখানো হয়, তুমি মেয়ে হয়ে জন্মেছ, অতএব তোমার অনেক সহ্যগুণ থাকতে হবে। ভাই/দাদা থাকলে মাছ থেকে বড় মিষ্টি, সব সেরা জিনিস তাদের প্রাপ্য। অবশিষ্ট কিছু থাকলে পাবে বোন/দিদি। এই শুরু। দরিদ্র পরিবারের মেয়েকে আত্মত্যাগে অভ্যস্ত করে নেওয়া হয়—শিক্ষা এবং কেরিয়ারেও। ভাই/দাদাকে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বানানোর প্রয়োজনে বোন/দিদিকে স্কুল-কলেজের পড়া ‘স্যাক্রিফাইস’ করতে হয়। কেননা, তারা তো পরের ঘরেই চলে যাবে। সংসারধর্ম পালন করবে। অতএব তাদের পিছনে টাকা খরচ করে কী লাভ? ঠিক যেন ব্যবসা, ইনভেস্টমেন্টের রিটার্ন নিয়ে ক্যালকুলেশন! একইভাবে স্বামীর সংসারে গিয়েও খাওয়া-দাওয়া শখ-আহ্লাদ সবেতেই স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেদের অগ্রাধিকার মেনে নিতে হয় হাসিমুখে। মা হওয়ার পর শুরু হয় যৎসামান্য দাবিটুকুও একে একে সন্তানের কাছে ছেড়ে দেওয়া। সব মিলিয়ে মেয়েদের ‘বাপের বাড়ি’ কিংবা ‘শ্বশুর বাড়ি’ বা ‘স্বামীর ঘর’ হয়—‘নিজের ঘর’ বলে কিছু থাকতে নেই। 
যে-সমাজের এই বিধান, সেখানে মমতাই প্রথম বললেন, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে বেনিফিসিয়ারি হবেন একজন মহিলা। স্বামী বা পুত্র নন, তিনি হবেন মা/স্ত্রী/কন্যা। অভূতপূর্ব এক স্বাদ। এই প্রথম। অনেক উলট-পুরাণের প্রতীক্ষায় থাকে মেয়েরা, সারা জীবন। কিন্তু প্রতীক্ষার অবসান হয় না। নারীজীবনের এমন এক অনন্ত প্রতীক্ষার অবসান ঘটালেন মমতা। 
আসলে মমতা কোনও একজন মেয়ের নাম নয়—একটা লড়াইয়ের নাম, একটা আন্দোলনের নাম—যে লড়াই/আন্দোলন জয় ছিনিয়ে নিয়ে তবেই শেষ হয়। প্রায় অসম্ভবকে নিশ্চিতরূপে সম্ভব করে তোলার নাম মমতা। রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসা থেকে নতুন দল তৈরি, রাইটার্স দখল, নরেন্দ্র মোদির মতো দোর্দণ্ডপ্রতাপ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সমানে টক্কর দিয়ে রাজনীতি করা—এই সুদীর্ঘ পথের কথা চিন্তা করলে তিনি একটা আস্ত বিস্ময়। নিজের জীবন দিয়েই মমতা দেখিয়ে দিয়েছেন একজন নারী কত দূর লড়াই করতে পারেন। 
কিন্তু এক জীবনে সব করা যায় না। প্রগতিশীলতা ও উন্নয়নের এটাই নিয়ম। তাই অসমাপ্ত কাজের দায়িত্ব তিনি তুলে দিচ্ছেন তাঁর অগণিত কন্যাশ্রীর হাতে। কিশোরীদের ক্ষমতায়নের জন্য ২০১৩ সালে মমতা কন্যাশ্রীর উদ্ভাবন করেন। এখনও পর্যন্ত বাংলার প্রায় ৬৮ লক্ষ কিশোরী কন্যাশ্রীর মাধ্যমে আলোকিত হওয়ার অভূতপূর্ব সুযোগ পেয়েছে। তারা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে, গবেষণা করছে। অন্যদিকে, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে আরেক দল কন্যাশ্রী ‘স্বপ্ন ভোর’ স্কিমে কারিগরি প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বনির্ভর হচ্ছে। 
এমনকী, অভাবী পরিবারের মেয়ের বিবাহে এককালীন ২৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার জন্য চালু রয়েছে রূপশ্রী স্কিম। ২০১৮-র এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ বিবাহযোগ্য কন্যাকে এই স্কিমে টাকা দেওয়া হয়েছে। অবাক ব্যাপার, সম্প্রতি একটি মেয়ে রূপশ্রীর আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছে! ফলতার কলসগ্রামের ক্লাস টুয়েলভের মাজেদা খাতুন সোজা বিডিওর কাছে গিয়ে জানায়, এই বিয়েতে তার মত নেই। সে আরও পড়তে চায়। যে-কথা বাবা-কাকাদের কাছে বলার সাহস হয়নি, সেই কথাই মাজেদা জানিয়েছে বিডিও সাহেবকে। আমরা জানি, অমতের বিয়ে রুখে দিয়ে উচ্চশিক্ষার পথে অবিচল থেকেছে অনেক মেয়ে, কিন্তু রূপশ্রীর আবেদন প্রত্যাহারের কথা শুনিনি। সেদিক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রেরণায় মেয়েদের শিক্ষা আন্দোলনের এটা অবশ্যই এক নতুন দিক। এক কন্যাশ্রী বাংলার কন্যাদের মানসিক ভিত কতটা মজবুত করে দিয়েছে, এই ঘটনা তারই প্রমাণ। এই ঘটনা কন্যাশ্রীর সাফল্যেরই বিস্তৃতি।
বাংলার মাটি বস্তুত বামপন্থা অনুশীলনের জায়গা। বামপন্থীদের দীর্ঘকাল নেতৃত্ব দিয়েছে সিপিএম। বামফ্রন্ট গড়ে তারা ইয়া লম্বা ইনিংসের সরকার গড়েছে। কিন্তু ক্ষমতার চিটেগুড়ে এমন আটকে গিয়েছিল যে, ক্ষমতালাভের উৎসটাকেই বামপন্থা থেকে অনেকখানি দূরে সরিয়ে দিয়েছিল তারা। রাজনীতির সঙ্গে হাওয়ার সম্পর্কটা অদ্ভুত। শূন্যস্থানের গন্ধ পেলেই হাওয়া দ্রুত সেখানে ছুটে গিয়ে দখল নেয়। বামফ্রন্ট প্রকৃত বামপন্থা ছেড়ে দিতেই জায়গাটা দ্রুত দখল করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতি। শুধুমাত্র প্রচলিত বামপন্থী আদর্শে মানুষের কল্যাণের কাজে আটকে নেই তিনি, ব্যাপারটাকে তাঁর নিজস্ব ডিকশনে ও উদ্ভাবনী প্রতিভায় নিরন্তর উন্নত করে চলেছেন। তাই হলফ করে বলা যায়, মমতা যতদিন রাজনীতিতে আছেন বাংলায় সিপিএমের কিচ্ছুটি করার নেই। মোদির সৌজন্যে ভোটের বাজারে তারা হঠাৎ কিঞ্চিৎ প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পাওয়ার পরেও মন্তব্যটি অপ্রাসঙ্গিক মনে করছি না। 
অন্যদিকে, ‘তৃণমূলের বি টিম’ হয়ে বিজেপির পক্ষে কতদূর এগনো সম্ভব হবে? ভোট ঘোষণার আগেই, দিলীপ ঘোষ ১০ দফায় ভোটগ্রহণের আর্জি নিয়ে দিল্লি গিয়েছেন। ভালো কথা। কিন্তু একদা ‘সিপিএমের বি টিম’ কংগ্রেসের করুণ মুখের দিকে একবার চেয়ে দেখবেন না! রাজ্যে এজেন্ট বসিয়ে রেখে, ভাড়াটে সৈনিক দিয়ে, কমিশনের উপর পরোক্ষে চাপ সৃষ্টি করে আর যাই হোক কোনও আদর্শ প্রতিষ্ঠা করা যায় না। অসময়ে রথ দেখিয়ে সঙ্ঘ পরিবারের সদস্যটি যত দেখনদারি ধর্মের ভিতরে ঢুকবে, রাজধর্ম থেকে সরে যাবে তত। রাজধর্ম পালনে আন্তরিকতার জবাবে ধর্মের নামে বজ্জাতি উপহার—এমন দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কীই-বা আছে গেরুয়া ঝুলিতে! মোদির পার্টি দুর্গা বাহিনী তৈরি করেছে। কিন্তু সেই নকল দশভুজাদের দশ হাতই শূন্য। মমতার রক্ত-মাংসের দ্বিভুজা কন্যাশ্রীদের এক হাতে শিক্ষা আর অন্য হাতে সুস্বাস্থ্য। একটা মানবজীবন সুন্দরভাবে পেরতে আর কোন অস্ত্রের প্রয়োজন?
10th  February, 2021
বিপ্লবের ত্রিপুরা,
মমতার বাংলা
মৃণালকান্তি দাস

সজাগ থাকুন, ত্রিপুরার মতো বঙ্গভোটেও চাকরির ‘টোপ’ আসবে। আসবে ‘সোনার বাংলা’ গড়ার প্রতিশ্রুতিও। আপনিই ঠিক করুন, বিপ্লব দেবের মতো কোনও ‘অযোগ্য’ বিজেপি নেতার হাতে নিজের জীবন সঁপে দেবেন কি না! বিশদ

12th  February, 2021
বিজেপির মুখে গণতন্ত্র আসলে
ভূতের মুখে রাম নাম

বিজেপি নেতারা প্রায়ই অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই। মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা নেই। মানুষের সামনে তুলে ধরেন জোর করে তৃণমূলের পঞ্চায়েত দখলের কথা। ক্ষমতা দখলের পর বিজেপি ত্রিপুরার পঞ্চায়েতের প্রায় ৯৫ শতাংশ আসনে কাউকে দাঁড়াতেই দেয়নি। বিজেপির বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতার রেকর্ড জ্বলজ্বল করছে। তাই অনেকের মতে, বিজেপির মুখে গণতন্ত্র আসলে ভূতের মুখে রাম নাম। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় গণতন্ত্রের হাঁসফাঁস অবস্থা। ‘বর্তমান’-এর সাংবাদিক তন্ময় মল্লিককে সেকথা শুনিয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। বিশদ

11th  February, 2021
দেশ না বেচে কি উন্নয়ন হয় না?
শান্তনু দত্তগুপ্ত​​​​​​​


 

নরেন্দ্র মোদি হলদিয়ায় এসে দাবি করছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর জমানায় কোনও উন্নয়নই করেননি! তাঁর তাঁবেদাররাও এই প্রচারে তালি বাজাচ্ছে। কিন্তু মানুষ কী ভাবছে? তাঁর ঘরে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী আছে, সবুজ সাথীর সাইকেল আছে, আছে কর্মসংস্থানের দিশা। যা ফাঁপা নয়। বিশদ

09th  February, 2021
হৃদয়শূন্য একটা হিসেবি মাথার বাজেট
পি চিদম্বরম

গরিব মানুষ, পরিযায়ী শ্রমিক, দিনমজুর, ছোট চাষি, এমএসএমই-র মালিক, বেকার ব্যক্তি (তাঁর পরিবার) এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণি নিজেদের প্রতারিত ভেবেছেন। যেহেতু খবরের কাগজে তাঁদের এবং তাঁদের হয়ে কথা বলার লোকদের জায়গা হবে না, তাই যাবতীয় ক্ষোভ-হতাশার কথা তাঁরা উগরে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিশদ

08th  February, 2021
সোনার বাংলা গড়বে এরা!
হিমাংশু সিংহ

যাঁরা মিথ্যে স্বপ্ন ফেরি করে পশ্চিমবঙ্গকে নিজেদের স্বার্থে নরকের পথে ঠেলে দেওয়ার বন্দোবস্ত পাকা করতে মরিয়া, বাংলার মানুষ তাঁদের কাছে হিসেব তো নিয়েই ছাড়বে। মানুষ মনে রাখবে, অত্যন্ত সীমিত আর্থিক ক্ষমতার মধ্যেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে জনমুখী, জনদরদি বাজেট উপহার দিলেন তার কথা। বিশদ

07th  February, 2021
রাজ্য বাজেট: আন্তরিক
উন্নয়নই পাখির চোখ
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

সামান্য কয়েক মাসের একটি ভোট অন অ্যাকাউন্ট নিয়ে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চর্চা। প্রশ্ন উঠল রাজ্যের বাজেটে এত যে প্রস্তাব দেওয়া হল তার টাকা আসবে কোথা থেকে? এই বাজেটের অর্থনৈতিক ভিত্তি কী? বিশদ

06th  February, 2021
নেতা ধরতে গিয়ে জনতা
‘বিসর্জন’ বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

কথায় আছে, যত গর্জে তত বর্ষে না। বিজেপির অবস্থা এখন অনেকটা তেমনই। বিজেপির নেতারা বঙ্গ জয় নিয়ে যতই তর্জন গর্জন করুন, যতই ২০০ আসনের কথা বলুন, বাস্তবের মাটি বড়ই রুক্ষ। সেটা তাঁরাও জানেন।
বিশদ

06th  February, 2021
পদ্মশ্রী ও দলবদল, দুটি
ভিন্ন দুনিয়ার কথা
সমৃদ্ধ দত্ত

দলবদল করা রাজনীতিকরা কাজকে নয়, প্ল্যাটফর্ম তথা দলকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। কারণ একটাই, তাঁদের একক শক্তিই নেই। তাঁরা জানেন, একা আমার কোনও মূল্য নেই। ক্ষমতাও নেই। মানুষ পাশে থাকবে কি না সেই আত্মবিশ্বাসই নেই। তা‌ই তাঁদের দল অথবা গোষ্ঠীর দরকার হয় ভেসে থাকার জন্য। বিশদ

05th  February, 2021
বিজেপির ‘ডবল ইঞ্জিনে’র প্রচার যে ফাঁদ, 
তা হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছেন ত্রিপুরাবাসী

‘চলো পাল্টাই’ স্লোগান তুলে ত্রিপুরায় বাম শাসনের শিকড় উপড়ে দিয়েছিল বিজেপি। বিজেপি শাসনে কেমন আছে ত্রিপুরা? বিজেপির ‘ডবল ইঞ্জিনে’র প্রচার যে একটা ফাঁদ, তা ত্রিপুরার মানুষকে বামেরা বোঝাতে পারেনি। সেই ফাঁদে পা দিয়ে ত্রিপুরাবাসী এখন কপাল চাপড়াচ্ছেন। ‘বর্তমান’ এর সাংবাদিক তন্ময় মল্লিকের কাছে অকপটে সে কথা জানিয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
বিশদ

04th  February, 2021
আমি ক্যাসাবিয়াঙ্কা কিংবা নবকুমার
মদন মিত্র

সেদিনও দেখেছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আমি ভয় করব না,  ভয় করব না’ রূপ। মৃত্যুভয়ে, নিজে বাঁচার জন্যে সবাইকে ছেড়ে পালাবার চেষ্টা তিনি করেননি। ভেসে ওঠার 
চেষ্টা করছেন। আর ভেসে উঠেছিলেন বলেই, বাংলার মানুষ বলল, তুমি মহাসমুদ্রে ভেসে উঠবে। এই জনসমুদ্রে তাই বারবার ভেসে উঠছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 
  বিশদ

04th  February, 2021
এবার ভোটের লড়াই
উন্নয়ন বনাম কুৎসার
সন্দীপন বিশ্বাস

মমতা ভোটের আগে পুরোপুরি অ্যাটাকিংয়ে। একের পর এক এক উন্নয়ন প্রকল্প দিয়ে ভেঙে ফেলছেন গেরুয়া বাহিনীর ডিফেন্স। বিজেপির আক্রমণের মুখে তাঁর অস্ত্র উন্নয়ন ও শান্তি। সেই উন্নয়ন সেই সব সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে, যাঁরা বিজেপির কাছে উপেক্ষিত। বিশদ

03rd  February, 2021
একনজরে
চা ও কৃষি বলয়ের উন্নয়নই এবার জলপাইগুড়ি জেলার বিধানসভা নির্বাচনে শাসক দলের মূল ইস্যু। জেলায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ চালু, মেডিক্যাল কলেজ ...

পিম্প্রি-চিঞ্চওয়াড় পুর এলাকায় সংক্রমণের গ্রাফ এখন নিম্নমুখী। কমছে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যাও। আর এর জেরেই কাজ হারাতে চলেছেন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে সেখানকার প্রায় ৫০০ জন কোভিড যোদ্ধা। ...

বুধবার রাতে পুরাতন মালদহ ব্লক অফিসে ইঞ্জিনিয়ারকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তরা এখনও অধরা। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর দু’দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিস অভিযুক্তদের নাগাল পায়নি। ...

মঙ্গলকোটে অনুব্রত মণ্ডলের মহিলা সমাবেশে জনস্রোত বয়ে গেল। শুক্রবার বিকেলে ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত থেকে কাতারে কাতারে মহিলা মাথরুনের স্কুলমাঠে ভিড় করেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যার বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব রেডিও দিবস
১৬০১ - ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সমুদ্র পথে ভারত আগমন
১৮৩২ - লন্ডনে প্রথম কলেরার প্রাদুর্ভাব
১৮৭৯: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও কবি সরোজিনী নাইডুর জন্ম
১৮৮২ - কলকাতায় প্রথম পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত।
১৯৩১ - ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে নয়াদিল্লিতে স্থানান্তর হয়
১৯৪৫: অভিনেতা বিনোদ মেহরার জন্ম
১৯৬০: ফ্রান্সের সফল পরমাণু পরীক্ষা
১৯৮৫: টেনিস খেলোয়াড় সোমদেব দেববর্মনের জন্ম 
২০১৫ - কেশব রেড্ডি, ভারতীয় চিকিৎসক ও লেখক



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭১.১৫ টাকা ৭৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ৯৮.০৩ টাকা ১০২.৭৭ টাকা
ইউরো ৮৬.১৬ টাকা ৯০.৩৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৮,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৮,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ ফাল্গুন ১৪২৭, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১। দ্বিতীয়া ৪৩/৪৮ রাত্রি ১২/৫৩। শতভিষা নক্ষত্র ২২/২৪ দিবা ৩/১১। সূর্যোদয় ৬/১৩/৪৫, সূর্যাস্ত ৫/২৮/১১। অমৃতযোগ দিবা ৯/৫৮ গতে ১২/৫৮ মধ্যে রাত্রি ৮/০ গতে ১০/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১২/১৬ গতে ১/৫৮ মধ্যে পুনঃ ২/৫০ গতে ৪/৩২ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৮ মধ্যে  পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৮ গতে উদয়াবধি।  
৩০ মাঘ ১৪২৭, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১। দ্বিতীয়া রাত্রি ১২/৪১। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ৩/১৭। সূর্যোদয় ৬/১৬, সূর্যাস্ত ৫/২৭। অমৃতযোগ দিবা ৯/৫২ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৪ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/১২ গতে ১/৫২ মধ্যে ও ২/৪১ গতে ৪/২১ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪০ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪০ মধ্যে ও ৪/৩ গতে ৫/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩ মধ্যে ও ৪/৪০ গতে ৬/১৬ মধ্যে । 
৩০ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রাজ্যে আগামী ২১ শে মোদি ও ১৮ ফেব্রুয়ারি অমিত শাহ
আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি ফের রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন ...বিশদ

09:26:38 PM

মাস্ক ছাড়াই গ্যালারিতে বহু দর্শক, করোনাবিধি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
ভারত-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্টে দর্শকদের মাঠে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কোভিডবিধি ...বিশদ

04:36:39 PM

মালদহে কালভার্টের কাছে যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার
মালদহের বলদা হুড়া এলাকার একটি নির্মীয়মাণ কালভার্টের কাছে মিলল এক ...বিশদ

04:22:23 PM

মুম্বইয়ের খার এলাকায় ৩৩ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ মাদক সহ গ্রেপ্তার ২ পাচারকারী 

04:18:00 PM

দ্বিতীয়বার বিয়ে  করছেন দিয়া মির্জা!
সামনেই ভ্যালেন্টাইনস ডে। ভালোবাসার মরশুম চলছে। এর মধ্যেই এল সুখবর। ...বিশদ

04:09:41 PM

দীঘায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১
দীঘা থেকে বাড়ি ফেরার পথে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ...বিশদ

04:00:30 PM