Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আমি ক্যাসাবিয়াঙ্কা কিংবা নবকুমার
মদন মিত্র

শুরুতেই বলি, মৃত্যুর পর আমি হিন্দুর ছেলে, যদিও আমি বিশ্বাস করি ‘না ম্যায় হিন্দু, না ম্যায় মুসলমান, সবসে পহেলে ম্যায় এক ইনসান’। তবু মৃত্যুর পর আমার দেহ বার্নিংঘাটে যাবে কি যাবে না তা নিয়ে আমার আগাম কোনও সংস্কার থাকবে না। কারণ আমার দেহ দান করা থাকবে। যদি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কারও উপকারে কিংবা মেডিক্যাল গবেষণার কাজে লাগে তবে তৃপ্তি পাব। আমি বলতে চাইছি, মানুষ শেষযাত্রায় এটা যেন উপলব্ধি করে, এই যে মানুষটা মারা গেল, এই যে মৃতদেহটা—একটা ইমানদারের ছিল। 
আমি যখন স্কুলছাত্র, শুনেছি—ব্রুটাস তুমিও! আমি শুনেছি যে জিসাস ক্রাইস্টের সবথেকে প্রিয় শিষ্য বললেন, ‘প্রভু, আমি তোমাকে কখনওই অস্বীকার করব না’। জিসাস উত্তর দিলেন, ‘আজকে রাত্রেই যখন তিনবার মোরগ ডেকে উঠবে, ঠিক তখনই তুমি আমায় অস্বীকার করবে। বলবে, কে জিসাস? তোমাকে তো আমি চিনি না!’ আসলে, আমি একটা পলিসিতে বিশ্বাস করি, আমায় কেউ ভুল বুঝবেন না। আমি সন্দেহপ্রবণ লোক নই। কিন্তু একটা ফিলোসফি আমার আছে যে, ‘সিজারস ওয়াইফ মাস্ট বি অ্যাবভ অল সাসপিশন’। সিজারের যে বউ হবে তাকে সব সন্দেহের ঊর্ধ্বে থাকতে হবে। তেমনি আমি একজন তৃণমূল কর্মী, আমি যেন আমার দলের কাছে, আমার দেশের কাছে, আমার বাংলার মানুষের কাছে, আমার নেত্রীর কাছে সব সন্দেহের ঊর্ধ্বে থাকি। আমি কী করলাম, কী খেলাম, কোথায় বেড়াতে গেলাম, কোন জামাকাপড় পরলাম—এটা কোনও ফ্যাক্টর না। ফ্যাক্টরটা হচ্ছে, বেসিক ক্যারেকটার আমার চেঞ্জ হচ্ছে কি না। 
বেসিক ক্যারেকটার আমার একটাই, প্রয়োজনে আমরা চৈতকের নাম বলি। প্রাণ দিয়েছিল, কিন্তু প্রভুকে বাঁচিয়েছিল। ছোট থেকে আমার প্রিয় পদ্য, পোয়েম বা একটা গদ্যই ছিল, যে আমি ‘ক্যাসাবিয়াঙ্কা’ হতে চাই। আমার ক্যাপ্টেন আমাকে বলেছে যে, তুমি এখানে দাঁড়াবে। আমি যদি বুঝতেও পারি যে আস্তে আস্তে আমার পায়ের তলাটা ভিজে যাচ্ছে, আমার কোমর অবধি জল চলে এসেছে, আমি কিন্তু নড়ব না। কারণ, আমি ক্যাসাবিয়াঙ্কার চরিত্রে বিশ্বাস করি। 
একবারের ঘটনা মনে পড়ে যাচ্ছে। বালুরঘাটে প্রচণ্ড বন্যা আর নানাদিক থেকে জল ঢুকে গিয়েছিল গঙ্গায়। আমি এবং আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা ট্যাক্সিতে ছিলাম। অ্যাম্বাসাডর ট্যাক্সি, মানে অন্য কোনও গাড়ি জোটেনি। আর যখন দু’পাশ থেকে দোতলার ওপর থেকে মানুষ বলছে, আর এগবেন না। গাড়িটা ডুবে যাচ্ছে। চাকা ডুবে গেছে। ড্রাইভিং সিটে জল ঢুকে গেছে। আর আমি কী করেছি, বোকার মতো দুম করে দরজাটা খুলে দিয়েছি। অমনি হু হু করে জল ঢুকে গেল। পুরো ভিজে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চারিদিকে দোতলায় দাঁড়িয়ে যেসব মানুষ এসব দেখছেন, তাঁরা চিৎকার করছেন। আমি সেদিনও দেখেছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আমি ভয় করব না,  ভয় করব না’ রূপ। মৃত্যুভয়ে, নিজে বাঁচার জন্যে সবাইকে ছেড়ে পালাবার চেষ্টা তিনি করেননি। ভেসে ওঠার চেষ্টা করছেন। আর ভেসে উঠেছিলেন বলেই, বাংলার মানুষ বলল, তুমি মহাসমুদ্রে ভেসে উঠবে। এই জনসমুদ্রে তাই বারবার ভেসে উঠছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 
জগৎ শেঠ, উমিচাঁদদের আমি অপছন্দ করি। কারণ, তারা বেইমানি করেছিল।  কিন্তু তারা ধাপে ধাপে ধাপে, তিলে তিলে তিলে, বছর বছর ধরে বেইমানি করেনি—করেছিল একবারে। একরাতে পলাশির প্রান্তরে, সিরাজউদ্দৌলার প্যালেসে। কিন্তু আমরা তাদের মেনে নিতে পারি না। আমার ভাই হতে পারে, আমার আত্মীয় হতে পারে, আমার সঙ্গে সন্ধিপুজোয় অঞ্জলি দিতে পারে, কিন্তু আমাকে যে বাঁচিয়ে রেখেছে, তাকে আমি মানব না? যার কোলে গিয়ে পায়রাটা পড়ল, ব্যাধ এসে বলল যে, ‘এটা আমার শিকার এটা আমায় দিতে হবে’। বুদ্ধ বললেন, ‘না আমি দিতে পারব না। প্রয়োজনে আমার প্রাণ নাও। কারণ, ওকে আমি আমার কোলে আশ্রয় দিয়েছি। ও বাঁচবার জন্য আমার কোলে আশ্রয় নিয়েছে।’ শরণাগত দীনার্ত পরিত্রাণ পরায়ণে। বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি। সঙ্ঘং শরণং গচ্ছামি। আমরা যেন বলতে পারি, ‘তমসো মা জ্যোতির্গময়, মৃত্যোর্মা অমৃতং গময়’। আমাকে অন্ধকার থেকে আলোয় নিয়ে চলো, আমাকে জ্ঞান থেকে অজ্ঞানের পথে নয়, অজ্ঞান থেকে জ্ঞানের পথে নিয়ে চলো। চলো অমৃতের সন্ধানে যাই। কিন্তু ইমানদারের মতো। 
মান্না দে-র একটা গান আছে, ‘সবাই তো সুখী হতে চায়, তবু কেউ হয়, কেউ হয় না।/ জানি না লোকে যা বলে সত্যি কি না, সবার কপালে নাকি সুখ সয় না।’ হয়তো আমার কপালে মন্ত্রিত্ব সয় না, হয়তো আমার কপালে ক্ষমতা সয় না। হয়তো ভগবান আমার কপালে লিখেছিলেন, তুই বারবারই পাওয়ারের কাছে যাবি, ক্ষমতার অলিন্দে ঘুরবি, কিন্তু ক্ষমতার অংশীদার হতে পারবি না। 
কিন্তু, ক্ষমতার অংশীদার হওয়ার জন্য আমি আমার আত্মসম্মান, চরিত্র, ধর্ম কোনও দিন বিসর্জন দেব না। যুধিষ্ঠিরের শেষসঙ্গী ছিল একটা কুকুর। যুধিষ্ঠির বললেন, ‘সবাই আমায় ছেড়ে চলে গেছে। তাদের প্রত্যেকের মনে অহংকার ছিল। কেউ ভাবত আমার থেকে বড় সুন্দরী নেই। কেউ ভাবত আমার থেকে বড় বীর বা তিরন্দাজ নেই। কিন্তু এ আমায় ছাড়েনি। এই কুকুরটা হচ্ছে ধর্ম।’ 
আমিও ইমানদার। কাফের নই। এটা আমার ধর্ম। ধর্মযুদ্ধে কৌরবপক্ষে পিতামহ ভীষ্ম ছিলেন। ছিলেন দ্রোণাচার্য। তবু জয় হয়েছিল পাণ্ডবদের। কারণ ধর্ম পাণ্ডবদের সঙ্গে ছিল। তাঁদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছিল। ‘লঙ্কেশ্বর স্বামী মোর , আমি কি ডরাই সখী, ভিখারি রাঘবে?’ রাবণ ছিলেন মহাবীর। তারপরেও রাবণের পরাজয় হয়েছিল। কারণ, অন্যায়টা রাবণের ছিল, তিনি পরস্ত্রী হরণ করেছিলেন। 
জানি, অনেকে প্রশ্ন করবেন, তাহলে বিভীষণ কী করে আপনার আইকন হলেন? হ্যাঁ, আমাকে একটা জিনিস দেখতে হবে। আমি ছোটবেলায় একটা গল্প পড়েছিলাম, ক্লাস এইট কী নাইনে, স্টোরিটার মধ্যে ছিল, বিচারক যদি সব বিচার তলিয়ে দেখতেন, বহু ক্ষেত্রেই পাপীকে শাস্তি দেওয়া যেত না। কারণ পাপটা সে করেছে আলটিমেটলি হয়তো পুণ্য করার জন্য। একটা পুণ্য করার জন্য একটা পাপ, একটা প্রায়শ্চিত্ত, একটা বেইমানির পাপ। দু’টোর মধ্যে তফাত আছে। তাই রাম যেখানে গিয়েছিলেন, সেটা বালি, সুগ্রীব হোক বা বিভীষণ, যেখানে যেখানে যাঁরা তাঁদের এই ধর্মযুদ্ধে সাহায্য করেছিলেন, প্রত্যেককে তাঁদের রাজত্বে বসিয়ে দিয়ে এসেছিলেন। ‘বিশ্বাস করো তোমরা, আমি রাজা হতে চাই না। আমি নিজের রাজত্ব আমার ভাইয়ের হাতে ছেড়ে দিয়েছি।’ আর তার জন্যই আমরা এই স্লোগান দিই, ‘দেখো দুনিয়াওয়ালো, তুম ইয়ে কাম না করো, রাম কা নাম বদনাম না করো। রাম কো সমঝো, কৃষ্ণ কো জানো, নিন্দ সে জাগো, ও মস্তানো’।
‘দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, ভুলিতেছে মাঝি পথ’। তাই ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, আমি যেন কোনও অবস্থাতেই ভয় না পাই। ভয়ানক দুর্যোগ আসুক। ঘোর জঙ্গলের মধ্যে সবাই ফেলে চলে যাবে, তবু আমি যেন নবকুমার হয়ে উঠতে পারি। গভীর অরণ্যে কাঠ আনতে যাব। সবাই চলে যাবে, বলবে বাঘের পেটে গেছে! আমি শ্রীকান্ত হয়ে বাঁচতে চাই। আমি নবকুমারের চরিত্র ভালোবাসি। আর তাই জন্যই আমার শেষ লাইন ‘তুমি অধম—তাই বলিয়া আমি উত্তম না হইব কেন?’ 
আর যারা নবকুমারের মতো ঝুঁকি নিতে পারে, তারাই শুনতে পায় সেই আওয়াজ—পথিক, তুমি কি পথ হারিয়েছ? এস, আমার সঙ্গে। আমি তোমায় পথের সন্ধান দিচ্ছি। আর এই ইমানদারের যে পথের সন্ধান দেবে, সে হচ্ছে, ‘শোনো হে মানুষ ভাই, সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই’।
লেখক রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
04th  February, 2021
বিপ্লবের ত্রিপুরা,
মমতার বাংলা
মৃণালকান্তি দাস

সজাগ থাকুন, ত্রিপুরার মতো বঙ্গভোটেও চাকরির ‘টোপ’ আসবে। আসবে ‘সোনার বাংলা’ গড়ার প্রতিশ্রুতিও। আপনিই ঠিক করুন, বিপ্লব দেবের মতো কোনও ‘অযোগ্য’ বিজেপি নেতার হাতে নিজের জীবন সঁপে দেবেন কি না! বিশদ

12th  February, 2021
বিজেপির মুখে গণতন্ত্র আসলে
ভূতের মুখে রাম নাম

বিজেপি নেতারা প্রায়ই অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই। মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা নেই। মানুষের সামনে তুলে ধরেন জোর করে তৃণমূলের পঞ্চায়েত দখলের কথা। ক্ষমতা দখলের পর বিজেপি ত্রিপুরার পঞ্চায়েতের প্রায় ৯৫ শতাংশ আসনে কাউকে দাঁড়াতেই দেয়নি। বিজেপির বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতার রেকর্ড জ্বলজ্বল করছে। তাই অনেকের মতে, বিজেপির মুখে গণতন্ত্র আসলে ভূতের মুখে রাম নাম। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় গণতন্ত্রের হাঁসফাঁস অবস্থা। ‘বর্তমান’-এর সাংবাদিক তন্ময় মল্লিককে সেকথা শুনিয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। বিশদ

11th  February, 2021
নারীর ক্ষমতায়নই মমতার সবচেয়ে বড় সাফল্য
হারাধন চৌধুরী

মোদির পার্টি দুর্গা বাহিনী তৈরি করেছে। কিন্তু সেই নকল দশভুজাদের দশ হাতই শূন্য। মমতার রক্ত-মাংসের দ্বিভুজা কন্যাশ্রীদের এক হাতে শিক্ষা আর অন্য হাতে সুস্বাস্থ্য। একটা মানবজীবন সুন্দরভাবে পেরতে আর কোন অস্ত্রের প্রয়োজন?
বিশদ

10th  February, 2021
দেশ না বেচে কি উন্নয়ন হয় না?
শান্তনু দত্তগুপ্ত​​​​​​​


 

নরেন্দ্র মোদি হলদিয়ায় এসে দাবি করছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর জমানায় কোনও উন্নয়নই করেননি! তাঁর তাঁবেদাররাও এই প্রচারে তালি বাজাচ্ছে। কিন্তু মানুষ কী ভাবছে? তাঁর ঘরে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী আছে, সবুজ সাথীর সাইকেল আছে, আছে কর্মসংস্থানের দিশা। যা ফাঁপা নয়। বিশদ

09th  February, 2021
হৃদয়শূন্য একটা হিসেবি মাথার বাজেট
পি চিদম্বরম

গরিব মানুষ, পরিযায়ী শ্রমিক, দিনমজুর, ছোট চাষি, এমএসএমই-র মালিক, বেকার ব্যক্তি (তাঁর পরিবার) এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণি নিজেদের প্রতারিত ভেবেছেন। যেহেতু খবরের কাগজে তাঁদের এবং তাঁদের হয়ে কথা বলার লোকদের জায়গা হবে না, তাই যাবতীয় ক্ষোভ-হতাশার কথা তাঁরা উগরে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিশদ

08th  February, 2021
সোনার বাংলা গড়বে এরা!
হিমাংশু সিংহ

যাঁরা মিথ্যে স্বপ্ন ফেরি করে পশ্চিমবঙ্গকে নিজেদের স্বার্থে নরকের পথে ঠেলে দেওয়ার বন্দোবস্ত পাকা করতে মরিয়া, বাংলার মানুষ তাঁদের কাছে হিসেব তো নিয়েই ছাড়বে। মানুষ মনে রাখবে, অত্যন্ত সীমিত আর্থিক ক্ষমতার মধ্যেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে জনমুখী, জনদরদি বাজেট উপহার দিলেন তার কথা। বিশদ

07th  February, 2021
রাজ্য বাজেট: আন্তরিক
উন্নয়নই পাখির চোখ
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

সামান্য কয়েক মাসের একটি ভোট অন অ্যাকাউন্ট নিয়ে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চর্চা। প্রশ্ন উঠল রাজ্যের বাজেটে এত যে প্রস্তাব দেওয়া হল তার টাকা আসবে কোথা থেকে? এই বাজেটের অর্থনৈতিক ভিত্তি কী? বিশদ

06th  February, 2021
নেতা ধরতে গিয়ে জনতা
‘বিসর্জন’ বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

কথায় আছে, যত গর্জে তত বর্ষে না। বিজেপির অবস্থা এখন অনেকটা তেমনই। বিজেপির নেতারা বঙ্গ জয় নিয়ে যতই তর্জন গর্জন করুন, যতই ২০০ আসনের কথা বলুন, বাস্তবের মাটি বড়ই রুক্ষ। সেটা তাঁরাও জানেন।
বিশদ

06th  February, 2021
পদ্মশ্রী ও দলবদল, দুটি
ভিন্ন দুনিয়ার কথা
সমৃদ্ধ দত্ত

দলবদল করা রাজনীতিকরা কাজকে নয়, প্ল্যাটফর্ম তথা দলকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। কারণ একটাই, তাঁদের একক শক্তিই নেই। তাঁরা জানেন, একা আমার কোনও মূল্য নেই। ক্ষমতাও নেই। মানুষ পাশে থাকবে কি না সেই আত্মবিশ্বাসই নেই। তা‌ই তাঁদের দল অথবা গোষ্ঠীর দরকার হয় ভেসে থাকার জন্য। বিশদ

05th  February, 2021
বিজেপির ‘ডবল ইঞ্জিনে’র প্রচার যে ফাঁদ, 
তা হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছেন ত্রিপুরাবাসী

‘চলো পাল্টাই’ স্লোগান তুলে ত্রিপুরায় বাম শাসনের শিকড় উপড়ে দিয়েছিল বিজেপি। বিজেপি শাসনে কেমন আছে ত্রিপুরা? বিজেপির ‘ডবল ইঞ্জিনে’র প্রচার যে একটা ফাঁদ, তা ত্রিপুরার মানুষকে বামেরা বোঝাতে পারেনি। সেই ফাঁদে পা দিয়ে ত্রিপুরাবাসী এখন কপাল চাপড়াচ্ছেন। ‘বর্তমান’ এর সাংবাদিক তন্ময় মল্লিকের কাছে অকপটে সে কথা জানিয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
বিশদ

04th  February, 2021
এবার ভোটের লড়াই
উন্নয়ন বনাম কুৎসার
সন্দীপন বিশ্বাস

মমতা ভোটের আগে পুরোপুরি অ্যাটাকিংয়ে। একের পর এক এক উন্নয়ন প্রকল্প দিয়ে ভেঙে ফেলছেন গেরুয়া বাহিনীর ডিফেন্স। বিজেপির আক্রমণের মুখে তাঁর অস্ত্র উন্নয়ন ও শান্তি। সেই উন্নয়ন সেই সব সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে, যাঁরা বিজেপির কাছে উপেক্ষিত। বিশদ

03rd  February, 2021
একনজরে
চা ও কৃষি বলয়ের উন্নয়নই এবার জলপাইগুড়ি জেলার বিধানসভা নির্বাচনে শাসক দলের মূল ইস্যু। জেলায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ চালু, মেডিক্যাল কলেজ ...

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। বারাসত শহরে তৈরি হল অত্যাধুনিক মানের ইন্ডোর স্টেডিয়াম। ৬৫ লক্ষ টাকায় শহরের কে এন সি রোডে এই স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়েছে। এখানে ...

বুধবার রাতে পুরাতন মালদহ ব্লক অফিসে ইঞ্জিনিয়ারকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তরা এখনও অধরা। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর দু’দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিস অভিযুক্তদের নাগাল পায়নি। ...

মঙ্গলকোটে অনুব্রত মণ্ডলের মহিলা সমাবেশে জনস্রোত বয়ে গেল। শুক্রবার বিকেলে ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত থেকে কাতারে কাতারে মহিলা মাথরুনের স্কুলমাঠে ভিড় করেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যার বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব রেডিও দিবস
১৬০১ - ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সমুদ্র পথে ভারত আগমন
১৮৩২ - লন্ডনে প্রথম কলেরার প্রাদুর্ভাব
১৮৭৯: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও কবি সরোজিনী নাইডুর জন্ম
১৮৮২ - কলকাতায় প্রথম পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত।
১৯৩১ - ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে নয়াদিল্লিতে স্থানান্তর হয়
১৯৪৫: অভিনেতা বিনোদ মেহরার জন্ম
১৯৬০: ফ্রান্সের সফল পরমাণু পরীক্ষা
১৯৮৫: টেনিস খেলোয়াড় সোমদেব দেববর্মনের জন্ম 
২০১৫ - কেশব রেড্ডি, ভারতীয় চিকিৎসক ও লেখক



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭১.১৫ টাকা ৭৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ৯৮.০৩ টাকা ১০২.৭৭ টাকা
ইউরো ৮৬.১৬ টাকা ৯০.৩৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৮,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৮,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ ফাল্গুন ১৪২৭, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১। দ্বিতীয়া ৪৩/৪৮ রাত্রি ১২/৫৩। শতভিষা নক্ষত্র ২২/২৪ দিবা ৩/১১। সূর্যোদয় ৬/১৩/৪৫, সূর্যাস্ত ৫/২৮/১১। অমৃতযোগ দিবা ৯/৫৮ গতে ১২/৫৮ মধ্যে রাত্রি ৮/০ গতে ১০/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১২/১৬ গতে ১/৫৮ মধ্যে পুনঃ ২/৫০ গতে ৪/৩২ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৮ মধ্যে  পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৮ গতে উদয়াবধি।  
৩০ মাঘ ১৪২৭, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১। দ্বিতীয়া রাত্রি ১২/৪১। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ৩/১৭। সূর্যোদয় ৬/১৬, সূর্যাস্ত ৫/২৭। অমৃতযোগ দিবা ৯/৫২ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৪ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/১২ গতে ১/৫২ মধ্যে ও ২/৪১ গতে ৪/২১ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪০ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪০ মধ্যে ও ৪/৩ গতে ৫/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩ মধ্যে ও ৪/৪০ গতে ৬/১৬ মধ্যে । 
৩০ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রাজ্যে আগামী ২১ শে মোদি ও ১৮ ফেব্রুয়ারি অমিত শাহ
আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি ফের রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন ...বিশদ

09:26:38 PM

মাস্ক ছাড়াই গ্যালারিতে বহু দর্শক, করোনাবিধি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
ভারত-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্টে দর্শকদের মাঠে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কোভিডবিধি ...বিশদ

04:36:39 PM

মালদহে কালভার্টের কাছে যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার
মালদহের বলদা হুড়া এলাকার একটি নির্মীয়মাণ কালভার্টের কাছে মিলল এক ...বিশদ

04:22:23 PM

মুম্বইয়ের খার এলাকায় ৩৩ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ মাদক সহ গ্রেপ্তার ২ পাচারকারী 

04:18:00 PM

দ্বিতীয়বার বিয়ে  করছেন দিয়া মির্জা!
সামনেই ভ্যালেন্টাইনস ডে। ভালোবাসার মরশুম চলছে। এর মধ্যেই এল সুখবর। ...বিশদ

04:09:41 PM

দীঘায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১
দীঘা থেকে বাড়ি ফেরার পথে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ...বিশদ

04:00:30 PM