Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দেশ না বেচে কি উন্নয়ন হয় না?
শান্তনু দত্তগুপ্ত​​​​​​​


 

‘ইন্দিরা গান্ধীকে একটা কথা বলতেন জওহরলাল নেহরু... দেশের ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সংবেদনশীল হবে, আবেগপ্রবণ কখনও নয়। কিন্তু আজ, এমন একটা মুহূর্তে সংসদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী... আবেগ কিছুতে আমার নিয়ন্ত্রণে আসছে না।... একজন অর্থমন্ত্রীর অবশ্যই কঠোর বাস্তববাদী হওয়া উচিত। এটা আমাকে শিখতে হবে। রাষ্ট্রের স্বার্থে, দেশের নিরাপত্তার খাতিরে আমি কঠোর হব। কিন্তু দেশের মানুষের স্বার্থ যেখানে জড়িয়ে? কথা দিচ্ছি, আমার মন তখন কোনও কাঠিন্য মানবে না।...’
অর্থমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের থেকে এমন একটা বাজেট বক্তৃতা কেউ সেদিন আশা করেননি। সত্যি বলতে সাধারণ ক’জন মানুষ সেদিন চিনতেন তাঁকে? ওই দিনের পর চিনেছিল সবাই... নড়েচড়ে বসেছিল তামাম দুনিয়ার অর্থনৈতিক মহল। কারণ, দরজা খুলছিল ভারতের... গোটা বিশ্বের সামনে। বাজারের দরজা... বিনিয়োগের দরজা। কিন্তু মনমোহন সিং সেদিন বলেছিলেন, ‘সামাজিক সুরক্ষা, ন্যায় আমাদের দেশের ঐতিহ্য, পরম্পরা, প্রতিশ্রুতি... এর উপর কোনও দিন আঁচ আসতে দেব না। অর্থনৈতিক যে পদক্ষেপই নেওয়া হোক না কেন, দিনের শেষে তার সবটাই দেশের আম জনতার জন্য... এটা আমি ভুলতে পারি না। ভুলব না।’ ১৯৯১ সাল... প্রতিবন্ধকতার খাদের কিনারে পৌঁছে গিয়েছিল দেশের অর্থনীতি। রাজস্ব আদায়ে সঙ্কট, আর্থিক বৃদ্ধি ধাক্কা খাচ্ছে, বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারও তলানিতে। মনমোহন কথা রেখেছিলেন। অর্থনীতি উদার হয়েছিল, কিন্তু সাধারণ ভারতবাসীর স্বার্থ, সামাজিক নিরাপত্তাকে বিসর্জন দিয়ে নয়। ভারতের অর্থনীতির মজবুত ভিত্তিপ্রস্তর সেদিন স্থাপন করেছিলেন মনমোহন সিং। যার উপর দাঁড়িয়ে এখনও চলছে সংস্কারের আস্ফালন!
মনমোহন সিং দেখিয়েছিলেন, বিনিয়োগ স্বাগত... কিন্তু দেশ বেচে দিয়ে নয়। প্রধানমন্ত্রিত্বের ১০ বছরেও সেটা বারবার প্রমাণ করেছেন তিনি। হাওয়া বদলেছে। এখন কর্পোরেট জমানা। কামাইয়ের উপর দাঁড়িয়ে দেশের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি। লকডাউন এবং আনলক পর্বের হিসেব কষতে বসলে সাধারণ মানুষের অ্যাকাউন্টে একগুচ্ছ উদ্বেগ, আর সব হারানোর যন্ত্রণা ছাড়া প্রায় কিছুই জোটেনি। চাকরি গিয়েছে, ছোট ছোট বহু ব্যবসা বন্ধ, আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে মূল্যবৃদ্ধি। যে পেট একবেলা খেতে পেত, তার সেই অধিকারটুকুও কেড়ে নিয়েছে অপরিকল্পিত লকডাউন। এর দায় কে নেবে? কেন, রাজ্য সরকার! রিজার্ভ ব্যাঙ্কই তো সম্প্রতি বলেছে, মূল্যবৃদ্ধির দায় রাজ্য সরকারগুলি এড়াতে পারে না। ওদের ট্যাক্স কমিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া উচিত। অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা যাই থাক না কেন, তার সাত খুন মাপ। রাজ্যগুলি তাদের দায়িত্ব পালন করেনি, এখনও করছে না। ঠিকই তো! লকডাউন পর্বে যখন অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে হুইলচেয়ারে বসেছিল, তখন তো রাজ্য কিছুই করেনি! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আনলক পর্বের প্রথম দিন থেকে যেভাবে গ্রামীণ অর্থনীতির উপর জোর দিয়েছিলেন, তা আর এমন কী! ১০০ দিনের কাজের উপর জোর দিলে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ হবে। পাশাপাশি মানুষের হাতেও টাকা পৌঁছবে। এটাই ছিল তাঁর প্রাথমিক ভাবনা। এবং সফল ভাবনা। সেটাই করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য সব রাজ্য যখন এক পা এগলে করোনা আতঙ্কে দু’পা পিছিয়ে যাচ্ছে, তখন একের পর এক সেক্টর ধীরে ধীরে খুলে দিয়েছিলেন তিনি। যতজন কর্মী উপস্থিত না থাকলেই নয়, ততটুকুরই অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু অর্থনীতিকে অপদার্থের মতো ঘরে বসিয়ে রাখেননি। সরকারি লেকচার মানলে, সেটাও তাহলে কিছুই নয়! এই ইস্যুতে তর্ক হওয়া উচিত। এখনই। কারণ, সামনে ভোট। বিজ্ঞ কিছু লোকজন মনে করতেই পারেন, ভোটের সঙ্গে এর সম্পর্ক কী? সম্পর্ক আছে... ‘ফুল কানেকশন হ্যায় বাবা’! মানুষ ভোট কী দেখে দেবে? উপায় দু’টি—কাজ অথবা প্রতিশ্রুতি। আসন্ন বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের প্রধান বিরোধী বিজেপি। অতিবৃদ্ধ বামেদের অকর্মণ্যতা, কংগ্রেসের গা ছাড়া ভাব এবং গেরুয়া শিবিরকে আচমকাই বেশি নম্বর দিতে শুরু করা তৃণমূল... এই তিনের মিশেলে বিজেপি বাংলার প্রধান বিরোধী আসনে জাঁকিয়ে বসেছে। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, সরকারে এলে এই করব, ওই করব। কিন্তু বাংলার এই ভোটে সত্যিই কি প্রতিশ্রুতি কোনও কাজে লাগবে? মানুষ যা বিচার করার করবে কাজের নিরিখে। তৃণমূলের কাজ মানুষ রাজ্যে দেখেছে, আর বিজেপিকে কেন্দ্রে। বিচার হবে তুল্যমূল্য। বিজেপির দণ্ডমুণ্ডের কর্তারা এই সহজ সত্যটাই ধরতে পারছেন না। গত লোকসভা ভোট ছিল দিল্লি দখলের লড়াই। শুধু বাংলার ১৮টি আসন কেন, গোটা দেশ নরেন্দ্র মোদির উপর ভরসা রেখেছিল। তারপরও দু’বছর হতে চলল... হাতে রইল কী? এবার সময় এসেছে তার হিসেব কষার। নোট বাতিল, জিএসটির অভিঘাত, কৃষি আইন... এই সবই না হয় মেগা ব্যাপার-স্যাপার। একটু হাতড়ালে দেখা যাবে, সাধারণ মানুষের হাতে টাকার জোগান কমেছে... ধীরে ধীরে, স্লো পয়জনিংয়ের মতো। মধ্যবিত্ত আজ ভাবতে বসেছে, তার স্টেটাসটা ঠিক কোথায়? নিম্ন মধ্যবিত্ত... নাকি নিম্নবিত্ত? উত্তর খুঁজতে খুঁজতেই আরও বেশ কয়েকটা প্রাণ আত্মহত্যার অন্ধকারে হারিয়ে যাবে। আরও কয়েকজন বেকার খিদের জ্বালা জুড়োতে না পেরে চুরি-ডাকাতির মতো পেশায় নাম লেখাবে। আর উচ্চবিত্তের সম্পদ বাড়বে। ভবিষ্যৎ কাল নয়, এই সবই বর্তমানের আঙিনায় ঢুকে পড়েছে। মানুষ এখন কি সত্যি আর ‘আচ্ছে দিনের’ স্বপ্ন দেখে? বোধহয় না। অন্তত সাম্প্রতিক বাজেটের পর তো তেমন স্বপ্ন আরও আসছে না। কর কাঠামোয় সুবিধা নেই, দেখা যাচ্ছে না মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের লক্ষণও। উপরন্তু রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রির জিগির মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া তো ছিলই, ভারত পেট্রলিয়াম, শিপিং কর্পোরেশন, আইডিবিআই ব্যাঙ্ক, কন্টেইনার কর্পোরেশন, নীলাচল ইস্পাত নিগম... এই সবই বিক্রির তালিকায় চলে এসেছে। পাশাপাশি সরকারি বিমা সংস্থায় বিদেশি বিনিয়োগের ছাড়পত্র ৭৪ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ে যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া এখনও প্রত্যেক ভারতীয়ের আস্থার জায়গা। ৫ হাজার টাকা মাসিক উপার্জন হলেও একজন নিম্নবিত্ত চেষ্টা করেন, একটা অন্তত এলআইসি করার। কিছু তো জমবে! আর এই টাকা মার যাবে না। এটাই বিশ্বাস। এবার সেই বিশ্বাসেও আঘাত আসছে। বেসরকারি বিমা কোম্পানিগুলি ভারতের বাজারে শত চেষ্টা সত্ত্বেও এত বছর খাপ খুলতে পারেনি শুধু এলআইসির জন্য। এবার সেই মার্কেট খুলে যাবে। আর সংস্কার নামক জুতোর তলায় দুরমুশ মানুষের ভরসা, নিরাপত্তা। 
মোদি সরকার বলবে, কেন বাজারে যে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ৫ লক্ষ ৫৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে! তার বেলা? এর মধ্যে গ্রামীণ অর্থনীতি এবং পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য দেওয়া হচ্ছে ২ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা। যা কি না পঞ্চায়েতের মাধ্যমে খরচ করা হবে। কিন্তু এই টাকা কোথা থেকে আসবে? মূলত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করে। আর কর্পোরেট কিছু সংস্থাকে পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতির খেলায়। পরিকাঠামো উন্নয়ন নিশ্চিতভাবে এই মুহূর্তে ভঙ্গুর অর্থনীতিকে বাঁচানোর প্রথম উপায়। কিন্তু তার জন্য দেশ না বেচলেও তো চলে! মনমোহন সিং দেশ বেচে দেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কিন্তু পরিকাঠামো উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি করে ফেলেছেন। তাঁর বাজেটের ফোকাস দু’টি—প্রথমত, রাস্তা-ঘাট, স্কুল, উড়ালপুল সহ পরিকাঠামো উন্নয়ন। এবং দ্বিতীয়ত, স্বনির্ভর প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষের হাতে টাকা পৌঁছে দেওয়া। এতে বাংলার অর্থনীতির কী লাভ হবে? ১) পরিকাঠামো উন্নয়নে প্রচুর সংখ্যক কর্মসংস্থান। তাতে অসংগঠিত ক্ষেত্রে অর্থের জোগান প্রচুর পরিমাণে বাড়বে। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ যেহেতু ইট এবং সিমেন্ট উৎপাদনে দেশের মধ্যে প্রথম সারিতে, তার ফলে নির্মাণ সেক্টরও মুনাফার মুখ দেখবে। তার প্রভাব সরাসরি পড়বে বাজারে। অর্থের জোগান হলে কেনাকাটা বাড়বে। বাজারে ভোগ্যপণ্য বা পরিষেবার চাহিদা তৈরি হবে। সেই মতো বাড়বে সরবরাহ। আনলক পর্বেও কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার জিএসটি সংগ্রহে বিপুল সহযোগিতা করেছে। ভোগ্যপণ্য, ফার্মা এবং হোসিয়ারি... এই তিনটি ক্ষেত্র থেকে গত কয়েক মাসে সবচেয়ে বেশি জিএসটি আদায় হয়েছে। যা সমৃদ্ধ করেছে কেন্দ্রের কোষাগারকেও। শুধু ভাঁওতা দিয়ে সরকার চলে না, দেশ চলে না। মনমোহন সিং তা বুঝিয়েছিলেন। গত ১০ বছরে বুঝিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তারপরও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হলদিয়ায় এসে দাবি করছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর জমানায় কোনও উন্নয়নই করেননি! তাঁর তাঁবেদাররাও এই প্রচারে তালি বাজাচ্ছে। কিন্তু মানুষ কী ভাবছে? তাঁর ঘরে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী আছে, সবুজ সাথীর সাইকেল আছে, তাঁর জেলায় সবচেয়ে বেশি জব কার্ড আছে, যুগ যুগের হা-পিত্যেশের পর বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ, পানীয় জলও আছে! আর আছে কর্মসংস্থানের দিশা। যা ফাঁপা নয়। 
বিচারক তাঁরাই। নাম তাঁদের ভোটার। কী পেয়েছেন, তার হিসেব তাঁরাই করবেন। নরেন্দ্র মোদির দাবি, বাংলা এবার তৃণমূলকে ‘লাল কার্ড’ দেখাবে। বাংলা ফুটবল বোঝে। বাঙালি জানে, ফাউল যে করে, লাল কার্ড তারই প্রাপ্য! তাহলে ফাউল কে করছে? উন্নয়ন না ভাঁওতা? উত্তর মিলবে ভোটযন্ত্রে।
09th  February, 2021
বিপ্লবের ত্রিপুরা,
মমতার বাংলা
মৃণালকান্তি দাস

সজাগ থাকুন, ত্রিপুরার মতো বঙ্গভোটেও চাকরির ‘টোপ’ আসবে। আসবে ‘সোনার বাংলা’ গড়ার প্রতিশ্রুতিও। আপনিই ঠিক করুন, বিপ্লব দেবের মতো কোনও ‘অযোগ্য’ বিজেপি নেতার হাতে নিজের জীবন সঁপে দেবেন কি না! বিশদ

12th  February, 2021
বিজেপির মুখে গণতন্ত্র আসলে
ভূতের মুখে রাম নাম

বিজেপি নেতারা প্রায়ই অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই। মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা নেই। মানুষের সামনে তুলে ধরেন জোর করে তৃণমূলের পঞ্চায়েত দখলের কথা। ক্ষমতা দখলের পর বিজেপি ত্রিপুরার পঞ্চায়েতের প্রায় ৯৫ শতাংশ আসনে কাউকে দাঁড়াতেই দেয়নি। বিজেপির বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতার রেকর্ড জ্বলজ্বল করছে। তাই অনেকের মতে, বিজেপির মুখে গণতন্ত্র আসলে ভূতের মুখে রাম নাম। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় গণতন্ত্রের হাঁসফাঁস অবস্থা। ‘বর্তমান’-এর সাংবাদিক তন্ময় মল্লিককে সেকথা শুনিয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। বিশদ

11th  February, 2021
নারীর ক্ষমতায়নই মমতার সবচেয়ে বড় সাফল্য
হারাধন চৌধুরী

মোদির পার্টি দুর্গা বাহিনী তৈরি করেছে। কিন্তু সেই নকল দশভুজাদের দশ হাতই শূন্য। মমতার রক্ত-মাংসের দ্বিভুজা কন্যাশ্রীদের এক হাতে শিক্ষা আর অন্য হাতে সুস্বাস্থ্য। একটা মানবজীবন সুন্দরভাবে পেরতে আর কোন অস্ত্রের প্রয়োজন?
বিশদ

10th  February, 2021
হৃদয়শূন্য একটা হিসেবি মাথার বাজেট
পি চিদম্বরম

গরিব মানুষ, পরিযায়ী শ্রমিক, দিনমজুর, ছোট চাষি, এমএসএমই-র মালিক, বেকার ব্যক্তি (তাঁর পরিবার) এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণি নিজেদের প্রতারিত ভেবেছেন। যেহেতু খবরের কাগজে তাঁদের এবং তাঁদের হয়ে কথা বলার লোকদের জায়গা হবে না, তাই যাবতীয় ক্ষোভ-হতাশার কথা তাঁরা উগরে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিশদ

08th  February, 2021
সোনার বাংলা গড়বে এরা!
হিমাংশু সিংহ

যাঁরা মিথ্যে স্বপ্ন ফেরি করে পশ্চিমবঙ্গকে নিজেদের স্বার্থে নরকের পথে ঠেলে দেওয়ার বন্দোবস্ত পাকা করতে মরিয়া, বাংলার মানুষ তাঁদের কাছে হিসেব তো নিয়েই ছাড়বে। মানুষ মনে রাখবে, অত্যন্ত সীমিত আর্থিক ক্ষমতার মধ্যেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে জনমুখী, জনদরদি বাজেট উপহার দিলেন তার কথা। বিশদ

07th  February, 2021
রাজ্য বাজেট: আন্তরিক
উন্নয়নই পাখির চোখ
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

সামান্য কয়েক মাসের একটি ভোট অন অ্যাকাউন্ট নিয়ে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চর্চা। প্রশ্ন উঠল রাজ্যের বাজেটে এত যে প্রস্তাব দেওয়া হল তার টাকা আসবে কোথা থেকে? এই বাজেটের অর্থনৈতিক ভিত্তি কী? বিশদ

06th  February, 2021
নেতা ধরতে গিয়ে জনতা
‘বিসর্জন’ বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

কথায় আছে, যত গর্জে তত বর্ষে না। বিজেপির অবস্থা এখন অনেকটা তেমনই। বিজেপির নেতারা বঙ্গ জয় নিয়ে যতই তর্জন গর্জন করুন, যতই ২০০ আসনের কথা বলুন, বাস্তবের মাটি বড়ই রুক্ষ। সেটা তাঁরাও জানেন।
বিশদ

06th  February, 2021
পদ্মশ্রী ও দলবদল, দুটি
ভিন্ন দুনিয়ার কথা
সমৃদ্ধ দত্ত

দলবদল করা রাজনীতিকরা কাজকে নয়, প্ল্যাটফর্ম তথা দলকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। কারণ একটাই, তাঁদের একক শক্তিই নেই। তাঁরা জানেন, একা আমার কোনও মূল্য নেই। ক্ষমতাও নেই। মানুষ পাশে থাকবে কি না সেই আত্মবিশ্বাসই নেই। তা‌ই তাঁদের দল অথবা গোষ্ঠীর দরকার হয় ভেসে থাকার জন্য। বিশদ

05th  February, 2021
বিজেপির ‘ডবল ইঞ্জিনে’র প্রচার যে ফাঁদ, 
তা হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছেন ত্রিপুরাবাসী

‘চলো পাল্টাই’ স্লোগান তুলে ত্রিপুরায় বাম শাসনের শিকড় উপড়ে দিয়েছিল বিজেপি। বিজেপি শাসনে কেমন আছে ত্রিপুরা? বিজেপির ‘ডবল ইঞ্জিনে’র প্রচার যে একটা ফাঁদ, তা ত্রিপুরার মানুষকে বামেরা বোঝাতে পারেনি। সেই ফাঁদে পা দিয়ে ত্রিপুরাবাসী এখন কপাল চাপড়াচ্ছেন। ‘বর্তমান’ এর সাংবাদিক তন্ময় মল্লিকের কাছে অকপটে সে কথা জানিয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
বিশদ

04th  February, 2021
আমি ক্যাসাবিয়াঙ্কা কিংবা নবকুমার
মদন মিত্র

সেদিনও দেখেছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আমি ভয় করব না,  ভয় করব না’ রূপ। মৃত্যুভয়ে, নিজে বাঁচার জন্যে সবাইকে ছেড়ে পালাবার চেষ্টা তিনি করেননি। ভেসে ওঠার 
চেষ্টা করছেন। আর ভেসে উঠেছিলেন বলেই, বাংলার মানুষ বলল, তুমি মহাসমুদ্রে ভেসে উঠবে। এই জনসমুদ্রে তাই বারবার ভেসে উঠছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 
  বিশদ

04th  February, 2021
এবার ভোটের লড়াই
উন্নয়ন বনাম কুৎসার
সন্দীপন বিশ্বাস

মমতা ভোটের আগে পুরোপুরি অ্যাটাকিংয়ে। একের পর এক এক উন্নয়ন প্রকল্প দিয়ে ভেঙে ফেলছেন গেরুয়া বাহিনীর ডিফেন্স। বিজেপির আক্রমণের মুখে তাঁর অস্ত্র উন্নয়ন ও শান্তি। সেই উন্নয়ন সেই সব সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে, যাঁরা বিজেপির কাছে উপেক্ষিত। বিশদ

03rd  February, 2021
একনজরে
মঙ্গলকোটে অনুব্রত মণ্ডলের মহিলা সমাবেশে জনস্রোত বয়ে গেল। শুক্রবার বিকেলে ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত থেকে কাতারে কাতারে মহিলা মাথরুনের স্কুলমাঠে ভিড় করেন। ...

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। বারাসত শহরে তৈরি হল অত্যাধুনিক মানের ইন্ডোর স্টেডিয়াম। ৬৫ লক্ষ টাকায় শহরের কে এন সি রোডে এই স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়েছে। এখানে ...

বুধবার রাতে পুরাতন মালদহ ব্লক অফিসে ইঞ্জিনিয়ারকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তরা এখনও অধরা। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর দু’দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিস অভিযুক্তদের নাগাল পায়নি। ...

দ্বিতীয় সারির দল বার্নসলেকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে এফএ কাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছল চেলসি। বৃহস্পতিবার অ্যাওয়ে ম্যাচে একমাত্র গোলটি টমি আব্রাহামের। উল্লেখ্য, কোচ টমাস টুচেলের অধীনে টানা চতুর্থ ম্যাচে জয় পেল চেলসি।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যার বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব রেডিও দিবস
১৬০১ - ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সমুদ্র পথে ভারত আগমন
১৮৩২ - লন্ডনে প্রথম কলেরার প্রাদুর্ভাব
১৮৭৯: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও কবি সরোজিনী নাইডুর জন্ম
১৮৮২ - কলকাতায় প্রথম পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত।
১৯৩১ - ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে নয়াদিল্লিতে স্থানান্তর হয়
১৯৪৫: অভিনেতা বিনোদ মেহরার জন্ম
১৯৬০: ফ্রান্সের সফল পরমাণু পরীক্ষা
১৯৮৫: টেনিস খেলোয়াড় সোমদেব দেববর্মনের জন্ম 
২০১৫ - কেশব রেড্ডি, ভারতীয় চিকিৎসক ও লেখক



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭১.১৫ টাকা ৭৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ৯৮.০৩ টাকা ১০২.৭৭ টাকা
ইউরো ৮৬.১৬ টাকা ৯০.৩৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৮,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৮,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ ফাল্গুন ১৪২৭, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১। দ্বিতীয়া ৪৩/৪৮ রাত্রি ১২/৫৩। শতভিষা নক্ষত্র ২২/২৪ দিবা ৩/১১। সূর্যোদয় ৬/১৩/৪৫, সূর্যাস্ত ৫/২৮/১১। অমৃতযোগ দিবা ৯/৫৮ গতে ১২/৫৮ মধ্যে রাত্রি ৮/০ গতে ১০/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১২/১৬ গতে ১/৫৮ মধ্যে পুনঃ ২/৫০ গতে ৪/৩২ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৮ মধ্যে  পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৮ গতে উদয়াবধি।  
৩০ মাঘ ১৪২৭, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১। দ্বিতীয়া রাত্রি ১২/৪১। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ৩/১৭। সূর্যোদয় ৬/১৬, সূর্যাস্ত ৫/২৭। অমৃতযোগ দিবা ৯/৫২ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৪ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/১২ গতে ১/৫২ মধ্যে ও ২/৪১ গতে ৪/২১ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪০ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪০ মধ্যে ও ৪/৩ গতে ৫/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩ মধ্যে ও ৪/৪০ গতে ৬/১৬ মধ্যে । 
৩০ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রাজ্যে আগামী ২১ শে মোদি ও ১৮ ফেব্রুয়ারি অমিত শাহ
আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি ফের রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন ...বিশদ

09:26:38 PM

মাস্ক ছাড়াই গ্যালারিতে বহু দর্শক, করোনাবিধি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
ভারত-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্টে দর্শকদের মাঠে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কোভিডবিধি ...বিশদ

04:36:39 PM

মালদহে কালভার্টের কাছে যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার
মালদহের বলদা হুড়া এলাকার একটি নির্মীয়মাণ কালভার্টের কাছে মিলল এক ...বিশদ

04:22:23 PM

মুম্বইয়ের খার এলাকায় ৩৩ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ মাদক সহ গ্রেপ্তার ২ পাচারকারী 

04:18:00 PM

দ্বিতীয়বার বিয়ে  করছেন দিয়া মির্জা!
সামনেই ভ্যালেন্টাইনস ডে। ভালোবাসার মরশুম চলছে। এর মধ্যেই এল সুখবর। ...বিশদ

04:09:41 PM

দীঘায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১
দীঘা থেকে বাড়ি ফেরার পথে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ...বিশদ

04:00:30 PM