বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যার বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
অর্থমন্ত্রী শুক্রবার রাজ্যসভায় বাজেট প্রস্তাবের উপর আলোচনার পর জবাবি ভাষণে এই মন্তব্য করেন। এর আগে এই একই অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীও করেছেন। বস্তুত পশ্চিমবঙ্গে ভোটের আগে রাজনৈতিকভাবে তো বটেই, সরকারি স্তরেও কেন্দ্র বনাম রাজ্য তুমুল আক্রমণ ও প্রতি আক্রমণ শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, রেলমন্ত্রী সহ প্রায় গোটা মন্ত্রিসভা বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে টার্গেট করেছে। এই প্রবণতা এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে, বাজেট নিয়ে জবাবি ভাষণে অর্থমন্ত্রী সরাসরি পশ্চিমবঙ্গকেই নিশানা করেছেন। সংসদের বাইরে তৃণমূল সদস্যরা এই অভিযোগের জবাবে বলেছে, অর্থমন্ত্রীর উচিত ছিল এটাও উল্লেখ করা যে, রাজ্য সরকার কিষান সম্মান নিধি প্রকল্প চালু করেছে। রাজ্য সরকারের প্রাথমিক আপত্তি ছিল কিছু প্রক্রিয়াগত ত্রুটিকে কেন্দ্র করে। সেকথা জানিয়ে বারংবার কেন্দ্রকে চিঠি লেখাও হয়েছে। কিন্তু তারপর সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে এই প্রকল্পে। সেই তথ্যটি কিন্তু অর্থমন্ত্রী দিলেন না। প্রধানমন্ত্রীও দেননি।
তৃণমূলের অভিযোগ, কেন্দ্রের এই আক্রমণ যে আসলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সেটাই প্রমাণ হয়। প্রসঙ্গত সংসদীয় ব্যাপারেও পশ্চিমবঙ্গের ভোটের আগে কেন্দ্র বনাম রাজ্য বিবাদ তুঙ্গে উঠছে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্যসভায় জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অসহযোগিতার কারণেই অনুপ্রবেশ প্রতিরোধের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। পাল্টা তৃণমূল প্রশ্ন তুলেছে, অনুপ্রবেশ তো বন্ধ হয়ে যাবে বলেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মোদি সরকার। সীমান্ত রক্ষা করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাহলে কেন অনুপ্রবেশ বন্ধ হচ্ছে না?