যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
কোন শাড়িটা ষষ্ঠী সকাল, আর কোনটা বিকেল? সপ্তমী থেকে দশমী— পুরো প্ল্যান আগে থেকে করে না রাখলে চলে? পুজোর দিন এসে গেলে কোন ব্লাউজ, কোন গয়না, কোন জুতো মানানসই— হাজারো চিন্তায় তখন সব যেন তালগোল পাকিয়ে যায়। তাই চারূপমার পাতার ‘শারদ-সজ্জা’য় আমরা আপনাদের জন্য নানা সাজের ডালি সাজিয়ে দিচ্ছি। কীভাবে সাজবেন, কোন শাড়িটা কীভাবে পরলে মানাবে, দেখে নিন এখানে। এবারে রইল সন্ধ্যারাগ বুটিকের চারটি শাড়ি। নানা রূপে মায়ের কাছে পৌঁছতে আপনি তৈরি তো?
আমাদের মডেল ও অভিনেত্রী মধুরিমা বসাকের এমনিতে হালকা সাজ পছন্দ। যদিও পুজোর দিনের কথা মাথায় রেখে তাঁরও নজর থাকে ট্র্যাডিশনাল সাজের দিকেই। মধুরিমা বললেন, ‘সারা বছর সেভাবে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরার সুযোগ আর পাওয়া যায় কই? দুর্গাপুজো এমন একটা সময়, যখন শাড়ি ছাড়া আর কিছু ভাবাই যায় না।’ শাড়িতে কতটা স্বচ্ছন্দ তিনি? ‘স্কুলে চার বছর টানা শাড়ি পরেছি। তাহলেই বুঝুন কতটা স্বচ্ছন্দ! শাড়ি আমার কাছে ক্যাজুয়াল ওয়্যারের মধ্যে পড়ে। প্রথম ছবি ‘এক্স=প্রেম’-এও আমার পুরো লুক ছিল শাড়িতেই।’ পুজোর প্ল্যানে ক’টা শাড়ি থাকছে? ‘ষষ্ঠী অবধি তবু মানা যায় যে যা খুশি পরল। কিন্তু সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী দশমী— এই দিনগুলো সকাল-সন্ধে শাড়িময় আমার কাছে। নিজেকে দেখতেও ভালোবাসি শাড়িতেই। সুবিধার জন্য ডেনিম আর টি-শার্ট পরি হয়তো। কিন্তু একটা শাড়ি পরে ছোট্ট দুল আর টিপ পরলে মনে হয় বাঙালি মেয়েরা এক লহমায় স্পেশাল হয়ে যায়।’ এই শ্যুটে নেভি ব্লু দুপিয়ান শাড়িটি তাঁর মন ছুঁয়েছে। ঘন নীল বা গাঢ় যে কোনও শেড তাঁর প্রিয়, জানালেন তিনি। খুব ডার্ক শেড যদি না হয়, তাহলে একেবারে সাদার উপরে কিছু পছন্দ তাঁর। মধুরিমার স্টাইল-মন্ত্র— পুজো মানে চুটিয়ে শাড়ি। কী ভাবছেন? পুজোর দিনের সকালগুলোর হালকা শাড়ি এখনও বুঝি ভাবা হয়নি? এই বেলা প্ল্যান সেরে নিন চটপট।
‘সব ক’টি শাড়িই কিন্তু সাধ্যের মধ্যে’, সন্ধ্যারাগ বুটিকের তরফে দীপান্বিতা হাজারি জানালেন। ‘তবে খাণ্ডুয়া সিল্ক একটি বিশেষ শাড়ি, বুঝতেই পারছেন এর বিশেষত্ব সকলের নজর কাড়বে। তাই এই শাড়ির দাম তুলনামূলকভাবে একটু বেশি,’ বললেন তিনি। শারদোৎসবে শামিল হতে চিরন্তন সাজ বেছে নিতে কার না মন চায়? পুজোর জন্য পকেট না হয় একটু বেশিই হালকা হোক। আপনি কি আর রোজ রোজ এমন শাড়ি কেনেন?
স্টাইলিং: দীপান্বিতা হাজারি
ছবি: অশোক বণিক, প্রিয়তোষ সিংহ
শ্যুটিং লোকেশন: হাজারি বাড়ি, ৬ ও ৮ যতীন্দ্রমোহন অ্যাভিনিউ, কলকাতা ৬।
শাড়ি, ব্লাউজ ও জুয়েলারি: সন্ধ্যারাগ বুটিক, যোগাযোগ: ৯৮৩০০৩২৫৩৭
আরামবাগের তাঁতের উপরে স্ক্রিন প্রিন্ট, কালো ভেলভেট বর্ডার। সঙ্গে স্ক্রিন প্রিন্টেড ব্লাউজ। লাল-সাদায় ওড়িশার খাণ্ডুয়া সিল্ক। এই শাড়ি মূলত জগন্নাথদেব, সুভদ্রা ও বলরামকে রথের সময়ে পরানো হয়। সঙ্গে সম্বলপুরী ব্লাউজ। পশমিনা বেনারসি, সঙ্গে মানানসই ব্লাউজ। নেভি ব্লু দুপিয়ান সিল্ক, সিলভার মোটিফ। সঙ্গে ডিজাইনার ব্লাউজ।