Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মহাযুতির প্রচার: স্রেফ কৌশল, প্রাপ্তি শূন্য
পি চিদম্বরম

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত আমার নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘মহারাষ্ট্র ইজ দ্য প্রাইজ’। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির জোট মহাযুতি নিশ্চিতভাবেই সেই পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এই কথা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি ২৩০টিতে জয়ী হয়েছে।
চতুর বার্তা
মহাযুতির জয়ের মূল কারণ কী? এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। মনে হচ্ছে, এটি ‘লাডলি বহেনা যোজনা (এলবিওয়াই)’-র কামাল বলেই বেশিরভাগ মানুষ ধরে নিয়েছেন। সিন্ধে সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল, এই প্রকল্পে প্রত্যেক মহিলাকে প্রতিমাসে দেড় হাজার টাকা দেওয়া হবে। শর্ত হল—যে পরিবারের বার্ষিক আয় আড়াই লক্ষ টাকার কম, আবেদন গ্রাহ্য হবে কেবল তাদেরই। ওই টাকা গত ১ জুলাই থেকে বিতরণও শুরু হয়েছে। মহারাষ্ট্রে এই প্রকল্পে সুবিধাভোগীর সংখ্যা আড়াই কোটি। মহাযুতি আরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, তাদের ফের জেতালে পরবর্তী সরকার এই ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে প্রতিমাসে ২,১০০ টাকা করবে। এই প্রকল্পের প্রতি এবং ঘোষণায় মানুষ ব্যাপকভাবে সাড়া দিল কী কারণে? সেখানে কৃষিজীবীরা দুর্দশার মধ্যে রয়েছেন। বিশেষ করে গ্রামীণ মহিলাদের মধ্যে বেকারত্বের হার অত্যন্ত বেশি। গ্রামাঞ্চলে শ্রমিকের মজুরি বাড়েনি। এছাড়া মানুষ মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কায় কাহিল। এসব মিলিয়েই প্রকল্পটি ‘ক্লিক’ করেছে। তবে প্রকল্পটি মোটেও অভিনব কিছু নয়। মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক এবং তেলেঙ্গানায় বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলি টুকেই চালু করা হয়েছে মহারাষ্ট্রে। মহাযুতির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এমভিএ’রও প্রতিশ্রুতি ছিল যে তারা ক্ষমতা হাতে পেলে রাজ্যের প্রত্যেক গরিব মহিলাকে তিন হাজার টাকা দেবে। তাই তুলনামূলক বিচারে লাডলি বহেনা যোজনাকে এই নির্বাচনে ‘ডিটারমাইনিং ফ্যাক্টর’ মনে করার যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না।
আমার দৃষ্টিতে, মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে ‘নতুন’ ফ্যাক্টরটি ছিল ‘প্রতারণামূলক বার্তা’। আর সেটি বিলিয়েছিলেন সেখানকার ভোটদাতাদের কাছে নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ এবং আদিত্যনাথ নামক ত্রিমূর্তি। পরবর্তী পর্বে সেটাই দায়িত্বসহকারে ছড়িয়ে দিয়েছিল আরএসএসের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী।
তারা ‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়’ (আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলেই নিরাপদ থাকব) এবং ‘বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’ (বিভাজিত হলেই আমরা ধ্বংস হয়ে যাব) স্লোগান তৈরি করেছিল। এসব আপাত নিরপেক্ষ আহ্বান, আসলেই ছিল প্রতারণামূলক। এই আওয়াজ তোলা হয়েছিল একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের লোকদের উদ্দেশে। প্রচারে প্রায়ই ‘লাভ জিহাদ’ এবং ‘ভোট জিহাদ’ নিয়েও উত্তেজক ভাষণ দেওয়া হয়েছিল। প্রচারে ফিরে ফিরে এসেছিল ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ এবং ‘শহুরে নকশাল’-এর মতো পুরনো যুদ্ধজিগিরও। বার্তাগুলি প্রচারিত হয়েছিল যে সুচতুরভাবে এবং সুনির্দেশনায়। সেগুলি পরীক্ষায় তেমনি প্রাপ্য নম্বরও তুলে নিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের সময় বিষাক্ত তির নিক্ষেপের ছবিও আমার মনে পড়ে যাচ্ছিল, ‘যদি আপনার দুটি মহিষ থাকে, কংগ্রেস একটি কেড়ে নেবে। তোমার মঙ্গলসূত্র কেড়ে নেওয়া হবে এবং তা বিলিয়ে দেওয়া হবে তাকে যার একগাদা ছেলেপুলে হয়।’
 একটি মহা যুক্তি (কৌশল)
বার্তাগুলির ‘টার্গেট’ কোন সম্প্রদায় ছিল, তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। এমনকী, কোন সম্প্রদায়ের ভোট‍ চাইতে গিয়ে কোন সম্প্রদায়কে তথাকথিত ‘বিপদ’ বলে দেগে দেওয়া হয়েছিল কোনও সংশয় নেই তা নিয়েও। কলামিস্ট আর জগন্নাথন সাধারণভাবে বিজেপির প্রতি সহানুভূতিশীল। টাইমস অফ ইন্ডিয়া’য় একটি লেখায় তিনি স্বীকার করেছেন যে, এটি ‘হিন্দু ভোট এককাট্টা করার জন্য একটি মোক্ষম স্লোগান’ ছিল। নতুন স্লোগানগুলি, এবছর বিজয়াদশমীতে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত যে ভাষণ দিয়েছিলেন তার কথাই মনে পড়ায়। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘বিশ্বব্যাপী হিন্দু সম্প্রদায়ের এই কথাটি মনে রাখা জরুরি যে, অসংগঠিত এবং দুর্বল হওয়ার অর্থ অত্যাচার করার জন্য দুষ্টদের আহ্বান করা।’ এই স্লোগান এবং ভাষণগুলি ছিল ঘৃণামূলক প্রচার এবং ‘বিভক্ত করে জয়ী হও’ ভোটকৌশলের অংশ। এগুলি বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার অপব্যবহার মাত্র। তাঁরা ভারতের সংবিধানের অমর্যাদা করেছেন। সংবিধানের ১৫, ১৬, ২৫, ২৬, ২৮(২), ২৮(৩), ২৯ ও ৩০ অনুচ্ছেদকে পদদলিত করেছেন তাঁরা। এই প্রচারটি ছিল ‘মহাযুতি’র (গ্র্যান্ড অ্যালায়েন্স বা মহাজোট) তৈরি জাদু করে ফেলার মতোই একটি মহাযুক্তি (গ্র্যান্ড স্ট্র্যাটেজি বা মহা কৌশল, ট্রিক)।
প্রতিটি দেশেই সংখ্যালঘু শ্রেণির মানুষের বসবাস আছে। সংখ্যালঘুত্ব নানারকম হতে পারে: ধর্মীয়, ভাষাগত, জাতিগত (এথনিক অথবা রেসিয়াল)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে কালো মানুষ এবং ল্যাটিনো। উইঘুর সম্প্রদায় রয়েছে চীনে। পাকিস্তানে আছে শিয়া সম্প্রদায়। পাকিস্তান ও বাংলাদেশে হিন্দু আছে। শ্রীলঙ্কায় রয়েছে তামিল ও মুসলমান। অস্ট্রেলিয়ায় আদিবাসীরা রয়েছে। ইজরায়েলে আছে আরব জনগণ। ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে ইহুদি এবং রোমা লোকেজন রয়েছে। জাতীয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য ইউরোপের কাউন্সিল ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন, ১৯৯৮ গ্রহণ করেছে। এর উদ্দেশ্য জাতীয় সংখ্যালঘুদের সংস্কৃতি এবং পরিচয়ের সংরক্ষণ ও বিকাশ। মূল আইনগুলির মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিক অধিকার আইন, ১৯৬৪ এবং অস্ট্রেলিয়ায় আদিবাসীদের অধিকার রক্ষার জন্য একগুচ্ছ আইন। দূরদৃষ্টির অধিকারী ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকর এই দেশের সংখ্যালঘু শ্রেণিগুলির অধিকারকে ভারতের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত মৌলিক অধিকারেই উন্নীত করেছিলেন।
ভণ্ডামি
ভারতীয়রা এবং ভারত সরকার একসঙ্গে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের হিন্দুদের অধিকারের বিষয়ে আবেগপ্রবণ এবং তা নিয়ে সোচ্চারও। ভারতীয় বংশোদ্ভব ছাত্ররা কোনও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়রানির শিকার কিংবা খুন হলে আমরা উদ্বিগ্ন হই। বিদেশে হিন্দু মন্দির বা শিখ গুরুদ্বার ধ্বংসের খবর পেলে আমরা ক্ষোভে ফেটে পড়ি। কিন্তু যখন অন্য কোনও দেশ বা মানবাধিকার সংস্থা এদেশের সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণ নিয়ে ভারতের দিকে প্রশ্ন উত্থাপন করে তখন আমাদের বিদেশ মন্ত্রক তাদের সতর্ক করে দিয়ে বলে যে, ‘আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে আসবেন না।’ অতএব ভণ্ডামিটা স্পষ্ট।
জঘন্য ভাষণ ও কাজকর্ম দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশ একজন হিন্দু সন্ন্যাসীকে গ্রেপ্তার করেছে এবং ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে শোরগোল চলছে। এর প্রেক্ষিতে এক ভারতীয় মহামূর্খ দাবি তুলেছে, ‘মুসলিমদের ভোটাধিকার খারিজ করা হোক।’ (সূত্র: নিউইন্ডিয়াএক্সপ্রেসডটকম) গণতন্ত্রে এই দুটির কোনোটাই গ্রহণযোগ্য নয়।
যদি এনডিএ তাদের ‘বিভাজন ঘটাও এবং জেতো’ নীতির খেলা চালিয়ে যায় তবে সংখ্যালঘুর ইস্যুটি ভারতকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াবে। এটা ইংরেজদের সেই জঘন্য খেলা ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’-এর থেকে আলাদা কিছু নয়।
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
02nd  December, 2024
বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তান কেন এত তৎপর?
মৃণালকান্তি দাস

বাংলাদেশ ‘বিছরা হুয়া’ ভাই! কথাটা বলেছিলেন, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ইসহাক দার। ‘বিছরা হুয়া’-র অর্থ, হারিয়ে যাওয়া। ২ জানুয়ারি ইসলামাবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই পাক মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব উপায়ে সহযোগিতা করবে পাকিস্তান। বিশদ

ভারত-আমেরিকা একসঙ্গেই যাবতীয় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে
এরিক গারসেটি

সেই কিশোর বয়সে প্রথম পা রাখি ভারতে। তখন তো ধারণাও করতে পারিনি যে কীভাবে এই দেশ একদিন আমার গোটা হৃদয়টাই গ্রাস করে নেবে। তাই মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মেয়াদ শেষের সময় আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি— ভারতের কাছ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা, শিক্ষা, এবং ভালোবাসার জন্য। বিশদ

গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

15th  January, 2025
‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
একনজরে
বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্গু পান্ডের বাড়ি সংক্রান্ত মামলায় ফের অর্জুন সিংকে তলব করল বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ। মঙ্গলবার প্রাক্তন সাংসদকে নোটিস ধরানো হয়েছে। ...

আউশগ্রামের যদুগড়িয়া গ্রামে ছোট দুই মেয়ের সামনেই শাবল দিয়ে মেরে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন করে স্বামী। এমনকী, দু’দিন ধরে স্ত্রীর দেহ কাপড় ও প্লাস্টিক দিয়ে জড়িয়ে ...

চারদিন পরই ছিল বিয়ে। কিন্তু তার আগে মধ্যপ্রদেশে নিজের বাবার হাতেই খুন ২০ বছরের তরুণী। তাও আবার পুলিসের সামনে। মাত্র কুড়ি বছর বয়সেই  পরিবারের সম্মান রক্ষার বলি হতে হল তানু গুর্জর নামে ওই তরুণীকে। ...

বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘একের বিরুদ্ধে এক’ প্রার্থী—ইন্ডিয়া জোট তৈরির সময়েই স্পষ্টভাবে এই ফর্মুলা জানিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সূত্রে তিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে যে রাজ্যে যে দল শক্তিশালী, তাকে সমর্থন দিক বাকিরা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

স্ত্রীর  শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে হঠাৎ সমস্যায় মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৬১- ফরাসিদের কাছ থেকে পণ্ডিচেরির দখল নিল ব্রিটিশরা
১৭৬৮- কলকাতায় প্রথম ঘোড়া দৌড় শুরু হয়
১৯০১- ভাষাতাত্ত্বিক ও সাহিত্য বিশারদ সুকুমার সেনের জন্ম
১৯১০- বিপ্লবী রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের জন্ম
১৯২২- কুমিল্লায় কবি কাজী নজরুল ইসলাম গ্রেপ্তার হন
১৯২৪-  বিশিষ্ট আইনজ্ঞ রাজা প্যারীমোহন মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু 
১৯২৪-  বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক ওপি নাইয়ারের জন্ম
১৯৩১- ভারতে প্রথম এবং পৃথিবীর দ্বিতীয় নল-জাত শিশু দুর্গার সৃষ্টিকর্তা হিসেবে স্বীকৃত ভারতীয় চিকিৎসক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৩৮- কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৪০- অভিনেতা চিন্ময় রায়ের জন্ম
১৯৪১- সুভাষচন্দ্র বসুর মহানিষ্ক্রমণ
১৯৪৫- অ্যাডলফ হিটলার ব্যাঙ্কারে অবস্থান গ্রহণ করেন
১৯৪৬- অভিনেতা কবির বেদির জন্ম
১৯৭৭- অভিনেত্রী অনন্যা চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
২০২২- বাংলা থিয়েটার ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শাঁওলি মিত্রর মৃত্যু
২০২২- কিংবদন্তি কত্থক শিল্পী পণ্ডিত বিরজু মহারাজের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৫৩ টাকা ৮৭.২৭ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৬৪ টাকা ১০৭.৩২ টাকা
ইউরো ৮৭.৩১ টাকা ৯০.৬৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২ মাঘ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫। তৃতীয়া ৫৪/২০ রাত্রি ৪/৭। অশ্লেষা নক্ষত্র ১২/১৫ দিবা ১১/১৭। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৯/৪০। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৫ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১০/৪১ গতে ১২/৫০ মধ্যে। বারবেলা ২/২৭ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪৭ গতে ১/২৫ মধ্যে। 
২ মাঘ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫। তৃতীয়া শেষরাত্রি ৪/৩৩। অশ্লেষা নক্ষত্র দিবা ১২/১৩। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৯। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৭ গতে ৩/৪২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ১০/৪৩ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। কালবেলা ২/২৮ গতে ৫/৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪৭ গতে ১/২৭ মধ্যে।   
১৫ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দিল্লি নির্বাচন: চতুর্থ তালিকা প্রকাশ করল কংগ্রেস, রয়েছে ৫ জন প্রার্থীর নাম

15-01-2025 - 11:56:00 PM

পাঞ্জিপাড়ায় পুলিস কর্মীদের গুলির ঘটনায়, অকুস্থলে এল স্নিফার ডগ
পুলিস কর্মীদের গুলি করে বিচারাধীন বন্দি পালানোর ঘটনায় উত্তর দিনাজপুরের ...বিশদ

15-01-2025 - 11:13:00 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: রাতে আলোয় সেজে উঠল প্রয়াগরাজ

15-01-2025 - 10:55:00 PM

কটোয়ায় বাড়িতে চুরির ঘটনায় কালনা থেকে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত মহিলা, উদ্ধার টাকা ও গয়না

15-01-2025 - 10:44:00 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: মেলায় এলেন কাঁটেওয়ালে বাবা

15-01-2025 - 10:18:00 PM

কর্ণাটকের মুলকি এলাকা থেকে বিপুল মাদক উদ্ধার করল পুলিস

15-01-2025 - 10:06:00 PM