যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
ইতিমধ্যেই ২ লক্ষ ৮০ হাজার বাড়িতে গিয়ে প্রশাসনের তৈরি টিম সমীক্ষার কাজ করে এসেছে। আর সমীক্ষার পরেই জানা গিয়েছে, মোট সমীক্ষা হওয়া আবেদনকারীর ১২ শতাংশ নাম বাদ পড়েছে। অর্থাৎ, ৩৩ হাজারের বেশি নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। সমীক্ষক দলের সদস্যরা জমির কাগজপত্র সহ বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখছেন। বেশকিছু আবেদন হোল্ডে রাখা হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, সাতদিনের মাথায় কোচবিহারে সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে ৭২ শতাংশ। আবাস নিয়ে জেলাজুড়ে সমীক্ষা চলার পাশাপাশি উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা সুপার চেকিংয়ে যাচ্ছেন। ৫০ হাজারের বেশি আবেদনকারীর বাড়িতে সুপার চেকিং ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে।
কোচবিহারের অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) সৌমেন দত্ত মঙ্গলবার বলেন, জেলায় আবাস যোজনার সমীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩ লক্ষ ৯১ হাজার। এদিন পর্যন্ত প্রায় তিন লক্ষ বাড়িতে সমীক্ষা হয়ে গিয়েছে। সেই সমীক্ষার পর দেখা গিয়েছে, ১২ শতাংশ নাম বাদ পড়েছে। ৭২ শতাংশের বেশি সমীক্ষার কাজ আমরা শেষ করে ফেলেছি। নির্বাচনী আচরণবিধি উঠে যাওয়ার পর ২৫ নভেম্বর থেকে সমীক্ষা শুরু করা হয়েছিল। আগামী ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সমীক্ষা চলবে। সুপার চেকিংও চলছে। যাঁরা অযোগ্য তাঁদের সকলের নাম বাদ যাবে। নতুন করে কারও নাম উঠবে না।
কোচবিহার জেলায় আবাস যোজনার সমীক্ষার কাজ শুরু হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত বেশকিছু জায়গায় সার্ভে টিমকে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। বিক্ষোভ, ধাক্কাধাক্কি, রাস্তা অবরোধ প্রভৃতিকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল কয়েক জায়গায়। কিন্তু প্রশাসন সেই পরিস্থিতি সামাল দিয়ে সমীক্ষার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সমীক্ষা শেষ হলে সেই তালিকা গ্রাম সংসদে তোলা হবে। সেখান থেকে অনুমোদিত হলে ব্লক হয়ে তা পৌঁছবে জেলায়। ১৫ ডিসেম্বরের পর সেই তালিকা রাজ্যে পাঠানো হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি ডিসেম্বর মাসেই প্রকৃত উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে অর্থ।