Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

শরিকি মেহফিলে এবার মুজরো কার?
হিমাংশু সিংহ

নরেন্দ্র মোদি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেয়েছেন, এটা এখন সারা বিশ্বের জানা। চোখ ধাঁধানো মন্দির গড়েও উত্তরপ্রদেশে বিপর্যস্ত হয়েছেন, তাও অজানা নয়। কিন্তু যেটা আজানা, তা হচ্ছে জোট সরকারে দ্রুত রং বদলে ফেলা শরিকদের মেহফিলে ‘বিশ্বগুরু’র ‘মুজরো’টা শুরু হতে কতটা সময় লাগবে? মঞ্চ প্রস্তুত। আজ সন্ধ্যার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের গাম্ভীর্য, তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার গৌরবকে দুয়ো দিয়েই শুরু হয়ে যাবে দরকষাকষির নির্মম পুতুলনাচ! তাঁর ভাষায় ‘মুজরো’। একমাস, দু’মাস, ... ১৩ মাস। ভোটপ্রচারে ইন্ডিয়া জোটকে ওই শ্লেষ মেশানো ইতর শব্দবন্ধেই কটাক্ষ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যতই প্রচার এগিয়েছে তিনি টের পাচ্ছিলেন গনগনে আঁচেও ভাত সেদ্ধ হচ্ছে না কিছুতেই। ৪০০ আসন, গগনভেদী উন্নয়নের ডঙ্কা থামিয়ে ততই বেপরোয়া ঘৃণা আর বিদ্বেষের একতরফা মার্কেটিং চালিয়ে গিয়েছেন প্রাণপণে। ধর্ম, জিরাফ ও জাতপাত নিয়ে সর্বনাশা গেরুয়া খেলা খেলেও শেষরক্ষা হয়নি। ২১ এপ্রিল রাজস্থানে তাঁর ‘কংগ্রেস এলে মঙ্গলসূত্রটাও বাঁচবে না’, শুনে চমকে উঠেছিলেন ভক্তরাও। ফল বেরতে দেখা গেল, মঙ্গলসূত্র সুরক্ষিতই আছে, শুধু একক গরিষ্ঠতার রক্ষাকবচটা হারিয়ে তিনিই বিপন্ন! মোদিজির মতো অতল বিদ্বেষ বুকে নিয়ে সংখ্যার জোরে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হলেও কি আদর্শ রাষ্ট্রনেতা হওয়া যায় ভারতের মতো বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের দেশে? মেরুকরণের দমবন্ধ পরিবেশে ঈশ্বর, আল্লা, মানুষ কেউ নিশ্বাস নিতে পারে? ভাগ্যের এমনই পরিহাস, ৫০০ বছর পর তাঁর কৃপায় ঘর পাওয়া ভগবান রামলালা সেই গিরগিটি শরিকদের মধ্যিখানেই কঠিন ভারসাম্যের খেলায় নামালেন তাঁকে। যেন অস্ফুটে মুচকি হাসলেন নবতিপর অশক্ত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। স্বস্তি পেল বাজপেয়ি-আদবানির আমল থেকে সবাইকে নিয়ে চলার ব্রতে অনড় পুরনো বিজেপির গুমরে মরা অন্তরাত্মাও।
গত রবিবার লিখেছিলাম ৪ জুন সব উত্তর মিলিয়ে নেওয়ার পালা—৪০০ পার, না ২০০ পেরিয়েই ফুলস্টপ? শেষ পর্যন্ত গরিষ্ঠতার থেকে ৩২ আসন দূরে থেমে গেল গেরুয়া দৌড়। এক্সিট পোল নয়, কোনও ড্রইংরুমের বানানো ন্যারেটিভ নয়, নয় টিভি চ্যানেলের সান্ধ্য মজলিশের হেলে থাকা একপেশে নির্যাস। নিখাদ জনতার স্পষ্ট  জবাব। স্যাম্পেল সাইজ পুচকে দশ-বিশ লাখ নয়, শামিল এবারের ৬৪ কোটি ভোট দেবতার সবাই (তালিকাভুক্ত ৩২ কোটি মানুষ নির্বাচনে অংশ নেননি)। ফল ঘোষণা করেছে অ্যাক্সিস কিংবা সি-ভোটার নয়, নয় কোনও ভাঁওতাবাজ পোলস্টার, স্বয়ং দেশের নির্বাচন কমিশন। সেই ঐতিহাসিক জবাব একদিকে যেমন বাংলায় মমতার নিরঙ্কুশ আধিপত্যকে প্রতিষ্ঠা করেছে, যার ধাক্কায় খড়কুটোর মতোই উড়ে গিয়েছে বাংলার বিরোধীরা। একদম একুশের বিধানসভার রিপ্লে। তেমনই জাতীয় স্তরে একদলীয় শাসনকে ছেঁটে দিয়ে ফের জোট সরকারের পক্ষেই রায় দিয়েছে জনতা জনার্দন। ভারত মাতার বিপন্ন আত্মার অসহায়তা, সংবিধানের কাঠামোগত বদলের ষড়যন্ত্র কিংবা ভোট রাজনীতিকে চিরতরে বিদায় দিয়ে ব্যক্তিশাসন প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে সেই জরুরি অবস্থার সময় থেকেই মানুষ সোচ্চার। সেই অভিঘাতেই এক দশকের মোদি সরকার মেদ ঝরিয়ে বদলে যাচ্ছে একদা আস্তাকুঁড়ে ছুড়ে ফেলা এনডিএতে। গত দশ বছর, যাঁর দাপটে জোটের নিয়মিত বৈঠক দূর, খোদ বিজেপির শীর্ষস্থানীয় দু’-চারজন বাদ দিলে কারও কথারই কোনও গুরুত্ব ছিল না, তাঁকেই এবার হিসেব ফিরিয়ে দেওয়ার পালা। গাদকারি, রাজনাথ, বসুন্ধরারা এতদিন ছিলেন দর্শকমাত্র! নোট বাতিলের কথা ক’জন জানতেন? বহু গুরুত্বপূর্ণ বিল এসেছে, যার কথা সংসদে ঢুকেই জানতে পেরেছেন দলেরই সাংসদরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তা পাশও হয়ে গিয়েছে। একনায়কতন্ত্র যখন আষ্টেপৃষ্ঠে চেপে বসে তখন সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার রেওয়াজ রাতারাতি উবে যায়, বরং সিদ্ধান্তে পৌঁছে তা এলেবেলে পাঁচজনকে জানিয়ে দেওয়াটাই হয়ে ওঠে অঘোষিত আইন। মোদির ঔদ্ধত্য ও দম্ভ বিজেপিকে কার্যত ওয়ান ম্যান পার্টিতে পরিণত করেছিল। সেই অন্ধকার কাটিয়ে ভোটের এই সাহসী পরিণাম দলেও একটা ভারসাম্য ফেরাতে সাহায্য করবে বলেই বুক বাঁধছেন বিক্ষুব্ধরা।  
নিজের নামে দেশ চালাতে চেয়েছিলেন মোদিজি। বিদেশের মাটিতে গুঞ্জরিত হবে একটাই ধ্রুবপদ, ‘ইটস মোদিজ কান্ট্রি’। দল, সরকার সব মিলেমিশে একাকার হয়ে দেশের দশের বিশ্বগুরু হয়েই থেকে যাবেন স্বাধীনতার শতবর্ষ ২০৪৭ সাল পর্যন্ত। এই ছিল তাঁর স্বপ্ন। বাকি সব অতীত, ইতিহাস মিছে, ঘোর লাগা কানাগলির মতো। তাই গত আড়াই মাসে 
বেকার যুবক-যুবতীদের রুটিরুজির দিশা না দিয়ে তিনি শুধু নিজের গুণকীর্তন করে গিয়েছেন দেশঘুরে ২০৬টি জনসভায়। গালভরা ‘গ্যারান্টি’ বিলিয়েছেন অকাতরে। সবার মুখ বন্ধ করতে দরকার ছিল ৪০০ আসন। এই সর্বনাশা খেলায় নেহরু থেকে গান্ধী, কাউকেই রেয়াত করেননি তিনি। নেহরুকে মোছার সব আয়োজন ছিল সারা। আর তিনি নিজমুখে বলেছেন, গান্ধীজিকে তো বিশ্ব চিনেছে সিনেমাটা বেরনোর পর! ভারতের মহান গণতন্ত্র বার বার প্রমাণ করেছে, ব্যক্তির চেয়ে দেশ বড়। একনায়কের চেয়ে গুরুত্ব 
বেশি সমষ্টির। তাই নেহরু যা পারেননি, ইন্দিরা যা করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন, সেই একই পরিণাম দেশ ফিরিয়ে দিল নরেন্দ্র মোদিকে। গত দশ বছরের একদলীয় সরকার পর্যবসিত হল বারো উঠানের এনডিএ জমানায়। 
দুই ‘পাল্টুরাম’ নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর কাঁধে ভর দিয়ে সংখ্যালঘু বিজেপির পক্ষে এই সরকার চালানো মোটেই সহজ হবে না। কারণ সকাল-সন্ধ্যা উঠতে-বসতে নীতীশ ও চন্দ্রবাবুর দাবি সনদ এবং লুকনো এজেন্ডা মাথা খারাপ করে দেবে বিজেপির। তাঁরা হুমকি দিয়ে যাবেন—শাঁসালো মন্ত্রক এবং বিহার ও অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য বিশেষ প্যাকেজ, বড় কেন্দ্রীয় প্রকল্প না দিতে পারলেই সমর্থন প্রত্যাহার। শপথ নেওয়ার আগেই দাবি উঠেছে—অগ্নিবীর প্রকল্প তুলে দিতে হবে এবং চালু করতে হবে জাতিগত সমীক্ষা। রাজনৈতিক মহলের সংগত আশঙ্কা, দাবি না মানলেই অনর্থ নিশ্চিত। অনাস্থা প্রস্তাব এবং শেষে আস্থাভোট। অর্থাৎ সরকারের প্রথম কাজ হবে নতুন বন্ধু খোঁজা। বলা বাহুল্য, অনেকদিন পর সেই পুরনো শব্দবন্ধগুলি ফিরছে সংসদীয় ব্যবস্থায়। ভুললে চলবে না, নীতীশ গত দশ বছরে কতবার শিবির বদল করেছেন, তা তাঁর নিজেরই সম্ভবত মনে নেই। যে ইন্ডিয়া জোট আজ বিরোধী আসনে তাঁরও অন্যতম স্থপতি তিনিই। বেশিদিনের পুরনো নয়, মাত্র এক বছর আগের কথা—একদম শুরুর আহ্বায়ক ছিলেন নীতীশ। আর চন্দ্রবাবু নাইডু তো আরও ভয়ঙ্কর—যে শ্বশুর এন টি রাম রাওয়ের হাত ধরে তাঁর উত্থান, পিছন থেকে তাঁকেও ছুরি মারতে হাত কাঁপেনি তাঁর! জেল থেকে ফিরেছেন কিছুদিন আগে, এখন গুলি-খাওয়া বাঘ। মাত্র চারটি আসন জেতা চিরাগ পাসোয়ানও গুরুত্বপূর্ণ ক্যাবিনেট পদমর্যাদাসহ একাধিক মন্ত্রক দাবি করেছেন। স্বভাবতই এই সরকারকে পাঁচ বছর টিকিয়ে রাখাই এখন মোদি-শাহের প্রথম চ্যালেঞ্জ। তারপর অন্য এজেন্ডা।  সেইসব বাধা কাটিয়ে এক দেশ এক নির্বাচন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি এবং হিন্দুরাষ্ট্র গড়ার বাসনা সম্ভবত এযাত্রায় অধরাই থেকে যাবে। সেই ‘আমি আমি’ করা গুজরাতি সন্তানকে সরকার বাঁচাতে এবং দলের স্বার্থে এবার কট্টর হিন্দুত্ব ও সঙ্ঘের পথ ছেড়ে জোটধর্ম শিখতে হবে। পদে পদে সমঝোতা করেই এগতে হবে তাঁকে। এখন নীতীশ, চন্দ্রবাবুর বিরুদ্ধে ইডি লাগান দেখি! দিল্লিতে অমিত শাহ ও অনুগত গুজরাতি আমলাদের একতরফা মস্তানির দিন শেষ।
ভারত কোনওদিনই এত ঘৃণা চায় না। তারা শান্তি ও সহাবস্থান চায়। এটাই তাদের ডিএনএ। মন্দিরে তারা ভগবানের নাম করতে যায়, দমন-পীড়নের জন্য নয়। ‘জয় শ্রীরাম’ হুঙ্কার দিয়ে কাউকে ভয় দেখানো কিংবা নিজের ক্ষমতা জাহির ধর্মীয় অস্ত্র হতে পারে না। প্রমাণ হয়ে গেল, মন্দির দিয়ে ভোট জেতা যায় না। না-হলে ২২ জানুয়ারির রামমন্দিরের উদ্বোধনের ভক্তিস্রোত তো ভাসিয়ে নিয়ে যেত উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন। কিন্তু মানুষ জবাবে বলল, এটা রামকে শ্রদ্ধা জানানোর পথ নয়। ৫০০ বছর পর ভগবান ঘর পেলেন ঠিকই কিন্তু গোটা প্রক্রিয়ায় কোথাও ভয়ঙ্কর ভুল ছিল। মন্দিরকে ছাপিয়ে আড়াল থেকে যদি কোনও ব্যক্তি মাথা তুলতে চান তাহলে অলক্ষ্যে সর্বশক্তিমান হাসেন। তাই ফৈজাবাদে উচিত শিক্ষাই পেয়েছে বিজেপি। খোদ রামমন্দিরের লোকসভা কেন্দ্রেই গেরুয়া শক্তির পরাজয় সেই ঔদ্ধত্যেরই জবাব বইকি। মোদিজিও সম্ভবত ভাবছেন—কুড়িবার তামিলনাড়ু আর কেরলে না গিয়ে সেই এনার্জিটা যদি উত্তরপ্রদেশে ব্যয় করতেন, যদি অমিত শাহরে বাড়বাড়ন্তে যোগীজি হতোদ্যম হয়ে পিছন থেকে সুতোটা না টানতেন! ক্ষমতার দম্ভে পাগল হয়ে মহারাষ্ট্র রাজনীতিকে এতটা ঘেঁটে ফেলার খুব প্রয়োজন ছিল কি? আসলে ক্ষমতা এমনই এক বিষম বস্তু যে সহজেই মাথায় চড়ে বসে। তখন আর ভারসাম্য কাজ করে না। ৪০০ পারের স্বপ্ন অথচ উপেক্ষিত থেকে গিয়েছে যোগীরাজ্যই। সেই ছিদ্র দিয়ে ঢুকেই সাপ কেটেছে লখিন্দরকে! এখন ধাক্কা খাওয়ার পর দু’শো যদি আর কিন্তুর ভিড়ে যেন আসল কারণটা হারিয়ে না যায়। তাহলে আরও বিপদ অপেক্ষা করছে।
ভারতের ইতিহাসে বারে বারে শক হূন দল পাঠান মোগল আক্রমণ শানিয়েছে। কিন্তু ভারতাত্মা সব প্রতিকূলতাকে সহ্য করে জয়ী হয়েছে। এবারও দেশের এই ক্রান্তিকালে তার কোনও ইতরবিশেষ হল না। মোদিজি ভারতের সনাতন ভ্রাতৃত্ব, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সবাইকে আপন করে নিয়ে চলার পথ থেকে বাঁক নেওয়ার যে দুঃস্বপ্ন মনে ধরেছিলেন তা ধুলোয় গড়াগড়ি খেল। জয় হল ভারতীয়ত্বের, জয় হল মহান সংবিধান ও গণতন্ত্রের। ব্যক্তি এখানে তুচ্ছ। এটাই চব্বিশের নির্বাচনের শিক্ষা।
09th  June, 2024
‘সপাং সপাং’ শব্দে চলছে সঙ্ঘের চাবুক
সন্দীপন বিশ্বাস

 

লোকসভা নির্বাচনে মোক্ষম জবাব পেয়ে বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হইচই বাধানোর চেষ্টা করছেন, তখন তাঁদের আচ্ছা করে ধুনে দিয়েছে আরএসএস।
বিশদ

দুর্নীতি? মেধার স্বার্থে নীতিটাই বা কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বৃহত্তর নয়ডার নিমকা গ্রামের কৃষক পরিবার। আয় খুব বেশি নয়। চলে যাওয়ার মতো বললেই হয়। তাই পড়াশোনা করলেও চাষের কাজে হাত লাগাতেই হতো ছেলেদের। মেজো ছেলেটি মায়ের সঙ্গে যখন খেতে নামত, তখনও তার বুকে আগলে রাখা খানকতক বই।
বিশদ

25th  June, 2024
সংসদে বিরোধীদের সামনে দুর্লভ সুযোগ
পি চিদম্বরম

ষোড়শ এবং সপ্তদশ লোকসভায় শক্তিশালী সংসদীয় বিরোধী বলে কিছু ছিল না। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সেই অভাব পূরণ করেছে। ২০১৪ ও ২০১৯—পূর্ববর্তী পর পর দুটি নির্বাচনে কংগ্রেস যথাক্রমে মাত্র ৪৪টি ও ৫২টি আসনে জিতেছিল। বিশদ

24th  June, 2024
পরীক্ষা দুর্নীতির মাথা খুঁজে বের করুন মোদিজি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জোড়া দুর্নীতির দায় কার? প্রধানমন্ত্রীও কি এর নৈতিক দায়িত্ব এড়াতে পারেন? ইডি, সিবিআই, আয়কর, ছোটবড় সব কেন্দ্রীয় এজেন্সি যুদ্ধে ঝাঁপাতে প্রস্তুত তো! কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, তাঁর মন্ত্রকের তাবৎ অফিসারকুল থেকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) পদস্থ কর্তারা, রাজ্যে রাজ্যে শাসক দলের কেষ্টবিষ্টুরা সবাই আতসকাচের তলায়। বিশদ

23rd  June, 2024
মিথ্যে ফানুস ওড়ানোতেই ক্ষতি বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

রাখালের গোরুর পালে বাঘ পড়ার গল্পটা মনে আছে? রাখাল মাঠে গোরু চরাতে গিয়ে অন্যদের ঠকিয়ে মজা নেওয়ার জন্য বাঘ, বাঘ বলে চিৎকার করত। তারপর একদিন সত্যি সত্যিই গোরুর পালে বাঘ হানা দিল। রাখাল তখন প্রাণভয়ে চিৎকার করলেও কেউ এল না। বিশদ

22nd  June, 2024
জুটির লড়াই: মোদি-শাহ বনাম রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
সমৃদ্ধ দত্ত

নেহরু-প্যাটেল থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। বাজপেয়ি-আদবানি থেকে মোদি-শাহ। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম চিত্তাকর্ষক প্রবণতা হল একটি করে রাজনৈতিক জুটির আবির্ভাব হওয়া এবং তাঁদের একজোট হয়ে দেশ পরিচালনা অথবা রাজনীতিকে প্রভাবিত করা।
বিশদ

21st  June, 2024
মোদির চ্যালেঞ্জ এখন ত্রিমুখী!
মৃণালকান্তি দাস

জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভার শেষ দিকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। নেহরু তাঁকে একবার অসমে পাঠাতে চাইলেন। সফরের সবকিছু বুঝে নিয়ে শাস্ত্রী নেহরুর রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। নেহরুর হঠাৎ খেয়াল হল, অসমে তো এখন হাড় কাঁপানো শীত।
বিশদ

20th  June, 2024
বাংলা দখলের গেরুয়া স্বপ্ন, লক্ষ্য অতীত
হারাধন চৌধুরী

সমস্যা ভিতর থেকে বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে সাতচল্লিশে। স্বাধীনতার লড়াইয়ে পূর্ববঙ্গের মানুষের ভূমিকা দেশের বাকি অংশের তুলনায় কম ছিল না। সকলেই লড়াই করেছিলেন স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন নিয়ে। সে-বছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের মধ্য রাত্রি তাঁদের সেই স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছিল।
বিশদ

19th  June, 2024
মোদির ভোট-দিদির ভোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ব্রাজিলের ওয়ার্কার্স পার্টি পোর্তো আলেগ্রেতে ক্ষমতায় আসে ১৯৯০ সালে। তখন শহরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষই ঝুপড়িবাসী। রাস্তা নেই, জল নেই। বিদ্যুৎ বলে একটা বস্তু আছে বটে, কিন্তু তার সংযোগ নেই। বাড়িতে শৌচাগার বা নিকাশি ব্যবস্থাও নেই। পোর্তো আলেগ্রের অধিকাংশই নিরক্ষর।
বিশদ

18th  June, 2024
প্রত্যাখ্যাত নীতিতেই ফের আস্থা মোদির
পি চিদম্বরম

গত ৯ জুন যে নতুন সরকার শপথ নিল, তার গল্পটি অল্প কয়েকটি শব্দে বেঁধে ফেলা যেতে পারে: মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে, কিন্তু নরেন্দ্র মোদি বেছে নিয়েছেন তাঁর ধারাবাহিকতা। 
বিশদ

17th  June, 2024
সরকার গড়েও মুষড়ে কেন বিজেপি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জয়, টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার অতুল কীর্তি, তবু বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এত ডিফেন্সিভ কেন? শপথ নিয়েও শাসকের অন্দরে উল্লাস নেই, স্বতঃস্ফূর্ত হাসিটুকুও উধাও, উপর থেকে নিচুস্তর পর্যন্ত সবাই ব্যস্ত আত্মরক্ষায়। বিশদ

16th  June, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিছক ভোটব্যাঙ্ক নয়
তন্ময় মল্লিক

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি শুধুই ভোটব্যাঙ্ক? লোকসভা ভোটে বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপির অনেক নেতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ‘ঢাল’ করে ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। তাঁরা এমন ভাব করছেন যেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই বিজেপির বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে। বিশদ

15th  June, 2024
একনজরে
ফিজিক্যাল এডুকেশন অব ইন্ডিয়া পরিচালিত তৃতীয় সর্বভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল প্রতিযোগিতায় মঙ্গলবারের খেলায় গুজরাতকে বড় ব্যবধানে হারাল বাংলা। ম্যাচটি তারা ৫-০ গোলে জেতে। ...

ভিন রাজ্যে পালানোর আগেই মঙ্গলবার সকালে হাওড়া স্টেশন থেকে বেঙ্গল এসটিএফের হাতে গ্রেপ্তার ‘শাহাদত’ জঙ্গি সংগঠনের সেকেন্ড ইন কমান্ড বলে পরিচিত হারেজ শেখ। ...

মুখ্যমন্ত্রীর তোপের পরই তড়িঘড়ি বৈঠক। শহরে বেআইনি নির্মাণ বন্ধ, রাস্তাঘাট থেকে ফুটপাত জবরদখলমুক্ত করতে উদ্যোগী হল দুবরাজপুর পুরসভা। কাল বৃহস্পতিবার থেকে এনিয়ে অভিযানে নামছে পুর কর্তৃপক্ষ।  ...

পাঁচ বছর পর অবশেষে মুক্তি। মার্কিন আদালতে দোষ স্বীকার করতে রাজি হয়েছেন। এই শর্ত অনুসারেই ব্রিটিশ কারাগার থেকে ছাড়া পেলেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস
আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস

১২৮৪- কিংবদন্তি হ্যামিলন এর বাঁশুরিয়া ১৩০ জন শিশুকে নিয়ে হারিয়ে যান
১৮১৯- বাই সাইকেল এর পেটেন্ট করা হয়
১৮৩৮- সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৭৩- ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী গওহর জানের জন্ম
১৮৮৭-  কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের জন্ম
১৮৯৬- আমেরিকায় প্রথম সিনেমা হল চালু হয়
১৯৩৪- ব্যবহারিক হেলিকপ্টার ফক উল্ফ এফ ডাব্লিউ ৬১ প্রথমবার আকাশে ওড়ে
১৯৩৭-  বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক যোগীন্দ্রনাথ সরকারের মৃত্যু
১৯৬৮- ইতালির ফুটবলার পাওলো মালদিনির জন্ম
১৯৭৪- প্রথমবার বারকোড ব্যবহার করে কোনও খুচরা পণ্য বিক্রয় হয়, পণ্যটি ছিল চিবানোর গাম
১৯৭৭- এলভিস প্রিসলি শেষ কনসার্ট করেন
১৯৭৯- কিংবদন্তি বক্সার মহম্মদ আলি অবসর গ্রহণ করেন
১৯৮৫- বলিউড অভিনেতা অর্জুন কাপুরের জন্ম
১৯৯১- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রায় ৪০০ পৃষ্ঠার পান্ডুলিপি লন্ডনে নিলামে উঠলে ভারত সরকার ২৬,৬০০ পাউন্ড দামে তা কিনে নেয়
১৯৯২- অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীর জন্ম
২০০৫-  ক্রিকেটার একনাথ সোলকারের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৭ টাকা ৮৪.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৩১ টাকা ১০৭.৭৮ টাকা
ইউরো ৮৮.১৪ টাকা ৯১.২৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ আষাঢ়, ১৪৩১, বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪। পঞ্চমী ৩৯/৫৫ রাত্রি ৮/৫৬। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ২০/১৮ দিবা ১/৫। সূর্যোদয় ৪/৫৭/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২০/৪৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ গতে ১১/১১ মধ্যে পুনঃ ১/৫২ গতে ৫/২৭ মধ্যে। রাত্রি ৯/৫৩ মধ্যে পুনঃ ১২/০ গতে ১/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৯ গতে ৯/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৯ গতে ১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৯ গতে ৩/৩৮ মধ্যে।   
১১ আষাঢ়, ১৪৩১, বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪। পঞ্চমী রাত্রি ১০/৫২। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ৩/২৬। সূর্যোদয় ৪/৫৭, সূর্যাস্ত ৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪২ গতে ১১/১৫ মধ্যে ও ১/৫৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৫ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ১/২৯ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৮ গতে ৯/৫৯ মধ্যে ও ১১/৪০ গতে ১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৮ গতে ৩/৩৮ মধ্যে। 
১৯ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মহিলা যাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ, ধৃত ক্যাব চালক
মহিলা যাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ। অ্যাপ ক্যাবের এসি চালানো নিয়ে চালক-যাত্রী ...বিশদ

08:32:59 AM

মহিলা রেশন ডিলারকে জুতোর মালা পরাল জনতা
চারমাস ধরে রেশনের খাদ্যসামগ্রী বণ্টনে অনিয়ম চলছে। সেই অভিযোগে এক ...বিশদ

08:30:00 AM

শুক্রবার শুরু অমরনাথ যাত্রা, উপত্যকাজুড়ে কড়া নিরাপত্তা
অমরনাথ যাত্রা শুরুর আগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করল জম্মু ও ...বিশদ

08:20:00 AM

আমেরিকায় শুটআউট: মৃত ৫, আত্মহত্যা অভিযুক্তের
ফের আমেরিকায় শুটআউট। লাস ভেগাসের শুটআউটে মৃত ৫, আত্মহত্যা করেছে ...বিশদ

08:19:08 AM

ইতিহাসে আজকের দিনে
আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস ১২৮৪- কিংবদন্তি হ্যামিলন এর বাঁশুরিয়া ১৩০ ...বিশদ

08:13:42 AM

আপনার আজকের দিনটি
মেষ: হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। বৃষ: কৃষিজ দ্রব্যের বা সুগন্ধি কেনাবেচায় দিনটি ...বিশদ

08:03:59 AM