Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জুটির লড়াই: মোদি-শাহ বনাম রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
সমৃদ্ধ দত্ত

নেহরু-প্যাটেল থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। বাজপেয়ি-আদবানি থেকে মোদি-শাহ। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম চিত্তাকর্ষক প্রবণতা হল একটি করে রাজনৈতিক জুটির আবির্ভাব হওয়া এবং তাঁদের একজোট হয়ে দেশ পরিচালনা অথবা রাজনীতিকে প্রভাবিত করা।  স্বাধীনতার পর থেকে বিগত ৭৭ বছরে বারংবার দেখা গিয়েছে এরকম নানাবিধ রাজনৈতিক যুগলবন্দি। 
যাঁদের নাম বলা হল, তাঁদের পাশাপাশি ভারতে একাধিকবার ইতিবাচক এবং নেতিবাচক অভিঘাত নিয়ে এসেছে আরও কয়েকটি রাজনৈতিক জুটি। সবথেকে বিপজ্জনক জুটি কয়েক বছরের জন্য দেখা দিয়েছিল সাতের দশকে। ইন্দিরা গান্ধী-সঞ্জয় গান্ধী। তাঁরা আদৌ প্রথম থেকে রাজনৈতিক জুটি ছিলেন না। কিন্তু ১৯৭৪ সালের পর থেকে অন্ধ মাতৃস্নেহে ইন্দিরা গান্ধী সঞ্জয় গান্ধীকে অতিরিক্ত প্রশ্রয়ে অতি অধিকার দিয়ে ফেলায় তার পরিণাম পরবর্তী রাজনৈতিক জীবনে ভোগ করেছেন। এই জুটি ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত যা যা করেছেন অথবা করার চেষ্টা করেছেন, সেগুলির মধ্যে যেমন বহু ভালো উদ্দেশ্য ছিল, তেমনই আবার ভারতের ভাগ্য বদলে দিয়ে স্থায়ীভাবে স্বৈরতন্ত্র কায়েমের প্ল্যানও নেওয়া হয়েছিল। অন্যতম উদারহণ হল, জরুরি অবস্থা চলাকালীন একবার ১৯৭৬ সালের শেষার্ধে সঞ্জয় গান্ধী নিজের মাকে বলেছিলেন, এসব নির্বাচন টির্বাচন বাতিল করে দিতে। সংবিধান সংশোধন করে সংসদীয় ব্যবস্থা বন্ধ করে পার্লামেন্টকে সংবিধান সভায় পরিণত করা হোক। আর ইন্দিরা গান্ধী নিজেকে আজীবনের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে দিন। একটি রিপোর্টও তৈরি হয়েছিল। যে রিপোর্ট লিখেছিলেন এ আর আন্তুলে। কিন্তু ইন্দিরা গান্ধী শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে আসেন। এতটা বাড়াবাড়ি করতে চাননি। বরং কিছু এক অজ্ঞাত কারণে ১৯৭৬ সালের শেষ থেকেই তিনি নির্বাচনের একটা তোড়জোড় করছিলেন। কারণ, তাঁকে তাঁর অফিসাররা বলেছিলেন, দেশবাসী নাকি তাঁর কাজে সাংঘাতিক খুশি। অতএব ভোট হলে তিনি বিপুলভাবে জয়ী হবেন। অতএব বিরোধীদের জেল থেকে মুক্তি দেওয়া যেতে পারে। ১৯৭৭ সালের নির্বাচনে ভারতের গণতন্ত্রকে বিপদে ফেলার অপরাধে ভারতবাসী তাঁকে পরাস্ত করে। 
আবার জননেতা নয় কেউই, ব্যক্তিগত গ্ল্যামার অথবা ক্যারিশমায় দলকে জিতিয়ে দেবেন একাই, এরকম জনপ্রিয়তাও নেই কারও, তথাপি স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক জুটির নাম নরসিমা রাও-মনমোহন সিং। তাঁরা দুজনে ১৯৯১ সালে এমন একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন সংখ্যালঘু সরকার হয়েও। ভারতের অর্থনীতির দরজা খুলে দিয়েছিলেন উদারীকরণের হাওয়ায়। বস্তুত আজ আমরা আন্তর্জাতিকতা ও প্রযুক্তির যতরকম আধুনিক সুবিধা পাচ্ছি, তার জন্মদাতা মনমোহন সিং-নরসিমা রাওয়ের জুটি। 
১৯৪০ সালের জুলা‌ই মাসে বম্বে এসে জওহরলাল নেহরু কংগ্রেস কর্মীদের সম্মেলনে কঠোর ভাষায় বলেছিলেন, সর্দার প্যাটেলের বিরুদ্ধাচারণ আমি সহ্য করব না। সর্দারের সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করবেন আপনারা। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সাফল্য পেতে হলে ভারতের দরকার প্যাটেলের নেতৃত্ব। 
আবার তারও আগে ১৯৩৬ সালের আগস্টে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পর গান্ধীজিকে বল্লভভাই প্যাটেল চিঠি লিখে বলেছিলেন, এই যে ইস্তাহার তৈরি হয়েছে, সেটি সম্পূর্ণ জওহরলাল করেছেন। এটা এক বিশেষ কৃতিত্ব। ওয়ার্কিং কমিটির কাজটা জওহরলাল এমনই অসাধারণ করেছেন ঩যে, আমাদের কারও তাঁর আনা বিষয়গুলিকে মেনে নিয়ে একমত হতে বিন্দুমাত্র অসুবিধা হয়নি। 
দেশের ১৩ রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি চেয়েছিল প্যাটেল হন দলের সভাপতি। কিন্তু গান্ধীজি চেয়েছিলেন নেহরুকে। একদিকে মৌলানা আজাদকে প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করানো হল। আবার প্যাটেলকে সরে দাঁড়াতে হয়েছিল প্রায় গান্ধীজির প্ল্যানে। কেন? কারণ, প্যাটেল সভাপতি হওয়ার অর্থ অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান ও স্বাধীন ভারতের প্রধানমন্ত্রীও হবেন প্যাটেল। যা গান্ধীজি চাননি। তিনি চেয়েছিলেন নেহরুকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। প্যাটেলকে দেখতে চেয়েছিলেন দেশের সুরক্ষা সমন্বয় এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার সেনাপতি রূপে। প্যাটেল কি ক্ষুণ্ণ হননি? নিশ্চয়ই হয়েছেন। কিন্তু মেনে নিয়েছেন বাপুর ইচ্ছা। জওহরলালের প্রতিও তাঁর ভালোবাসা ও মিত্রতা সামান্য কমেনি। 
বাজপেয়ি ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির উদার নীতির মুখ। আর আদবানি ছিলেন কট্টরপন্থী আরএসএস, জনসঙ্ঘ, বিজেপির আদি অকৃত্রিম এজেন্ডা প্রতিষ্ঠাকারী। বহু বার তাঁদের মধ্যে নীতি নির্ধারণ নিয়ে মতান্তর হয়েছে। কিন্তু সম্পর্ক তিক্ত হয়নি। সর্বশেষ যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল, সেটি ছিল ২০০২ সালে। গুজরাত দাঙ্গার দায় মাথায় নিয়ে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করুন। প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ির মনোবাসনা ছিল এরকমই। কিন্তু গুজরাতের সেই মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ বন্ধু ছিলেন অরুণ জেটলি। আর আদবানি ছিলেন রাজনৈতিক গুরু। দিল্লি থেকে আমেদাবাদ যাওয়ার পথে  জেটলি আদবানিকে বুঝিয়েছিলেন যে, এভাবে নরেন্দ্র মোদিকে পদত্যাগ করতে বলা হলে বিরোধীরা অনেক বেশি সুবিধা পেয়ে যাবে। আর হঠাৎ গুজরাতে একটা শূন্যতা তৈরি হবে। তাই এটা সঠিক হবে না। আদবানিও এতটা কঠোর হতে চাননি। কিন্তু বাজপেয়ি এই নরম মনোভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছিলেন। তবু বাজপেয়ি ও আদবানির পারস্পরিক সম্পর্কে মালিন্য আসেনি। 
২০০২ সাল থেকে গুজরাত দেখেছে, ২০১৪ সাল থেকে ভারত দেখছে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের জুটির কার্যকলাপ। দেশ পরিচালনায় তাঁদের নীতি নির্ধারণ এবং সিদ্ধান্ত কার্যকর করার প্রক্রিয়ায় কেউ খুশি, কেউ ক্রুদ্ধ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই জুটির মধ্যে কোনও বিভেদ আসেনি। সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ হল, তাঁদের কোনও চ্যালেঞ্জারই ছিল না ১০ বছরে। বিরোধীরা ছিল ছত্রভঙ্গ। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাই তাঁদের বারংবার রুখে দিয়েছেন। নবীনবাবু ছিলেন ওড়িশায়। তাঁর প্রতিরোধ এবার ভেঙে পড়ল। সবথেকে বেহাল দশা কংগ্রেসের। 
দেশবাসীর একাংশ ধরেই নিচ্ছিল যে, বিজেপির ‘কংগ্রেস মুক্ত ভারত’ স্লোগান এবার হয়তো কিছু বছরের মধ্যেই বাস্তবায়িত হয়ে যাবে। অতি আত্মবিশ্বাস কখনও ঔদ্ধত্যের জন্ম দেয়। তৃণমূলস্তরে কাজ করে আসা নরেন্দ্র মোদি কীভাবে এই দম্ভ ও দর্পের ফাঁদে পড়লেন, সেটা এক রহস্য। তিনি যে তার ফলাফল পেলেন এবারের লোকসভা ভোটে, সেটা বিশেষ প্রণিধানযোগ্য হলেও তার থেকেও অনেক বৃহৎ এক রাজনৈতিক নব ইতিহাসের জন্ম হতে চলেছে। সেটি হল, অপরাজেয় মোদি-শাহ জুটির চ্যালেঞ্জার হিসেবে ২০২৪ সালে আবির্ভূত হয়েছে আর একটি জুটি। রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। 
যে রাহুল গান্ধীকে পাপ্পু বলে অভিহিত করে হাসিঠাট্টা করে এসেছে বিজেপি নেতাকর্মীরা, আজ তিনি আচমকা কঠোর পরিশ্রমের আশাতীত সাফল্য পেলেন। ৪ হাজার কিলোমিটার পদযাত্রা। ভারতসফর। ব্যঙ্গবিদ্রুপ সহ্য করেও দাঁতে দাঁত চেপে মাটি আঁকড়ে পড়ে থেকেছেন। রাহুল গান্ধীকে দেখে যে শিক্ষাটি প্রতিটি ভারতবাসীর আত্মস্থ করা দরকার, সেটি হল, শতবার পরাস্ত হয়ে, অসংখ্য ব্যর্থতার শিকার হয়ে, চরম ব্যঙ্গ আর সমালোচনায় বিদ্ধ হলেও ফোকাস থেকে সরে না আসা। এবং ময়দান ছেড়ে না পালানো। অর্থাৎ পরিশ্রমের বিকল্প নেই। 
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী দেশজুড়ে প্রচার করেছেন। কিন্তু তাঁর পাখির চোখ ছিল একটিই। আমেথি জয় করে আবার গান্ধী পরিবারের হৃতসম্মান ফিরিয়ে আনা। ২০১৯ সালে আমেথিতে রাহুল গান্ধী পরাস্ত হন স্মৃতি ইরানির কাছে। তারপর থেকে বহু অপমান অসম্মান সহ্য করেছে গান্ধী পরিবার বিজেপির কাছে। এবার একজন সাধারণ কংগ্রেস নেতাকে আমেথি থেকে জিতিয়ে এনে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রাহুল গান্ধীরা মধুর প্রতিশোধ নিলেন। উত্তরপ্রদেশের ফুরসৎগঞ্জ থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরের আমেথির গ্রামে  তাঁর প্রচার সভা দেখতে গিয়ে মে মাসে অবিস্মরণীয় দৃশ্যের সাক্ষী হয়েছিলাম উত্তরপ্রদেশের অসহনীয় তাপপ্রবাহের মধ্যে। জগদীশপুর পঞ্চায়েত থেকে আসা দেহাতি মহিলারা প্রিয়াঙ্কার হাত ধরে কেঁদে ফেলে বলেছিলেন, ইন্দিরাজিকে আবার দেখতে পেলাম তোমার মধ্যে। ইন্দিরাজিকে প্রধানমন্ত্রী দেখেছি। মরার আগে তোমাকেও দেখতে চাই! 
নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের সবথেকে বড় সমস্যা হল তাঁদের তূণে আর বেশি অস্ত্র নেই। সিংহভাগ ব্যবহার করা হয়ে গিয়েছে এবারের লোকসভা ভোটে। ধর্ম, এজেন্সি, জনকল্যাণ, হিন্দু মুসলমান। একসঙ্গে এত অস্ত্র থাকা সত্ত্বেও তাঁরা প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন বহু রাজ্যে। আবার পক্ষান্তরে কংগ্রেস তথা রাহুল-প্রিয়াঙ্কার উত্থানে একটা নতুন আকর্ষণের জন্ম হয়েছে। সর্বোপরি মোদিকে যে হারানো যায়, মোদি যে দুর্বল হতে পারেন, মোদি যে গরিষ্ঠতাহীন সরকার চালাতে বাধ্য হতে পারেন, এসবই আজ থেকে এক মাস আগে ভাবাই যেত না। চোখের সামনে এখন কিন্তু সেই সবই ঘটছে। অতএব লক্ষণীয়, মোদি-শাহের ইমেজ অনেকটাই দুর্বল তথা নিম্নগামী হয়েছে। আর রাহুল-প্রিয়াঙ্কার ইমেজ ঊর্ধ্বগামী হয়েছে। মোদি-শাহের সব ফর্মুলা ফ্লপ করেছে। রাহুল-প্রিয়াঙ্কার ফর্মুলা সাফল্য পেয়েছে। 
কেরলের ওয়েনাড় থেকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী লোকসভার উপ নির্বাচনে জিতে এলে এই রাজনৈতিক যুগলবন্দি আরও শক্তিশালী হবে। পার্লামেন্টের মধ্যে একদিকে মোদি-শাহ। আর তাঁদের ঠিক উল্টোদিকে বিরোধী আসনে বসে আছেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। সরকারে মোদি-শাহ। বিরোধিতায় রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। এই গোটা দৃশ্যাবলী এক নতুন টানটান রাজনৈতিক ইতিহাসের অধ্যায় নির্মাণ করবে। জুটি বনাম জুটি। 
যে গান্ধী পরিবারের রাজনৈতিক সন্ন্যাস ও নির্বাসনই ছিল মোদি ও শাহের প্রধানতম উচ্চাভিলাষ, আজ সেই গান্ধী পরিবারের নবতম দুই সদস্য, রাজনৈতিক যুগলবন্দি হিসেবে মোদি ও শাহের কেরিয়ারে সবথেকে বড় ধাক্কা দিয়েছেন। আগামী পাঁচ বছর মোদি-শাহ দুর্বলতর চ্যাম্পিয়ন। আর রাহুল-প্রিয়াঙ্কা শক্তিশালী চ্যালেঞ্জার। এরকম চূড়ান্ত আকর্ষণীয় রাজনৈতিক সংগ্রামের সাক্ষী বহু বছর ভারত হয়নি। 
21st  June, 2024
রাষ্ট্রসঙ্ঘ এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’
মৃণালকান্তি দাস

পারসনা নন গ্রাটা! ঘোষণা করেছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইসরায়েল কাটৎসের। বলেছেন, ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেসের ইজরায়েলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যে ব্যক্তি ইজরায়েলে ইরানের ঘৃণ্য হামলার দ্ব্যর্থহীন সমালোচনা করতে পারবেন না, তিনি ইজরায়েলের মাটিতে পা রাখতে পারবেন না।’  বিশদ

‘পণবন্দি’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের জমানা সামনে থেকে দেখলে কি রবি ঠাকুর এই শব্দগুলো একটু অদল বদল করে নিতেন? যেমন, প্রার্থনার বদলে ডিমান্ড? কিংবা মন্থনের জায়গায় ব্ল্যাকমেল? উত্তর পাওয়া যাবে না। কারণ, তিনি নিজে ছাড়া তাঁর সৃষ্টি রিক্রিয়েট করার ক্ষমতা কারও নেই। বিশদ

22nd  October, 2024
২১ অক্টোবর, নেতাজির আজাদ হিন্দ আজও সমান প্রাসঙ্গিক
জয়ন্ত চৌধুরী

 

২১ অক্টোবর। ভারতীয় উপমহাদেশে মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল তারিখ। ১৯৪৩ সালে ওইদিনে নেতাজি পরাধীন অখণ্ড ভারতকে স্বাধীন করতে সিঙ্গাপুরের মাটিতে অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করলেন।
বিশদ

21st  October, 2024
বলেন ভাগবত, শোনেন ভক্তজন
পি চিদম্বরম

মোহন ভাগবতের সময়জ্ঞানটি অদ্ভুত রকমের ভালো। তিনি খুব কমই কথা বলেন, কিন্তু তিনি কথা বলার জন্য যে দিন এবং উপলক্ষ বেছে নেন তা এককথায় অনবদ্য! তাঁর শব্দচয়নও দুর্দান্ত, যদিও আমি সেগুলি কেবল ইংরেজি অনুবাদেই পড়েছি।
বিশদ

21st  October, 2024
চক্রান্তকে হারিয়ে ভোটে ‘বিচার’ চায় বাংলা
হিমাংশু সিংহ

মেঘের আড়ালে নয়, এবার মুখোমুখি। আর জি কর কাণ্ড ছাপিয়ে আগামী এক মাস বঙ্গ রাজনীতি আন্দোলিত হতে চলেছে ৬ বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচন ঘিরে। প্রশ্ন করি, এত কুৎসা, অপপ্রচার, সরকারের বদনামের পরও বিরোধীরা ভোট বাড়াতে পারবেন তো? বিশদ

20th  October, 2024
‘থ্রেট সিন্ডিকেট’ কী, টের পেলেন কিঞ্জল
তন্ময় মল্লিক

অভয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যুক্তের সংখ্যা এক না একাধিক, এই প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যেই মিলেছে। সিবিআইয়ের প্রাথমিক চার্জশিটে একটা বিষয় পরিষ্কার, এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। বিশদ

19th  October, 2024
ক্ষুধা, বৈষম্য এবং সরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

যাদের সকালের জলখাবার, দুপুর আর রাতের খাবার নিশ্চিত, সারাদিনে একবারও ‘ওই খাবারগুলো আজ পাব তো?’—এরকম মনেই হয় না, তারা ঠিক বুঝতে পারবে না কেন এভাবে আসি আমরা! 
বিশদ

18th  October, 2024
এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে
মৃণালকান্তি দাস

বৈদিক যুগে তাঁর নাম ছিল শ্রী। তখনও তিনি ঐশ্বর্যের দেবীই ছিলেন। তবে সেখানে তিনি চিন্ময়ী দেবী হিসেবেই পুজো পেতেন, মৃন্ময়ী ছিলেন না। পুরাণের যুগে এসে অন্যান্য দেব-দেবীর মতো তিনিও মৃন্ময়ী হলেন। আমরা বিশ্বাস করি তাঁর কৃপাতেই আমাদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। বিশদ

17th  October, 2024
কোজাগরীর প্রার্থনা, বাঙালির লক্ষ্মীলাভ হোক
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সাধারণ মধ্যবিত্তদের লড়াই সঙ্কুল জীবনে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সেভাবে মেলে না। তবুও আমরা প্রতিদিনের খুদকুঁড়োর মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দটুকু অনুভব করি। মনে হয়, এটাই যেন মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ, নাহলে হয়তো এটুকুও পেতাম না। বিশদ

16th  October, 2024
অবিশ্বাসের শেষ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছেলে হওয়ার খবরটা কুবের মাঝিকে প্রথম দিয়েছিল নকুল দাস। স্তিমিত চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠেও হানা দিয়েছিল আশঙ্কা। পরক্ষণেই। বিরক্ত হয়ে কুবের মাঝি ঘরে ফেরার সঙ্গী গণেশকে বলেছিল, ‘পোলা দিয়া করুম কী? নিজেগোর খাওন জোটে না, পোলা!’ বিশদ

15th  October, 2024
উৎসবের মধ্যেই আনন্দলোকের খোঁজ
মৃণালকান্তি দাস

দুর্গাপূজার সমারোহ নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীতেই নানা কথা উঠেছিল। কথা উঠেছিল শহর কলকাতার হুজুগেপনা নিয়েও।  বিশদ

10th  October, 2024
বাধার মধ্যেই পুজো, হাতে জোড়া উপহার
হারাধন চৌধুরী

একদিকে যুদ্ধের দামামা, অন্যদিকে বানবন্যা। সঙ্গে দোসর কতিপয় মানুষের বিকৃতি—নারীর সুন্দর কোমল পবিত্র জীবনকে কলুষিত করার অপপ্রয়াস। ফলে চলছে লাগাতার প্রতিবাদ। দুষ্টের দমনে প্রশাসনও যেন নাজেহাল। সব মিলিয়ে মানুষ মোটে ভালো নেই। বিশদ

09th  October, 2024
একনজরে
প্রকৃতির সঙ্গে অসম লড়াইয়ে বারবার হার মেনেছে মানুষ! গঙ্গার ভাঙন মালদহের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে যাযাবর করছে বছরের পর বছর। মাথার ছাদ খুইয়ে কার্যত নিঃস্ব হয়ে ...

ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’-র খবরে আশঙ্কিত করিমপুরের চাষিরা। মাঠের ফসল রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। ভেঙে যাওয়ার ভয়ে জমিতে বাঁশের খুঁটি দিয়ে কলাগাছ কিংবা পটলের মাচা মজবুত রাখার চেষ্টা করছেন। এখন মাঠে কলাই, ধান, কলা, পটল, বেগুন, লঙ্কা সহ বিভিন্ন আনাজ রয়েছে। ...

শারদীয়া উৎসবে সর্বত্র বসেছিল অস্থায়ী দোকান। সকলে ভেবেছিলেন, পুজোর সময় সিঁথি সার্কাস ময়দান লাগোয়া বি টি রোডের ধারে যেমন বসে তেমনই হয়তো বসেছে দোকানগুলি। কিন্তু ...

গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুনকে হত্যার চেষ্টার তদন্ত নিয়ে ভারতের উপর চাপ বজায় রাখল আমেরিকা। বুধবার ওয়াশিংটন জানিয়েছে, ভারতের তদন্ত যথাযথ ভাবে হচ্ছে এটা না দেখা পর্যন্ত তারা সন্তুষ্ট হবে না। ভারতের বিরুদ্ধে মার্কিন মুলুকে খালিস্তানি জঙ্গি পান্নুনকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ করেছিল ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার/ ফাটকা প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থকড়ি উপার্জন বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্যবসায় দিনটি মোটামুটি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক পোলিও দিবস
১২৬০ - ফ্রান্সের রাজা নবম লুইসের উপস্থিতিতে চারট্রেসের গির্জা উৎসর্গ করা হয়। যেটি বর্তমানে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত
১৬০১: জ্যোতির্বিদ টাইকো ব্রাহের মৃত্যু হল প্রাগ শহরে
১৬০৫: মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গির আগ্রার সিংহাসনে বসেন
১৭৭৫: মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের জন্ম
১৮৫১:  কলকাতা ও ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে সংযোগের মাধ্যমে ভারতে প্রথম বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফ লাইন চালু
১৮৯৪: লেখক বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৩:  অভিনেতা, পরিচালক তথা নাট্যকার প্রমথেশ বড়ুয়ার জন্ম
১৯১৪: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও আজাদ হিন্দ ফৌজের নারী সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী লক্ষ্মী সেহগলের জন্ম
১৯২৯: নিউ ইয়র্ক শেয়ার বাজারে শুরু হল মহামন্দা। দিনটি ‘ব্ল্যাক থার্সডে’ নামে বিখ্যাত
১৯৩৬: সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৩৮: কারখানায় শিশুশ্রমিক নিষিদ্ধ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
১৯৫৪: স্বাধীনতা সংগ্রামী রফি আহমেদ কিদোয়াইয়ের মৃত্যু
১৯৮০: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী  কৌশিকী চক্রবর্তীর জন্ম
১৯৮১: ভারতীয় অভিনেত্রী মল্লিকা শেরাওয়াতের জন্ম
১৯৮৪: ভারতে চালু হল মেট্রোরেল, কলকাতার এসপ্ল্যানেড থেকে ভবানীপুর (নেতাজী ভবন)
১৯৮৫: ইংরেজ ফুটবলার ওয়েন রুনির জন্ম
২০০৮: "ব্লাডি ফ্রাইডে", এদিন বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধ্স নামে, শেয়ারবাজারের সূচক প্রায় ১০% পর্যন্ত নেমে যায়
২০১৩: সংগীত শিল্পী মান্না দে-র মৃত্যু
২০১৭: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী  গিরিজা দেবীর মৃত্যু
২০২২: ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৫ টাকা ৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৩৩ টাকা ১১১.১১ টাকা
ইউরো ৮৯.১৫ টাকা ৯২.৫৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,৩৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৯,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৯,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ কার্তিক, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪। অষ্টমী ৪৫/৪৫ রাত্রি ১/৫৯। পুনর্বসু নক্ষত্র ১/২৮ দিবা ৬/১৬। সূর্যোদয় ৫/৪০/৪৬, সূর্যাস্ত ৫/১/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/১১ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪৬ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২১ গতে ১২/৫৬ মধ্যে।  
৭ কার্তিক, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪। সপ্তমী প্রাতঃ ৬/৬। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ১১/৪০। সূর্যোদয় ৫/৪২, সূর্যাস্ত ৫/২। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৮ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৪ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৪২ মধ্যে। কালবেলা ২/১২ গতে ৫/২ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
২০ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পুলিস গাড়ি ও অটোর সংঘর্ষ, জখম ২
গৌরান্ডি থেকে আসানসোল আসার পথে লালগঞ্জ মোড়ে পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র ...বিশদ

10:45:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলায় জঙ্গি হামলায় জখম কমপক্ষে ৫ জওয়ান

10:16:21 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: পরিদর্শন সারছেন পুর প্রশাসক ও এসডিপিও
  হলদিয়া পুর এলাকায় নদী তীরবর্তী ওয়ার্ডে সন্ধে থেকে রাত পর্যন্ত ...বিশদ

09:52:00 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: ত্রাণ শিবিরে শিশুদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন মহিলারা
ঘূর্ণিঝড় ডানা আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার রাতে হলদিয়ার বিভিন্ন ওয়ার্ড ...বিশদ

09:35:00 PM

নবান্নর কন্ট্রোল রুমে বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান
নবান্নর কন্ট্রোল রুমে রয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান। কন্ট্রোল ...বিশদ

08:55:00 PM

প্রথম ওডিআই (মহিলা): নিউজিল্যান্ডকে ৫৯ রানে হারাল ভারত

08:54:00 PM