Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জুটির লড়াই: মোদি-শাহ বনাম রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
সমৃদ্ধ দত্ত

নেহরু-প্যাটেল থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। বাজপেয়ি-আদবানি থেকে মোদি-শাহ। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম চিত্তাকর্ষক প্রবণতা হল একটি করে রাজনৈতিক জুটির আবির্ভাব হওয়া এবং তাঁদের একজোট হয়ে দেশ পরিচালনা অথবা রাজনীতিকে প্রভাবিত করা।  স্বাধীনতার পর থেকে বিগত ৭৭ বছরে বারংবার দেখা গিয়েছে এরকম নানাবিধ রাজনৈতিক যুগলবন্দি। 
যাঁদের নাম বলা হল, তাঁদের পাশাপাশি ভারতে একাধিকবার ইতিবাচক এবং নেতিবাচক অভিঘাত নিয়ে এসেছে আরও কয়েকটি রাজনৈতিক জুটি। সবথেকে বিপজ্জনক জুটি কয়েক বছরের জন্য দেখা দিয়েছিল সাতের দশকে। ইন্দিরা গান্ধী-সঞ্জয় গান্ধী। তাঁরা আদৌ প্রথম থেকে রাজনৈতিক জুটি ছিলেন না। কিন্তু ১৯৭৪ সালের পর থেকে অন্ধ মাতৃস্নেহে ইন্দিরা গান্ধী সঞ্জয় গান্ধীকে অতিরিক্ত প্রশ্রয়ে অতি অধিকার দিয়ে ফেলায় তার পরিণাম পরবর্তী রাজনৈতিক জীবনে ভোগ করেছেন। এই জুটি ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত যা যা করেছেন অথবা করার চেষ্টা করেছেন, সেগুলির মধ্যে যেমন বহু ভালো উদ্দেশ্য ছিল, তেমনই আবার ভারতের ভাগ্য বদলে দিয়ে স্থায়ীভাবে স্বৈরতন্ত্র কায়েমের প্ল্যানও নেওয়া হয়েছিল। অন্যতম উদারহণ হল, জরুরি অবস্থা চলাকালীন একবার ১৯৭৬ সালের শেষার্ধে সঞ্জয় গান্ধী নিজের মাকে বলেছিলেন, এসব নির্বাচন টির্বাচন বাতিল করে দিতে। সংবিধান সংশোধন করে সংসদীয় ব্যবস্থা বন্ধ করে পার্লামেন্টকে সংবিধান সভায় পরিণত করা হোক। আর ইন্দিরা গান্ধী নিজেকে আজীবনের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে দিন। একটি রিপোর্টও তৈরি হয়েছিল। যে রিপোর্ট লিখেছিলেন এ আর আন্তুলে। কিন্তু ইন্দিরা গান্ধী শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে আসেন। এতটা বাড়াবাড়ি করতে চাননি। বরং কিছু এক অজ্ঞাত কারণে ১৯৭৬ সালের শেষ থেকেই তিনি নির্বাচনের একটা তোড়জোড় করছিলেন। কারণ, তাঁকে তাঁর অফিসাররা বলেছিলেন, দেশবাসী নাকি তাঁর কাজে সাংঘাতিক খুশি। অতএব ভোট হলে তিনি বিপুলভাবে জয়ী হবেন। অতএব বিরোধীদের জেল থেকে মুক্তি দেওয়া যেতে পারে। ১৯৭৭ সালের নির্বাচনে ভারতের গণতন্ত্রকে বিপদে ফেলার অপরাধে ভারতবাসী তাঁকে পরাস্ত করে। 
আবার জননেতা নয় কেউই, ব্যক্তিগত গ্ল্যামার অথবা ক্যারিশমায় দলকে জিতিয়ে দেবেন একাই, এরকম জনপ্রিয়তাও নেই কারও, তথাপি স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক জুটির নাম নরসিমা রাও-মনমোহন সিং। তাঁরা দুজনে ১৯৯১ সালে এমন একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন সংখ্যালঘু সরকার হয়েও। ভারতের অর্থনীতির দরজা খুলে দিয়েছিলেন উদারীকরণের হাওয়ায়। বস্তুত আজ আমরা আন্তর্জাতিকতা ও প্রযুক্তির যতরকম আধুনিক সুবিধা পাচ্ছি, তার জন্মদাতা মনমোহন সিং-নরসিমা রাওয়ের জুটি। 
১৯৪০ সালের জুলা‌ই মাসে বম্বে এসে জওহরলাল নেহরু কংগ্রেস কর্মীদের সম্মেলনে কঠোর ভাষায় বলেছিলেন, সর্দার প্যাটেলের বিরুদ্ধাচারণ আমি সহ্য করব না। সর্দারের সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করবেন আপনারা। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সাফল্য পেতে হলে ভারতের দরকার প্যাটেলের নেতৃত্ব। 
আবার তারও আগে ১৯৩৬ সালের আগস্টে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পর গান্ধীজিকে বল্লভভাই প্যাটেল চিঠি লিখে বলেছিলেন, এই যে ইস্তাহার তৈরি হয়েছে, সেটি সম্পূর্ণ জওহরলাল করেছেন। এটা এক বিশেষ কৃতিত্ব। ওয়ার্কিং কমিটির কাজটা জওহরলাল এমনই অসাধারণ করেছেন ঩যে, আমাদের কারও তাঁর আনা বিষয়গুলিকে মেনে নিয়ে একমত হতে বিন্দুমাত্র অসুবিধা হয়নি। 
দেশের ১৩ রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি চেয়েছিল প্যাটেল হন দলের সভাপতি। কিন্তু গান্ধীজি চেয়েছিলেন নেহরুকে। একদিকে মৌলানা আজাদকে প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করানো হল। আবার প্যাটেলকে সরে দাঁড়াতে হয়েছিল প্রায় গান্ধীজির প্ল্যানে। কেন? কারণ, প্যাটেল সভাপতি হওয়ার অর্থ অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান ও স্বাধীন ভারতের প্রধানমন্ত্রীও হবেন প্যাটেল। যা গান্ধীজি চাননি। তিনি চেয়েছিলেন নেহরুকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। প্যাটেলকে দেখতে চেয়েছিলেন দেশের সুরক্ষা সমন্বয় এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার সেনাপতি রূপে। প্যাটেল কি ক্ষুণ্ণ হননি? নিশ্চয়ই হয়েছেন। কিন্তু মেনে নিয়েছেন বাপুর ইচ্ছা। জওহরলালের প্রতিও তাঁর ভালোবাসা ও মিত্রতা সামান্য কমেনি। 
বাজপেয়ি ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির উদার নীতির মুখ। আর আদবানি ছিলেন কট্টরপন্থী আরএসএস, জনসঙ্ঘ, বিজেপির আদি অকৃত্রিম এজেন্ডা প্রতিষ্ঠাকারী। বহু বার তাঁদের মধ্যে নীতি নির্ধারণ নিয়ে মতান্তর হয়েছে। কিন্তু সম্পর্ক তিক্ত হয়নি। সর্বশেষ যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল, সেটি ছিল ২০০২ সালে। গুজরাত দাঙ্গার দায় মাথায় নিয়ে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করুন। প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ির মনোবাসনা ছিল এরকমই। কিন্তু গুজরাতের সেই মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ বন্ধু ছিলেন অরুণ জেটলি। আর আদবানি ছিলেন রাজনৈতিক গুরু। দিল্লি থেকে আমেদাবাদ যাওয়ার পথে  জেটলি আদবানিকে বুঝিয়েছিলেন যে, এভাবে নরেন্দ্র মোদিকে পদত্যাগ করতে বলা হলে বিরোধীরা অনেক বেশি সুবিধা পেয়ে যাবে। আর হঠাৎ গুজরাতে একটা শূন্যতা তৈরি হবে। তাই এটা সঠিক হবে না। আদবানিও এতটা কঠোর হতে চাননি। কিন্তু বাজপেয়ি এই নরম মনোভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছিলেন। তবু বাজপেয়ি ও আদবানির পারস্পরিক সম্পর্কে মালিন্য আসেনি। 
২০০২ সাল থেকে গুজরাত দেখেছে, ২০১৪ সাল থেকে ভারত দেখছে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের জুটির কার্যকলাপ। দেশ পরিচালনায় তাঁদের নীতি নির্ধারণ এবং সিদ্ধান্ত কার্যকর করার প্রক্রিয়ায় কেউ খুশি, কেউ ক্রুদ্ধ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই জুটির মধ্যে কোনও বিভেদ আসেনি। সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ হল, তাঁদের কোনও চ্যালেঞ্জারই ছিল না ১০ বছরে। বিরোধীরা ছিল ছত্রভঙ্গ। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাই তাঁদের বারংবার রুখে দিয়েছেন। নবীনবাবু ছিলেন ওড়িশায়। তাঁর প্রতিরোধ এবার ভেঙে পড়ল। সবথেকে বেহাল দশা কংগ্রেসের। 
দেশবাসীর একাংশ ধরেই নিচ্ছিল যে, বিজেপির ‘কংগ্রেস মুক্ত ভারত’ স্লোগান এবার হয়তো কিছু বছরের মধ্যেই বাস্তবায়িত হয়ে যাবে। অতি আত্মবিশ্বাস কখনও ঔদ্ধত্যের জন্ম দেয়। তৃণমূলস্তরে কাজ করে আসা নরেন্দ্র মোদি কীভাবে এই দম্ভ ও দর্পের ফাঁদে পড়লেন, সেটা এক রহস্য। তিনি যে তার ফলাফল পেলেন এবারের লোকসভা ভোটে, সেটা বিশেষ প্রণিধানযোগ্য হলেও তার থেকেও অনেক বৃহৎ এক রাজনৈতিক নব ইতিহাসের জন্ম হতে চলেছে। সেটি হল, অপরাজেয় মোদি-শাহ জুটির চ্যালেঞ্জার হিসেবে ২০২৪ সালে আবির্ভূত হয়েছে আর একটি জুটি। রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। 
যে রাহুল গান্ধীকে পাপ্পু বলে অভিহিত করে হাসিঠাট্টা করে এসেছে বিজেপি নেতাকর্মীরা, আজ তিনি আচমকা কঠোর পরিশ্রমের আশাতীত সাফল্য পেলেন। ৪ হাজার কিলোমিটার পদযাত্রা। ভারতসফর। ব্যঙ্গবিদ্রুপ সহ্য করেও দাঁতে দাঁত চেপে মাটি আঁকড়ে পড়ে থেকেছেন। রাহুল গান্ধীকে দেখে যে শিক্ষাটি প্রতিটি ভারতবাসীর আত্মস্থ করা দরকার, সেটি হল, শতবার পরাস্ত হয়ে, অসংখ্য ব্যর্থতার শিকার হয়ে, চরম ব্যঙ্গ আর সমালোচনায় বিদ্ধ হলেও ফোকাস থেকে সরে না আসা। এবং ময়দান ছেড়ে না পালানো। অর্থাৎ পরিশ্রমের বিকল্প নেই। 
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী দেশজুড়ে প্রচার করেছেন। কিন্তু তাঁর পাখির চোখ ছিল একটিই। আমেথি জয় করে আবার গান্ধী পরিবারের হৃতসম্মান ফিরিয়ে আনা। ২০১৯ সালে আমেথিতে রাহুল গান্ধী পরাস্ত হন স্মৃতি ইরানির কাছে। তারপর থেকে বহু অপমান অসম্মান সহ্য করেছে গান্ধী পরিবার বিজেপির কাছে। এবার একজন সাধারণ কংগ্রেস নেতাকে আমেথি থেকে জিতিয়ে এনে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রাহুল গান্ধীরা মধুর প্রতিশোধ নিলেন। উত্তরপ্রদেশের ফুরসৎগঞ্জ থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরের আমেথির গ্রামে  তাঁর প্রচার সভা দেখতে গিয়ে মে মাসে অবিস্মরণীয় দৃশ্যের সাক্ষী হয়েছিলাম উত্তরপ্রদেশের অসহনীয় তাপপ্রবাহের মধ্যে। জগদীশপুর পঞ্চায়েত থেকে আসা দেহাতি মহিলারা প্রিয়াঙ্কার হাত ধরে কেঁদে ফেলে বলেছিলেন, ইন্দিরাজিকে আবার দেখতে পেলাম তোমার মধ্যে। ইন্দিরাজিকে প্রধানমন্ত্রী দেখেছি। মরার আগে তোমাকেও দেখতে চাই! 
নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের সবথেকে বড় সমস্যা হল তাঁদের তূণে আর বেশি অস্ত্র নেই। সিংহভাগ ব্যবহার করা হয়ে গিয়েছে এবারের লোকসভা ভোটে। ধর্ম, এজেন্সি, জনকল্যাণ, হিন্দু মুসলমান। একসঙ্গে এত অস্ত্র থাকা সত্ত্বেও তাঁরা প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন বহু রাজ্যে। আবার পক্ষান্তরে কংগ্রেস তথা রাহুল-প্রিয়াঙ্কার উত্থানে একটা নতুন আকর্ষণের জন্ম হয়েছে। সর্বোপরি মোদিকে যে হারানো যায়, মোদি যে দুর্বল হতে পারেন, মোদি যে গরিষ্ঠতাহীন সরকার চালাতে বাধ্য হতে পারেন, এসবই আজ থেকে এক মাস আগে ভাবাই যেত না। চোখের সামনে এখন কিন্তু সেই সবই ঘটছে। অতএব লক্ষণীয়, মোদি-শাহের ইমেজ অনেকটাই দুর্বল তথা নিম্নগামী হয়েছে। আর রাহুল-প্রিয়াঙ্কার ইমেজ ঊর্ধ্বগামী হয়েছে। মোদি-শাহের সব ফর্মুলা ফ্লপ করেছে। রাহুল-প্রিয়াঙ্কার ফর্মুলা সাফল্য পেয়েছে। 
কেরলের ওয়েনাড় থেকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী লোকসভার উপ নির্বাচনে জিতে এলে এই রাজনৈতিক যুগলবন্দি আরও শক্তিশালী হবে। পার্লামেন্টের মধ্যে একদিকে মোদি-শাহ। আর তাঁদের ঠিক উল্টোদিকে বিরোধী আসনে বসে আছেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। সরকারে মোদি-শাহ। বিরোধিতায় রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। এই গোটা দৃশ্যাবলী এক নতুন টানটান রাজনৈতিক ইতিহাসের অধ্যায় নির্মাণ করবে। জুটি বনাম জুটি। 
যে গান্ধী পরিবারের রাজনৈতিক সন্ন্যাস ও নির্বাসনই ছিল মোদি ও শাহের প্রধানতম উচ্চাভিলাষ, আজ সেই গান্ধী পরিবারের নবতম দুই সদস্য, রাজনৈতিক যুগলবন্দি হিসেবে মোদি ও শাহের কেরিয়ারে সবথেকে বড় ধাক্কা দিয়েছেন। আগামী পাঁচ বছর মোদি-শাহ দুর্বলতর চ্যাম্পিয়ন। আর রাহুল-প্রিয়াঙ্কা শক্তিশালী চ্যালেঞ্জার। এরকম চূড়ান্ত আকর্ষণীয় রাজনৈতিক সংগ্রামের সাক্ষী বহু বছর ভারত হয়নি। 
21st  June, 2024
আর জি কর: বিজেপির প্রাপ্তি শূন্য
তন্ময় মল্লিক

‘এতদিন ধরে কেন মানুষকে নাকাল করা হল? মানুষকে খেপিয়ে কী লাভ হল? তাঁরা সমস্যায় পড়লেন। এর জবাব জুনিয়র ডাক্তারদের দিতেই হবে।’ এই বক্তব্যটা রাজ্যের শাসক দলের কোনও নেতার নয়, প্রবীণ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের। বিশদ

কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির কাঠামো বদল দরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

 

অপরাধীদের কাছে একসময় আতঙ্কের নাম ছিল সিবিআই। শুনলেই ভয় ভয় লাগত তাদের। আর এখন সারাক্ষণ সিবিআই ভয়ে ভয়ে থাকে কোনও রাজ্যে অপরাধ ঘটেছে শুনলেই। ভয়ে ভয়ে থাকার কারণ হল, এখনই সিবিআই তদন্তের দাবি উঠবে। বিশদ

27th  September, 2024
সেভেন সিস্টার্স নয়, চট্টগ্রাম নিয়ে ভাবুন!
মৃণালকান্তি দাস

ক্ষমতা গ্রহণের আগেই নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের বক্তব্যকে বিকৃত করেছিল বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম। যাদের মূল এজেন্ডাই এখন ভারতের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো! বিশদ

26th  September, 2024
মোদিতন্ত্রের শিকার স্কুলশিক্ষা
হারাধন চৌধুরী

মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা। পড়াশোনা এবং কর্মসূত্রে ২০০৫ সাল থেকে পাঁশকুড়ায় আছেন। একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের‌ ইংরেজির শিক্ষক। আরও দুই যুবকের সঙ্গে হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে একটি সেলফি তুলে পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। তাঁদের পরনে ট্রাউজারের বদলে গামছা ও জামা, হাতে জুতো এবং পিঠে একটি করে ব্যাগ। বিশদ

25th  September, 2024
ইতিহাসে থেকে যাবে বাংলার অসম্মানটুকুই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রচার আর অপপ্রচারের মধ্যে ফারাকটা একচুলের। দুটোই চিরন্তন। আর দুটোই রাষ্ট্রের হাতিয়ার। তফাৎ? প্রথমটা গণতন্ত্রের অস্ত্র এবং দ্বিতীয়টি হিংসার। স্বৈরতন্ত্রের। সম্প্রতি সিবিআই নামক কেন্দ্রীয় সরকারি ‘যন্ত্র’টি সুপ্রিম কোর্টে বেধড়ক ঝাড় খেয়েছে। বিশদ

24th  September, 2024
কোবিন্দ কমিটির রিপোর্ট প্রত্যাখ্যাত হবে
পি চিদম্বরম

একযোগে নির্বাচনের জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনে সরকারের প্রকৃত উদ্দেশ্য তার টার্মস অব রেফারেন্স (টিওআর) থেকেই খোলসা হয়ে গিয়েছে। কমিটিকে প্রথম টিওআর ‘বলেছিল, একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পরীক্ষার পর সুপারিশ করতে ...।’
বিশদ

23rd  September, 2024
বিচারের সামনে দাঁড়াতে হবে সবাইকে!
হিমাংশু সিংহ

গত সপ্তাহে একদিন দুপুরে হাতিবাগানে ঘুরছিলাম। ঝিরঝিরে বৃষ্টিতেও পুজোর মাত্র একমাস আগে এমন বিবর্ণ বিধান সরণি দেখিনি। কয়েকদিন আগে গড়িয়াহাটেও একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। বড় বড় ঝাঁ-চকচকে দোকানে সেলসম্যানের চেয়ে ক্রেতা কম। বিশদ

22nd  September, 2024
বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ করার ছক বানচাল
তন্ময় মল্লিক

জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কি ভুল করলেন? গত কয়েকদিন ধরে এটাই ছিল মূল চর্চিত বিষয়। কলকাতা পুলিসের কমিশনার সহ স্বাস্থ্যকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার পরেও চিকিৎসকরা কর্মবিরতি তুলতে গড়িমসি করছেন। বিশদ

21st  September, 2024
আবেগ, আন্দোলন এবং আইন
সমৃদ্ধ দত্ত

প্রথমে হয়ে উঠেছিল নাগরিক আন্দোলন। কথা ছিল পর্যবসিত হবে গণআন্দোলনে। অথচ মাত্র এক মাসের মধ্যে সেই আন্দোলন আবদ্ধ হয়ে গেল নিছক জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এবং অবস্থানের আবর্তে। কেন? এর উত্তর সন্ধান করতে হবে নাগরিকদের। বিশদ

20th  September, 2024
বিচার না রাজনীতি, সিবিআই কী চায়?
মৃণালকান্তি দাস

সিবিআই, ইডি, ভিজিলেন্স এজেন্সিকে রাজনৈতিক দাসত্ব ছাড়তে হবে। বলেছিলেন দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না। বিশদ

19th  September, 2024
চিকিৎসা ব্যবসাতেও স্বচ্ছতার দাবি মানুষের
সন্দীপন বিশ্বাস

বর্ধমান, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ বা বীরভূমের ঢাকিপাড়ায় ইতিমধ্যে বোধন হয়ে গিয়েছে। বসন্ত, রসিক কিংবা শ্যামাপদর ঢাকের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামের বুকে। আর দিনকয়েক পরেই কাঁধে ঢাক নিয়ে ওঁরা বেরিয়ে পড়বেন বিভিন্ন মণ্ডপে।
বিশদ

18th  September, 2024
অচলাবস্থায় ক্ষতি সরকারের নয়, মানুষের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিশ্বাসবাবু কাল মিছিলে গিয়েছিলেন। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই। বেসরকারি এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। না গেলে আর হচ্ছিলও না। কলেজের ছেলেমেয়েগুলো বাঁকা চোখে তাকাচ্ছিল। ওরা রোজই প্রায় হাজিরা দিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের অবস্থানে। বিশদ

17th  September, 2024
একনজরে
গার্ডেন সিটির কান্তিরাভা স্টেডিয়াম মোহন বাগানের মৃগয়াক্ষেত্র। ২০১৫ সালে প্রথম আই লিগ জয়ও বেঙ্গালুরুতে। গত আইএসএলে এই মাঠে  প্রতিপক্ষের উপর রোলার চালিয়ে দেন সাদিকু, পেত্রাতোসরা। ...

ছিনতাই চক্রের চার পান্ডাকে গ্রেপ্তার করল ইসলামপুর থানার পুলিস। বৃহস্পতিবার রাতে ধানতালা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতরা সকলেই ইসলামপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। ...

ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে বাড়ি ফিরেছিলেন বৃদ্ধা। কিন্তু বাড়ি ফিরে খুঁজে পাচ্ছিলেন না ব্যাগে থাকা চার লক্ষ টাকা। শেষ সহায় ওই টাকা হারিয়ে অথৈ জলে ...

মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের অফিস ভাঙচুর করলেন এক অজ্ঞাত পরিচয় মহিলা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোনও পাস ছাড়াই মন্ত্রণালয় বিল্ডিংয়ের কড়া নিরাপত্তা পেরিয়ে ঢুকে যান তিনি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব পর্যটন দিবস
১৭৬০ - মীর কাশিম মীর জাফরকে গদিচ্যুত করে বাংলার নবাব হন এবং বর্ধমান, মেদিনীপুর ও চট্টগ্রাম জেলা কোম্পানির হাতে তুলে দেন
 ১৮৩৩ -  বিশ্বপথিক রাজা রামমোহন রায়ের মৃত্যু
১৯৪৯  -  বেইজিংকে আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করা হয়
১৯৫৮ - ভারতীয় হিসাবে প্রথম মিহির সেন ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করেন
১৯০৭ - বিপ্লবী শহিদ ভগৎ সিংয়ের জন্ম
১৯৩২ -  ভারতীয় চিত্রপরিচালক যশ চোপড়ার জন্ম
১৯৮০  -  বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত হয়ে আসছে
১৯৯৮ - জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগল (google)এর যাত্রা শুরু
২০০৮ -  বিশিষ্ট ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী মহেন্দ্র কাপুরের মৃত্যু
২০২৩ – বিশিষ্ট চিত্রগ্রাহক সৌম্যেন্দু রায়ের মৃত্যু

27th  September, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৩ টাকা ৮৪.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১১০.২৬ টাকা ১১৩.৮৫ টাকা
ইউরো ৯১.৭১ টাকা ৯৪.৯১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ আশ্বিন, ১৪৩১, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪। একাদশী ২৩/১৮ দিবা ২/৫০। অশ্লেষা নক্ষত্র ৫৫/১৮ রাত্রি ৩/৩৮। সূর্যোদয় ৫/৩০/৪৪, সূর্যাস্ত ৫/২৩/৫৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৬ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৫১ গতে ৩/১ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/১৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৭ গতে ২/২৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি। 
১১ আশ্বিন, ১৪৩১, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪। একাদশী অপরাহ্ন ৪/৫৫। অশ্লেষা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/৩০, সূর্যাস্ত ৫/২৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৩ মধ্যে ও ৭/৯ গতে ৯/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ২/৫০ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/২৬ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৩৭ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/১৭ গতে ৩/৭ মধ্যে। কালবেলা ৭/০ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/২৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/২৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৫৭ মধ্যে ও ৪/০ গতে ৫/৩১ মধ্যে। 
২৪ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
জম্মুতে জনসভা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

01:34:00 PM

গজলডোবার টাকিমারিতে তিস্তার বাঁধ পরিদর্শনে সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা
আজ, শনিবার জলপাইগুড়ির গজলডোবার টাকিমারিতে তিস্তার বাঁধ পরিদর্শনে উপস্থিত হয়েছেন ...বিশদ

01:17:59 PM

আউশগ্রামে আদিবাসী বধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ
পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে এক আদিবাসী বধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল এক ...বিশদ

01:09:00 PM

উত্তাল তিস্তা, আতঙ্কে সাধারণ মানুষ
উত্তাল তিস্তা। জলপাইগুড়ির গজলডোবার বীরেন বস্তি এলাকায় ভাঙতে শুরু করেছে ...বিশদ

01:07:33 PM

মহারাষ্ট্রে জঙ্গি হামলার হুমকি, জারি অ্যালার্ট, মন্দির-জনবহুল এলাকায় নিরাপত্তার কড়াকড়ি

01:07:00 PM

সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে শুরু হল কাউন্সিল মিটিং

01:02:00 PM