শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
দেখা যায়, একজন গায়িকা স্টেজে ওঠামাত্র পাব্লিক থেকে আজেবাজে গানের ফরমাশ আসে, আবার আর একজন ভজন বা শ্যামাসংগীত শিল্পী যখন স্টেজে ওঠে তখন লোকে ভজন শ্যামাসংগীতই আশা করে তার কাছে। কাজেই শিল্পীরা যদি দিব্য দিকে নিজেদের প্রতিভাকে বিকাশ ক’রে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সেই জিনিস পরিবেশন করে, তা হলে লোকের রুচিও পালটাতে বাধ্য। মায়ের সঙ্গে ছেলের যে সম্পর্ক, লেখকের সঙ্গে তার লেখার সেই সম্পর্ক। মানুষকে বলে ‘সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ জীব’। কিন্তু আমার তো মনে হচ্ছে—ভগবানের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি এই আকাশ, ফুল, এই বিশ্বপ্রকৃতি। এদের মধ্যে বিদ্বেষের হানাহানিটা নেই। একটা ফুল, সে তার innocence নিয়েই ফোটে, আর সুরভিটুকু নিশ্চুপে বিলিয়ে ঝরে যায়।
ঠাকুর সত্যানন্দদেবকে দেখেছি সহজ অবস্থায়। একেবারে শিশুর মতোই আমরা তাঁকে দেখেছি। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন—‘‘শিশুর মতো দু’হাত দিয়ে জগৎটাকে ছুঁই’’। ঠাকুরকে দেখে সেই কথাই মনে হয়—যেন শিশুর মতোই দু’হাত দিয়ে সমস্ত সাধনার জগৎটাকে ছুঁয়েছেন। বিশেষ process অবলম্বন ক’রে এক-একটা period ধরে একটা সাধনা করতে আমরা ঠাকুরকে দেখি নাই বা সে কথা শুনিও নাই। কিন্তু হিন্দুধর্মের সব মত সব পথের সাধনাই যেন সহজ স্বাভাবিক ভাবেই ঠাকুরের জীবনে রূপ নিয়েছে।