ধর্মকর্মে সক্রিয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
পরিস্থিতি সামাল দিতে তাই দু’ভাবে পথে নামছে প্রশাসন। বলা ভালো, নেমে পড়েছে। যেমন সোমবার নবান্নে টাস্ক ফোর্স ও ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব। কারণ দাম নিয়ন্ত্রণে রাখাই এই মুহূর্তে প্রশাসনের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বস্তুত এই লক্ষ্যে রবিবারই গড়িয়াহাট, লেক ও যদুবাবুর বাজারে হানা দেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। পরিস্থিতি কড়াভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এনফোর্সমেন্ট বিভাগকেও সতর্ক করা হয়েছে। অর্থাৎ সরকারি তরফে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন, এখন থেকে রোজই বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালাবেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। এর পাশাপাশি চাষিদের থেকে সরাসরি পণ্যসামগ্রী কিনে তা মূলত সরকারের সুফল বাংলা স্টলের মাধ্যমে বিক্রি করার পরিকল্পনা হয়েছে। এই স্টলের পাশাপাশি সব্জি নিয়ে থাকবে ভ্রাম্যমাণ গাড়িও। সরকার ইতিমধ্যে জনস্বার্থে বিভিন্ন আনাজের দাম ঠিক করে দিয়েছে। যেমন, আলু ২৭ টাকা, টম্যাটো ৬০ টাকা, পেঁয়াজ ৪৫ টাকা, আদা ৮৫ টাকা, পটল ৪৫ টাকা, কাঁচালঙ্কা ৯৫ টাকা কেজি ইত্যাদি। এরপরেও অবশ্য প্রশ্ন থেকে যায়। কলকাতা এবং সংলগ্ন শহরাঞ্চলে ছোট-বড় মিলিয়ে কয়েক হাজার বাজার রয়েছে। প্রশ্ন হল, এই সমস্ত বাজারের দিকে সমানভাবে নজর দেওয়া কি আদৌ সম্ভব? কারণ অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, নজরদারির ফাঁকফোকর গলেই বহু বাজারে দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায়। অসাধু ব্যবসায়ীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাই নজরদারির কাজ নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনকে কাজে লাগানো যুক্তিযুক্ত। তবেই সরকারের এই ইতিবাচক উদ্যোগ সফল হবে।
দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্রতিবছরই ভরা বর্ষায় জলমগ্ন হয়। কিন্তু পড়শি ঝাড়খণ্ডকে বাঁচাতে ডিভিসির জল এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলে যে বন্যা ডেকে আনে তাও ফি বছরের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা হয়েছে অনেক। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান, দুই দিনাজপুর ও মালদহে বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প, মুর্শিদাবাদে গঙ্গা-পদ্মা ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্প ইত্যাদি। একটা শিশুও বোঝে যে, শত শত কোটি টাকার এই প্রকল্পগুলি এককভাবে কোনও রাজ্য সরকারের পক্ষে রূপায়ণ করা সম্ভব নয়। ঘটনা হল, রাজ্যের এই বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পগুলি কেন্দ্রের অনুমোদন পেয়েছে বহু আগেই। কিন্তু বরাদ্দ আসেনি এক পয়সাও। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, ঘাটালের জন্য ১২৩৯ কোটি এবং দিনাজপুর-মালদার জন্য ৪৯৭ কোটি টাকার প্রকল্প আজও কেন্দ্রের ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বর্ডার এরিয়া প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্তই করা হয়নি! এসব দেখেশুনে মনে হতে পারে, পশ্চিমবঙ্গ কি ভারতের একটি অঙ্গরাজ্য নয়? যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের দায়িত্ব কি রাজনীতির লড়াইয়ে আটকে যাবে? এভাবে বঞ্চনা করার অধিকার কি কেন্দ্রের আছে? প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসব সঙ্গত ও ন্যায্য প্রশ্নের উত্তর চায় রাজ্যবাসী।