ধর্মকর্মে সক্রিয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সম্পর্কে বধূর ভাইঝির শ্বশুর। তিনি কয়েক মাস ধরে বধূকে কুপ্রস্তাব দিতেন এবং রাস্তাঘাটে বিরক্ত করতেন। ওই ব্যক্তির কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মহিলাকে হুমকিও দেওয়া হয়। মাসতিনেক আগে বধূর স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। সেই সুযোগে অভিযুক্ত বধূর ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন। বধূ চিৎকার করলে অভিযুক্ত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। এরপর ওই মহিলা বিষয়টি তাঁর স্বামীকে জানান। মহিলার স্বামী অভিযুক্তের কাছে গিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাঁদের প্রাণে মারার ভয় দেখায় অভিযুক্ত। পুলিসকে অভিযোগ করলে পরিণতি খারাপ হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এরপর নির্যাতিতা বধূ ও পরিবারের সদস্যরা ভয়ে আর কাউকে কিছু জানাননি। বধূর স্বামী বলেন, কাউকে জানালে আমাদের মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। সেজন্য আমরা এতদিন ভয়ে চুপ করে ছিলাম।
গত রবিবার ভোরে বধূর স্বামী মাছ কিনতে গেলে ফের অভিযুক্ত তাঁর ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন। বধূর কাপড় ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মহিলা চিৎকার শুরু করলে অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দা এবং তাঁর ছেলে অভিযুক্তকে ধরে ফেলে। প্রথমে সালিশি সভা ডেকে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে চাইলেও পরে ওই বধূ মত বদলে ইটাহার থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। নির্যাতিতা বলেন, বারবার ওই ব্যক্তি আমাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করছেন। প্রতিবাদ করলে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন। তাঁর কঠোর শাস্তির দাবিতে পুলিসকে অভিযোগ জানিয়েছি। ইটাহার থানার পুলিস জানায়, ধর্ষণ করার চেষ্টার অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযুক্ত পলাতক। তদন্ত চলছে।