Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভারতীয় বিমানবাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস: আত্মনির্ভরতায় অভিযান
ড.বিদ্যুৎ পাতর

৮ অক্টোবর, ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রতিষ্ঠা দিবস—এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সূচনা। ১৯৩২ সালে যখন মাত্র চারটি পুরনো বিমানের মাধ্যমে এই বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়, তখন কেউ কল্পনাও করেনি এটি একদিন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বিমানবাহিনী হিসেবে আকাশপথে আধিপত্য বিস্তার করবে। এটি শুধু যুদ্ধজাহাজের উড়ানের নয়, বরং সাহস, দৃঢ় সংকল্প এবং ভারতের নিরাপত্তার প্রতি এক অনড় প্রতিজ্ঞার গল্প। আধুনিক বিশ্বের সামরিক মানচিত্রে নিজেদের শক্ত অবস্থান গড়ে তোলার এ এক অনন্য কাহিনি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় এদেশে বিমান বাহিনী গঠিত হয়নি। তবে, হর্দিত সিং মালিক এবং ইন্দ্রলাল রায়ের মতো সাহসী পাইলটরা যুদ্ধক্ষেত্রে ভারতীয়দের সাহসিকতার ছাপ রেখেছিলেন। ইন্দ্রলাল রায় বিশেষভাবে স্মরণীয়। তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে শত্রুপক্ষের ১০টি বিমান ধ্বংস করে যুদ্ধ জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। ইংরেজ সরকার তাঁকে মরণোত্তর ‘ডিস্টিংগুইশড ফ্লাইং ক্রস’ পদকে সম্মানিত করে। ভারতীয় পাইলটরা ইংরেজ সেনাবাহিনীর সহায়ক হিসাবে কাজ করতেন। তবে, ১৯৩২ সালে ব্রিটিশ আইনসভা কর্তৃক একটি আইন পাশ হওয়ার পর ৮ অক্টোবর ‘ভারতীয় বিমানবাহিনী’ একটি স্বতন্ত্র বাহিনী বা বায়ুসেনা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ইংল্যাণ্ডের ক্রানওয়েল থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সুব্রত মুখার্জি, ভূপেন্দ্র সিং, অমরজিৎ সিং প্রমুখ একদল ভারতীয় তরুণ এই বাহিনীর ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ভারতীয় বিমানবাহিনীর জন্য ছিল এক কঠিন পরীক্ষা। সীমিত সরঞ্জাম এবং অভিজ্ঞতার অভাব সত্ত্বেও তারা বার্মার আকাশে জাপানি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে। ওয়েস্টল্যান্ড ওয়াপিটি বাইপ্লেনের মতো পুরনো বিমান ব্যবহার করেও তারা শত্রুর মোকাবিলা করে। এই অসামান্য সাহসিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ ব্রিটিশ রাজা ষষ্ঠ জর্জ বাহিনীকে ‘রয়্যাল’ উপাধিতে ভূষিত করেন। স্বাধীনতার পর ভারতীয় বিমানবাহিনীর সামনে আসে নতুন চ্যালেঞ্জ। দেশভাগের সময় বাহিনীকেও বিভক্ত করা হয়। যাঁরা ভারতে থেকে যান, তাঁরা নতুন উদ্যমে দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। ১৯৫০ সালে সাধারণতন্ত্রে রূপান্তরের পর বাহিনী ‘রয়্যাল’ উপাধি ত্যাগ করে ‘ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স’ নামে আত্মপ্রকাশ করে। বাহিনীর প্রতীক হিসেবে গৃহীত হয় অশোক চক্র, যা ভারতের ঐতিহ্য, গর্ব এবং অগ্রগতির প্রতিফলন। 
১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। কাশ্মীরকে ভারতের অংশ হিসেবে মেনে নিতে চায়নি পাকিস্তান। তাই তারা যুদ্ধ ঘোষণা করে। ভারত তড়িঘড়ি বিমানবাহিনীর সাহায্যে শ্রীনগরে সেনা পাঠায়। বিমানবাহিনীর সাহসিকতার জন্যই কাশ্মীর ভারতের অংশ হয়ে রইল। একইভাবে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মাত্র ১২ দিনের লড়াইয়ে ৯৩,০০০ পাকিস্তানি সৈন্যের আত্মসমর্পণ ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর অপ্রতিরোধ্য শক্তি এবং বায়ুসেনার অসামান্য দক্ষতার উজ্জ্বল প্রমাণ। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের বিজয় শুধু পাকিস্তানকে পরাজিত করেনি, বরং বিশ্বকে দুটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে—এক, ভারত সামরিক শক্তির মাধ্যমে একটি স্বাধীন জাতির জন্ম দিতে সক্ষম। দুই, দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে ভারত এখন নিজ শর্তে সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত এবং সক্ষম। 
১৯৭৮ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতীয় সেনাবাহিনী সিয়াচেনে অভিযান শুরু করে। এই অঞ্চলে পাকিস্তান তার দাবি জানিয়ে উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা শুরু করলে এস সাম্বিয়ালের নেতৃত্বে বিমান অভিযান শুরু করে ভারত। এই অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল সিয়াচেনে ভারতের উপস্থিতি নিশ্চিত করা। মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের তীব্র ঠান্ডায়, শ্বাসরুদ্ধকর শীতে, ভারতীয় বিমানবাহিনী প্রতিদিন সৈন্যদের কাছে খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পৌঁছে দিত। সেই কঠিন সময়ে বিমানবাহিনী ছিল সৈন্যদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। ১৯৮৪ সালে এই অভিযান ‘অপারেশন মেঘদূত’ নামে পরিচিত হয়। ১৯৯৯ সালের কার্গিল সংঘর্ষে ভারতীয় বিমানবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শত্রুরা সীমান্তে প্রবেশ করার পর, ভারত সরকার বিমান শক্তি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২৫ মে থেকে শুরু হয় আক্রমণাত্মক অভিযান, যা শত্রুর মনোবল ভেঙে দেয়। অপারেশন ‘সফেদ সাগরের’ অধীনে, বিমানবাহিনী উচ্চ পর্বতের কঠিন ভূখণ্ডে যুদ্ধ পরিচালনা করে। প্রথম কয়েকদিনে, আকস্মিক শত্রু হামলায় ভারতীয় সেনা একটি যুদ্ধবিমান ও একটি হেলিকপ্টার হারায়। তবে এই বিপর্যয় বায়ুসেনাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। দ্রুত কৌশল বদলে, শত্রুর সরবরাহ শিবির এবং সামরিক ক্যাম্পে নির্ভুল আক্রমণ শুরু হয়। বিমানবাহিনীর নজরদারি ও ধারাবাহিক আক্রমণের মাধ্যমে শত্রুর শক্তি দুর্বল করে দেওয়া হয়। যার ফলে ভারতীয় সেনাবাহিনী অগ্রসর হতে থাকে এবং শত্রুদের পিছু হটতে বাধ্য করা হয়।
সাম্প্রতিককালে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলি ভারত-বিরোধী পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করেনি। তবে, বিপদে পড়া প্রতিবেশীদের সাহায্যে ভারত এবং ভারতীয় বিমানবাহিনী বারবার সদর্থক ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধের সময় প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী সে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে ‘ভারতীয় শান্তিরক্ষা বাহিনী’ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। এই উদ্যোগে ভারতীয় বিমানবাহিনী অসাধারণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন আকাশপথে সৈন্যদের জন্য খাবার, জল ও ওষুধ পৌঁছে দিতে একটি ‘এয়ার ব্রিজ’ তৈরি করে সংকটকালীন সময়ে সহায়তার একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। একইভাবে, ১৯৮৮ সালের নভেম্বরে মালদ্বীপে এক অভ্যুত্থান ঘটে। পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে গেলে ভারত সরকার বিমানবাহিনীকে তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নিতে বলে। বিমানবাহিনী এক মুহূর্তও দেরি না করে সে দেশের সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। 
১৯৯০-এর দশকের শেষ পর্যন্ত, ভারতের প্রতিরক্ষা কৌশল ছিল পাকিস্তানকে প্রধান হুমকি হিসেবে ধরে সীমান্তে দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেওয়ার সক্ষমতা তৈরি করা। এই কৌশল ভারতকে যে কোনও সময়ে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে সহায়তা করেছে। একইসঙ্গে চীনের সঙ্গে সীমান্ত সম্পর্কও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। ১৯৬২ সালে চীনের আক্রমণের পর ভারত চীনের হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে শুরু করে এবং দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন এখনও রয়ে গিয়েছে। স্বাধীনতার আগে প্রতিষ্ঠিত ভারতীয় বিমানবাহিনীতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিকায়ন হয়েছে। আজ এটি বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী বিমানবাহিনী হিসেবে পরিচিত। এই গল্প বীরত্ব ও পরিবর্তনের প্রতীক। একসময় ভারতের আকাশে শুধু কিছু পুরনো যুদ্ধবিমান উড়ত। আজ সেই আকাশেই গর্জে ওঠে 
রাফাল আর তেজস-এর মতো অত্যাধুনিক ফাইটার জেট। আর শুধু যুদ্ধবিমানই নয়, C-17 আর C130-J-এর মতো বিমানও আছে, যা ভারতীয় বাহিনীকে দিয়েছে নতুন কৌশলগত শক্তি। আকাশে চোখ রাখার জন্যে আছে AWACS আর AEW&C চলমান রাডার সিস্টেম। রাশিয়ার কাছ থেকে আসা S-400 ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেশকে সুরক্ষার এক নতুন স্তরে পৌঁছে দিয়েছে। কিন্তু ভারত 
এখন শুধু বিদেশের উপর নির্ভরশীল নয়। DRDO-এর গবেষণার ফল—দেশে তৈরি অস্ত্রা মিসাইল, নির্ভয়া ক্রুজ মিসাইল এবং রুদ্রাম অ্যান্টি-রেডিয়েশন ক্ষেপণাস্ত্র আকাশে নিজেদের শক্তি দেখাচ্ছে। ‘হিন্দুস্থান এরোনটিক্স লিমিটেড’ থেকে তৈরি ধ্রুব, গরুড় বসুধা হেলিকপ্টারও এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে।
৮ অক্টোবর, ভারতীয় বিমানবাহিনী দিবস উদযাপনের সময়, আমাদের মনে রাখতে হবে যে এই বাহিনীর কাহিনি কেবল একটি সামরিক বাহিনীর গল্প নয়। এটি আমাদের জাতির গৌরব, আত্মমর্যাদা ও সংগ্রামের গল্প। কেরল-এর বন্যা কিংবা উত্তরাখণ্ডে প্রাকৃতিক দুর্যোগ—ভারতীয় বিমানবাহিনী সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। দেশজুড়ে জঙ্গি দমন অভিযানে, সীমান্তের ওপারে শত্রুদের মোকাবিলায়, কিংবা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের দুঃসময়ে—ভারতীয় বিমানবাহিনী নিরলসভাবে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে। ভারতীয় বিমানবাহিনী শুধুমাত্র একটি যুদ্ধবিমান বাহিনী নয়, দেশের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার এক উজ্জ্বল প্রতীক। এই উড়ান শুধুই আকাশের নয়, আত্মনির্ভরতারও। 
লেখক  বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক (মতামত ব্যক্তিগত)
08th  October, 2024
উৎসবের মধ্যেই আনন্দলোকের খোঁজ
মৃণালকান্তি দাস

দুর্গাপূজার সমারোহ নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীতেই নানা কথা উঠেছিল। কথা উঠেছিল শহর কলকাতার হুজুগেপনা নিয়েও।  বিশদ

বাধার মধ্যেই পুজো, হাতে জোড়া উপহার
হারাধন চৌধুরী

একদিকে যুদ্ধের দামামা, অন্যদিকে বানবন্যা। সঙ্গে দোসর কতিপয় মানুষের বিকৃতি—নারীর সুন্দর কোমল পবিত্র জীবনকে কলুষিত করার অপপ্রয়াস। ফলে চলছে লাগাতার প্রতিবাদ। দুষ্টের দমনে প্রশাসনও যেন নাজেহাল। সব মিলিয়ে মানুষ মোটে ভালো নেই। বিশদ

09th  October, 2024
অশুভের দমন
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সুপ্রিম কোর্ট ‘বিশাখা গাইডলাইন’ ইস্যু করেছিল ১৯৯৭ সালে। লক্ষ্য ছিল, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যেন যৌন হয়রানির শিকার হতে না হয়। এই গাইডলাইনের ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন হতে সময় লেগে গিয়েছিল আরও ১৫ বছর। মাঠেঘাটে হোক কিংবা অফিস, কাজে যাওয়া নারী সমাজের প্রত্যেক প্রতিনিধি আশ্বস্ত হয়েছিলেন। বিশদ

08th  October, 2024
ব্রেকিং নিউজ
পি চিদম্বরম

এটা ব্রেকিং নিউজ, তবে অন্য রকমের। এটা কোনও আইন ভাঙার খবর নয়। খবরটা না মাথা ভাঙার কিংবা ঘরবাড়ি ভাঙারও। অতীতে অনেকবার ফাঁস হওয়া চাঞ্চল্যকর কোনও খবরের মতো নয় এটা। 
বিশদ

07th  October, 2024
বিচার নয়, বাংলার বদনাম করাই লক্ষ্য
হিমাংশু সিংহ

ভাবছিলাম, তেরো পার্বণের দেশে কবে থেকে ‘উৎসব’ নিষিদ্ধ হল? উৎসবে ফেরা আর পাঁকে পড়া যেন সমার্থক হতাশ অতি বামদের প্রতিহিংসার অভিধানে! বাস্তবে কি তা হতে পারে কোনওদিন এই সবুজ ঘেরা বাংলায়? তার জন্য তিন তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীর দিকে অবিরাম ঘৃণাবর্ষণ। বিশদ

06th  October, 2024
হঠকারিতার মাশুল দিচ্ছে গণআন্দোলন
তন্ময় মল্লিক

অবশেষে কর্মবিরতি তুলে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের অনভিপ্রেত ঘটনাকে সামনে রেখে জুনিয়র ডাক্তাররা আংশিক থেকে পূর্ণ কর্মবিরতিতে চলে গিয়েছিলেন। অভয়ার জাস্টিস গোটা বাংলা চায়। কিন্তু এই কর্মবিরতির সঙ্গে অভয়ার জাস্টিসের সম্পর্ক ছিল না। বিশদ

05th  October, 2024
সাফল্যে গ্রামবাংলার কাছে পিছিয়ে এলিট সমাজ?
সমৃদ্ধ দত্ত 

পশ্চিমবঙ্গের বাবু সমাজ ক্রমেই জাতিগত সাফল্যের বিচারে গ্রামীণ সমাজের কাছে পিছিয়ে পড়ছে কেন? বঙ্গীয় বাবু সমাজের একটি বিশেষ দম্ভ রয়েছে যে, তারাই এই রাজ্যের ওপিনিয়ন মেকার। অর্থাৎ কখন কী নিয়ে আলোচনা হবে, বিশদ

04th  October, 2024
ইলিশের গল্প, ইলিশের রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

দেশ ভাগ হয়েছে কবেই। সীমান্তে এখন কাঁটাতারের বেড়া। তবু আজও দশমীর সকালে বাংলাদেশের পাবনা থেকে জোড়া ইলিশ নিয়ে সান্যাল বাড়িতে হাজির হন মহম্মদ আব্দুল।
বিশদ

03rd  October, 2024
বাজল তোমার আলোর বেণু, মাতল রে ভুবন
সন্দীপন বিশ্বাস

আকাশজুড়ে যখন ফুটে ওঠে উৎসবের অলৌকিক আলো, ব্রাহ্মমুহূর্তের সেই নৈঃশব্দের মধ্যেই সূচনা হয়ে যায় দেবীপক্ষের। আর তখনই আগমনির সুরে বেতারে বেজে ওঠে আমাদের হৃদয় উৎসারিত শাশ্বত মন্ত্র। বিশদ

02nd  October, 2024
করুণা নয়, অধিকার
শান্তনু দত্তগুপ্ত

খুব দুঃখ হয়েছে মিনতির। ছোট্ট বছর সাতেকের মেয়ে। পুজো এলেই ওর মনে কেমন যেন রেলগাড়ি ছুটতে শুরু করে। পঞ্চমী এলেই ঢাকটাকে কাঁধে ফেলে বেরিয়ে পড়ে বাবা। মুখে একরাশ ভরসার হাসি। ফিরব যখন, নতুন জামা নিয়ে আসব। বিশদ

01st  October, 2024
মুছে যাওয়া ট্রামলাইন
সোমনাথ বসু

‘ও   বাবা, বাড়ি থেকে আসার সময় জাহাজ দেখাবে বললে যে। কিন্তু এটা কী? ছোট ট্রেন?’ বিশদ

01st  October, 2024
অগ্রাধিকারের তালিকা থেকে পড়শিরা বাদ
পি চিদম্বরম

আমাদের প্রতিবেশী অঞ্চলে, ভারতের সঙ্গে চীনের সীমান্ত দৈর্ঘ্য ৩,৪৮৮ কিমি। তবু কেউ চীনকে আমাদের প্রতিবেশী বলে মনে করে না।
বিশদ

30th  September, 2024
একনজরে
কল্যাণীর রাস্তায় সন্ধ্যার পর কার্যত জনস্রোত চলছে। দর্শনার্থীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পথে নেমেছে টোটো। ফলে অবধারিত হয়েছে যানজট। এর মধ্যে টোটো চালকদের একাংশের বিরুদ্ধে বাড়তি ভাড়া ও জোরজুলুমের অভিযোগ উঠেছে। ...

ভারত সফরে তিনটি টেস্ট খেলবে নিউজিল্যান্ড। ম্যাচগুলি হবে বেঙ্গালুরু (১৬-২০ অক্টোবর), পুনে (২৪-২৮ অক্টোবর) ও মুম্বইয়ে (১-৫ নভেম্বর)। চোটের কারণে প্রথম টেস্টে অনিশ্চিত কেন উইলিয়ামসন। ...

চটের ব্যাগের বরাত দেওয়ার বিষয়ে চাপে পড়ে পিছু হঠল কেন্দ্র। যে নয়া নিয়ম চালু করতে তারা এগচ্ছিল, তা থেকে আপাতত সরে আসছে। পাটশিল্পকে রক্ষা করতে কেন্দ্রীয় আইনে বলা হয়েছে, দানাশস্য প্যাকেটজাত করতে ১০০ শতাংশ এবং চিনিতে ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে চটের ...

বন্যা পরিস্থিতি কাটিয়ে পুজোর আনন্দে মাতলেন ভূতনিবাসী। রাজ্য সরকারের আর্থিক সহায়তায় শেষ মুহূর্তে পুজো প্রস্তুতি শেষ করে পুজোতে মাতলেন দুর্গতরা। প্রশাসনিক সহায়তা ও উদ্যোক্তাদের তৎপরতায় ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ধর্মকর্মে সক্রিয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

মানসিক স্বাস্থ্য দিবস
আন্তর্জাতিক মৃত্যুদন্ড বিরোধী দিবস
১৭৫৬: লর্ড রবার্ট ক্লাইভ মাদ্রাজ থেকে ৫টি যুদ্ধজাহাজে ৯০০ সৈন্য নিয়ে কলকাতা দখলের জন্য যাত্রা করে
১৭৩৩: রাজা নবকৃষ্ণ দেবের জন্ম (শোভাবাজার রাজপরিবারের প্রতিষ্ঠাতা)
১৯৪২: কবি কাজী নজরুল ইসলাম মস্তিক ব্যাধিতে আক্রান্ত (মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি আর সুস্থ হননি)
১৯৫৪: অভিনেত্রী রেখার জন্ম
১৯৬৪: অভিনেতা ও পরিচালক গুরু দত্তের মৃত্যু
২০১১: সঙ্গীতশিল্পী  জগজিৎ সিংয়ের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৫ টাকা ৮৪.৮৯ টাকা
পাউন্ড ১০৮.২৫ টাকা ১১১.৮০ টাকা
ইউরো ৯০.৭১ টাকা ৯৩.৮৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৫,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৪ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪। সপ্তমী ১৭/২৩ দিবা ১২/৩২। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/৩৪/৪৭, সূর্যাস্ত ৫/১২/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৮ মধ্যে পুনঃ ১/২০ গতে ২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/১ গতে ৯/১৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৮ গতে ৩/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৬ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২৪ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
২৩ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪। সপ্তমী দিবা ৭/২৫। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র রাত্রি ১/৫১। সূর্যোদয় ৫/৩৫, সূর্যাস্ত ৫/১৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৫ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৪১ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৬ গতে ৯/১২ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১২ মধ্যে ও ৪/৩ গতে ৫/৩৫ মধ্যে। কালবেলা ২/১৯ গতে ৫/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৫ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
৬ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শারদ শুভেচ্ছা ও ছুটি
দেবীর আবাহনে গোটা বাংলা মেতেছে উৎসবের আনন্দে। শারদোৎসব উপলক্ষ্যে বর্তমান-এর সকল পাঠক-পাঠিকা, ...বিশদ

03:55:00 AM

মুখ্যমন্ত্রীর শারদীয়ার শুভেচ্ছা
আনন্দময়ীর আগমনে ধরণী আজ প্রাণময়ী। আলোকময় হোক বিশ্ব চরাচর। দশপ্রহরণধারিণীর ...বিশদ

03:50:00 AM

রতন টাটার প্রয়াণে শ্রদ্ধা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

09-10-2024 - 11:57:00 PM

প্রয়াত রতন টাটা
না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন দেশের রত্ন রতন টাটা। বুধবার ...বিশদ

09-10-2024 - 11:45:00 PM

মহিলা টি২০ বিশ্বকাপ: শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৮২ রানে জিতল ভারত

09-10-2024 - 10:46:00 PM

দ্বিতীয় টি২০: বাংলাদেশকে ৮৬ রানে হারাল ভারত

09-10-2024 - 10:24:00 PM