Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মুছে যাওয়া ট্রামলাইন
সোমনাথ বসু

‘ও   বাবা, বাড়ি থেকে আসার সময় জাহাজ দেখাবে বললে যে। কিন্তু এটা কী? ছোট ট্রেন?’
নিশ্চিন্দিপুরের গোলোক কর্মকার এবার বেশ সমস্যায় পড়লেন। ছেলে অলোককে খিদিরপুর ডক দেখাবেন বলে কলকাতায় নিয়ে এসেছেন। ধর্মতলা থেকে ৩৬ নম্বর রুটের ট্রামে বাবা-ছেলের ওঠা। ফার্স্ট ক্লাসেই। ফোর্ট উইলিয়ামের সামনে ট্রাম ইনসাইড-আউটসাইড ডজ দিতেই ছেলের এই প্রশ্ন। একটু ভেবে তাঁর উত্তর, ‘এটা তো ট্রাম। আমাদের মতো গরিব-গুর্বোদের যান। কেমন লাগছে তোর?’ ফার্স্ট ক্লাসের বাঁ দিকে সিঙ্গল সিটের প্রথমটা দখল করেছে ছেলে। বাবা ঠিক তার পিছনেই। ট্রাম ততক্ষণে রেসকোর্সের কাছে। একটু আগেই সে দেখেছে দূরে একটা সাদা বাড়ির মাথায় কালো পরী ঘুরছে। এই বড় বাড়িটার নাম নাকি ভিক্টোরিয়া। বাবাই বলেছে। শহরের হাওয়া খেতে খেতে এবার সে জানতে চায়, উঁচু উঁচু লোহার পাঁচিলগুলি কেন দেওয়া? রাজু গাইডের মতো বাবা চিনিয়ে দেয়, ‘এটা রেসকোর্স। মানে ঘোড়দৌড়ের মাঠ। এর থেকে বেশি কিছু মনে রাখার দরকার নেই।’
বর্ষার রাত। এসপ্ল্যানেডের এক হোটেলে রঙিন সন্ধ্যা কাটিয়ে ৫ নম্বর রুটের ট্রামে চেপে বসেছেন শ্যামবাজারের ভূপেনবাবু। চুনোট করা ধুতির কোঁচার সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে আদ্যির পাঞ্জাবি। কাঁধ থেকে কব্জি পর্যন্ত চামচ দিয়ে গিলে করা। বাঁ হাতে বেলফুলের মালা। মুখে বেনারসি জর্দা পান। নেশায় টগমগ বাবু কালচারের শেষ প্রতিনিধির কণ্ঠে তখন শচীন কত্তার গান, ‘মন দিল না বধূ, মন নিল যে শুধু/আমি কী নিয়ে থাকি...’। কিছুক্ষণের মধ্যেই খাকি পোশাক পরিহিত কন্ডাক্টর তাঁর কাছে এসে টিকিট চাইলেই জড়ানো গলায় ভূপেনের মশকরা, ‘আরে মশায়, কার কাছে টিকিট চাইছেন জানেন? আমার ঠাকুর্দা চাইলে গোটা ট্রাম কোম্পানি কিনে ফেলতে পারতেন। ঠিক আছে, এসেছেন যখন নিয়েই যান।’
গোলোক, অলোক কিংবা ভূপেনের মতো অনেকের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে ট্রাম ভ্রমণের স্মৃতিমেদুরতা। চোখে ভাসে এখনও ক্লড ওয়াডেলের সেই বিখ্যাত পুরনো কলকাতার ছবি... ট্রামের সেকেন্ড ক্লাসের শেষের জানালা দিয়ে কোনওমতে পা গলিয়ে দিয়েছেন অফিসযাত্রী। শরীরটা তখনও বাইরে। আর ওইটুকু বাহনে উপচে পড়ছে ভিড়। কলকাতার ইতিহাসের সঙ্গে মিলেমিশে এক হয়ে যাওয়া এক টুকরো ভালো লাগা। ঐতিহ্যের সেই ফুরফুরে প্রাকৃতিক হাওয়া, নাকি আধুনিকতার এসি মেশিন—এই চাপানউতোরের মধ্যেই অতীত হয়ে যাচ্ছে কল্লোলিনী তিলোত্তমার ট্রাম। থাকবে শুধু বইয়ের পাতায়, ইন্টারনেটে। আর বাঙালির মনে।
ট্রামের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৮৭৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি। তবে তা ছিল ঘোড়ায় টানা। শিয়ালদহ থেকে আর্মেনিয়ান ঘাট পর্যন্ত ট্রাম সফর না করতে পারার আপশোস অনেকেই মিটিয়েছিলেন যাত্রাপথের দু’ধারে দাঁড়িয়ে। এই পরিষেবা কিন্তু বন্ধ হয়ে যায় সে বছরেরই ২০ নভেম্বর। ১৮৭৯ সালে ক্যালকাটা ট্রামওয়ে কোম্পানি ও কর্পোরেশনের চুক্তি হয়। আর তার ভিত্তিতে তার পরের বছর কলকাতায় ফের ট্রাম চলে। কিন্তু আবার বিপত্তি। যাত্রাপথে বড় বড় লোহার চৌবাচ্চা থাকলেও অত্যাধিক গরম এবং আর্দ্রতার জন্য অস্ট্রেলিয়ান ঘোড়াগুলি ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই খোঁজা হয় বিকল্প। অমৃতার মুখে এই ইতিহাস প্রায় বাকরুদ্ধ হয়ে শুনত আকাশ। শোনা ছাড়া উপায়ও ছিল না। কারণ, তার বান্ধবী ইতিহাসের ছাত্রী। আর ট্রামের প্রতি প্রেম কখনও-সখনও তাদের সম্পর্কের গভীরতাকেও ছাপিয়ে যেত। বালিগঞ্জ ডিপো থেকে বেরিয়ে ২৪ নম্বর ট্রাম যতক্ষণ না তাদের সামনে দাঁড়াত, বলেই যেত অমৃতা। আকাশও জানত, এই গল্পের মধ্যে দিয়েই যে বান্ধবীকে বেশিক্ষণ কাছে পাওয়া। অমৃতার কাছেই তার জানা... ১৯০২ সালে প্রথমবার চলে ইলেকট্রিক ট্রাম। সেই সময় কলকাতা আর হাওড়ার মধ্যে যাতায়াতের জন্য ভাসমান সেতু ছিল। দিনের মধ্যে কয়েক ঘণ্টা সেতু খুলে দেওয়া হতো জাহাজ চলাচলের জন্য। কিন্তু এই সেতুর উপর দিয়ে ট্রাম চালানো সম্ভব ছিল না বলে হাওড়া ট্রাম পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছিল এমনও নয়। ১৯০৫ সালের অক্টোবরে হাওড়া শহরে প্রথম ট্রাম চলাচল শুরু হয়। প্রথম রুট, হাওড়া থেকে শিবপুর। এরপর ১৯০৮ সালের অক্টোবরের কোনও এক সময় আরও দু’টি রুট চালু হয়। অমৃতার কাছে রুট নম্বর নিয়ে জানতে চেয়েছিল আকাশ। নিজে থেকেই। হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো খুশিতে কলকল করে ওঠে বান্ধবী—‘প্রথমদিকে ট্রামের সামনে ঝোলানো থাকত বিশেষ রংয়ের বোর্ড। যাত্রীরা তা দেখেই বুঝে নিতেন তার যাত্রাপথ। রুট নম্বরের প্রচলন হয় ১৯৫৮ সালে।’ 
তার মধ্যে অবশ্য রাজনীতি দাবাখেলায় পা রেখে ফেলেছে ট্রাম। বাম বনাম কংগ্রেস চাপানউতোরের প্রধান চরিত্র যে এই একটি নির্বিবাদী-ধীরস্থির যান হতে পারে, তা দেখিয়েছে বাংলাই। ১৯৫৩ সালে ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের সরকার সিদ্ধান্ত নিল, ১ জুলাই থেকে এক পয়সা বাড়বে সেকেন্ড ক্লাসের ভাড়া। প্রতিবাদে রাজপথে নামে কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া। তারাই জনসাধারণের ক্ষোভে ঘৃতাহুতি দিল। প্রথম দু’দিন অর্থাৎ ১ এবং ২ জুলাই যাত্রীদের সঙ্গে কন্ডাক্টরদের অশান্তি ঠেকল চরমে। ৩ জুলাই পুলিস লাঠিচার্জ করতেই যেন বিস্ফোরণ। পোড়ানো হল বেশ কয়েকটি ট্রাম। এই আন্দোলনের জন্যই ভিয়েনায় নিজের চোখের অস্ত্রোপচার বাতিল করে ফিরে এসেছিলেন বিধানচন্দ্র রায়। গণআন্দোলনে শেষমেশ ভাড়া কমাতে হয় সরকারকে। আম জনতার পরিবহণ পরিষেবায় রাজনীতির অনুপ্রবেশ ঘটে গিয়েছিল সেদিনই। সেই ধারা চলছে আজও। ধুঁকতে থাকা ট্রাম কোম্পানি, একে একে কমে শূন্যে পৌঁছে যাওয়া রুট এবং রাজপথে পাতা লাইনে দু’চাকার দুর্ঘটনা। ট্রাম বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত শোনা মাত্র এখানেও নেমে পড়েছে বিরোধীরা। ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখার দাবিতে পথে নাগরিকরাও। কিন্তু আঁকড়ে থাকার এই আব্দারের মধ্যেই আমরা আবিষ্কার করছি, কখন যেন ট্রাম শুধু আমাদের নস্টালজিয়াতেই স্থান পেয়ে রয়েছে। সেই আকাশ আর অমৃতা এখন স্বামী-স্ত্রী। পুঁচকে একটি মেয়ে রয়েছে। তার স্কুলও দক্ষিণ কলকাতায়। তবে এখন আর ট্রামে চড়া হয় না। অটোরিকশাই ভরসা। কিন্তু রাসবিহারী অ্যাভিনিউ ও ল্যান্সডাউন রোডের ক্রসিংটা এলেই মাঝেমধ্যে মনটা হু হু করে দম্পতির। এই অনুভূতির সঙ্গেও যে ট্রাম জড়িয়ে। ১৯৫৪’র অক্টোবরে তো এখানেই দুর্ঘটনা ঘটেছিল জীবনানন্দ দাশের। আটদিন যমে-মানুষে টানাটানির পর শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে নিভে গিয়েছিল বনলতা সেনের স্রষ্টার জীবনদীপ। 
সত্যিই তো আমাদের অনেকের প্রথম অনেক কিছুর সাক্ষী এই ট্রাম। নয়ের দশক পর্যন্ত যা চলেছে রমরমিয়ে। গর্বের সঙ্গে মাথা উঁচু করে। বাদুড়ঝোলা বাস, ট্যাক্সির আর্থিক বাহুল্য থেকে বাঁচতে ভরসা ছিল ট্রামই। কিন্তু ঐতিহ্যের এই ট্রাম কেন উঠিয়ে দিতে বাধ্য হল পশ্চিমবঙ্গ সরকার? বিশ্লেষণে উঠে আসছে দু’টি বিপরীত মেরুর মত। গতিশীল শহরে ডেডিকেটেড লাইন না থাকায় দুর্ঘটনার বহর বাড়ছে। এছাড়া অধিকাংশেরই ট্রামে ওঠার মতো সময় হাতে নেই। শুধুই ঐতিহ্যের পিছনে ছোটার জন্য আধুনিকতাকে জলাঞ্জলি দিতে হবে, এমন মাথার দিব্যি কে দিয়েছে? পাশাপাশি রয়েছে উল্টো মতও। বাবা-মা কর্মক্ষমতা হারালে কি তাঁদের বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানো উচিত? প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। সবমিলিয়ে বাঙালির চায়ের কাপে তুফান উঠছে রমরমিয়ে। 
পায়ের তলায় রাখা লোহার শলাকায় ভারী বুট পরা ড্রাইভার চাপ দিতেই সেই ঘটাং-ঘটাং শব্দ, দড়ি ধরে মারো টানের সেই টিং টিং, অতি পাতলা টিকিট চার ভাঁজে ঘড়ির রিস্টব্যান্ডে আটকানো কিংবা সরু করে মুড়ে কানে দেওয়ার আরাম বাঙালি আর পাবে না। সামনের সিটে বসে আর দেখা যাবে না, স্টপ ছেড়ে ঘটাং করে রওনা দিতেই খুলে যাওয়া চালকের সঙ্গে সংযোগকারী দরজাটা। ব্রেক কষলেই আবার বন্ধ। আর যদি দরজা না খোলে? একটু ঝুঁকলে দেখা যাবে, ওখানে ডোরস্টপ হিসেবে কাজে নেমে পড়েছে নোনা ধরা একটি ইট। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শুধুই শুনবে এই যানের কথা। আজকের বাবা-মা’রা হয়তো ট্রামের গুরুত্ব বোঝাতে গুনগুন করে গেয়ে উঠবেন আনন্দ বকশির লেখা সেই বিখ্যাত গানের কলি, ‘জিন্দগিকে সফর মে গুজর যাতে হ্যায় যো মকাম, ও ফির নেহি আতে, ও ফির নেহি আতে...’।
01st  October, 2024
উৎসবের মধ্যেই আনন্দলোকের খোঁজ
মৃণালকান্তি দাস

দুর্গাপূজার সমারোহ নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীতেই নানা কথা উঠেছিল। কথা উঠেছিল শহর কলকাতার হুজুগেপনা নিয়েও।  বিশদ

বাধার মধ্যেই পুজো, হাতে জোড়া উপহার
হারাধন চৌধুরী

একদিকে যুদ্ধের দামামা, অন্যদিকে বানবন্যা। সঙ্গে দোসর কতিপয় মানুষের বিকৃতি—নারীর সুন্দর কোমল পবিত্র জীবনকে কলুষিত করার অপপ্রয়াস। ফলে চলছে লাগাতার প্রতিবাদ। দুষ্টের দমনে প্রশাসনও যেন নাজেহাল। সব মিলিয়ে মানুষ মোটে ভালো নেই। বিশদ

09th  October, 2024
অশুভের দমন
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সুপ্রিম কোর্ট ‘বিশাখা গাইডলাইন’ ইস্যু করেছিল ১৯৯৭ সালে। লক্ষ্য ছিল, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যেন যৌন হয়রানির শিকার হতে না হয়। এই গাইডলাইনের ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন হতে সময় লেগে গিয়েছিল আরও ১৫ বছর। মাঠেঘাটে হোক কিংবা অফিস, কাজে যাওয়া নারী সমাজের প্রত্যেক প্রতিনিধি আশ্বস্ত হয়েছিলেন। বিশদ

08th  October, 2024
ভারতীয় বিমানবাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস: আত্মনির্ভরতায় অভিযান
ড.বিদ্যুৎ পাতর

৮ অক্টোবর, ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রতিষ্ঠা দিবস—এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সূচনা। ১৯৩২ সালে যখন মাত্র চারটি পুরনো বিমানের মাধ্যমে এই বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়, তখন কেউ কল্পনাও করেনি এটি একদিন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বিমানবাহিনী হিসেবে আকাশপথে আধিপত্য বিস্তার করবে। বিশদ

08th  October, 2024
ব্রেকিং নিউজ
পি চিদম্বরম

এটা ব্রেকিং নিউজ, তবে অন্য রকমের। এটা কোনও আইন ভাঙার খবর নয়। খবরটা না মাথা ভাঙার কিংবা ঘরবাড়ি ভাঙারও। অতীতে অনেকবার ফাঁস হওয়া চাঞ্চল্যকর কোনও খবরের মতো নয় এটা। 
বিশদ

07th  October, 2024
বিচার নয়, বাংলার বদনাম করাই লক্ষ্য
হিমাংশু সিংহ

ভাবছিলাম, তেরো পার্বণের দেশে কবে থেকে ‘উৎসব’ নিষিদ্ধ হল? উৎসবে ফেরা আর পাঁকে পড়া যেন সমার্থক হতাশ অতি বামদের প্রতিহিংসার অভিধানে! বাস্তবে কি তা হতে পারে কোনওদিন এই সবুজ ঘেরা বাংলায়? তার জন্য তিন তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীর দিকে অবিরাম ঘৃণাবর্ষণ। বিশদ

06th  October, 2024
হঠকারিতার মাশুল দিচ্ছে গণআন্দোলন
তন্ময় মল্লিক

অবশেষে কর্মবিরতি তুলে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের অনভিপ্রেত ঘটনাকে সামনে রেখে জুনিয়র ডাক্তাররা আংশিক থেকে পূর্ণ কর্মবিরতিতে চলে গিয়েছিলেন। অভয়ার জাস্টিস গোটা বাংলা চায়। কিন্তু এই কর্মবিরতির সঙ্গে অভয়ার জাস্টিসের সম্পর্ক ছিল না। বিশদ

05th  October, 2024
সাফল্যে গ্রামবাংলার কাছে পিছিয়ে এলিট সমাজ?
সমৃদ্ধ দত্ত 

পশ্চিমবঙ্গের বাবু সমাজ ক্রমেই জাতিগত সাফল্যের বিচারে গ্রামীণ সমাজের কাছে পিছিয়ে পড়ছে কেন? বঙ্গীয় বাবু সমাজের একটি বিশেষ দম্ভ রয়েছে যে, তারাই এই রাজ্যের ওপিনিয়ন মেকার। অর্থাৎ কখন কী নিয়ে আলোচনা হবে, বিশদ

04th  October, 2024
ইলিশের গল্প, ইলিশের রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

দেশ ভাগ হয়েছে কবেই। সীমান্তে এখন কাঁটাতারের বেড়া। তবু আজও দশমীর সকালে বাংলাদেশের পাবনা থেকে জোড়া ইলিশ নিয়ে সান্যাল বাড়িতে হাজির হন মহম্মদ আব্দুল।
বিশদ

03rd  October, 2024
বাজল তোমার আলোর বেণু, মাতল রে ভুবন
সন্দীপন বিশ্বাস

আকাশজুড়ে যখন ফুটে ওঠে উৎসবের অলৌকিক আলো, ব্রাহ্মমুহূর্তের সেই নৈঃশব্দের মধ্যেই সূচনা হয়ে যায় দেবীপক্ষের। আর তখনই আগমনির সুরে বেতারে বেজে ওঠে আমাদের হৃদয় উৎসারিত শাশ্বত মন্ত্র। বিশদ

02nd  October, 2024
করুণা নয়, অধিকার
শান্তনু দত্তগুপ্ত

খুব দুঃখ হয়েছে মিনতির। ছোট্ট বছর সাতেকের মেয়ে। পুজো এলেই ওর মনে কেমন যেন রেলগাড়ি ছুটতে শুরু করে। পঞ্চমী এলেই ঢাকটাকে কাঁধে ফেলে বেরিয়ে পড়ে বাবা। মুখে একরাশ ভরসার হাসি। ফিরব যখন, নতুন জামা নিয়ে আসব। বিশদ

01st  October, 2024
অগ্রাধিকারের তালিকা থেকে পড়শিরা বাদ
পি চিদম্বরম

আমাদের প্রতিবেশী অঞ্চলে, ভারতের সঙ্গে চীনের সীমান্ত দৈর্ঘ্য ৩,৪৮৮ কিমি। তবু কেউ চীনকে আমাদের প্রতিবেশী বলে মনে করে না।
বিশদ

30th  September, 2024
একনজরে
উদ্বোধক হিসেবে তো দূর, প্রধান অতিথি হয়েও কোনও পুজো মণ্ডপে বসার জন্য ডাক পেলেন না বিজেপি নেতারা। জেলার অধিকাংশ বিগ বাজেটের পুজো মণ্ডপের উদ্বোধনে ছিলেন ...

কল্যাণীর রাস্তায় সন্ধ্যার পর কার্যত জনস্রোত চলছে। দর্শনার্থীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পথে নেমেছে টোটো। ফলে অবধারিত হয়েছে যানজট। এর মধ্যে টোটো চালকদের একাংশের বিরুদ্ধে বাড়তি ভাড়া ও জোরজুলুমের অভিযোগ উঠেছে। ...

চটের ব্যাগের বরাত দেওয়ার বিষয়ে চাপে পড়ে পিছু হঠল কেন্দ্র। যে নয়া নিয়ম চালু করতে তারা এগচ্ছিল, তা থেকে আপাতত সরে আসছে। পাটশিল্পকে রক্ষা করতে কেন্দ্রীয় আইনে বলা হয়েছে, দানাশস্য প্যাকেটজাত করতে ১০০ শতাংশ এবং চিনিতে ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে চটের ...

‘ঘরছাড়া’ হতে হল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আতিশীকে। বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে আতিশীর জিনিসপত্র সরিয়ে দেওয়া হয়। মাত্র দু’দিন আগেই উত্তর দিল্লির সিভিল লাইনে ৬, ফ্ল্যাগস্টাফ রোডের সরকারি বাসভবনে থাকতে শুরু করেছিলেন দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ধর্মকর্মে সক্রিয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

মানসিক স্বাস্থ্য দিবস
আন্তর্জাতিক মৃত্যুদন্ড বিরোধী দিবস
১৭৫৬: লর্ড রবার্ট ক্লাইভ মাদ্রাজ থেকে ৫টি যুদ্ধজাহাজে ৯০০ সৈন্য নিয়ে কলকাতা দখলের জন্য যাত্রা করে
১৭৩৩: রাজা নবকৃষ্ণ দেবের জন্ম (শোভাবাজার রাজপরিবারের প্রতিষ্ঠাতা)
১৯৪২: কবি কাজী নজরুল ইসলাম মস্তিক ব্যাধিতে আক্রান্ত (মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি আর সুস্থ হননি)
১৯৫৪: অভিনেত্রী রেখার জন্ম
১৯৬৪: অভিনেতা ও পরিচালক গুরু দত্তের মৃত্যু
২০১১: সঙ্গীতশিল্পী  জগজিৎ সিংয়ের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৫ টাকা ৮৪.৮৯ টাকা
পাউন্ড ১০৮.২৫ টাকা ১১১.৮০ টাকা
ইউরো ৯০.৭১ টাকা ৯৩.৮৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৫,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৪ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪। সপ্তমী ১৭/২৩ দিবা ১২/৩২। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/৩৪/৪৭, সূর্যাস্ত ৫/১২/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৮ মধ্যে পুনঃ ১/২০ গতে ২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/১ গতে ৯/১৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৮ গতে ৩/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৬ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২৪ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
২৩ আশ্বিন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪। সপ্তমী দিবা ৭/২৫। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র রাত্রি ১/৫১। সূর্যোদয় ৫/৩৫, সূর্যাস্ত ৫/১৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৫ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৪১ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৬ গতে ৯/১২ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১২ মধ্যে ও ৪/৩ গতে ৫/৩৫ মধ্যে। কালবেলা ২/১৯ গতে ৫/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৫ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
৬ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শারদ শুভেচ্ছা ও ছুটি
দেবীর আবাহনে গোটা বাংলা মেতেছে উৎসবের আনন্দে। শারদোৎসব উপলক্ষ্যে বর্তমান-এর সকল পাঠক-পাঠিকা, ...বিশদ

03:55:00 AM

মুখ্যমন্ত্রীর শারদীয়ার শুভেচ্ছা
আনন্দময়ীর আগমনে ধরণী আজ প্রাণময়ী। আলোকময় হোক বিশ্ব চরাচর। দশপ্রহরণধারিণীর ...বিশদ

03:50:00 AM

রতন টাটার প্রয়াণে শ্রদ্ধা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

09-10-2024 - 11:57:00 PM

প্রয়াত রতন টাটা
না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন দেশের রত্ন রতন টাটা। বুধবার ...বিশদ

09-10-2024 - 11:45:00 PM

মহিলা টি২০ বিশ্বকাপ: শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৮২ রানে জিতল ভারত

09-10-2024 - 10:46:00 PM

দ্বিতীয় টি২০: বাংলাদেশকে ৮৬ রানে হারাল ভারত

09-10-2024 - 10:24:00 PM