ধর্মকর্মে সক্রিয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
রানিবাগানের বাসিন্দা সোমা চৌধুরী বলেন, গালৌটি কাবাব একবার মুখে দিলে সঙ্গে সঙ্গে মিলিয়ে যায়। তাই স্টার্টার হিসেবে আমার প্রথম পছন্দ এই কাবাব। স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয়। সঙ্গে মাটন বিরিয়ানি আমার বেশি পছন্দ। তবে রেস্তোরাঁ বুঝে সিদ্ধান্ত নেব। সারা বছর মাঝেমধ্যেই চাইনিজ খাবার আমরা খেয়ে থাকি। তাই পুজোর ক’টা দিন একটু স্পেশাল। এবার বেশ কিছু জায়গায় বাঙালি ডিশের ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে ইলিশ মাছের কম্বো ডিশ আমার বেশ পছন্দ হয়েছে। পুজোর একদিন অবশ্যই বাঙালি ডিশ ট্রাই করব।
বহরমপুরের মোহন মলের ফুড জংশনের কর্ণধার অরিজিৎ গুপ্ত বলেন, পূজো মানেই বরাবরই আমাদের স্পেশাল মেনু থাকে। তবে চাইনিজ মোগলাই কুইজিনের পাশাপাশি আমরা বাঙালি ডিশ রাখছি। পুজোর সময় চাইনিজের থেকে মোগলাই কুইজিনের প্রতি মানুষের ঝোঁক বেশি থাকে। সেইমতো আমরা নানা স্বাদের বিরিয়ানি নিয়ে হাজির হয়েছি। সঙ্গে বিভিন্ন কাবাব ও চাপ তো থাকছেই।
রানিবাগানের এক রেস্তোরাঁর কর্ণধার সঞ্চালী মন্ডল বলেন, সারা বছরের গতানুগতিক মেনুর সঙ্গে পুজোর ক’টা দিন আমরা স্পেশাল মেনু ব্যবস্থা করি। মাছের বেশ কিছু পদ আমাদের এবার নতুন। যেমন, ইলিশ ভাপা, ইলিশ পাতুরি ও ইলিশ ভাজা। এছাড়া ভেটকি মাছের বিভিন্ন পদ আছে, যা মানুষ পছন্দ করবে। সম্পূর্ণ নিরামিষ বনেদি হেঁশেল থালিরও ব্যবস্থা রয়েছে। পুজোর সময় এই থালি মানুষের পছন্দের প্রথম তালিকায় থাকে। পুজোর এই ক’টা দিন অনেকেই নিরামিষ খান। তাদের কথা ভেবে আমরা বিভিন্ন পদ দিয়ে এই থালি সাজিয়েছি। প্রচুর ননভেজ আইটেম রয়েছে। যার মধ্যে নবাবী চিকেন দোম বিরিয়ানি ও নবাবী মাটনাম বিরিয়ানি এবার ভালো অর্ডার হচ্ছে।
গোরাবাজারের বাসিন্দা সৌমিমা চট্টরাজ বলেন, পুজোর মধ্যে অষ্টমীতে নিরামিষ খেতেই হয়। ওইদিন লুচি আমার ফেভারিট। সেদিন রাতে অবশ্যই বাঙালি থালি ট্রাই করব। বাকি দিনগুলি মোগলাই কুইজিনের দিকে ঝুঁকব। মাটন বিরিয়ানি আমার প্রথম পছন্দ। সঙ্গে চিকেন চাপ। ষষ্ঠী থেকেই বাইরে খাওয়া দাওয়া শুরু হবে। রেস্তোরাঁগুলি নতুন নতুন সম্ভার সাজিয়ে রেখেছে। সবকিছু ট্রাই করার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।
অতঃপর, মুর্শিদাবাদে পুজো মানেই নবাবিয়ানার সঙ্গে বাঙালিয়ানার গাঁটছড়া বাঁধা। অতীতে ছিল, আজও বর্তমান।