নয়াদিল্লি: হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ হেরে ফিরতে হয়েছে। হরিয়ানার দঙ্গলে ধরাশায়ী হয়ে আখড়া ছেড়েছে কংগ্রেস। আর ফল প্রকাশের পরের দিন ‘ইন্ডিয়া’ শিবিরের শরিক দলগুলিই কংগ্রেসের সমালোচনায় সরব। বুধবার একযোগে সুর চড়াল তৃণমূল কংগ্রেস, শিবসেনা (উদ্ধব শিবির) ও আপের মতো দলগুলি। তাদের কটাক্ষ, ঔদ্ধত্য ও অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসেই তরী ডুবেছে কংগ্রেসের। একধাপ এগিয়ে আপ নেতৃত্ব ঘোষণা করেছে, দিল্লির আসন্ন বিধানসভা ভোটে ‘দাম্ভিক’ কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও রকম জোটের পথে হাঁটা হবে না। অর্থাৎ দিল্লিতে একাই লড়বে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। একইভাবে মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোটের আগে সুযোগ বুঝে চাপ বাড়িয়েছে উদ্ধব থ্যাকারের শিবসেনাও। মুখপাত্র সামানার সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, হরিয়ানায় অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ও ঔদ্ধত্যের কারণে হারতে হয়েছে কংগ্রেসকে। সেই হার থেকে শিক্ষা নিন মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতারা। মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়েও একই অবস্থা হয়েছিল। দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে ওই দুই রাজ্যেও হারতে হয়েছিল কংগ্রেসকে। হরিয়ানাতে আপ ও অন্য শরিকদের জন্য আসন না ছেড়ে কংগ্রেস একা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীরে ন্যাশনাল কনফারেন্সের (এনসি) কাঁধে ভর করে লড়েছে তারা।
হরিয়ানায় এবার বুথ ফেরত সমীক্ষার পূর্বাভাস মেলেনি। সেখানে সরকার গড়তে চলেছে পদ্ম শিবির। তারপরই ভোটের আগে আপ ও সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোটের আলোচনা ভেস্তে যাওয়া নিয়ে ‘ইন্ডিয়া’র শরিক দলগুলি এদিন কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলেছে। তৃণমূল সাংসদ সাকেল গোখেল লিখেছেন, ‘যেখানে মনে হবে জয়ের জায়গায় রয়েছি, সেখানে আঞ্চলিক দলগুলিকে জায়গা ছাড়ব না। আর যেখানে কোনও শক্তি নেই, সেখানে আঞ্চলিক দলগুলিকে আসন ছাড়তে হবে। ঔদ্ধত্য ও আঞ্চলিক দলগুলিকে হেলাফেলা করার মানসিকতাই কংগ্রেসের জন্য এই বিপর্যয় ডেকে এনেছে।’ আপ নেত্রী প্রিয়াঙ্কা কক্কর জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারিতে দিল্লির আসন্ন বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও জোট হচ্ছে না। লোকসভা ভোটে দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসকে বাড়তি আসন ছেড়েছিল আপ ও সপা। তা সত্ত্বেও হরিয়ানার বিধানসভা ভোটে আপ ও সমাজবাদী পার্টিকে আসন ছাড়তে রাজি হয়নি কংগ্রেস।