শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ
শুধু বেকারত্বের হারেই নয়, যুব সম্প্রদায়কে কর্মসংস্থান না দিতে পারার অঙ্কেও প্রধানমন্ত্রী ‘রেকর্ড’ করেছেন। দেখা যাচ্ছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৬.৮ শতাংশ। এর মধ্যে যুব সম্প্রদায়ের অনুপাতই ছিল ৮৩ শতাংশ। তথ্য বলছে, ২০২১ সালে ভারতে মোট জনসংখ্যার ২৭ শতাংশ ছিল যুবসম্প্রদায়। আইএলও এবং আইএইচডি’র যৌথ সমীক্ষা রিপোর্ট আরও জানিয়েছে, ২০০০ সালে দেশে শিক্ষিত বেকারের অনুপাত ছিল ৫৪.২ শতাংশ। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৬৫.৭ শতাংশ। মোদি জমানার প্রথম আট বছরে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকে চাকরি পেয়েছেন মাত্র সোয়া ১৫ লক্ষ-র মতো যুবক-যুবতী। বেকার সমস্যা কী ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে তার একটা ছোট্ট নিদর্শন হল, ওই সোয়া ১৫ লক্ষের মধ্যে ৭.২২ লক্ষ চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন দেশের ২২ কোটি বেকার যুবক যুবতী। এটাও হয়তো একটা ‘রেকর্ড’।
বেকারত্বের মতো পণ্যসামগ্রীর দামও বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। অনেকটা ‘সেনসেক্স’-এর মতো। এক্ষেত্রেও ‘রেকর্ডে’র আশপাশে ঘোরাফেরা করছেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রক বলছে, গত মে মাসে খুচরো বাজারে আনাজের দাম বেড়েছে ২৭.৩৩ শতাংশ, ডাল ১৭.১৪ শতাংশ হারে। ওই মাসে মাছ-মাংস-ডিমের দাম বেড়েছে ৭ শতাংশ, ফলের দামও ওই একই হারে। সব মিলিয়ে আনাজসহ খাদ্যপণ্যের দাম ৮ শতাংশের উপরেই থেকেছে। খুচরোর মতোই বেহাল দশা পাইকারি বাজারেও। এপ্রিলে এই বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ১.২৬ শতাংশ, মে মাসে তা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে হয়েছে ২.৬১ শতাংশ। এই বৃদ্ধির হার তার আগের পনেরো মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। পাইকারি বাজারে খাদ্যপণ্যের দামবৃদ্ধির হার হয়েছে ১০ শতাংশ। আর আনাজের দাম বেড়েছে ৩২.৪২ শতাংশ। ইতিমধ্যে পেট্রল ও ডিজেলের দাম এক দফা বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বর্ষার খামখেয়ালিপনায় অনেক জায়গায় ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত এই দুই কারণে খুচরো ও পাইকারি দুই বাজারেই দাম আরও বাড়তে পারে। তাই আশঙ্কায় রয়েছে আম জনতা। ফলে আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার আর কোন নতুন ‘রেকর্ড’ করে এখন সেটাই দেখার।