Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মধ্যবিত্তের বিশ্বজয়
সমৃদ্ধ দত্ত

ধর্মযাজক অ্যান্ড্রু ভ্যালান্স একটা ক্ষীণ কণ্ঠস্বর শুনতে পেলেন। রুমের বাইরে। বেরিয়ে এসে ভ্যালান্স দেখলেন জাস্টিন দাঁড়িয়ে। টেস্ট ম্যাচের সাদা পোশাক। প্রচণ্ড ঘামছেন।  জাস্টিন ল্যাঙ্গার অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যান। ১৯৯৯। পার্থ। ভ্যালান্স অবাক হলেন। এই সময় জাস্টিন এখানে কেন? আমি আপনাকে কিছু বলতে চাই অ্যান্ড্রু। বললেন জাস্টিন। অ্যান্ড্রু ভাবলেন চার্চে এসে এই কথা বলছেন যখন, কিছু কনফেস করবেন জাস্টিন। অ্যান্ড্রু যাজক হলেও তীব্রভাবে তাঁর ক্রিকেট অনুরাগ। তিনি জানেন জাস্টিনের ফর্ম তলানিতে। এই তো একমাস আগেই শ্রীলঙ্কা ট্যুরে রান পায়নি সে। যে কোনও 
সময় বাদ পড়ে যাবে টিম থেকে। জাস্টিন বললেন, অ্যান্ড্রু আমার একটাই প্রবলেম হচ্ছে। কিছুতেই মনকে স্থির করতে পারছি না। কেমন যেন একটা 
আবছায়া আত্মবিশ্বাসহীনতা ভর করছে ফিল্ডে। আমি যেটাই করছি বুঝতে পারছি সেটায় সম্পূর্ণ ফোকাস নেই। অ্যান্ড্রু জানতে চাইলেন, জাস্টিন শেষ কবে বাইবেল পড়েছো? 
জাস্টিনের পরিবার অত্যন্ত গোঁড়া ক্যাথলিক। শহরে থাকলে নিয়ম করে সে সেন্ট যোশেফ চার্চে যায় রবিবার। এমনকী তাঁর সঙ্গে সর্বদাই থাকে সেন্ট ক্রিস্টোফারের একটা ম্যাগনেট। 
একটু ইতস্তত করে জাস্টিন বললেন, অনিয়মিত। নিয়ম করে প্রতিদিন অথবা প্রতি সপ্তাহে এভাবে হয় না। বিক্ষিপ্তভাবে বলতে পারো। অ্যান্ড্রু বললেন, আচ্ছা। আমি তোমাকে দেব। এখন যাও। পরের সপ্তাহে ব্রিসবেনে পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচ। জাস্টিন ল্যাঙ্গারকে সি অফ করতে এয়ারপোর্টে গিয়ে যাজক অ্যান্ড্রু একটি বাইবেল দিয়ে বললেন, হোটেলরুমে পড়বে আজ থেকেই। 
দু’ সপ্তাহ পর পার্থে ফিরলেন জাস্টিন। আর এসেই অ্যান্ড্রুর সঙ্গে দেখা করলেন। অ্যান্ড্রু জাস্টিনকে আলিঙ্গন করলেন। 
কারণ, জাস্টিন হোবার্টে সেঞ্চুরি করেছে। নিয়মিত রানের মধ্যে ফিরেছে। আর খেলায় এক আগ্রাসী আত্মবিশ্বাস। কীভাবে হল? জাস্টিন বলেছিলেন, বাইবেলটা পড়ার পর থেকেই বুঝলাম আমার ভিতরে চেঞ্জ আসছে। এখন প্রতিটি ডেলিভারি কাছে আসার আগেই আমি নিজেকে বলি,প্রত্যেকটা বাধা পেরতে পারব তাঁর মাধ্যমে, যিনি আমার মধ্যে শক্তি দিয়েছেন। প্রতিটি বল খেলার আগে এই লাইনটা বলি। বাইবেলের ওই একটি পংক্তি জাস্টিন ল্যাঙ্গারকে পাল্টে দিল। 
ওয়েস্ট ইন্ডিজে জামাইকার সাবাইনা পার্ক গ্রাউন্ডের পিচ কিউরেটর চার্লস যোশেফ ৭৩ বছর বয়সেও আতঙ্কে থাকেন। বাড়ি থেকে চলে আসেন টেস্ট ম্যাচ শুরু হওয়ার অন্তত এক সপ্তাহ আগে মাঠে। পিচের অবস্থা কী সেটা নিজের চোখে দেখতে। টিপে টিপে পরীক্ষা করেন। জোরে জোরে বল মারেন পিচে। এখন তাঁর এই চাকরিটা নেই। তিনি পেনশন পান। পিচ তৈরির দায়িত্বে অন্য ইয়ং কিউরেটররা। কিন্তু তাও আসেন তিনি। আর তাঁরাও এই বৃদ্ধ লোকটাকে কখনও কিছু বলেন না। কারণ, লোকটা এই পিচকে ৪৯ বছর ধরে যত্ন করেছেন। তিনি বলেন, সাবাইনা পার্কের পিচ তাঁর মেয়ে। কিন্তু এত ভয় কীসের? ১৯৯৮ সালের ২৯ জানুয়ারি দিনটা তিনি ভুলতে পারেন না। আজও প্রত্যেকটা ম্যাচ শেষ হওয়ার পর তিনি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেন আর খেলা শেষে কান্নায় ভিজে যান। সেদিন ইংল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট মাত্র ১০ ওভার পরই বাতিল হয়ে যায় এই গ্রাউন্ডে। কারণ, কার্টলে অ্যামব্রোসের কয়েকটি ওভারের পর বোঝা গেল এটা একটা মৃত্যুপুরী। ইংল্যান্ড বলল, এরকম পিচে খেলা অসম্ভব। এমনকী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানরা আতঙ্কিত। সত্যিই তো, এরকম ভয়ঙ্কর কেন হল পিচ! সব দোষ গিয়ে পড়ল একজনের ঘাড়ে। কিউরেটর যোশেফ। অথচ যোশেফের দোষ নেই। সম্পূর্ণভাবে নতুন পিচ তৈরি হওয়ার পর তিনি বলেছিলেন, অন্তত ৮ মাস যেন দেখা হয় পিচের চরিত্র। তার আগে বোঝা যায় না পিচ কেমন আচরণ করবে কখন। তাঁর কথা শোনা হয়নি। দ্রুত শিডিউল করে এখানেই খেলা দেওয়া হয়। অথচ অপরাধী এখন যোশেফ। সাসপেন্ড হলেন তিনি। হয়ে উঠলেন ভিলেন। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস কেঁদেছেন যোশেফ। আজ এত বছর পরও তাই সাবাইনা পার্কে খেলা শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকে দিনে তো বটেই, মাঠেই রাত্রিযাপন করেন যোশেফ। নিজে হাতে দেখভাল করবেন বলে। আর কোনওদিন নিজের মেয়ের অপমান হতে দেবেন না তিনি।
ক্রিকেট অথবা যে কোনও খেলার মধ্যে নিছক জয় পরাজয়টাই প্রধান নয়।  মিশে আছে প্যাশন, স্বপ্ন এবং উত্তরণের সাফল্য। তার মধ্যে থেকে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ খুঁজে পায় প্রেরণা। এই যে গত সপ্তাহে ১১ জন যুবক অথবা তাঁদের কোচ বিশ্বজয় করল ভারত থেকে অনেক দূরের এক শহরে, এটা নিছক কি নিজের দেশকে জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ দেখতে পাওয়ার সন্তোষ? মনে হয় না। তার থেকে আর একটু বেশি। আমাদের মতো আম জনতা, নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্তদের প্রত্যেকে একটি করে ব্যক্তিগত টি টুয়েন্টি খেলে চলেছি জীবনসংগ্রামে। আমাদের প্রত্যেকটি জীবনের স্বপ্ন নিজস্ব এক ফাইনাল ম্যাচে পৌঁছে জিতে যাওয়া। কেউ পারব। কেউ পারব না। কিন্তু এই যে ১৯৮৩ অথবা ২০০৭ কিংবা ২০১১ এবং ২০২৪ সালে ১১ জনের দলটি পারল, সেটা আমাদের কাছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এক আগুনশিখার মতো পথ প্রদর্শক। কেন? কারণ, লক্ষ্য করা যায় যে, এই যাঁদের মাধ্যমে দেশের সিদ্ধিলাভ হয়েছে, তাঁদের সিংহভাগ এসেছেন আমাদেরই মতো নিতান্ত সাধারণ মধ্যবিত্ত সংসার থেকে। এই উচ্চ সিংহাসনে যাওয়ার স্বপ্নটি তাঁরা লোকাল ট্রেনে, বাসে, পেটে একটু খিদে রেখে, অটো রিকশ চালিয়ে কিংবা বস্তি এলাকায় নিরন্তর শূন্যতার সাক্ষী হতে হতেই দেখেছে।  এটাই আমাদের কাছে এক অনুপ্রেরণা। 
ওই যে হার্দিক পান্ডিয়া। এক সময় যথেষ্ট স্বচ্ছল ছিল তাঁর পরিবার। আচমকা সেই গতি স্লথ হয়ে গেল। বাবা হিমাংশু পান্ডিয়া দুই পুত্রকে নিয়ে সুরাত থেকে ভাদোদরা চলে এসেছিলেন। হার্দিক ও তাঁর দাদা ক্রুনালের স্বপ্ন পৃরণ করবেন বলে। অর্থাৎ ক্রিকেটার হওয়া। কিন্তু জীবন সহজ নয়। অতএব হার্দিক পান্ডিয়ারা কখনও অটো রিকশ চালালেন। কখনও কিরণ মোরে ক্রিকেট অ্যাকাডেমি থেকে ফেরার পথে প্রচণ্ড খিদে পেলেও ম্যাগি খেয়েই খিদে হজম করতেন। কারণ খাওয়ার জন্য বরাদ্দ ছিল ৫ টাকাই। অ্যাকাডেমির মালির রান্নাঘরে গিয়ে গরম জল নিয়ে আসতে হতো। বদলে ঘাসে ও গাছে জল দেওয়ার কাজ। ছোটখাটো টুর্নামেন্ট খেলে ৪০০ টাকা আয় করে বাবার হাতে দিতেন। দিনের একবেলায় কখনও গাড়ির ডিলারের কাছে পার্ট টাইম কাজ করলেন। আজ সেই পান্ডিয়ার সম্পদের পরিমাণ ৯১ কোটি টাকা। 
যশবীর সিং বুমরাহ হঠাৎ অকালে চলে গেলেন সামান্য অসুস্থতায়। তাঁর স্ত্রী দলজিৎ সবথেকে বড় বিপদে পড়লেন। বহু কষ্টে জোগাড় হয়েছিল প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকতা। কিন্তু তার বাইরেও টিউশন করলেন দলজিৎ। দিনের মধ্যে ১৬ ঘণ্টা তাঁকে পরিশ্রম করতে হয়েছে ঘরের বাইরে। প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক থেকে নিজের চেষ্টায় একদিন নির্মাণ হাই স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল হওয়া দলজিৎ প্রথম থেকেই জানতেন ছেলেকে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার করানো যাবে না। ও ক্রিকেট খেলতে ভালোবাসে। তিনি বাধা দেননি। শুধু একটিই বিষয়ে তাঁর জেদ ছিল অনমনীয়। ইংরাজি শিখতে হবে। বলতে এবং পড়তে। তুমি যে কেরিয়ারেই যাও, ইংরাজি বলতে না পারলে কিছু হলেও পিছিয়ে থাকবে। যশপ্রীত বুমরা একটা সময় স্থির করেছিলেন যেভাবেই হোক মামার কাছে চলে যাবেন। মা দলজিৎ বলেছিলেন, একেবারেই নয়। নিজের স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করো। আমার যথাসম্ভব সঞ্চয় দিয়ে দেব। যশপ্রীত বুমরা যাননি। কানাডা নয়। ভারতই ছিল তাঁর ভাগ্যের কর্মভূমি। 
চেম্বুর থেকে ট্রেন সামান্য ফাঁকা পাওয়া যাবে। নচেৎ যে ট্রেনে সে চেম্বুরে নামতে হবে, সেটা প্রচণ্ড ভিড়। ময়দানে পৌঁছনোর আগেই তো ছেলে ঘেমেনেয়ে অর্ধেক এনার্জি নষ্ট করবে। আর অত বড় ক্রিকেট কিট কীভাবে ট্রেনে আনা সম্ভব? তাই চেম্বুর পর্যন্ত মোপেডে চাপিয়ে ছেলেকে স্টেশনে ড্রপ করে দিতেন অশোক যাদব। মুম্বইয়ের শহরতলিতে ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার কলোনির সরকারি আবাসনে থাকতেন। ভাবা অ্যাটমিকেরই কর্মী অশোক যাদব। ওই জার্নির সময়টায় সূর্যকুমার কি স্বপ্ন দেখতেন যে, একদিন তিনি একটি অনেক বড় মাঠের বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ নিয়ে সেই বলটাব আকাশে ছুঁড়ে দিয়ে আবার ঝাঁপ দিয়ে ভারতের জয়ের প্রাণভোমরার মতো তালুবন্দি করবেন? আর ১৪০ কোটি প্রাণ উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়বে সেই অলৌকিক দৃশ্য দেখে? তাঁর মা সবথেকে বড় ক্রিকেট ফ্যান। অতএব সূর্যকুমার যাদবকে বলেছিলেন, আমরা ধনী নই। কিন্তু সাধনা থাকলে তুমি পারবেই! সূর্য কুমার যাদব পেরেছেন।
আইপিএলে ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার ডিলে স্বাক্ষর করার পর মহম্মদ সিরাজকে প্রশ্ন করা হয়েছিল কী করবেন এরপর? সিরাজ বলেছিলেন, বাবার জন্য একটা বাড়ি কিনে দেব। আর গাড়ি। মহমম্দ ঘাউস চিরকাল হায়দরাবাদের রাস্তায় অটো রিকশ চালিয়েছেন। এবার যাতে তিনি গাড়ি চালাতে পারেন সেই স্বপ্ন পূরণ করেছিলেন পুত্র সিরাজ। সাবালক হয়ে যাওয়ার বয়স পর্যন্ত মহম্মদ সিরাজ কোনওদিন ক্রিকেট শ্যু পরেননি। হাওয়াই চটি পরে খেলতেন পাড়ায়, মহল্লায়। ভারতের এই টি টুয়েন্টির বিশ্বজয়ীরা কমবেশি সকলেই এসেছেন এরকম সাধারণ পরিবার থেকে। অনেকদিন পর এমন একটি ম্যাচ দেখা গিয়েছে, যেখানে সকলে মিলে কিছু না কিছু করেছেন। কালেকটিভ চ্যাম্পিয়ন। এটাই হল আমাদের কাছে শিক্ষণীয়। 
মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্ত চিরকাল রূপকথা তৈরি করেছে। কেউ কলকাতায় ব্ল্যাকার্স কোম্পানিতে ১৬৪০ টাকার স্যালারি ছেড়ে আচমকা অজানা এক শহর মুম্বইয়ে ভাগ্যান্বেষণে যান। তারপর অহরহ ব্যর্থ হওয়ার পর আচমকা ‘জঞ্জীর’ নামক একটি সিঁড়ির সন্ধান পেয়ে চির সুপারস্টার হয়ে যান। কেউ খড়্গপুরের টিকিট কালেক্টরের চাকরি ছেড়ে ঝাঁপ দেন  ভবিষ্যতে এক ইউথ আইকন হয়ে ‘এমএসডি’ নামক ব্র্যান্ড নির্মাণ করবেন বলে। স্বাধীনতার পর বারংবার প্রধানমন্ত্রী অথবা মুখ্যমন্ত্রীরা হয়েছেন মিডল ক্লাস থেকেই। হিন্দি সিনেমার ভাষায়, পাওয়ার অফ কমন ম্যান!
05th  July, 2024
নিট দুর্নীতি থেকে কি নেতার ইগো বড়?
হিমাংশু সিংহ

নিট ও নেট দুর্নীতি কোমর ভেঙে দিয়েছে দেশের মেধাবী যুব সমাজের। একমাস কেটে গেলেও সরকার কোনও সুরাহা করতে পারেনি, দায়ও নেয়নি সেভাবে। সংসদে দু’সপ্তাহের অধিবেশনে শুধু সরকার ও বিরোধীদের বাগ্‌যুদ্ধ হয়েছে, আতান্তরে পড়া ছাত্রছাত্রীরা কোনও সুবিচার পায়নি। বিশদ

শরীররূপ রথে পরমাত্মা রথীরূপে বিরাজমান
চৈতন্যময় নন্দ

জগন্নাথঃ স্বামী নয়নপথগামী ভবতু মে। ভক্তকণ্ঠে শ্রুত এই আকুতি মন্ত্র আজও প্রতিধ্বনিত। আজ রথযাত্রার রাজসমারোহ ও শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের প্রসঙ্গ এলেই সন্ধানীর চোখে সুস্পষ্টভাবেই ধরা পড়ে শ্রীক্ষেত্র পুরীধামের প্রসিদ্ধির তাৎপর্যটি। প্রাচীন ভারতে যে চারটি প্রসিদ্ধ ধামের উল্লেখ আমরা পাই তার মধ্যে অন্যতম পুরীর শ্রীজগন্নাথ ধাম। বিশদ

গণপিটুনি: আইনটা যদি পাঁচ বছর আগে হতো!
তন্ময় মল্লিক

‘দিনটা ছিল ২৫ ডিসেম্বর। আমি তখন আঠারো। বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক করে সবে বাড়ি ফিরেছি। সিপিএমের কয়েকজন লোক আমার বাবাকে বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গেল। কারণ আমার বাবা তৃণমূল কংগ্রেস করত। আমি আর মা তখন বাবার পিছন পিছন ছুটলাম। বিশদ

06th  July, 2024
নিট দুর্নীতি হিমশৈলের চূড়া মাত্র!
মৃণালকান্তি দাস

অলখ পান্ডের পরিচয় ‘ফিজিক্সওয়ালা’ নামেই। বাড়ি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে। ছোট থেকে পদার্থবিদ্যার প্রতি টান ছিল। কিন্তু নিজে জয়েন্ট পরীক্ষায় বসে সফল হতে পারেননি। বি টেক পড়া মাঝপথে থামিয়ে কোচিং সেন্টার খুলে বসেন। বিশদ

04th  July, 2024
মানুষের থেকে ক্রমে দূরে সরছে বঙ্গ বিজেপি 
হারাধন চৌধুরী

একুশের লম্ফঝম্পকে ছাপিয়ে যেতে পারেননি, তবে চব্বিশে বঙ্গে যা দেখিয়েছেন মোদিজিরা তা নিঃসন্দেহে একুশের বিজেপির সঙ্গেই টক্কর! ২০২১-এ, বাংলায় ২৯৪ আসনের বিধানসভা ভোটে বাজিমাত করার খোয়াব দেখেছিল গোটা গেরুয়া শিবির। বিশদ

03rd  July, 2024
অলিখিত জরুরি অবস্থা, ৫০ বছর পরও!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিহারের সমস্তিপুরের রেলের অনুষ্ঠানে বিস্ফোরণটা হল। সময়টা ১৯৭৫ সালের গোড়ার দিক। ভালোরকম জখম হলেন ললিতনারায়ণ মিশ্র। দানাপুর নিয়ে যাওয়া হল তাঁকে। সঙ্গে সঙ্গে। অপারেশন করতে হবে। কিন্তু না, বাঁচানো গেল না ললিতনারায়ণকে।
বিশদ

02nd  July, 2024
মোদি সরকারে বাস্তবে কিছু‌ই বদল হয়নি
পি চিদম্বরম

বিজেপির নেতৃত্বাধীন নরেন্দ্র মোদির সরকার শপথ নিয়েছে ৯ জুন। কিন্তু এই সরকারের সূচনাটি শুভ হয়নি। মোদিজিকে ‘হেড টেবিল’ শেয়ার করে নিতে হয়েছিল টিডিপি এবং জেডি (ইউ) নেতাদের সঙ্গে। কিছু মন্ত্রিপদও বরাদ্দ করতে হয়েছে তাঁদেরকে তো বটেই, আরও একাধিক সহযোগীকেও। বিশদ

01st  July, 2024
মমতার রাজধর্মের কাছে পরাজিত মোদি
হিমাংশু সিংহ

সমালোচনা থেকে বাঁচতে অর্ধশতক আগের জরুরি অবস্থাকে একজন ঢাল করছেন ক্রমাগত। উপায় না দেখে তার আড়ালেই মুখ লুকোচ্ছেন সংসদের ভিতরে এবং বাইরে। পাঁচমাস আগে তড়িঘড়ি উদ্বোধন হওয়া রামমন্দিরের ছাদ বেয়ে চুঁইয়ে পড়ছে জল। বিশদ

30th  June, 2024
জননেত্রী বলেই জবাবদিহি জনতার কাছে
তন্ময় মল্লিক

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ছাব্বিশের নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন? পুরসভার মেয়র ও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই প্রশ্নটা বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। বোঝা যাচ্ছে, চব্বিশের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে তিনি এখন থেকেই ঘর গোছানোয় হাত দিয়েছেন। বিশদ

29th  June, 2024
বঙ্গ সাংসদরা হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনুন সংসদে
সমৃদ্ধ দত্ত

জাতীয় রাজনীতি, উন্নত পার্লামেন্টারিয়ান এবং ভারত নির্মাণের নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়া। স্বাধীনতার আগে এবং পরে এই তিনটি ক্ষেত্রেই ছিল বাঙালির শক্তিশালী উপস্থিতি। আর ঠিক এই তিন ক্ষেত্রে দীর্ঘকাল ধরে বাঙালি বিচ্ছিন্ন। বিশদ

28th  June, 2024
সোনাপাচার ঘিরে হত্যাকাণ্ড! উঠছে বহু প্রশ্ন
মৃণালকান্তি দাস

বছর পাঁচের আগে বাংলাদেশের কোটচাঁদপুরে বাগানবাড়ি বানিয়েছিল আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন। ৩০ বিঘা জমির উপর সেই বাগানবাড়ি উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। ওই বাগানবাড়ির ভিতরে কী হতো, তা আশপাশের কেউ জানতেই পারত না।
বিশদ

27th  June, 2024
‘সপাং সপাং’ শব্দে চলছে সঙ্ঘের চাবুক
সন্দীপন বিশ্বাস

 

লোকসভা নির্বাচনে মোক্ষম জবাব পেয়ে বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হইচই বাধানোর চেষ্টা করছেন, তখন তাঁদের আচ্ছা করে ধুনে দিয়েছে আরএসএস।
বিশদ

26th  June, 2024
একনজরে
গত মার্চেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধের হাত ধরে শিবসেনায় যোগ দিয়েছিলেন রবীন্দ্র ওয়াইকার। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে মুম্বই উত্তর-পশ্চিম লোকসভা আসন থেকে কোনওক্রমে জিতেছেন তিনি। তারপরই এল স্বস্তির খবর। ...

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুরের বধূর আধার নম্বর ব্যবহার করে দু’বছর ধরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছেন উত্তর ২৪ পরগনার এক বধূ! সূত্রের খবর, গত দু’বছর হরিরামপুর ব্লকের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন জানিয়ে আসছেন হরিরামপুরের রামকৃষ্ণপুরের বধূ সুচিত্রা দাস সরকার। ...

মহমেডান স্পোর্টিংয়ের হারের পর মোহন বাগানের ড্র।  ঘরোয়া লিগের শুরুতেই প্রবল চাপে দুই বড় দল। পয়েন্ট নষ্টের ট্রেন্ড দেখে বেশ সতর্ক ইস্ট বেঙ্গল কোচ বিনো জর্জ। ...

রথযাত্রা উপলক্ষ্যে সোনার গয়নায় আকর্ষণীয় অফার দিয়ে ক্রেতাদের টানার চেষ্টা বিভিন্ন বাজারে। বহরমপুরের শতাব্দী প্রাচীন খাগড়া মার্কেটের সোনাপট্টিতে সাজসাজ রব। সোজা রথ থেকে উল্টো রথ পর্যন্ত অধিকাংশ বিপণিতে নানা অফার দেওয়া হচ্ছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব জুনোসিস দিবস
১৬১৪ - রাজা ভগবান দাসের পালিত পুত্র রাজা মানসিংহের মৃত্যু
১৭৮১ - সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠাতা স্যার টমাস স্ট্যামফোর্ড র‍্যাফলসের জন্ম
১৮৬৬ - বাংলা ভাষায় প্রথম বিশ্বকোষের সংকলক, প্রত্নতাত্ত্বিক ও ইতিহাসবিদ নগেন্দ্রনাথ বসুর জন্ম,
১৮৮৫- জোসেফ মেইস্টারের উপর জলাতঙ্ক রোগের টিকা সফলভাবে পরীক্ষা করলেন লুই পাস্তুর
১৮৯০ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম সফল ভারতীয় বুদ্ধিজীবী ধনগোপাল মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৯২- ব্রিটেন পার্লামেন্টে প্রথম ভারতীয় হিসাবে নির্বাচিত হলেন দাদাভাই নওরোজি
১৯০১- শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১৯ - বিশ্বের প্রথম বিমান 'ব্রিটিশ আর-৩৪' আটলান্টিক পাড়ি দেয়। লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক যেতে সময় নেয় ১০৮ ঘণ্টা
১৯৩০ - কর্ণাটকী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের কণ্ঠশিল্পী এম বালামুরলীকৃষ্ণের জন্ম
১৯৪৪ - সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ রেডিওতে গান্ধীজিকে জাতির জনক অভিধা প্রদান করেন
১৯৪৬- আমেরিকার ৪৩তম প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লু বুশের জন্ম
১৯৪৬- মার্কিন অভিনেতা সিলভেস্টার স্ট্যালোনের জন্ম
১৯৪৭ - সোভিয়েত ইউনিয়ন এ. কে. ৪৭ রাইফেল উৎপাদন শুরু করে
১৯৫২ - লন্ডন শহরে শেষবারের মতো ট্রাম চলাচল
১৯৭৯ - মিশরে নীল নদের তীরে বিনানুল মূলক নামক গুহায় মিশরের ফেরাউন দ্বিতীয় রেমেসিসের মমি আবিষ্কৃত হয়
১৯৮৫- অভিনেতা রণবীর সিংয়ের জন্ম
১৯৮৬- রাজনীতিবিদ জগজীবন রামের মৃত্যু
১৯৯১ - জার্মান টেনিস তারকা স্টেফি গ্রাফ পর পর তৃতীয়বারের মতো উইম্বলডন জেতেন
২০০২- রিলায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা ধীরুভাই আম্বানির মৃত্যু
২০০২ - মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও পরিচালক জন ফ্রাঙ্কেনহাইমারের মৃত্যু

06th  July, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৪ টাকা ৮৪.৩৮ টাকা
পাউন্ড ১০৫.২৩ টাকা ১০৮.৭২ টাকা
ইউরো ৮৯.০৪ টাকা ৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া ৫৯/৫৫ শেষরাত্রি ৫/০। পুষ্যা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১/৩৩, সূর্যাস্ত ৬/২১/১৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৮ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১০/৩৮ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৪ গতে ৫/২৭ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/১ গতে ২/২২ মধ্যে। 
২২ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া শেষরাত্রি ৪/৩৩। পুনর্বসু নক্ষত্র প্রাতঃ ৫/১৩। সূর্যোদয় ৫/১, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫১ গতে ৯/২৯ মধ্যে ও ১২/৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৪৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/২২ মধ্যে।  
৩০ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পুরীতে রথযাত্রায় পদপিষ্টের পরিস্থিতি, জখম বহু

08:29:42 PM

দ্বিতীয় টি-২০ জিম্বাবোয়েকে হারিয়ে ১০০ রানে ম্যাচ জিতল ভারত

07:56:01 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ২ রানে আউট ব্লেসিং, জিম্বাবোয়ে ১২৩/৯ (১৭.৪ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:45:00 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ৪৩ রানে আউট ওয়েসলি, জিম্বাবোয়ে ১১৭/৮ (১৬.৩ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:37:00 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ১ রানে আউট মাজাকাটজা, জিম্বাবোয়ে ৭৬/৭ (১১.১ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:18:31 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ০ রানে আউট ক্লাইভ, জিম্বাবোয়ে ৭৩/৬ (১০.৩ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:12:00 PM