শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ
সূত্রের খবর, কয়েক বছর আগের হিসেবে এই সেতু তৈরির আনুমানিক খরচ ১১২০ কোটি টাকা ধরা হয়েছিল। রাজ্য নিজেই কাজটি করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর রাইটস এবং পূর্তদপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা প্রস্তাবিত নকশার ভিত্তিতে পুনরায় মোট খরচ নির্ধারণ করেন। তখন দেখা যায়, খরচ বেড়ে দাঁড়াচ্ছে প্রায় ১৮০০ কোটি টাকা। এতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তাদের। কারণ, তাঁরা ভালো করেই জানেন, এত বিপুল টাকা খরচের জন্য প্রশাসনের শীর্ষমহল ও অর্থদপ্তরের কাছে আবেদন এখন অমূলক। সেই সূত্রেই খরচ কীভাবে ১৩০০ কোটির মধ্যে বেঁধে রাখা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেন দপ্তরের আধিকারিকরা। আগামী সাতদিনের মধ্যে খরচ কমানোর উপায় বের করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
কিন্তু কেন এতটা ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়াচ্ছে প্রস্তাবিত সেতুর নির্মাণকাজ? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলের মধ্যে ৬০ মিটার গভীর কুয়ো কেটে পিলার উঠবে। নদীর সর্বোচ্চ জলস্তর (হাই-টাইড লেভেল) থেকে সেতুর মধ্যে ১০ মিটার ছাড় দিতে হবে। অন্যান্য ক্ষেত্রে জলের সর্বোচ্চ স্তর থেকে মাত্র দেড় মিটার ছাড় দিয়েই সেতু তৈরি করা যায়। খরচে অনেকটা ফারাক গড়ে দিচ্ছে এই বিষয়টি। ইতিমধ্যে প্রকল্পের ‘প্রেজেন্টেশন’ দেখানো হয়েছে পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়কে। সম্ভাব্য খরচ চূড়ান্ত হলেই আর্থিক অনুমোদনের জন্য এ সংক্রান্ত ফাইল নবান্নের শীর্ষমহলে পাঠানো হবে বলে খবর।
সেতু তৈরির জন্য সাগরের কচুবেড়িয়া ও কালীনগরে সাড়ে চার একর জমি লাগবে। প্রায় পুরো জমিই খালি রয়েছে। কিছুটা সরকারি জমি। এর বাইরে একজনের বাড়ি ভাঙা পড়বে এবং দু’টি পানের বরজ সরাতে হবে। ইতিমধ্যে এই অঞ্চলে জমি দিতে রাজি হয়েছেন ৩৫ জন বাসিন্দা। ২১জন এনওসি জমাও দিয়েছেন। বাকিদের জমির কাগজপত্র কিছু জট রয়েছে, যা কাটিয়ে ওঠার প্রস্তুতি চলছে। সাগরে যে সাড়ে চার একর জমি সরকার নেবে, তার ভ্যালুয়েশন দাঁড়িয়েছে ১০ কোটির বেশি টাকা। কোন জমিদাতার কতটা জমি নেওয়া হবে, তার মাপজোকও হয়ে গিয়েছে।
কাকদ্বীপ লট এইটের আশ্রম মোড় এলাকায় ৭.৯৫ একর জমি নেওয়া হবে। সেখানকার ৭৫ জন বাসিন্দা জমি দিতে রাজি হয়েছেন। এখানকার বাজারদর অনুযায়ী সরকারের কোষাগার থেকে প্রায় সাড়ে ন’কোটি টাকা খরচ হতে পারে জমি নেওয়ার জন্য। কাকদ্বীপে জমিদাতাদের এনওসি দেওয়ার প্রক্রিয়া কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে। গ্রামবাসীরা এই প্রকল্পে জমি দিতে নিজেরাই আগ্রহী বলে জানা গিয়েছে। শ্রীদাম দাস নামে এক গ্রামবাসী বলেন, ‘এত বড় একটা কাজ হচেছ। সরকারের জমি প্রয়োজন যখন হয়েছে, আমাদের তা দিতে হবে।’ আরেক গ্রামবাসী শেখ মামুদের কথায়, ‘ক্ষতিপূরণের নিয়ম মেনে টাকা পেয়ে গেলে জমি দিতে কোনও অসুবিধে নেই। ব্লকে বৈঠকও হয়েছে এনিয়ে।’