শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ
এবারের নির্বাচনে লেবার পার্টি চারশো আসন পার করে সরকার গঠন করেছে। বৃহস্পতিবার ছিল ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচন। শুক্রবার গণনা শুরু হতেই নিশ্চিত হয়ে যায় কনজারভেটিভদের হার। ৪১২ আসন পেয়েছে লেবার পার্টি। সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের দল দেড়শোর গণ্ডিও পেরোতে পারেনি। ট্রাসের মতো প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের গড়েও হেরেছে কনজারভেটিভরা। তালিকায় রয়েছেন বরিস জনসন, টেরিজা মে এবং ডেভিড ক্যামেরনের মতো ট্রাসের পূর্বসূরীরাও। ২০১৯ সালের নির্বাচনে ২৬ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছিলেন নরফক দক্ষিণ পশ্চিমের এমপি ট্রাস। এবার এমপি পদ খোয়াতে হল তাঁকে। এই বিপর্যয় সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমকে কনজারভেটিভ নেত্রী বলেন, ‘মানুষের সমস্যা সমাধান করা নিয়ে খুব একটা মনোযোগী ছিলাম না আমরা। সেই কারণেই হয়তো এমন ফলাফল করেছে দল।’ নিজেও দলের এই বিপর্যয়ের দায় নিয়েছেন তিনি। যদিও ভবিষ্যতে সক্রিয় রাজনীতি নিয়ে কিছুই বলেননি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
ইতিমধ্যে ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী স্টারমারকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সহ বহু রাষ্ট্রনেতা। এক বিবৃতিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের পাশে থাকার পাশাপাশি বিশ্বে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার কথা জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেন, ‘ব্রিটেন এবং ইতালির সম্পর্ক অত্যন্ত সুমধুর। আশা করি এবারও সেই ধারা বজায় থাকবে।’ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদামির জেলেনস্কিও।
সেপথে অবশ্য হাঁটেননি প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্টারমারকে শুভেচ্ছা জানাননি তিনি। বরং রিফর্ম ইউকে পার্টির এমপি নাইজেল ফারাজকে শুভেচ্ছা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী। এবিষয় নিজের ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্প লেখেন, ‘রিফর্ম ইউকের হয়ে ব্রিটেনের পার্লামেন্টে একটি আসন জেতার জন্য নাইজেল ফারাজকে অনেক শুভেচ্ছা জানাই। নিজের দেশকে সত্যিই ভালোবাসেন নাইজেল।’ প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত রিফর্ম ইউকের প্রতিষ্ঠাতা।