শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ
প্রতি বছর তাঁর তৈরি মূর্তি পাড়ি দেয় বিদেশের বিভিন্ন জায়গায়। এ বছর তিনি বিদেশে ১৫টি মূর্তি পাঠিয়ে লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করেছেন। অর্থলাভের জন্য নয়, বিদেশে তাঁর মূর্তি পূজিত হয় বলে তিনি বেশি খুশি। মানুষের মুখে তাঁর নাম ঘোরে। মুর্শিদাবাদের বাপ্পা দাসের তৈরি বলরাম, সুভদ্রা সহ মহাপ্রভুর কাঠের জগন্নাথদেব যেন প্রাণ পেয়ে থাকে এই সময়। মূর্তি তৈরির জন্য বেশ কয়েক মাস আগেই নিমগাছের কাঠ সংগ্রহ করেন বাপ্পা। পনেরো বছর বয়সে জগন্নাথের মূর্তি তৈরিতে তাঁর হাতেখড়ি। প্রথম প্রথম দেখে জগন্নাথের মূর্তি তৈরি করতেন। এখন আর দেখতে হয় না। তাঁর তৈরি প্রথম মূর্তি ২০১৩ সালে বিদেশে পাড়ি দেয়।
বাপ্পা বলেন, এই বছর সব থেকে বড় মূর্তিটি তৈরি করেছি চারফুটের। সেটি বহরমপুরের একটি মন্দিরে পাঠিয়েছি। একটি মাত্র কাঠ দিয়েই জগন্নাথদেবের মূর্তি তৈরি করতে হয়। অনেকেই জগন্নাথের হাত জোড়া লাগানোর জন্য লোহার ব্যবহার করে থাকেন। আমি সম্পূর্ণ কাঠ দিয়েই গোটা মূর্তি তৈরি করি। সব রাজ্যেই আমার মূর্তি রয়েছে। ওড়িশা, কলকাতা, ছত্তিশগড়, বেঙ্গালুরু, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, ত্রিপুরা ও অসমে মূর্তি গিয়েছে আমার। এবছর নিউ ইয়র্কে পাঠানো মূর্তিটি দুই ফুট উচ্চতার। ১০টি মূর্তি বাংলাদেশে পাঠিয়েছি। এক মাস আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। এক একটি মূর্তি নিয়ে যেতে এক থেকে দেড় লাখ টাকা করে ট্রান্সপোর্ট খরচ। তাও আমার হাতের কাজের জন্য এত খরচ করে বিদেশিরা মূর্তি নিয়ে যাচ্ছেন। এটাই আমার পরম প্রাপ্তি। রথের আগে মাসখানেক ধরে প্রচুর ব্যস্ততা ছিল তাঁর। সময়ে মূর্তি ডেলিভারি দেওয়াটাই চ্যালেঞ্জ শিল্পীর কাছে। তাই তাঁর স্ত্রীও কাজে হাত লাগান। জগন্নাথ বলরাম ও সুভদ্রার পোশাক, পাগড়ি তৈরি করেন তিনি।