Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

শরীররূপ রথে পরমাত্মা রথীরূপে বিরাজমান
চৈতন্যময় নন্দ

জগন্নাথঃ স্বামী নয়নপথগামী ভবতু মে। ভক্তকণ্ঠে শ্রুত এই আকুতি মন্ত্র আজও প্রতিধ্বনিত। আজ রথযাত্রার রাজসমারোহ ও শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের প্রসঙ্গ এলেই সন্ধানীর চোখে সুস্পষ্টভাবেই ধরা পড়ে শ্রীক্ষেত্র পুরীধামের প্রসিদ্ধির তাৎপর্যটি। প্রাচীন ভারতে যে চারটি প্রসিদ্ধ ধামের উল্লেখ আমরা পাই তার মধ্যে অন্যতম পুরীর শ্রীজগন্নাথ ধাম। নীলাচলের লবণ সমুদ্রের তীরে এটি পুরুষোত্তম ক্ষেত্র বলে পরিগণিত। এখানে স্বমহিমায় বিরাজিত দারুব্রহ্ম ভগবান শ্রীশ্রীজগন্নাথদেব। ‘দারুব্রহ্ম জগন্নাথো ভগবান পুরুষোত্তমে।’ জগন্নাথকে বলা হয় পুরুষোত্তম। তিনিই পরব্রহ্ম বিষ্ণু—কৃষ্ণ এবং কৃষ্ণ—বাসুদেব। রত্নবেদিতে আসীন সর্বদেবময় রাজচক্রবর্তী এই প্রাণপুরুষ মহাবিভূতি সম্পন্ন, কৃষ্ণবর্ণ শালগ্রাম শিলার মতো তাঁর মুখমণ্ডল, চক্রনয়নযুক্ত মুখ। ইনি পিতামহ ব্রহ্মার দ্বারা পূজিত, দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা দ্বারা নির্মিত ও রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। জগন্নাথদেব ত্রিমূর্তি —বলরাম, সুভদ্রা ও জগন্নাথ। শ্রীক্ষেত্রের অপার মহিমা। জগন্নাথদেবের এই দারুমূর্তি বিগ্রহ যুগ ধরে মানুষকে আকৃষ্ট করে সর্বোত্তম শ্রদ্ধাভক্তি অর্জন করেছে তাদের স্বকীয় ঐতিহ্যর ধারা অনুসারে। ভারতের মহান বৈদিক আচার্যগণ, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রবর্তকবৃন্দ, অগণিত মহাপুরুষ, যোগী, ব্রহ্মজ্ঞানী ও অগ্রগণ্য সাধক—সাধিকা যুগে যুগে সকলেই তীর্থ থেকে তীর্থান্তরে পরিক্রমা করে কোনও না কোনও সময়ে শ্রীক্ষেত্রে এসে প্রাণের ঠাকুর শ্রীজগন্নাথ স্বামীর শ্রীমন্দিরে প্রকট বিগ্রহ দর্শন করে নিজ নিজ সম্প্রদায়ের পদ্ধতি অনুসারে জগন্নাথজির সান্নিধ্যে আসন প্রতিষ্ঠায় রত থেকে এই মহাতীর্থের মহিমা ও মর্যাদাকে আরও উজ্জ্বলতর ও গৌরবান্বিত করে তুলেছেন। একান্ন দেবী পীঠের অন্যতম পুরীধাম। দেবী এখানে বিমলা রূপে আরাধিতা। “বিমলা পুরুষোত্তমে।’ ভৈরব তাঁর জগন্নাথ। তাই দেবীর অধিষ্ঠান মন্দির চত্বরেই। পুরীতে শ্রীজগন্নাথদেবের দ্বাদশযাত্রার প্রচলন আছে বছরের বিভিন্ন সময়ে, ভিন্ন ভিন্ন উৎসবকে উপলক্ষ করে। জগন্নাথ মন্দিরে যেসব যাত্রা অনুষ্ঠিত হয় এর মধ্যে মাত্র দুটি যাত্রাতে শ্রীজগন্নাথ স্বয়ং গর্ভগৃহের বাইরে এসে নেতৃত্ব দেন। একটি হল স্নানযাত্রা, অপরটি হল রথযাত্রা। অন্য যাত্রাগুলিতে অংশ নেন তাঁর প্রতিনিধিরা। রথযাত্রা উৎসব সর্বপ্রধান উৎসব। রথের প্রাচীনত্ব নিয়ে আজ পর্যন্ত অনেক গবেষণাও হয়েছে। উক্ত রথোৎসব যে কতকাল ধরে চলে আসছে তা নির্ণয় করে ঐতিহাসিকদের পক্ষে এখনও সঠিক সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হয়নি। আষাঢ় মাসের পুস্যা নক্ষত্রযুক্তা শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতেই রথযাত্রা অনুষ্ঠানের বিধি। পুরীর রথযাত্রা জগদ্বিখ্যাত। শুধু ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত নয় বহির্ভারতের লক্ষ লক্ষ নরনারী পতিত পাবনের রথযাত্রায় ছুটে এসে রথের দড়ি টেনে নিজেদের কৃতার্থ বোধ করেন। 
স্কন্দ পুরাণে উল্লেখ আছে, মন্দির প্রতিষ্ঠার পর দারুব্রহ্ম প্রভু জগন্নাথদেব মহারাজ শ্রীইন্দ্রদুম্নকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ‘আষাঢ মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে সুভদ্রার সহিত আমাকে ও শ্রীবলরামকে রথে আরোহণ করাইয়া নবযাত্রা—উৎসব সম্পন্ন করিবে। যে স্থানে আমি আবির্ভূত হইয়াছিলাম এবং যে স্থানে তোমার সহস্র অশ্বমেধ—যজ্ঞের মহাবেদি বর্তমান, সেই শ্রীগুণ্ডিচা মন্দিরে আমাকে লইয়া যাইবে।’
প্রতিবছর মাঘ মাসের বসন্ত পঞ্চমী তিথিতে তিনটি রথ তৈরির জন্য কাঠ সংগ্রহ শুরু হয়। আর রথ নির্মাণের কাজ আরম্ভ হয় সত্যযুগাদ্যা অক্ষয়তৃতীয়া হতে। শ্রীমন্দির থেকে জগবন্ধু জগন্নাথদেবকে এনে যে সুদৃশ্য রথে আরোহণ করানো হয়, সেই রথের নাম ‘নন্দীঘোষ’। রথের চূড়ায় গরুড়দেব অধিষ্ঠান করেন বলে এটি ‘গরুড়ধ্বজ’ নামে কথিত। শ্রীবলরামের রথের শীর্ষদেশে তালচিহ্ন আছে বলে তার নাম ‘তালধ্বজ’। আর সুভদ্রাদেবীর রথকে বলা হয় ‘দেবদলন’ বা ‘পদ্মধ্বজ’। বামনরূপী জগন্নাথের রথ রংবাহারি পীতবর্ণের, সুভদ্রাদেবীর রথ শ্যামাঙ্গ আর বলরামের রথ নীলিমাময়। শ্রীজগন্নাথদেবের রথের রক্ষক শ্রীনৃসিংহদেব। সারথির নাম মাতলি। শ্রীবলদেবের রথের রক্ষক শেষাবতার। সারথি সুদুমন। সুভদ্রাদেবীর রথের রক্ষক বনদুর্গা আর সারথি অর্জুন।
রথে আরোহণ করার জন্য তিনজন দেবতার যাত্রা ‘পহণ্ডি’ বা ‘পাণ্ডুবিজয়’ নামে খ্যাত। বিগ্রহগণের পৃথক পৃথক তিনটি রথের ওপরে ওঠার পর প্রাচীন প্রথা অনুসারে গজপতি মহারাজা সোনার ঝাড়ু দিয়ে রথ পরিষ্কার করেন। এই সেবাকে ‘ছেরাপহরা’ বলে। এরপর বিগ্রহগুলিকে নানা বস্ত্র ও অলঙ্কারে সুসজ্জিত করে বিবিধ উপচারে পুজো ও ভোগ নিবেদনান্তে শুরু হয় উড়িয়ে ধ্বজা অভ্রভেদী রথের পথচলা। আগত লক্ষ কোটি মানুষের রথকে ঘিরে বিপুল উন্মাদনা ও আনন্দধ্বনির মধ্যে সুসজ্জিত রথ তিনটি সন্ধ্যার সময় গুণ্ডিচা মন্দির বা মাসির বাড়ির সামনে পৌঁছে যায়। আটদিন পর আবার রথে চড়ে জগন্নাথদেব মন্দিরের উদ্দেশে রওনা দেন। তাকে বাহুড়া বা উল্টোরথ বলে। একাদশীর দিন শ্রীজগন্নাথদেব সহ তিন বিগ্রহ রাজবেশে প্রভূত অলঙ্কারে ভূষিত হয়ে ভক্তদের দর্শন দেন। তাছাড়া বারো বছর বা উনিশ বছর পর নিয়মানুযায়ী হয় দারুময় নীলাচল নাথের ‘নবকলেবর’। সমগ্র ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত রথযাত্রা উৎসব পুরীর মহিমান্বিত ধারারই অনুবর্তন।
২) আমরা দেখতে পাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণচৈতন্যদেবের মহাজীবনের ছয় বছর ব্যাপী প্রব্রজ্যা বাদ দিলে শেষ আঠারোটি বছর কেটেছে এই নীলাচলে শ্রীজগন্নাথদেবের সান্নিধ্যে। উল্লেখ্য, মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেব স্বয়ং শ্রীক্ষেত্রের মহিমা বিশেষভাবে উপলব্ধি করে নিত্য জগন্নাথ দর্শন, গুণ্ডিচা মার্জন, ওড়িয়া—গৌড়ীয় ভক্তগণ সহ রথাগ্রে নৃত্য ও কীর্তনাদি এবং অলৌকিক লীলার মাধ্যমে শ্রীজগন্নাথদেবের মাহাত্ম্যকে অনাদিকালের জন্য উজ্জ্বলতম রূপে প্রতিষ্ঠিত করে গিয়েছেন। রথের সামনে শ্রীচৈতন্যের নৃত্যগীত সেই সময় ছিল রথোৎসবের সবচেয়ে বড় আকর্ষক। রথাগ্রে গৌরবাসী ভক্তগণকে মহাকীর্তনের সুবিধার জন্য মহাপ্রভু সাত ভাগে ভাগ করে দিলেন। সাত সম্প্রদায়ের কীর্তনের ঝংকারে আকাশ বাতাস উত্তাল হয়ে উঠল। শ্রীচৈতন্যদেব এই সময় ঐশী শক্তির বিকাশ ঘটালেন। সাতটি সম্প্রদায়ের ভক্তগণ দেখছেন ভাবোন্মত্ত মহাপ্রভু তাদের সঙ্গেই চলেছেন পথে কীর্তন নৃত্যে। ‘আর এক শক্তি প্রভু করিলা প্রকাশ। এককালে সাত যাই করেন বিলাস।’ চৈ. চ.। রথের সম্মুখে কীর্তনানন্দে বিভোর হয়ে শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য করজোড়ে জগন্নাথের দিকে নত হয়ে স্তুতিগান করে আত্মনিবেদন করলেন তাঁর স্বরচিত শ্লোক পাঠ করে। একবছর রথ কখনও দ্রুত, কখনও ধীরে চলে, আবার কখনও স্থির হয়ে থাকে। রথের দড়িতে জোরে টান দেওয়া হল। বলরাম ও সুভদ্রাদেবীর রথও চলে গেল। সকলের শত চেষ্টাতে ও জগন্নাথের রথ অচল অটল হয়ে থাকল। বড় বড় হাতি এনে রথে জুড়ে দেওয়া হল। অবাক কাণ্ড, তবুও রথ টানবার চেষ্টা একেবারে ব্যর্থ হল। চারদিকে হাহাকার ধ্বনি উঠল। সকলেই কাঁদতে লাগলেন। তা শুনে মহাপ্রভু সদলবলে সেখানে ছুটে এলেন। সমস্ত হাতিকে সরিয়ে দিয়ে রথের রজ্জু ভক্তগণের হাতে দিয়ে স্বয়ং রথের পিছনে গিয়ে নিজের মাথা দিয়ে ঠেলতে লাগলেন। এবার রথ ঘর্ঘর শব্দে এগতে লাগল। তখন বিশাল জনতা জয় জগন্নাথ, জয় গৌরচন্দ্র রবে জয় ঘোষণা করে আনন্দে উৎফুল্ল হলেন।
মহাপ্রভুর পর পরমপুরুষ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণদেব। জগন্নাথের রথের সম্মুখে তিনি সগণে নৃত্য ও কীর্তনে রত। তবে পুরী নয় কলকাতা। ঠাকুরের লীলাসঙ্গী বলরাম বসুর বাড়িতে শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের নিত্য সেবা হতো। রথযাত্রার আগের দিন পরমহংসদেব আসতেন দক্ষিণেশ্বর থেকে বাগবাজারে ভক্ত বলরাম বসুর বাড়িতে। শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃতকার রথযাত্রার বর্ণনা দিয়ে লিখেছেন: ‘অপরাহ্ণ হইয়াছে। ইতিমধ্যে বারান্দায় শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের সেই ছোট রথখানি ধ্বজা পতাকা দিয়া সুসজ্জিত করিয়া আনা হইয়াছে। শ্রীশ্রীজগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরাম চন্দনচর্চিত বসনভূষণ ও পুষ্পমালা দ্বারা সুশোভিত হইয়াছেন। ঠাকুর বেনোয়ারীর কীর্তন ফেলিয়া বারান্দার রথাগ্রে গমন করিলেন, ভক্তেরাও সঙ্গে সঙ্গে চলিলেন। ঠাকুর রথের রজ্জু ধরিয়া একটু টানিলেন—তৎপরে রথাগ্রে ভক্তসঙ্গে নৃত্য ও কীর্তন করিলেন।’ ভক্তবৎসল জগন্নাথের কাছে প্রার্থনা জানিয়ে অবতার শ্রীরামকৃষ্ণ বলতেন, ‘জগন্নাথ! জগবন্ধু! দীনবন্ধু! আমি তো জগৎ ছাড়া নই নাথ, আমায় দয়া কর।’ ঠাকুরের সেই লীলাকে স্মরণ করে আজ ও শত শত ভক্ত বলরাম মন্দিরে এসে রথের রশি স্পর্শ করে ধন্য হন। শ্রীরামকৃষ্ণদেব কিন্তু কখনও পুরীধামে এসে জগন্নাথ দর্শন করেননি। তিনি অনেকবার বলেছেন, ‘আমিই পুরীর জগন্নাথ। পুরীতে আমার যাবার যো নেই। সেখানে গেলে আমার শরীর ত্যাগ হবে।’
‘রথে চ বামনং দৃষ্টা পুনর্জন্ম ন বিদ্যতে।’—রথে বামনরূপী ভগবানকে দর্শন করলে মানুষের আর পুনর্জন্ম হয় না। এখানে বামনের অর্থ বেঁটে নয়। আষাঢ মাসে ভগবান বিষ্ণুর নাম ‘বামন’। আমাদের প্রত্যেক শরীর রূপ রথে পরমাত্মা রথীরূপে বিরাজ করছেন। তাঁকে যাঁরা সাধনার দ্বারা দর্শন করবেন তাঁরাই মায়ার বন্ধন হতে নিষ্কৃতি লাভ করবেন। কঠশ্রুতিতে পাই এর সুন্দর বর্ণনা। ‘আত্মানং রথিনং বিদ্ধি শরীরং রথমেব তু’ ইত্যাদি।  অর্থাৎ শরীরকে রথ, বুদ্ধিকে সারথি ও মনকে রথের লাগাম বলে জানবে। ইন্দ্রিয়গণ শরীর রূপ রথের অশ্ব। আর মন অশ্ব পরিচালক বলগা। এই চিরন্তন সূক্ষ্ম আদর্শকে যাতে সর্বজনের দুয়ারে পৌঁছে দেওয়া যায় তার জন্য আচার্যগণ এই বৈদিক তত্ত্বকে জগন্নাথের রথযাত্রায় রূপায়িত করে সকলের বোধগম্য করে দিয়েছেন। এই শাস্ত্রবাক্যের বারবার অনুশীলন করে শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবকে আকর্ষণ করাই রথযাত্রার এই বিপুল আয়োজনের উদ্দেশ্য।
 লেখক প্রাবন্ধিক ও গ্রন্থপ্রণেতা। মতামত ব্যক্তিগত
নিট দুর্নীতি থেকে কি নেতার ইগো বড়?
হিমাংশু সিংহ

নিট ও নেট দুর্নীতি কোমর ভেঙে দিয়েছে দেশের মেধাবী যুব সমাজের। একমাস কেটে গেলেও সরকার কোনও সুরাহা করতে পারেনি, দায়ও নেয়নি সেভাবে। সংসদে দু’সপ্তাহের অধিবেশনে শুধু সরকার ও বিরোধীদের বাগ্‌যুদ্ধ হয়েছে, আতান্তরে পড়া ছাত্রছাত্রীরা কোনও সুবিচার পায়নি। বিশদ

গণপিটুনি: আইনটা যদি পাঁচ বছর আগে হতো!
তন্ময় মল্লিক

‘দিনটা ছিল ২৫ ডিসেম্বর। আমি তখন আঠারো। বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক করে সবে বাড়ি ফিরেছি। সিপিএমের কয়েকজন লোক আমার বাবাকে বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গেল। কারণ আমার বাবা তৃণমূল কংগ্রেস করত। আমি আর মা তখন বাবার পিছন পিছন ছুটলাম। বিশদ

06th  July, 2024
মধ্যবিত্তের বিশ্বজয়
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারতের এই টি টুয়েন্টির বিশ্বজয়ীরা কমবেশি সকলেই এসেছেন সাধারণ পরিবার থেকে। অনেকদিন পর এমন একটি ম্যাচ দেখা গিয়েছে, যেখানে সকলে মিলে কিছু না কিছু করেছেন। কালেকটিভ চ্যাম্পিয়ন। এটাই হল আমাদের কাছে শিক্ষণীয়। মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্ত চিরকাল রূপকথা তৈরি করেছে।
বিশদ

05th  July, 2024
নিট দুর্নীতি হিমশৈলের চূড়া মাত্র!
মৃণালকান্তি দাস

অলখ পান্ডের পরিচয় ‘ফিজিক্সওয়ালা’ নামেই। বাড়ি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে। ছোট থেকে পদার্থবিদ্যার প্রতি টান ছিল। কিন্তু নিজে জয়েন্ট পরীক্ষায় বসে সফল হতে পারেননি। বি টেক পড়া মাঝপথে থামিয়ে কোচিং সেন্টার খুলে বসেন। বিশদ

04th  July, 2024
মানুষের থেকে ক্রমে দূরে সরছে বঙ্গ বিজেপি 
হারাধন চৌধুরী

একুশের লম্ফঝম্পকে ছাপিয়ে যেতে পারেননি, তবে চব্বিশে বঙ্গে যা দেখিয়েছেন মোদিজিরা তা নিঃসন্দেহে একুশের বিজেপির সঙ্গেই টক্কর! ২০২১-এ, বাংলায় ২৯৪ আসনের বিধানসভা ভোটে বাজিমাত করার খোয়াব দেখেছিল গোটা গেরুয়া শিবির। বিশদ

03rd  July, 2024
অলিখিত জরুরি অবস্থা, ৫০ বছর পরও!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিহারের সমস্তিপুরের রেলের অনুষ্ঠানে বিস্ফোরণটা হল। সময়টা ১৯৭৫ সালের গোড়ার দিক। ভালোরকম জখম হলেন ললিতনারায়ণ মিশ্র। দানাপুর নিয়ে যাওয়া হল তাঁকে। সঙ্গে সঙ্গে। অপারেশন করতে হবে। কিন্তু না, বাঁচানো গেল না ললিতনারায়ণকে।
বিশদ

02nd  July, 2024
মোদি সরকারে বাস্তবে কিছু‌ই বদল হয়নি
পি চিদম্বরম

বিজেপির নেতৃত্বাধীন নরেন্দ্র মোদির সরকার শপথ নিয়েছে ৯ জুন। কিন্তু এই সরকারের সূচনাটি শুভ হয়নি। মোদিজিকে ‘হেড টেবিল’ শেয়ার করে নিতে হয়েছিল টিডিপি এবং জেডি (ইউ) নেতাদের সঙ্গে। কিছু মন্ত্রিপদও বরাদ্দ করতে হয়েছে তাঁদেরকে তো বটেই, আরও একাধিক সহযোগীকেও। বিশদ

01st  July, 2024
মমতার রাজধর্মের কাছে পরাজিত মোদি
হিমাংশু সিংহ

সমালোচনা থেকে বাঁচতে অর্ধশতক আগের জরুরি অবস্থাকে একজন ঢাল করছেন ক্রমাগত। উপায় না দেখে তার আড়ালেই মুখ লুকোচ্ছেন সংসদের ভিতরে এবং বাইরে। পাঁচমাস আগে তড়িঘড়ি উদ্বোধন হওয়া রামমন্দিরের ছাদ বেয়ে চুঁইয়ে পড়ছে জল। বিশদ

30th  June, 2024
জননেত্রী বলেই জবাবদিহি জনতার কাছে
তন্ময় মল্লিক

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ছাব্বিশের নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন? পুরসভার মেয়র ও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই প্রশ্নটা বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। বোঝা যাচ্ছে, চব্বিশের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে তিনি এখন থেকেই ঘর গোছানোয় হাত দিয়েছেন। বিশদ

29th  June, 2024
বঙ্গ সাংসদরা হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনুন সংসদে
সমৃদ্ধ দত্ত

জাতীয় রাজনীতি, উন্নত পার্লামেন্টারিয়ান এবং ভারত নির্মাণের নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়া। স্বাধীনতার আগে এবং পরে এই তিনটি ক্ষেত্রেই ছিল বাঙালির শক্তিশালী উপস্থিতি। আর ঠিক এই তিন ক্ষেত্রে দীর্ঘকাল ধরে বাঙালি বিচ্ছিন্ন। বিশদ

28th  June, 2024
সোনাপাচার ঘিরে হত্যাকাণ্ড! উঠছে বহু প্রশ্ন
মৃণালকান্তি দাস

বছর পাঁচের আগে বাংলাদেশের কোটচাঁদপুরে বাগানবাড়ি বানিয়েছিল আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন। ৩০ বিঘা জমির উপর সেই বাগানবাড়ি উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। ওই বাগানবাড়ির ভিতরে কী হতো, তা আশপাশের কেউ জানতেই পারত না।
বিশদ

27th  June, 2024
‘সপাং সপাং’ শব্দে চলছে সঙ্ঘের চাবুক
সন্দীপন বিশ্বাস

 

লোকসভা নির্বাচনে মোক্ষম জবাব পেয়ে বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হইচই বাধানোর চেষ্টা করছেন, তখন তাঁদের আচ্ছা করে ধুনে দিয়েছে আরএসএস।
বিশদ

26th  June, 2024
একনজরে
মহমেডান স্পোর্টিংয়ের হারের পর মোহন বাগানের ড্র।  ঘরোয়া লিগের শুরুতেই প্রবল চাপে দুই বড় দল। পয়েন্ট নষ্টের ট্রেন্ড দেখে বেশ সতর্ক ইস্ট বেঙ্গল কোচ বিনো জর্জ। ...

রাজ্যের প্রায় ৩০ হাজার স্কুল এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ‘ধূসর জল ব্যবস্থাপনা’ চালু করবে রাজ্য। সম্প্রতি রাজ্যের প্রতিটি স্কুল এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সমীক্ষা চালায় রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তর। তার মধ্য থেকেই এই সমস্ত স্কুলগুলিকে বেছে নিয়ে এই প্রকল্পের কাজ চালু করতে উদ্যোগ ...

রথযাত্রা উপলক্ষ্যে সোনার গয়নায় আকর্ষণীয় অফার দিয়ে ক্রেতাদের টানার চেষ্টা বিভিন্ন বাজারে। বহরমপুরের শতাব্দী প্রাচীন খাগড়া মার্কেটের সোনাপট্টিতে সাজসাজ রব। সোজা রথ থেকে উল্টো রথ পর্যন্ত অধিকাংশ বিপণিতে নানা অফার দেওয়া হচ্ছে। ...

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুরের বধূর আধার নম্বর ব্যবহার করে দু’বছর ধরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছেন উত্তর ২৪ পরগনার এক বধূ! সূত্রের খবর, গত দু’বছর হরিরামপুর ব্লকের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন জানিয়ে আসছেন হরিরামপুরের রামকৃষ্ণপুরের বধূ সুচিত্রা দাস সরকার। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব জুনোসিস দিবস
১৬১৪ - রাজা ভগবান দাসের পালিত পুত্র রাজা মানসিংহের মৃত্যু
১৭৮১ - সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠাতা স্যার টমাস স্ট্যামফোর্ড র‍্যাফলসের জন্ম
১৮৬৬ - বাংলা ভাষায় প্রথম বিশ্বকোষের সংকলক, প্রত্নতাত্ত্বিক ও ইতিহাসবিদ নগেন্দ্রনাথ বসুর জন্ম,
১৮৮৫- জোসেফ মেইস্টারের উপর জলাতঙ্ক রোগের টিকা সফলভাবে পরীক্ষা করলেন লুই পাস্তুর
১৮৯০ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম সফল ভারতীয় বুদ্ধিজীবী ধনগোপাল মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৯২- ব্রিটেন পার্লামেন্টে প্রথম ভারতীয় হিসাবে নির্বাচিত হলেন দাদাভাই নওরোজি
১৯০১- শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১৯ - বিশ্বের প্রথম বিমান 'ব্রিটিশ আর-৩৪' আটলান্টিক পাড়ি দেয়। লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক যেতে সময় নেয় ১০৮ ঘণ্টা
১৯৩০ - কর্ণাটকী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের কণ্ঠশিল্পী এম বালামুরলীকৃষ্ণের জন্ম
১৯৪৪ - সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ রেডিওতে গান্ধীজিকে জাতির জনক অভিধা প্রদান করেন
১৯৪৬- আমেরিকার ৪৩তম প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লু বুশের জন্ম
১৯৪৬- মার্কিন অভিনেতা সিলভেস্টার স্ট্যালোনের জন্ম
১৯৪৭ - সোভিয়েত ইউনিয়ন এ. কে. ৪৭ রাইফেল উৎপাদন শুরু করে
১৯৫২ - লন্ডন শহরে শেষবারের মতো ট্রাম চলাচল
১৯৭৯ - মিশরে নীল নদের তীরে বিনানুল মূলক নামক গুহায় মিশরের ফেরাউন দ্বিতীয় রেমেসিসের মমি আবিষ্কৃত হয়
১৯৮৫- অভিনেতা রণবীর সিংয়ের জন্ম
১৯৮৬- রাজনীতিবিদ জগজীবন রামের মৃত্যু
১৯৯১ - জার্মান টেনিস তারকা স্টেফি গ্রাফ পর পর তৃতীয়বারের মতো উইম্বলডন জেতেন
২০০২- রিলায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা ধীরুভাই আম্বানির মৃত্যু
২০০২ - মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও পরিচালক জন ফ্রাঙ্কেনহাইমারের মৃত্যু

06th  July, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৪ টাকা ৮৪.৩৮ টাকা
পাউন্ড ১০৫.২৩ টাকা ১০৮.৭২ টাকা
ইউরো ৮৯.০৪ টাকা ৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া ৫৯/৫৫ শেষরাত্রি ৫/০। পুষ্যা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১/৩৩, সূর্যাস্ত ৬/২১/১৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৮ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১০/৩৮ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৪ গতে ৫/২৭ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/১ গতে ২/২২ মধ্যে। 
২২ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া শেষরাত্রি ৪/৩৩। পুনর্বসু নক্ষত্র প্রাতঃ ৫/১৩। সূর্যোদয় ৫/১, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫১ গতে ৯/২৯ মধ্যে ও ১২/৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৪৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/২২ মধ্যে।  
৩০ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পুরীতে রথযাত্রায় পদপিষ্টের পরিস্থিতি, জখম বহু

08:29:42 PM

দ্বিতীয় টি-২০ জিম্বাবোয়েকে হারিয়ে ১০০ রানে ম্যাচ জিতল ভারত

07:56:01 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ২ রানে আউট ব্লেসিং, জিম্বাবোয়ে ১২৩/৯ (১৭.৪ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:45:00 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ৪৩ রানে আউট ওয়েসলি, জিম্বাবোয়ে ১১৭/৮ (১৬.৩ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:37:00 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ১ রানে আউট মাজাকাটজা, জিম্বাবোয়ে ৭৬/৭ (১১.১ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:18:31 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ০ রানে আউট ক্লাইভ, জিম্বাবোয়ে ৭৩/৬ (১০.৩ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:12:00 PM