Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অলিখিত জরুরি অবস্থা, ৫০ বছর পরও!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিহারের সমস্তিপুরের রেলের অনুষ্ঠানে বিস্ফোরণটা হল। সময়টা ১৯৭৫ সালের গোড়ার দিক। ভালোরকম জখম হলেন ললিতনারায়ণ মিশ্র। দানাপুর নিয়ে যাওয়া হল তাঁকে। সঙ্গে সঙ্গে। অপারেশন করতে হবে। কিন্তু না, বাঁচানো গেল না ললিতনারায়ণকে। অপারেশন টেবিলেই হৃদযন্ত্র থেমে গেল তাঁর। কে এই ললিতনারায়ণ মিশ্র? একটু পিছনে তাকাতে হবে। কংগ্রেসের খাস লোক এবং ইন্দিরা ঘনিষ্ঠ। আগে রাজনৈতিক দলগুলির কাছে ডোনেশন আসত চেকের মাধ্যমে। কোনও বড় সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান দলগুলিকে চেকের মাধ্যমেই চাঁদাটা দিত। রাজনীতির দরবারে দুধের শিশুরাও জানে, পার্টি চালানোটা শুধু কৌটো নেড়ে সম্ভব নয়। আর কোনও নেতা বা নেত্রী নিজেদের পকেট থেকেই দল চালানোর টাকা দেবেন না। তাহলে সেই টাকা আসবে কোথা থেকে? কেন, বড় বড় কোম্পানি দেবে! বিনিময়ে নানাবিধ সুযোগ সরকার বা প্রধান বিরোধীদের থেকে তারা পাবে। এটাই অলিখিত নিয়ম। চেকে টাকা নিলে সমস্যা একটাই—কংগ্রেসকে কোন সংস্থা কত টাকা দিচ্ছে, সেটা বোর্ডে লিখে রাখার মতো পরিষ্কার হয়ে যায়। বাকিদের থেকে যেহেতু তখন কংগ্রেসই বেশি টাকা পেয়ে থাকে, তাই অতিরিক্ত ‘স্বচ্ছতা’ ভাবাল ইন্দিরা গান্ধীকে। তিনি আইন করে চেকের মাধ্যমে ডোনেশন নেওয়া বন্ধ করে দিলেন। তাহলে পার্টি তহবিল ভরল কীভাবে? নগদে। কালো টাকায়। ডোনেশন হয়তো একই সূত্র থেকে এল। কিন্তু তার লেখাপড়া কিছু থাকল না। কংগ্রেসের হয়ে এই কালেকশনের কাজটা হাতেগোনা কিছু নেতা করতেন। তাঁদের মধ্যেই ললিতনারায়ণ একজন। টাকা জোগাড় হতো, আর সেটা বিলিবণ্টনের ফর্মুলা বাতলে দিতেন মিসেস গান্ধী। সম্পূর্ণ অন্তরালে থেকে। ফলে নগদের উপর যাঁরা বসে থাকতেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতই। ললিতনারায়ণ মিশ্রর বিরুদ্ধেও উঠল। কারণ, এই কালো টাকার তহবিলটা সামলাতেন তিনিই। সংসদের সব দল তাঁকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে দেগে দিয়েছিল। কংগ্রেসের মধ্যেও ললিতনারায়ণকে নিয়ে বিস্তর ক্ষোভ দানা বেঁধেছিল। জয়প্রকাশ তাঁর বিরুদ্ধে বেসরকারি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলেন। তারপরই বিস্ফোরণের ঘটনা এবং ললিতনারায়ণের মৃত্যু। বলা হয়, তাঁর মৃত্যুর নেপথ্যে শক্তিশালী কারও হাত ছিল। সে অবশ্য আজও প্রমাণ হয়নি। তবে জবাব মিলেছে একটি গুরুতর প্রশ্নের—স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ইন্দিরা গান্ধীর সবচেয়ে বাধ্য ‘ছাত্রে’র নাম কী?—নরেন্দ্র মোদি। সরকার পরিচালনা, আগ্রাসন, পার্টি ফান্ডের ব্যবস্থা, আম জনতার ইস্যু চাপা দেওয়া... একের পর এক ক্ষেত্রে মিসেস গান্ধীকে অনুসরণ বা অনুকরণ করে গিয়েছেন মোদিজি। সেই ধারা আজও চলছে। তিনি কালো টাকার বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন, কিন্তু আইন কাজে লাগিয়ে কার্যকর করছেন নির্বাচনী বন্ড। সবাই জানে, বড় বড় কোম্পানি, কিংবা বেআইনি সংস্থাগুলি নিজেদের পিঠ বাঁচানোর জন্য ঢেলে বন্ড কিনছে। কিন্তু সেই সংস্থাগুলির নাম এবং কোন দলকে তারা ওই টাকা দিচ্ছে, তা জানা যাচ্ছে না। 
জওহরলাল নেহরুকে ছুঁতে চেয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। পরপর তিনবার প্রধানমন্ত্রী। যে রেকর্ড ইন্দিরা গান্ধীরও নেই। সেই স্বপ্ন সফল হয়েছে মোদির। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে ভালো হতো, দেশ-বিরোধী-সমাজের উপর ঘোরানোর ছড়িটা আরও শক্ত হয়ে উঠত। তা হয়নি। কিন্তু তাতেও খুব একটা সমস্যা নেই। ২৪০ আসন পেয়েছেন। শরিকরাও মোটামুটি ম্যানেজ হয়ে গিয়েছে। মাঝেমধ্যে ফোঁস করে ওঠা? ওটা ছোট শরিকদের চরিত্র। গা করতে নেই। তাই ধীরে ধীরে স্বমহিমায় ফিরছেন মোদিজি। তাঁর মুকুটে পালক এমনিতেই কম নেই! নোট বাতিল বা জিএসটির মতো ব্যর্থ প্রশাসনিক নীতিকে তিনি চাপা দিতে পারেন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক দিয়ে, চূড়ান্ত আগ্রাসী হয়ে সংসদে দাঁড়িয়েই বিরোধীদের কর্মসূচিকে ‘নখরা’ বা ‘ন্যাকামো’ বলার সাহস দেখান, আবার মূল্যবৃদ্ধি বা বেকারত্বের মতো জ্বলন্ত ইস্যুকে ২৫ বছরের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভুলিয়ে রাখেন। এরপরও যদি বলা হয়, ইন্দিরা গান্ধীর সবচেয়ে সুযোগ্য ছাত্র তিনি, তাহলে কি খুব ভুল হবে? এই দু’জনেরই একটি বিষয় ভীষণভাবে কমন—আধিপত্য। ক্ষমতা। ভক্তরা বলতেই পারেন, ইন্দিরা গান্ধী দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। ওই ইমার্জেন্সি ভারতের জন্য এক কলঙ্কিত অধ্যায়। ওই একটি ক্ষেত্রেই তো নরেন্দ্র মোদি আলাদা হয়ে যান মিসেস গান্ধীর থেকে! সত্যিই কি তাই? জরুরি অবস্থা নিয়ে ৫০ বছর পরও মানুষের মনে এতটা আতঙ্ক এবং ঘৃণা কেন? কারণ আমরা জানি, ইমার্জেন্সি জারি হয়ে যাওয়া মানে নাগরিকের মৌলিক অধিকারের পঞ্চত্বপ্রাপ্তি। মত প্রকাশের অধিকার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাবার, পরিকাঠামোর দাবি... কোনওটাই আর সহজলভ্য নয়। সংবিধানের একটি ধারা ব্যবহার করে সংবিধানকেই স্রেফ শেলফে তুলে রাখা। নাঃ, নরেন্দ্র মোদি সংবিধানের ৩৫২ নম্বর ধারা কার্যকরের সুপারিশ রাষ্ট্রপতির কাছে করেননি। কিন্তু মৌলিক অধিকার সব বজায় আছে তো? বা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো? কাজ করে পারিশ্রমিক পাওয়াটা যে কোনও দেশবাসীর সাংবিধানিক অধিকার। বাংলার যে মানুষগুলো ১০০ দিনের কাজে শ্রম দেওয়ার পর পারিশ্রমিকের আশায় বছরের পর বছর অপেক্ষা করেছেন, তাঁদের মৌলিক অধিকার কি লঙ্ঘিত হয়নি? মত প্রকাশ করলেই কি সমাজকর্মী বা সাংবাদিকদের দেশদ্রোহী বলে দেগে দেওয়া হয়নি? সরকারি হিসেবই বলছে, ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার নাগরিক ইউএপিএ বা সরাসরি রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে অভিযুক্ত হয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই কি দোষী প্রমাণিত? না। মোদি সরকাররের রিপোর্টই বলে, ২০১৪ সাল থেকে যত রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের হয়েছে, তার ৯৭ শতাংশই ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন। তাহলে এভাবে আইনের ব্যবহার করে মত প্রকাশে তালা লাগানোর ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা কি অস্বাভাবিক? এটা কি অলিখিত জরুরি অবস্থা নয়?
তুমি আঞ্চলিক দল হিসেবে নির্বাচনে জিততেই পারো। কিন্তু আমার ছত্রচ্ছায়ায় থাকতে হবে। না হলে বন্ধ হবে সরকারি সুবিধা, ধেয়ে যাবে এজেন্সি। বিরোধী কোনও নেতা বা নেত্রী মোদি সরকার বা বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হলে দরজায় কড়া নাড়বে ইডি। আর তার ভবিষ্যদ্বাণী করবেন সেই গেরুয়া দলেরই কোনও তল্পিবাহক নেতা। কীভাবে? সবটাই কি প্ল্যান্টেড? উদ্দেশ্যপ্রণোদিত? এটাও কি জরুরি অবস্থা নয়? বেআব্রু হয়ে পড়বে মহামান্য ভারত সরকারের দুর্নীতি। আর সেই নিট পরীক্ষায় নতুন প্রজন্মের লক্ষ লক্ষ প্রতিনিধির আঘাতের কথা বলতে গেলে সংসদের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে বিরোধী দলনেতার মাইক। তাঁর কথা শুনবে না দেশ। শুনবে না অধিবেশন। নাঃ, ইমার্জেন্সি চলছে না। কিন্তু তাও সমালোচনা শোনা যাবে না। শুনতে দেওয়া যাবে না। এরপরও একে অলিখিত ইমার্জেন্সি বলা যাবে না? শোনা যায়, বিভিন্ন পত্রিকা ও চ্যানেলের সম্পাদকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন ‘কোনও এক দলের’ শীর্ষ নেতা। প্রত্যেককে খুব বিনয়ের সঙ্গে কিছু প্রশ্ন করেন। একেবারে ব্যক্তিগত প্রশ্ন। বুঝিয়ে দেন, আপনাদের হাঁড়ির সব খবর আমাদের কাছে আছে। আর বলেন, ভোটে একটু দেখবেন। তারপর বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান। একে কী বলা যায়? গণতন্ত্র?
হয়তো তাই। সেই জোট ভরসায় ঠেলেঠুলে সরকারে আসার পর প্রথম অধিবেশনেই ইমার্জেন্সিকে রেজল্যুশন হিসেবে তুলে ধরে এনডিএ সরকার। ৫০ বছর আগের তিক্ত ক্ষতকে খুঁচিয়ে তোলে। রাষ্ট্রপতির অভিভাষণেও একটা বড় জায়গা করে নেয় সেই ইমার্জেন্সি। তুলে ধরা হয় তার কলঙ্কিত অধ্যায়। কিন্তু একবারও বলা হয় না, ওই ২১ মাস থেকে তারা কী শিখেছে। একবার এই সরকার বলে না, কোন কোন ক্ষেত্রে মানুষের মতকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তৈরি করে না কোনও নিষেধের তালিকা। এমন সমালোচনা করার মানে কী, যার থেকে কোনও শিক্ষার অবকাশ নেই? ইমার্জেন্সির প্রতিটি কলঙ্ক যদি নিখুঁতভাবে অনুসরণ করা হয়, তার নিন্দা করার কৃতিত্বই বা কোথায়? 
তাও নরেন্দ্র মোদি সেটাই করছেন। করবেনও। এটাই যে তাঁর অস্ত্র! বিরোধীর শক্তিক্ষয় করে নিজের শক্তি বাড়িয়ে নেওয়া। ইন্দিরা গান্ধী তাঁর লক্ষ্য, কিন্তু তাঁর প্রধান শত্রুও। লক্ষ্য কেন? একনায়কতন্ত্রের শিকড় তিনিই ভারতের মাটিতে মজবুত করেছিলেন। আর শত্রু কেন? মিসেস গান্ধী দেশের জন্য যতটা নিজেকে উজাড় করেছিলেন, যেমন নীতির প্রণয়ন করেছিলেন, তার ছিটেফোঁটাও দেওয়ার ক্ষমতা নেই এই সরকারের। ব্যাঙ্ক অধিগ্রহণ, গৃহহীন শ্রমিকদের মাথার উপর ছাদের ব্যবস্থা করা, ভূমি সংস্কার আইন, বন্ডেড লেবার প্রথার অবলুপ্তি, গরিব মানুষের ঋণ মকুব, আয়ের অনুপাতে মধ্যবিত্তকে কর কাঠামোয় সুবিধা, সবুজ বিপ্লব... তালিকা দীর্ঘ। আর এর সবই তিনি করেছিলেন ইমার্জেন্সির ওই ২১ মাসের মধ্যে। মিসেস গান্ধীর সাজিয়ে যাওয়া বাগানের ফুল তুলে এখনও সুগন্ধের কৃতিত্ব দাবি করে মোদি সরকার। কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখে, এই দেশের সংস্কারে আদৌ কতটা ভূমিকা তাদের রয়েছে? 
হয়তো ইন্দিরা গান্ধী স্বৈরাচারী ছিলেন। কিন্তু তাবৎ বিশ্ব তখন জেনেছিল, ভারতের মেরুদণ্ড আছে। পাকিস্তানের পরাধীনতা থেকে মুক্তি দিয়ে বাংলাদেশ গঠনে প্রধান ভূমিকা ছিল তাঁর। স্বৈরতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে ছিল গণতন্ত্রের পৃষ্ঠপোষক একটি মুখ। জয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে ছাত্র-যুব-দেশবাসীর আন্দোলনকে দমন করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। কিন্তু শিক্ষা নিয়েছিলেন তার থেকে। তাই জরুরি অবস্থার আঁচে নির্বাচনে ভরাডুবির পরও ফিরে এসেছিলেন তিনি। স্বমহিমায়। ৫০ বছর পেরিয়েছে। আরও একটি দুর্নীতি নিয়ে ক্ষোভ দানা বাঁধছে ছাত্র-যুবর অন্দরে। প্রশ্নফাঁস... পরীক্ষা... শিক্ষা... অধিকার। এই ভারতের বিস্ফোরণ ঘটলে পরিণতি কী হবে? তখনও কি অলিখিত ইমার্জেন্সিই দমন করবে অধিকারবোধকে? নাকি হবে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি? ছাত্র নরেন্দ্র মোদির পরীক্ষা কিন্তু এখনও বাকি।
02nd  July, 2024
নিট দুর্নীতি থেকে কি নেতার ইগো বড়?
হিমাংশু সিংহ

নিট ও নেট দুর্নীতি কোমর ভেঙে দিয়েছে দেশের মেধাবী যুব সমাজের। একমাস কেটে গেলেও সরকার কোনও সুরাহা করতে পারেনি, দায়ও নেয়নি সেভাবে। সংসদে দু’সপ্তাহের অধিবেশনে শুধু সরকার ও বিরোধীদের বাগ্‌যুদ্ধ হয়েছে, আতান্তরে পড়া ছাত্রছাত্রীরা কোনও সুবিচার পায়নি। বিশদ

শরীররূপ রথে পরমাত্মা রথীরূপে বিরাজমান
চৈতন্যময় নন্দ

জগন্নাথঃ স্বামী নয়নপথগামী ভবতু মে। ভক্তকণ্ঠে শ্রুত এই আকুতি মন্ত্র আজও প্রতিধ্বনিত। আজ রথযাত্রার রাজসমারোহ ও শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের প্রসঙ্গ এলেই সন্ধানীর চোখে সুস্পষ্টভাবেই ধরা পড়ে শ্রীক্ষেত্র পুরীধামের প্রসিদ্ধির তাৎপর্যটি। প্রাচীন ভারতে যে চারটি প্রসিদ্ধ ধামের উল্লেখ আমরা পাই তার মধ্যে অন্যতম পুরীর শ্রীজগন্নাথ ধাম। বিশদ

গণপিটুনি: আইনটা যদি পাঁচ বছর আগে হতো!
তন্ময় মল্লিক

‘দিনটা ছিল ২৫ ডিসেম্বর। আমি তখন আঠারো। বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক করে সবে বাড়ি ফিরেছি। সিপিএমের কয়েকজন লোক আমার বাবাকে বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গেল। কারণ আমার বাবা তৃণমূল কংগ্রেস করত। আমি আর মা তখন বাবার পিছন পিছন ছুটলাম। বিশদ

06th  July, 2024
মধ্যবিত্তের বিশ্বজয়
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারতের এই টি টুয়েন্টির বিশ্বজয়ীরা কমবেশি সকলেই এসেছেন সাধারণ পরিবার থেকে। অনেকদিন পর এমন একটি ম্যাচ দেখা গিয়েছে, যেখানে সকলে মিলে কিছু না কিছু করেছেন। কালেকটিভ চ্যাম্পিয়ন। এটাই হল আমাদের কাছে শিক্ষণীয়। মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্ত চিরকাল রূপকথা তৈরি করেছে।
বিশদ

05th  July, 2024
নিট দুর্নীতি হিমশৈলের চূড়া মাত্র!
মৃণালকান্তি দাস

অলখ পান্ডের পরিচয় ‘ফিজিক্সওয়ালা’ নামেই। বাড়ি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে। ছোট থেকে পদার্থবিদ্যার প্রতি টান ছিল। কিন্তু নিজে জয়েন্ট পরীক্ষায় বসে সফল হতে পারেননি। বি টেক পড়া মাঝপথে থামিয়ে কোচিং সেন্টার খুলে বসেন। বিশদ

04th  July, 2024
মানুষের থেকে ক্রমে দূরে সরছে বঙ্গ বিজেপি 
হারাধন চৌধুরী

একুশের লম্ফঝম্পকে ছাপিয়ে যেতে পারেননি, তবে চব্বিশে বঙ্গে যা দেখিয়েছেন মোদিজিরা তা নিঃসন্দেহে একুশের বিজেপির সঙ্গেই টক্কর! ২০২১-এ, বাংলায় ২৯৪ আসনের বিধানসভা ভোটে বাজিমাত করার খোয়াব দেখেছিল গোটা গেরুয়া শিবির। বিশদ

03rd  July, 2024
মোদি সরকারে বাস্তবে কিছু‌ই বদল হয়নি
পি চিদম্বরম

বিজেপির নেতৃত্বাধীন নরেন্দ্র মোদির সরকার শপথ নিয়েছে ৯ জুন। কিন্তু এই সরকারের সূচনাটি শুভ হয়নি। মোদিজিকে ‘হেড টেবিল’ শেয়ার করে নিতে হয়েছিল টিডিপি এবং জেডি (ইউ) নেতাদের সঙ্গে। কিছু মন্ত্রিপদও বরাদ্দ করতে হয়েছে তাঁদেরকে তো বটেই, আরও একাধিক সহযোগীকেও। বিশদ

01st  July, 2024
মমতার রাজধর্মের কাছে পরাজিত মোদি
হিমাংশু সিংহ

সমালোচনা থেকে বাঁচতে অর্ধশতক আগের জরুরি অবস্থাকে একজন ঢাল করছেন ক্রমাগত। উপায় না দেখে তার আড়ালেই মুখ লুকোচ্ছেন সংসদের ভিতরে এবং বাইরে। পাঁচমাস আগে তড়িঘড়ি উদ্বোধন হওয়া রামমন্দিরের ছাদ বেয়ে চুঁইয়ে পড়ছে জল। বিশদ

30th  June, 2024
জননেত্রী বলেই জবাবদিহি জনতার কাছে
তন্ময় মল্লিক

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ছাব্বিশের নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন? পুরসভার মেয়র ও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই প্রশ্নটা বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। বোঝা যাচ্ছে, চব্বিশের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে তিনি এখন থেকেই ঘর গোছানোয় হাত দিয়েছেন। বিশদ

29th  June, 2024
বঙ্গ সাংসদরা হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনুন সংসদে
সমৃদ্ধ দত্ত

জাতীয় রাজনীতি, উন্নত পার্লামেন্টারিয়ান এবং ভারত নির্মাণের নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়া। স্বাধীনতার আগে এবং পরে এই তিনটি ক্ষেত্রেই ছিল বাঙালির শক্তিশালী উপস্থিতি। আর ঠিক এই তিন ক্ষেত্রে দীর্ঘকাল ধরে বাঙালি বিচ্ছিন্ন। বিশদ

28th  June, 2024
সোনাপাচার ঘিরে হত্যাকাণ্ড! উঠছে বহু প্রশ্ন
মৃণালকান্তি দাস

বছর পাঁচের আগে বাংলাদেশের কোটচাঁদপুরে বাগানবাড়ি বানিয়েছিল আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন। ৩০ বিঘা জমির উপর সেই বাগানবাড়ি উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। ওই বাগানবাড়ির ভিতরে কী হতো, তা আশপাশের কেউ জানতেই পারত না।
বিশদ

27th  June, 2024
‘সপাং সপাং’ শব্দে চলছে সঙ্ঘের চাবুক
সন্দীপন বিশ্বাস

 

লোকসভা নির্বাচনে মোক্ষম জবাব পেয়ে বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হইচই বাধানোর চেষ্টা করছেন, তখন তাঁদের আচ্ছা করে ধুনে দিয়েছে আরএসএস।
বিশদ

26th  June, 2024
একনজরে
মহমেডান স্পোর্টিংয়ের হারের পর মোহন বাগানের ড্র।  ঘরোয়া লিগের শুরুতেই প্রবল চাপে দুই বড় দল। পয়েন্ট নষ্টের ট্রেন্ড দেখে বেশ সতর্ক ইস্ট বেঙ্গল কোচ বিনো জর্জ। ...

বিট্রেনের ভোটে কনজারভেটিভ পার্টির ভরাডুবির মধ্যে হার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসেরও। মাত্র ৪৯ দিন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। কিন্তু এবার আর এমপি পদ ধরে রাখতে পারলেন ...

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুরের বধূর আধার নম্বর ব্যবহার করে দু’বছর ধরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছেন উত্তর ২৪ পরগনার এক বধূ! সূত্রের খবর, গত দু’বছর হরিরামপুর ব্লকের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন জানিয়ে আসছেন হরিরামপুরের রামকৃষ্ণপুরের বধূ সুচিত্রা দাস সরকার। ...

রথযাত্রা উপলক্ষ্যে সোনার গয়নায় আকর্ষণীয় অফার দিয়ে ক্রেতাদের টানার চেষ্টা বিভিন্ন বাজারে। বহরমপুরের শতাব্দী প্রাচীন খাগড়া মার্কেটের সোনাপট্টিতে সাজসাজ রব। সোজা রথ থেকে উল্টো রথ পর্যন্ত অধিকাংশ বিপণিতে নানা অফার দেওয়া হচ্ছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব জুনোসিস দিবস
১৬১৪ - রাজা ভগবান দাসের পালিত পুত্র রাজা মানসিংহের মৃত্যু
১৭৮১ - সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠাতা স্যার টমাস স্ট্যামফোর্ড র‍্যাফলসের জন্ম
১৮৬৬ - বাংলা ভাষায় প্রথম বিশ্বকোষের সংকলক, প্রত্নতাত্ত্বিক ও ইতিহাসবিদ নগেন্দ্রনাথ বসুর জন্ম,
১৮৮৫- জোসেফ মেইস্টারের উপর জলাতঙ্ক রোগের টিকা সফলভাবে পরীক্ষা করলেন লুই পাস্তুর
১৮৯০ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম সফল ভারতীয় বুদ্ধিজীবী ধনগোপাল মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৯২- ব্রিটেন পার্লামেন্টে প্রথম ভারতীয় হিসাবে নির্বাচিত হলেন দাদাভাই নওরোজি
১৯০১- শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১৯ - বিশ্বের প্রথম বিমান 'ব্রিটিশ আর-৩৪' আটলান্টিক পাড়ি দেয়। লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক যেতে সময় নেয় ১০৮ ঘণ্টা
১৯৩০ - কর্ণাটকী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের কণ্ঠশিল্পী এম বালামুরলীকৃষ্ণের জন্ম
১৯৪৪ - সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ রেডিওতে গান্ধীজিকে জাতির জনক অভিধা প্রদান করেন
১৯৪৬- আমেরিকার ৪৩তম প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লু বুশের জন্ম
১৯৪৬- মার্কিন অভিনেতা সিলভেস্টার স্ট্যালোনের জন্ম
১৯৪৭ - সোভিয়েত ইউনিয়ন এ. কে. ৪৭ রাইফেল উৎপাদন শুরু করে
১৯৫২ - লন্ডন শহরে শেষবারের মতো ট্রাম চলাচল
১৯৭৯ - মিশরে নীল নদের তীরে বিনানুল মূলক নামক গুহায় মিশরের ফেরাউন দ্বিতীয় রেমেসিসের মমি আবিষ্কৃত হয়
১৯৮৫- অভিনেতা রণবীর সিংয়ের জন্ম
১৯৮৬- রাজনীতিবিদ জগজীবন রামের মৃত্যু
১৯৯১ - জার্মান টেনিস তারকা স্টেফি গ্রাফ পর পর তৃতীয়বারের মতো উইম্বলডন জেতেন
২০০২- রিলায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা ধীরুভাই আম্বানির মৃত্যু
২০০২ - মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও পরিচালক জন ফ্রাঙ্কেনহাইমারের মৃত্যু

06th  July, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৪ টাকা ৮৪.৩৮ টাকা
পাউন্ড ১০৫.২৩ টাকা ১০৮.৭২ টাকা
ইউরো ৮৯.০৪ টাকা ৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া ৫৯/৫৫ শেষরাত্রি ৫/০। পুষ্যা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১/৩৩, সূর্যাস্ত ৬/২১/১৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৮ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১০/৩৮ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৪ গতে ৫/২৭ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/১ গতে ২/২২ মধ্যে। 
২২ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া শেষরাত্রি ৪/৩৩। পুনর্বসু নক্ষত্র প্রাতঃ ৫/১৩। সূর্যোদয় ৫/১, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫১ গতে ৯/২৯ মধ্যে ও ১২/৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৪৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/২২ মধ্যে।  
৩০ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পুরীতে রথযাত্রায় পদপিষ্টের পরিস্থিতি, জখম বহু

08:29:42 PM

দ্বিতীয় টি-২০ জিম্বাবোয়েকে হারিয়ে ১০০ রানে ম্যাচ জিতল ভারত

07:56:01 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ২ রানে আউট ব্লেসিং, জিম্বাবোয়ে ১২৩/৯ (১৭.৪ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:45:00 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ৪৩ রানে আউট ওয়েসলি, জিম্বাবোয়ে ১১৭/৮ (১৬.৩ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:37:00 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ১ রানে আউট মাজাকাটজা, জিম্বাবোয়ে ৭৬/৭ (১১.১ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:18:31 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ০ রানে আউট ক্লাইভ, জিম্বাবোয়ে ৭৩/৬ (১০.৩ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:12:00 PM