শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ
এর আগে শুক্রবার গভীর রাতে ভোলেবাবার প্রধান সঙ্গী দেবপ্রকাশ মধুকরকে দিল্লির নজফগড় থেকে গ্রেপ্তার করে হাতরাস জেলা পুলিসের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ। পদপিষ্টের ঘটনায় মধুকরকেই মূল অভিযুক্ত চিহ্নিত করে তদন্ত শুরু হয়েছিল। ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিলেন তিনি। হাতরাসের পুলিস সুপার নিপুণ আগরওয়াল জানিয়েছেন, পুলিসের হাত থেকে বাঁচতে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিলেন মধুকর। পুলিস সুপারের দাবি, ভোলেবাবার বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য টাকা জোগাড়ের মূল দায়িত্বে ছিলেন মধুকর। তাই তাঁর ব্যাঙ্ক লেনদেন, অর্থের উৎস, কল রেকর্ড-সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও মধুকরের আইনজীবী এপি সিংয়ের দাবি, তাঁর মক্কেল দিল্লিতে পুলিসের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। এতদিন তিনি অসুস্থ ছিলেন তিনি। মধুকর কোনও দোষ করেননি, তাই তিনি আগাম জামিনের আবেদন করবেন না বলেও দাবি সিংয়ের। এর আগে দুই মহিলা সহ সত্সঙ্গ আয়োজন কমিটির ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
এদিকে, পদপিষ্টের ঘটনায় নিরপরাধ ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে উত্তরপ্রদেশ সরকার নিজের ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা করছে বলে দাবি করলেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। শনিবার এক্স হ্যান্ডলে অখিলেশ লেখেন, এই ঘটনা থেকে রাজ্য সরকার শিক্ষা নেয়নি। ফলে ভবিষ্যতেও এধরনের ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। নিজের পোস্টে অঙ্কিত যাদব নামে মৈনপুরীর এক বাসিন্দার চিঠিও জুড়ে দিয়েছেন অখিলেশ। অঙ্কিতের দাবি, পদপিষ্টের ঘটনায় তাঁর বাবাকে ফাঁসানো হচ্ছে। অথচ তাঁর বাবার কোনও যোগই নেই। অখিলেশের অভিযোগ, রাজ্য সরকার ও প্রশাসন অপ্রয়োজনীয়ভাবে নিরপরাধ ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করছে। এই গ্রেপ্তারিই একটি আলাদা ষড়যন্ত্র। এখনই এর বিচারবিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিত। এতে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারের ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে যাবে।