শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ
ছুটির দিন থাকায় তারাপীঠে এদিন রেকর্ড মানুষের সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিন তারা মা রথে চেপে গর্ভগৃহ থেকে বের হবেন। সেখানকার বিভিন্ন হোটেলে শনিবার থেকেই ভিনরাজ্যের বহু মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছে। মল্লারপুরের বীরচন্দ্রপুরেও ইসকনের রথ দেখতে ব্যাপক ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রামপুরহাটে পুরসভার মাঠে জগন্নাথদেবের মাসির বাড়ির অস্থায়ী ঠিকানা করা হয়েছে। সাতদিন এখানে রথ থাকবে। সেই উপলক্ষ্যে রথের মেলা বসেছে। প্রতিদিনই কয়েকহাজার মানুষের খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে। নলহাটিতে মাড়োয়ারি সম্প্রদায়ের প্রাচীন রথ দেখতেও মানুষের ব্যাপক ভিড় হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। হাইরোড থেকে রথ বের হবে। নলাটেশ্বরী মন্দিরের পাশে সাতদিনের জন্য রথ থাকবে। পাশেই একটি মেলাও বসেছে। দুবরাজপুরের হেতমপুরে রাজবাড়ির রথ টানাকে ঘিরেও মানুষের উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। এখানে শতাব্দীপ্রাচীন রথ টানতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ হাজির হবেন। সাঁইথিয়া, সিউড়িতেও রথযাত্রা আয়োজিত হচ্ছে। তবে বৃষ্টির কারণে অনেক জায়গাতেই রাস্তায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। খানাখন্দে ভরা রাস্তা দিয়ে রথ টেনে নিয়ে যাওয়া মুশকিল। বেশিরভাগ জায়গায় সেসব রাস্তা জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করে দেওয়া হয়েছে। সাঁইথিয়ায় ব্রিজ ভাঙা পড়েছে। সেজন্য রথের যাত্রাপথ উল্টোদিকে করা হয়েছে।
রথকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য পুলিস ও প্রশাসন আগেভাগেই প্রস্তুতি সেরে রেখেছে। সমস্ত এলাকায় বাড়তি পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া, সিভিক ভলান্টিয়ার ও স্বেচ্ছাসেবীদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।
জেলা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, আগেভাগেই উদ্যোক্তাদের সঙ্গে প্রতি থানায় বৈঠক হয়েছে। কোন রুটে রথ যাবে, কত দূর পর্যন্ত সাধারণ মানুষের প্রবেশ থাকবে-সবকিছুই নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুতের তার যাতে উঁচুতে থাকে, সেই বিষয়টি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগ রুটেই বিদ্যুতের ফেজ বিচ্ছিন্ন থাকবে। পুলিস সতর্ক রয়েছে।