শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ
এক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের ডাইরেক্টরেট অব রুরাল স্যানিটেশন এবং ডিপার্টমেন্ট অব রুরাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পঞ্চায়েতিরাজের তরফে। তারাই বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ, পৃথকীকরণ এবং তা বয়ে নিয়ে এসে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছে। এর মাধ্যমেই তীর্থযাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশেষত এখানে প্ল্যাস্টিকজাত পদার্থের ক্ষতিকারক দিকটি তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, বর্জ্য পদার্থের পুনর্ব্যবহারের গুরুত্ব সম্পর্কে তীর্থযাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরজন্য প্রশাসনের তরফে বালতালে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
কাগজের ব্যাগ, টেট্রা প্যাক থেকে তৈরি আসবাবপত্র এবং প্লাস্টিক বর্জ্যের সৃজনশীল ব্যবহারের বিষয়েও জোর দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের আশা, পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণ থেকে তৈরি নিত্য ব্যবহার্য সামগ্রীর প্রদর্শনী পুণ্যার্থীদের মধ্যে পরিবেশ রক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলবে। আর এটাই হল ‘ফ্রম ওয়েস্ট টু ওয়ান্ডার’প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। কীভাবে ধূপকাঠি, আগরবাতি এবং অন্যান্য পুণর্ব্যবহারযোগ্য পণ্য (যেমন পাটের ব্যাগ, টব, পরিত্যক্ত কাচের বোতল) বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে তৈরি করা হয়, তা প্রদর্শনীতে দেখানো হচ্ছে।
পুণ্যার্থীরা যাতে নিজেদের বাড়িতে ফিরে গিয়েও পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন থাকেন, সেক্ষেত্রেও বেসক্যাম্পে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেখানে নানা উপায়ে কম্পোস্ট সার তৈরির (বালতি কম্পোস্টিং, হোম কম্পোস্টিং এবং আগা ড্রাম কম্পোস্টিংয়ের মতো কম্পোস্টিং) পদ্ধতিগুলি শেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি, প্ল্যাস্টিক ব্যাগের বিকল্প হিসেবে সুতির ব্যাগ তুলে দেওয়া হচ্ছে পুণ্যার্থীদের হাতে। একই সঙ্গে, তীর্থযাত্রীদের জন্য প্রায় সাত হাজার স্যানিটেশন ওয়ার্ক ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী প্রজন্মকে সুস্থ ও দূষণ মুক্ত পরিবেশ উপহার দেওয়াই এই ধরনের কর্মসূচির প্রধান উদ্দেশ্য।