Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

গণপিটুনি: আইনটা যদি পাঁচ বছর আগে হতো!
তন্ময় মল্লিক

‘দিনটা ছিল ২৫ ডিসেম্বর। আমি তখন আঠারো। বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক করে সবে বাড়ি ফিরেছি। সিপিএমের কয়েকজন লোক আমার বাবাকে বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গেল। কারণ আমার বাবা তৃণমূল কংগ্রেস করত। আমি আর মা তখন বাবার পিছন পিছন ছুটলাম। কর্ণপুর সিপিএম অফিসে নিয়ে যাচ্ছিল। তার আগেই মাঠে ফেলে বাবাকে প্রচণ্ড মারল। বাঁচাতে যাওয়ায় আমাকে আর মাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে পার্টি অফিসে নিয়ে চলে গেল। তার আগেই আমাদের গ্রামের মাজেদুল মল্লিক, জালিম শাহ আর 
ইউসুব আলিকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। তারপর সবাইকে করঞ্জগেড়ে নিয়ে গিয়ে গাছে বেঁধে চলল গণপিটুনি। মৃত্যু নিশ্চিত করতে কেটে দিয়েছিল গলার নলি। একমাত্র ইউসুব আলি বাদে সকলেই মারা গেল।’ কথাগুলো বলতে বলতে লালমোহন মল্লিকের গলা বুজে এল। 
লালমোহন গণপ্রহারে মৃত হাসেন মল্লিকের ছেলে। লালমোহন বলেন, পিটিয়ে মারার দায় এড়াতে গল্প ফেঁদেছিল সিপিএম। ওরা প্রচার করেছিল, স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাইয়ের জন্যই গণরোষে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আমাদের কাছ থেকে কোনও অভিযোগ নেয়নি। পুলিস সুয়োমোটো কেস করেছিল। তাতে ১১জনকে অভিযুক্ত করেছিল। প্রত্যেকেই তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। রাজ্যে পালা বদলের পর কেস রি-ওপেন হয়। তাতে সিপিএমের যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছিল তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছিল। কেউ কেউ গ্রেপ্তার হলেও সাজা এখনও হয়নি।
গোঘাটে যখন তিনজনকে পিটিয়ে মারা হয়েছিল তখন বাংলায় সিপিএম ছিল অপরাজেয়, অপ্রতিরোধ্য। সে-বছরই বাংলায় গঠিত হয়েছে সপ্তম বামফ্রন্ট সরকার। সেই সময় বিরোধীদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়াই ছিল কঠিন। তবে, তারমধ্যেও গ্রামবাংলায় যাঁরা সিপিএমের বিরোধিতা করতেন, তাঁদের দিতে হতো চরম মূল্য। কাউকে হতে হতো ঘরছাড়া, কেউ মূল্য চোকাত জীবন দিয়ে। তবে, উন্নততর বামফ্রন্ট গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সপ্তমবার ক্ষমতায় বসা সিপিএম বদলে ফেলেছিল বিরোধীদের দমিয়ে রাখার কৌশলও। কোথাও পারিবারিক বিবাদ উস্কে দিত, আবার কোথাও ‘চোর’ অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে মারত। তাতে বিরোধীদের ‘শিক্ষা’ দেওয়া হতো, আবার খুনের দায়ও ঘাড়ে চাপত না। আর তখন অধিকাংশ গণপ্রহারে মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত হতো ‘আননোন’। ফলে প্রায় কেউই গ্রেপ্তার হতো না। 
সাম্প্রতিক বাংলায় গণপিটুনির ঘটনা উস্কে দিয়েছে ২০০৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর হুগলির গোঘাটের সেই নারকীয় গণহত্যার স্মৃতি। সেদিন যাঁদের পিটিয়ে মারার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে এখনও বেঁচে আছেন ইউসুব আলি খান। প্রায় দু’দশক আগের ঘটনা, তবুও তাঁর স্মৃতিতে ঩সেই ক্ষত এখনও দগদগে। ইউসুব বললেন, ওরা মেরে আমার হাত, পা ভেঙে দিয়েছিল। মরে গিয়েছি ভেবে ফেলে দিয়েছিল মাঠে। সাড়ে তিন মাস পিজিতে ভর্তি ছিলাম। আমার সব শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন তো গণপিটুনিতে কেউ মারা গেলে মমতাদি টাকা দিচ্ছেন, চাকরি দিচ্ছেন। আর সিপিএম আমলে? ওরা প্রাণে মারার পাশাপাশি দোষ ঢাকতে দিত বদনাম। গোটা পরিবারটা সমাজের চোখে ছোট হয়ে যেত। তাতে জানে মরত মানুষটা, আর মানে মরত গোটা পরিবার। 
কারণ যাই হোক না কেন, গণপিটুনিতে মৃত্যু সভ্য সমাজের লজ্জা। এটা কিছু মানুষের বিকৃত মানসিকতার করুণ পরিণতি। অনেকেই এই ঘটনাকে পুলিস প্রশাসনের উপর মানুষের অনাস্থা হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছেন। কোনও কোনও বিশেষজ্ঞ আবার নেতা, মন্ত্রীদের উপর রাগ থেকেই এমনটা ঘটছে বলে দাবি করছেন। তাঁদের বক্তব্য, নেতা, মন্ত্রীদের কিছু করতে পারছে না। তাই সুযোগ পেলেই পিটিয়ে মেরে গায়ের জ্বালা মেটাচ্ছে। এসব যে কেবলই রাজনীতির কথা, তা বলাই বাহুল্য। তবে, একের পর এক গণপিটুনির ঘটনার দায় পুলিস অস্বীকার করতে পারে না। পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ সজাগ থাকলে ঘটনাগুলি মৃত্যু পর্যন্ত গড়াত না।
রাজ্যে গণপিটুনির ঘটনা ঘটতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি জ্যোতি বসুর স্টাইলে ‘এমন তো কতই হয়’ জাতীয় মন্তব্য করে বিষয়টি হালকা করতে চাননি। উল্টে তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ যেমন প্রশাসনকে দিয়েছেন, তেমনই মৃতের পরিবারকে দিচ্ছেন চাকরি। তাতে সেই পরিবারগুলির মানসিক যন্ত্রণা লাঘব না হলেও আর্থিক সঙ্কট থেকে মুক্তি পাবে। 
সম্প্রতি রাজ্যে কয়েকটি গণপ্রহারে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তারকেশ্বরের ঘটনাটি তারমধ্যে পড়ে না। কিন্তু এই ঘটনাটি ‘খুনি মানসিকতা’র বৈশিষ্ট্য বোঝার জন্য যথেষ্ট। তারকেশ্বরে যাঁকে ‘চোর’ বলে দাগিয়ে দিয়ে পিটিয়ে মারা হয়েছে, তিনি মূল অভিযুক্তের আত্মীয়। সম্পর্কিত শ্যালক। ৫০ হাজার টাকা চুরি গিয়েছে, এই অভিযোগ তুলে বাড়ি থেকে এনে পিটিয়ে মেরে দিল। তারপর জানা গেল, টাকা চুরি যায়নি। অথচ একটা প্রাণ অকালে ঝরে গেল। পুলিসের অনুমান, পুষে রাখা রাগ থেকেই এমন কাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পিটিয়ে মারার ঘটনায় সক্রিয়ভাবে যারা যুক্ত হয় তারা ‘কান দিয়ে দেখা’ গোত্রের মানুষ। তাই তারা অতি সহজেই চোর, ছেলেধরা, ডাইনি প্রভৃতি গুজবের অংশীদার হয়ে ওঠে। পিটিয়ে মারার ঘটনায় কারও শাস্তি না হলে তা ছড়িয়ে পড়ে ছোঁয়াচে রোগের মতো। এই ধরনের ঘটনা আটকাতে গেলে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দরকার অপরাধীদের কঠোর শাস্তি সুনিশ্চিত করা।
কারও কিছু অপছন্দ হলেই তাকে চরম শাস্তি দিতে হবে, এটা মানসিক বিকারের লক্ষণ। এই ধরনের বিকারমুক্তির সর্বোত্তম দাওয়াই কঠোর শাস্তি। সম্ভবত সেই উপলব্ধি থেকেই ২০১৯ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পিটিয়ে মারার ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তি দিতে চেয়েছিলেন। তারজন্য তিনি সেবছর বিধানসভায় পাশ করিয়েছিলেন ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল (প্রিভেনশন অফ লিঞ্চিং) বিল। আইনে পরিণত করার জন্য পাঠিয়ে ছিলেন রাজভবনে। কিন্তু তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার তো বটেই, বর্তমানের মহামহিমও সই করেননি। সেই বিলে পিটিয়ে মারার ঘটনায় দোষী প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে মৃত্যুদণ্ডের বিধানও ছিল। 
দুর্গম পাহাড়ি রাস্তায় গাড়ি চালকদের উদ্দেশে লেখা থাকে, রাস্তা বিপজ্জনক, সামনে বাঁক, গাড়ি আস্তে চালান। জীবন অমূল্য। কিন্তু এই ধরনের সতর্কবাণীতে কি খুব একটা কাজ হয়? অনেকে মনে করেন, সতর্কবাণীর বদলে খাদে পড়া দোমড়ানো মোচড়ানো গাড়ি রাস্তার ধারে রেখে দিলে তা অনেক বেশি কার্যকর হতো। ভয়ঙ্কর পরিণতির কথা ভাবলেই কমে যাবে বেপরোয়া হওয়ার প্রবণতা।
বাম আমলে গণহত্যা ও গণপিটুনির কথা বলতে গেলে আস্ত একটা  মহাভারত হয়ে যাবে। তবে, ১৯৮২ সালের ৩০ এপ্রিল বিজন সেতুর ঘটনা সমস্ত নারকীয়তা ও নৃশংসতাকে ছাপিয়ে গিয়েছিল। ছেলেধরা গুজব রটিয়ে দিয়ে ১৭জন আনন্দমার্গীকে পিটিয়ে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। তারজন্য বামফ্রন্টের কেউ দুঃখ প্রকাশ করেননি। কেউ গ্রেপ্তারও হয়নি। উল্টে জ্যোতি বসুর সরকার আনন্দমার্গীদেরই দায়ী করেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সে রাস্তায় হাঁটেননি। যারা আইন নিজেদের হাতে তুলে নিয়ে নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। 
যে কোনও গণহত্যার পিছনে থাকে পরিকল্পনা। আর তাকে ‘গণরোষে’র তকমা দিতে গেলে রটাতে হয় গুজব। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে গুজব আগুনের চেয়েও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। গুজবের জেরে মুহূর্তে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। তাই সোশ্যাল মিডিয়ার উপরে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 
১ জুলাই থেকে কেন্দ্রীয় সরকার আইন সংশোধন করেছে। ন্যায় সংহিতার ১০৩(২) ধারায় গণপিটুনিতে দোষীর শাস্তির উল্লেখ রয়েছে। সেখানে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে, যা কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশ করানো সেই বিলের ‘ফটোকপি’। গণপিটুনি রোধে বাংলা পাঁচ বছর আগে যা ভেবেছিল, দিল্লি তা ভাবল আজ। অনেকে বলছেন, রাজভবন তখন বিলে সম্মতি দিলে হয়তো বহু নারীর জীবনে নেমে আসত না অকাল বৈধব্য, বাবাকে হারানোর যন্ত্রণায় কাতর হতো না শৈশব, শূন্য হতো না মায়ের কোল! আক্ষেপটা এখানেই।
06th  July, 2024
নিট দুর্নীতি থেকে কি নেতার ইগো বড়?
হিমাংশু সিংহ

নিট ও নেট দুর্নীতি কোমর ভেঙে দিয়েছে দেশের মেধাবী যুব সমাজের। একমাস কেটে গেলেও সরকার কোনও সুরাহা করতে পারেনি, দায়ও নেয়নি সেভাবে। সংসদে দু’সপ্তাহের অধিবেশনে শুধু সরকার ও বিরোধীদের বাগ্‌যুদ্ধ হয়েছে, আতান্তরে পড়া ছাত্রছাত্রীরা কোনও সুবিচার পায়নি। বিশদ

শরীররূপ রথে পরমাত্মা রথীরূপে বিরাজমান
চৈতন্যময় নন্দ

জগন্নাথঃ স্বামী নয়নপথগামী ভবতু মে। ভক্তকণ্ঠে শ্রুত এই আকুতি মন্ত্র আজও প্রতিধ্বনিত। আজ রথযাত্রার রাজসমারোহ ও শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের প্রসঙ্গ এলেই সন্ধানীর চোখে সুস্পষ্টভাবেই ধরা পড়ে শ্রীক্ষেত্র পুরীধামের প্রসিদ্ধির তাৎপর্যটি। প্রাচীন ভারতে যে চারটি প্রসিদ্ধ ধামের উল্লেখ আমরা পাই তার মধ্যে অন্যতম পুরীর শ্রীজগন্নাথ ধাম। বিশদ

মধ্যবিত্তের বিশ্বজয়
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারতের এই টি টুয়েন্টির বিশ্বজয়ীরা কমবেশি সকলেই এসেছেন সাধারণ পরিবার থেকে। অনেকদিন পর এমন একটি ম্যাচ দেখা গিয়েছে, যেখানে সকলে মিলে কিছু না কিছু করেছেন। কালেকটিভ চ্যাম্পিয়ন। এটাই হল আমাদের কাছে শিক্ষণীয়। মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্ত চিরকাল রূপকথা তৈরি করেছে।
বিশদ

05th  July, 2024
নিট দুর্নীতি হিমশৈলের চূড়া মাত্র!
মৃণালকান্তি দাস

অলখ পান্ডের পরিচয় ‘ফিজিক্সওয়ালা’ নামেই। বাড়ি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে। ছোট থেকে পদার্থবিদ্যার প্রতি টান ছিল। কিন্তু নিজে জয়েন্ট পরীক্ষায় বসে সফল হতে পারেননি। বি টেক পড়া মাঝপথে থামিয়ে কোচিং সেন্টার খুলে বসেন। বিশদ

04th  July, 2024
মানুষের থেকে ক্রমে দূরে সরছে বঙ্গ বিজেপি 
হারাধন চৌধুরী

একুশের লম্ফঝম্পকে ছাপিয়ে যেতে পারেননি, তবে চব্বিশে বঙ্গে যা দেখিয়েছেন মোদিজিরা তা নিঃসন্দেহে একুশের বিজেপির সঙ্গেই টক্কর! ২০২১-এ, বাংলায় ২৯৪ আসনের বিধানসভা ভোটে বাজিমাত করার খোয়াব দেখেছিল গোটা গেরুয়া শিবির। বিশদ

03rd  July, 2024
অলিখিত জরুরি অবস্থা, ৫০ বছর পরও!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিহারের সমস্তিপুরের রেলের অনুষ্ঠানে বিস্ফোরণটা হল। সময়টা ১৯৭৫ সালের গোড়ার দিক। ভালোরকম জখম হলেন ললিতনারায়ণ মিশ্র। দানাপুর নিয়ে যাওয়া হল তাঁকে। সঙ্গে সঙ্গে। অপারেশন করতে হবে। কিন্তু না, বাঁচানো গেল না ললিতনারায়ণকে।
বিশদ

02nd  July, 2024
মোদি সরকারে বাস্তবে কিছু‌ই বদল হয়নি
পি চিদম্বরম

বিজেপির নেতৃত্বাধীন নরেন্দ্র মোদির সরকার শপথ নিয়েছে ৯ জুন। কিন্তু এই সরকারের সূচনাটি শুভ হয়নি। মোদিজিকে ‘হেড টেবিল’ শেয়ার করে নিতে হয়েছিল টিডিপি এবং জেডি (ইউ) নেতাদের সঙ্গে। কিছু মন্ত্রিপদও বরাদ্দ করতে হয়েছে তাঁদেরকে তো বটেই, আরও একাধিক সহযোগীকেও। বিশদ

01st  July, 2024
মমতার রাজধর্মের কাছে পরাজিত মোদি
হিমাংশু সিংহ

সমালোচনা থেকে বাঁচতে অর্ধশতক আগের জরুরি অবস্থাকে একজন ঢাল করছেন ক্রমাগত। উপায় না দেখে তার আড়ালেই মুখ লুকোচ্ছেন সংসদের ভিতরে এবং বাইরে। পাঁচমাস আগে তড়িঘড়ি উদ্বোধন হওয়া রামমন্দিরের ছাদ বেয়ে চুঁইয়ে পড়ছে জল। বিশদ

30th  June, 2024
জননেত্রী বলেই জবাবদিহি জনতার কাছে
তন্ময় মল্লিক

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ছাব্বিশের নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন? পুরসভার মেয়র ও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই প্রশ্নটা বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। বোঝা যাচ্ছে, চব্বিশের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে তিনি এখন থেকেই ঘর গোছানোয় হাত দিয়েছেন। বিশদ

29th  June, 2024
বঙ্গ সাংসদরা হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনুন সংসদে
সমৃদ্ধ দত্ত

জাতীয় রাজনীতি, উন্নত পার্লামেন্টারিয়ান এবং ভারত নির্মাণের নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়া। স্বাধীনতার আগে এবং পরে এই তিনটি ক্ষেত্রেই ছিল বাঙালির শক্তিশালী উপস্থিতি। আর ঠিক এই তিন ক্ষেত্রে দীর্ঘকাল ধরে বাঙালি বিচ্ছিন্ন। বিশদ

28th  June, 2024
সোনাপাচার ঘিরে হত্যাকাণ্ড! উঠছে বহু প্রশ্ন
মৃণালকান্তি দাস

বছর পাঁচের আগে বাংলাদেশের কোটচাঁদপুরে বাগানবাড়ি বানিয়েছিল আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন। ৩০ বিঘা জমির উপর সেই বাগানবাড়ি উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। ওই বাগানবাড়ির ভিতরে কী হতো, তা আশপাশের কেউ জানতেই পারত না।
বিশদ

27th  June, 2024
‘সপাং সপাং’ শব্দে চলছে সঙ্ঘের চাবুক
সন্দীপন বিশ্বাস

 

লোকসভা নির্বাচনে মোক্ষম জবাব পেয়ে বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হইচই বাধানোর চেষ্টা করছেন, তখন তাঁদের আচ্ছা করে ধুনে দিয়েছে আরএসএস।
বিশদ

26th  June, 2024
একনজরে
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুরের বধূর আধার নম্বর ব্যবহার করে দু’বছর ধরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছেন উত্তর ২৪ পরগনার এক বধূ! সূত্রের খবর, গত দু’বছর হরিরামপুর ব্লকের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন জানিয়ে আসছেন হরিরামপুরের রামকৃষ্ণপুরের বধূ সুচিত্রা দাস সরকার। ...

বিট্রেনের ভোটে কনজারভেটিভ পার্টির ভরাডুবির মধ্যে হার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসেরও। মাত্র ৪৯ দিন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। কিন্তু এবার আর এমপি পদ ধরে রাখতে পারলেন ...

১০ জুলাই বাগদা বিধানসভায় উপ নির্বাচন। মাত্র ২৫ বছর এক মাস বয়সি মহিলাকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের সর্ব কনিষ্ঠ বিধায়ক হিসেবে তাঁকে জেতানোর ...

মহমেডান স্পোর্টিংয়ের হারের পর মোহন বাগানের ড্র।  ঘরোয়া লিগের শুরুতেই প্রবল চাপে দুই বড় দল। পয়েন্ট নষ্টের ট্রেন্ড দেখে বেশ সতর্ক ইস্ট বেঙ্গল কোচ বিনো জর্জ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব জুনোসিস দিবস
১৬১৪ - রাজা ভগবান দাসের পালিত পুত্র রাজা মানসিংহের মৃত্যু
১৭৮১ - সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠাতা স্যার টমাস স্ট্যামফোর্ড র‍্যাফলসের জন্ম
১৮৬৬ - বাংলা ভাষায় প্রথম বিশ্বকোষের সংকলক, প্রত্নতাত্ত্বিক ও ইতিহাসবিদ নগেন্দ্রনাথ বসুর জন্ম,
১৮৮৫- জোসেফ মেইস্টারের উপর জলাতঙ্ক রোগের টিকা সফলভাবে পরীক্ষা করলেন লুই পাস্তুর
১৮৯০ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম সফল ভারতীয় বুদ্ধিজীবী ধনগোপাল মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৯২- ব্রিটেন পার্লামেন্টে প্রথম ভারতীয় হিসাবে নির্বাচিত হলেন দাদাভাই নওরোজি
১৯০১- শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১৯ - বিশ্বের প্রথম বিমান 'ব্রিটিশ আর-৩৪' আটলান্টিক পাড়ি দেয়। লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক যেতে সময় নেয় ১০৮ ঘণ্টা
১৯৩০ - কর্ণাটকী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের কণ্ঠশিল্পী এম বালামুরলীকৃষ্ণের জন্ম
১৯৪৪ - সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ রেডিওতে গান্ধীজিকে জাতির জনক অভিধা প্রদান করেন
১৯৪৬- আমেরিকার ৪৩তম প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লু বুশের জন্ম
১৯৪৬- মার্কিন অভিনেতা সিলভেস্টার স্ট্যালোনের জন্ম
১৯৪৭ - সোভিয়েত ইউনিয়ন এ. কে. ৪৭ রাইফেল উৎপাদন শুরু করে
১৯৫২ - লন্ডন শহরে শেষবারের মতো ট্রাম চলাচল
১৯৭৯ - মিশরে নীল নদের তীরে বিনানুল মূলক নামক গুহায় মিশরের ফেরাউন দ্বিতীয় রেমেসিসের মমি আবিষ্কৃত হয়
১৯৮৫- অভিনেতা রণবীর সিংয়ের জন্ম
১৯৮৬- রাজনীতিবিদ জগজীবন রামের মৃত্যু
১৯৯১ - জার্মান টেনিস তারকা স্টেফি গ্রাফ পর পর তৃতীয়বারের মতো উইম্বলডন জেতেন
২০০২- রিলায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা ধীরুভাই আম্বানির মৃত্যু
২০০২ - মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও পরিচালক জন ফ্রাঙ্কেনহাইমারের মৃত্যু

06th  July, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৪ টাকা ৮৪.৩৮ টাকা
পাউন্ড ১০৫.২৩ টাকা ১০৮.৭২ টাকা
ইউরো ৮৯.০৪ টাকা ৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া ৫৯/৫৫ শেষরাত্রি ৫/০। পুষ্যা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১/৩৩, সূর্যাস্ত ৬/২১/১৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৮ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১০/৩৮ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৪ গতে ৫/২৭ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/১ গতে ২/২২ মধ্যে। 
২২ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া শেষরাত্রি ৪/৩৩। পুনর্বসু নক্ষত্র প্রাতঃ ৫/১৩। সূর্যোদয় ৫/১, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫১ গতে ৯/২৯ মধ্যে ও ১২/৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৪৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/২২ মধ্যে।  
৩০ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পুরীতে রথযাত্রায় পদপিষ্টের পরিস্থিতি, জখম বহু

08:29:42 PM

দ্বিতীয় টি-২০ জিম্বাবোয়েকে হারিয়ে ১০০ রানে ম্যাচ জিতল ভারত

07:56:01 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ২ রানে আউট ব্লেসিং, জিম্বাবোয়ে ১২৩/৯ (১৭.৪ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:45:00 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ৪৩ রানে আউট ওয়েসলি, জিম্বাবোয়ে ১১৭/৮ (১৬.৩ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:37:00 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ১ রানে আউট মাজাকাটজা, জিম্বাবোয়ে ৭৬/৭ (১১.১ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:18:31 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ০ রানে আউট ক্লাইভ, জিম্বাবোয়ে ৭৩/৬ (১০.৩ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:12:00 PM