Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মানুষের থেকে ক্রমে দূরে সরছে বঙ্গ বিজেপি 
হারাধন চৌধুরী

একুশের লম্ফঝম্পকে ছাপিয়ে যেতে পারেননি, তবে চব্বিশে বঙ্গে যা দেখিয়েছেন মোদিজিরা তা নিঃসন্দেহে একুশের বিজেপির সঙ্গেই টক্কর! ২০২১-এ, বাংলায় ২৯৪ আসনের বিধানসভা ভোটে বাজিমাত করার খোয়াব দেখেছিল গোটা গেরুয়া শিবির। দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি, রামরাজ্যের কাণ্ডারী প্রমুখ বাংলায় ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেছেন সম্ভাব্য যুদ্ধজয়ের আনন্দে। আরও একাধিক দিল্লিওয়ালা গেরুয়া নেতার কারবার দেখে মানুষের মনে এই ধারণাই বদ্ধমূল হয়েছিল যে, তাঁরা বাংলাতেই স্থায়ী বসত গড়তে চলেছেন! তেমন হলে কারও আপত্তিরও কিছু থাকত না। কারণ বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের সৌন্দর্যেই বিশ্বাসী বাংলা এবং বাঙালির অতিথিবাৎসল্যের জুড়ি নেই। এই কারণেই শুধু মহানগর কলকাতা নয়, পশ্চিমবঙ্গের কয়েক ডজন ছোট-বড় শহরও আপন ছন্দে ‘মিনি ভারত’ হয়ে উঠতে পেরেছে। এজন্য বাংলা এবং এখানকার মানুষের একমাত্র চাহিদা একটু ভালোবাসা। বাংলা ও বাঙালিকে কেউ যদি একবার ভালোবাসতে পেরেছে, তবে সে নিজেরই অজান্তে হয়ে উঠেছে তাদের একান্ত আপনজন। ভালোবাসা দিয়ে বাংলাকে আপন করে নিলে এখানে কাউকেই পরবাসের যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় না।  
আর এখানেই বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে বিজেপি, বঙ্গসন্তান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের হাতে ও আদর্শে তৈরি একটি পার্টি, যে নিজেকে ‘পৃথিবীর সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক শক্তি’ হিসেবে জাহির করে। তাদের ব্যর্থতার কারণ ওই একটাই, দলের জনক যে-মাটির সন্তান, বিজেপি ভালোবাসতে পারেনি সেই বাংলা ও বাংলার মানুষকে। তারা বাংলাকে নতুন একটা ক্ষমতার কেন্দ্র এবং লুণ্ঠনের এক লোভনীয় রত্নখনি বানাতেই আগ্রহী কেবল, ঠিক যেমনটা করেছিল ইংরেজ রাজশক্তি। এই স্বপ্নপূরণের জন্য বিজেপির প্রথম দরকার ছিল নবান্নের দখল নেওয়া। এজন্য ‘২০০ পার’-এর হুংকারসহ একুশের ভোটে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিল সারা দেশের গেরুয়া শিবির। কিন্তু মোদি-শাহদের অশ্বমেধের ঘোড়া একশোরও অনেক আগে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। আর যায় কোথায়? এমন স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণাকে প্রতিহিংসার রূপ দেওয়া হল একেবারে সর্বোচ্চ আসন থেকে। একের পর এক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে, একেবারে পরিকল্পনামাফিক চলল লাগাতার বঞ্চনা। তাতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হল বাংলার কয়েক কোটি গরিব মানুষ। 
মোদি সরকার মনে করিয়ে দিল চূড়ান্ত ভারত-বিদ্বেষী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের নিষ্ঠুরতার কথা। ইংরেজ শাসনের সবচেয়ে ঘন কালো অধ্যায়ের শীর্ষে রাখা হয় পঞ্চাশের (১৩৫০ বঙ্গাব্দ বা ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দ) মন্বন্তরকে। সুজলা-সুফলা-শস্য-শ্যামলা বাংলার বুকে সেবার অন্তত ৩০ লক্ষ মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। পরবর্তীকালে গবেষকরা প্রমাণ করেছেন যে, ক্ষুধার্তের কান্না আর মৃত্যুর শোকে বাংলার আকাশ বাতাস এইভাবে ভারী হয়ে উঠেছিল পাষণ্ড চার্চিলের নির্দেশে। সমস্ত কৌশল ব্যর্থ, যাবতীয় অত্যাচার সয়েও ভারতের বীরযোদ্ধারা ঋজুশির, লড়ে যাচ্ছেন বুক চিতিয়ে। ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পতন যখন অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছে, তখনই ওই প্রতিহিংসার আগুন জ্বালিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। 
বাংলার মানুষ এবার, ৮০ বছর আগে এক সাম্রাজ্যবাদীর হাতে জ্বালানো আগুনেরই আঁচ অনুভব করল যেন! একুশে নবান্ন দখলের ব্যর্থতার জ্বালা থেকে বাংলার গরিব মানুষের কাজের অধিকার (একশো দিনের কাজ) কেড়ে নেওয়া হল। বহু মানুষকে, পরোক্ষে বাধ্য করা হল ভিন রাজ্যে, দূর দূর দেশে কাজের সন্ধানে পাড়ি দিতে। সেখানে গিয়ে কিংবা ট্রেনে যাতায়াতের পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েও মারা গেল অনেকে। পাকা ঘর দেওয়া হল না বলে হাজার হাজার পরিবার কষ্ট পেল শীতে ও বর্ষায়। দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে একাধিক জায়গায়। এছাড়া কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং পরিকাঠামো উন্নয়নের মতো বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে বঞ্চনা অব্যাহত আজও। কেন্দ্রের বেনজির বিরোধিতা, অসহযোগিতা, শত্রুতা ও ষড়যন্ত্রের পরেও বাংলায় উন্নয়নের গতি থমকে যায়নি, সৌজন্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবিক সরকার। ভাবতে সত্যিই ভয় হয়, মোদিতন্ত্রের উল্টোদিকে বাংলায় এমন একটি সরকার না-থাকলে আজ ঠিক কী কাণ্ডটি ঘটতে পারত এখানে! 
তবু আরও একবার চেষ্টা করেছিলেন বিজেপির বেনিয়ারা, লোকসভার ভোটে জিততে গাছের আগায় জল ঢালার প্ল্যান ছকেছিলেন, নিশ্চয় ভুলে গিয়েছিলেন গাছটির গোড়া যত্নসহকারে শেষ করেছেন তাঁরাই! ভাবলেন, ‘মোদির গ্যারান্টি’কে সামনে রেখে জোরদার প্রচার করলেই কেল্লা ফতে হবেই। হায়, ‘মোদির গ্যারান্টি’র চেয়ে ‘জুমলা’ যে ভূভারতে দ্বিতীয়টি নেই, ততদিনে মুখস্থ হয়ে গিয়েছে সকলের! তবু শেষ অস্ত্র হিসেবে মোদিকে দিয়ে সারা বাংলায় করানো হল মোট ২৩টি জনসভা এবং মহানগরে একটি মেগা রোড শো। জনসভা পিছু পার্টি বরাদ্দ করেছিল ৭৫-৮০ লক্ষ টাকা, মোট খরচ দেখানো হয়েছে ২০ কোটির মতো! কিন্তু আলটিমেট রেজাল্ট এটাই দাঁড়াল যে, ৪২টি আসনের মধ্যে জয় ১২টিতে, দলের রাজ্য সভাপতিসহ একাধিক প্রার্থী জিতেছেন রীতিমতো কেঁদে-কঁকিয়ে! যার জোশ আছে সেই তো বাড়বে, বিজেপি পরিষ্কার করে দিয়েছে, দম তাদের ফুরিয়ে আসছে—১৮ থেকে এবার তারা নেমে এসেছে ১২-তে।
বিজেপির হাঁড়ির হাল হবে নাই-বা কেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঁধে দেওয়া তারেই যে কোরাস গেয়েছে সবাই। বাংলা এবং বাংলার মানুষের প্রতি প্রথম দুই মোদি সরকারের ভূমিকা তুলে ধরেই তাঁর পার্টি স্লোগান দিয়েছিল ‘জনগণের গর্জন/ বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন/ তৃণমূলই করবে অধিকার অর্জন’! ভিন রাজ্যের বাসিন্দা তিনজনকে তৃণমূলের টিকিট দেওয়া নিয়ে মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাউন্টার করতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু ভোটাররা তাঁদের বিপুল ভোটে জিতিয়ে বাংলাকে ভালোবাসার তত্ত্বেই আস্থা রেখেছেন। বাংলাকে ভালোবাসলে যেকোনও মানুষের প্রাদেশিক এবং জাতিগত ও ধর্মীয় পরিচয় এখানে অবান্তর হয়ে যায়। বাংলাজুড়ে ভোটযন্ত্রে জনগণ মোটামুটি মমতা-অভিষেকের ইউনিক স্লোগানেই সিলমোহর দিয়েছে। তাতে কালি যেটুকু ফ্যাকাশে মনে হচ্ছিল, সেটুকুও গাঢ় করে দিয়েছে বিজেপি নিজগুণে। মোদির নেতৃত্বে গঠিত কেন্দ্রের তৃতীয় সরকারেও বঙ্গসন্তানরা একেবারে এলেবেলে! কিন্তু এই ভয়াবহ বৈষম্য বারবার কেন? এখানকার একজন এমপিও ক্যাবিনেট মন্ত্রী হওয়ার যোগ্য নন! যত যোগ্য নেতা গুজরাত, ইউপি, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে! যে-পার্টি বাংলার মতো অত্যন্ত রাজনীতি সচেতন একটি রাজ্যের এক ডজন এমপির মধ্যে থেকে দু-চারজন ওজনদার ক্যাবিনেট মন্ত্রী খুঁজে বার করতে পারে না, তাদের এখান থেকে পাততাড়ি গোটানোই উচিত।   
কথায় বলে, ‘আপন দোষে আপনি মরে খোদার বদনাম’—বিজেপির দশাও অবিকল! হেরে ভূত হওয়ার কারণ খুঁজতে রাজ্যে রাজ্যে সক্রিয় এখন পার্টির দুই চোখ বোজা ‘গোয়েন্দারা’। সর্বত্র দলের হাঁড়ির হাল সম্পর্কে দিল্লিকে নাকি ‘গ্রাউন্ড রিপোর্ট’ দেবেন তাঁরা শীঘ্রই। খবরে প্রকাশ, দেশজুড়ে অন্তত ১৬০টি ‘দুর্বল’ লোকসভা আসন চিহ্নিত করেছেন তাঁরা। তার ভিতরে এই এক বঙ্গদেশেই ‘উজ্জ্বল’ ২৪টি! এমন বিপদকালে, আরও দুঃসংবাদ রাষ্ট্র করেছে বঙ্গ বিজেপি—মোদি সরকারের কাছে তাদের কাতর আর্জি, বঙ্গদেশে তাদের সব পার্টি অফিস পাহারা দিক কেন্দ্রীয় বাহিনী! দলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির কাছে বাংলার নেতারা যে কাঁদুনিই গান না কেন, লোকসভা ভোট-বিপর্যয়ের রামধাক্কা যে তাঁরা কাটিয়ে উঠতে পারেননি, সেটা খোলসা করে দিলেন তাঁরাই। বঙ্গ বিজেপির এই সাহস হল না যে, একবার মুখ ফুটে বলে, ‘আমাদের সঙ্গে ও পাশে বাংলার মানুষ আছে, সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য আমরা আর কাউকেই চাই না।’ এই প্রশ্ন বড় হয়ে উঠবেই—দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলটি কেন বলতে পারল না, ‘আমরা ভয় পাই না, কারণ মানুষই আমাদের পাহারাদার।’ কিন্তু তারা এসব বলবে কীসের জোরে? মোদি সরকারের বাংলা-বিদ্বেষ যে ইতিমধ্যেই এবং একাধিকবার প্রমাণিত। বঙ্গ বিজেপিও ধ্বংস হচ্ছে ওই বেনিয়াদের সঙ্গে লাগাতার সঙ্গত করেই। জনবিচ্ছিন্নতার এর চেয়ে বড় নজির আর কী দেখবে বাংলা?
এই প্রসঙ্গেই মনের পর্দায় ভাসে, গৌড়ীয় মার্কসবাদীদের মুষল পর্বে পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র সিপিএম পার্টির অতিমাত্রায় পুলিস-নির্ভরতার ছবিটি। তাই এখনই হলফ করে বলে দেওয়া যায়, ছাব্বিশের চ্যালেঞ্জ যত নিকটবর্তী হবে গেরুয়া বাহিনীর এই অসহায়তাও তীব্রতর হবে তত। দিল্লির তরফে বাংলাকে সবরকমে হেলাফেলা করার এবং বাংলার মানুষের পাশে না-দাঁড়ানোর জবাব আরও জুতসই করার জন্যই কোমর বাঁধবে সবাই। 
03rd  July, 2024
নিট দুর্নীতি থেকে কি নেতার ইগো বড়?
হিমাংশু সিংহ

নিট ও নেট দুর্নীতি কোমর ভেঙে দিয়েছে দেশের মেধাবী যুব সমাজের। একমাস কেটে গেলেও সরকার কোনও সুরাহা করতে পারেনি, দায়ও নেয়নি সেভাবে। সংসদে দু’সপ্তাহের অধিবেশনে শুধু সরকার ও বিরোধীদের বাগ্‌যুদ্ধ হয়েছে, আতান্তরে পড়া ছাত্রছাত্রীরা কোনও সুবিচার পায়নি। বিশদ

শরীররূপ রথে পরমাত্মা রথীরূপে বিরাজমান
চৈতন্যময় নন্দ

জগন্নাথঃ স্বামী নয়নপথগামী ভবতু মে। ভক্তকণ্ঠে শ্রুত এই আকুতি মন্ত্র আজও প্রতিধ্বনিত। আজ রথযাত্রার রাজসমারোহ ও শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের প্রসঙ্গ এলেই সন্ধানীর চোখে সুস্পষ্টভাবেই ধরা পড়ে শ্রীক্ষেত্র পুরীধামের প্রসিদ্ধির তাৎপর্যটি। প্রাচীন ভারতে যে চারটি প্রসিদ্ধ ধামের উল্লেখ আমরা পাই তার মধ্যে অন্যতম পুরীর শ্রীজগন্নাথ ধাম। বিশদ

গণপিটুনি: আইনটা যদি পাঁচ বছর আগে হতো!
তন্ময় মল্লিক

‘দিনটা ছিল ২৫ ডিসেম্বর। আমি তখন আঠারো। বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক করে সবে বাড়ি ফিরেছি। সিপিএমের কয়েকজন লোক আমার বাবাকে বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গেল। কারণ আমার বাবা তৃণমূল কংগ্রেস করত। আমি আর মা তখন বাবার পিছন পিছন ছুটলাম। বিশদ

06th  July, 2024
মধ্যবিত্তের বিশ্বজয়
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারতের এই টি টুয়েন্টির বিশ্বজয়ীরা কমবেশি সকলেই এসেছেন সাধারণ পরিবার থেকে। অনেকদিন পর এমন একটি ম্যাচ দেখা গিয়েছে, যেখানে সকলে মিলে কিছু না কিছু করেছেন। কালেকটিভ চ্যাম্পিয়ন। এটাই হল আমাদের কাছে শিক্ষণীয়। মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্ত চিরকাল রূপকথা তৈরি করেছে।
বিশদ

05th  July, 2024
নিট দুর্নীতি হিমশৈলের চূড়া মাত্র!
মৃণালকান্তি দাস

অলখ পান্ডের পরিচয় ‘ফিজিক্সওয়ালা’ নামেই। বাড়ি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে। ছোট থেকে পদার্থবিদ্যার প্রতি টান ছিল। কিন্তু নিজে জয়েন্ট পরীক্ষায় বসে সফল হতে পারেননি। বি টেক পড়া মাঝপথে থামিয়ে কোচিং সেন্টার খুলে বসেন। বিশদ

04th  July, 2024
অলিখিত জরুরি অবস্থা, ৫০ বছর পরও!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিহারের সমস্তিপুরের রেলের অনুষ্ঠানে বিস্ফোরণটা হল। সময়টা ১৯৭৫ সালের গোড়ার দিক। ভালোরকম জখম হলেন ললিতনারায়ণ মিশ্র। দানাপুর নিয়ে যাওয়া হল তাঁকে। সঙ্গে সঙ্গে। অপারেশন করতে হবে। কিন্তু না, বাঁচানো গেল না ললিতনারায়ণকে।
বিশদ

02nd  July, 2024
মোদি সরকারে বাস্তবে কিছু‌ই বদল হয়নি
পি চিদম্বরম

বিজেপির নেতৃত্বাধীন নরেন্দ্র মোদির সরকার শপথ নিয়েছে ৯ জুন। কিন্তু এই সরকারের সূচনাটি শুভ হয়নি। মোদিজিকে ‘হেড টেবিল’ শেয়ার করে নিতে হয়েছিল টিডিপি এবং জেডি (ইউ) নেতাদের সঙ্গে। কিছু মন্ত্রিপদও বরাদ্দ করতে হয়েছে তাঁদেরকে তো বটেই, আরও একাধিক সহযোগীকেও। বিশদ

01st  July, 2024
মমতার রাজধর্মের কাছে পরাজিত মোদি
হিমাংশু সিংহ

সমালোচনা থেকে বাঁচতে অর্ধশতক আগের জরুরি অবস্থাকে একজন ঢাল করছেন ক্রমাগত। উপায় না দেখে তার আড়ালেই মুখ লুকোচ্ছেন সংসদের ভিতরে এবং বাইরে। পাঁচমাস আগে তড়িঘড়ি উদ্বোধন হওয়া রামমন্দিরের ছাদ বেয়ে চুঁইয়ে পড়ছে জল। বিশদ

30th  June, 2024
জননেত্রী বলেই জবাবদিহি জনতার কাছে
তন্ময় মল্লিক

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ছাব্বিশের নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন? পুরসভার মেয়র ও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই প্রশ্নটা বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। বোঝা যাচ্ছে, চব্বিশের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে তিনি এখন থেকেই ঘর গোছানোয় হাত দিয়েছেন। বিশদ

29th  June, 2024
বঙ্গ সাংসদরা হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনুন সংসদে
সমৃদ্ধ দত্ত

জাতীয় রাজনীতি, উন্নত পার্লামেন্টারিয়ান এবং ভারত নির্মাণের নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়া। স্বাধীনতার আগে এবং পরে এই তিনটি ক্ষেত্রেই ছিল বাঙালির শক্তিশালী উপস্থিতি। আর ঠিক এই তিন ক্ষেত্রে দীর্ঘকাল ধরে বাঙালি বিচ্ছিন্ন। বিশদ

28th  June, 2024
সোনাপাচার ঘিরে হত্যাকাণ্ড! উঠছে বহু প্রশ্ন
মৃণালকান্তি দাস

বছর পাঁচের আগে বাংলাদেশের কোটচাঁদপুরে বাগানবাড়ি বানিয়েছিল আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন। ৩০ বিঘা জমির উপর সেই বাগানবাড়ি উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। ওই বাগানবাড়ির ভিতরে কী হতো, তা আশপাশের কেউ জানতেই পারত না।
বিশদ

27th  June, 2024
‘সপাং সপাং’ শব্দে চলছে সঙ্ঘের চাবুক
সন্দীপন বিশ্বাস

 

লোকসভা নির্বাচনে মোক্ষম জবাব পেয়ে বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হইচই বাধানোর চেষ্টা করছেন, তখন তাঁদের আচ্ছা করে ধুনে দিয়েছে আরএসএস।
বিশদ

26th  June, 2024
একনজরে
১০ জুলাই বাগদা বিধানসভায় উপ নির্বাচন। মাত্র ২৫ বছর এক মাস বয়সি মহিলাকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের সর্ব কনিষ্ঠ বিধায়ক হিসেবে তাঁকে জেতানোর ...

গত মার্চেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধের হাত ধরে শিবসেনায় যোগ দিয়েছিলেন রবীন্দ্র ওয়াইকার। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে মুম্বই উত্তর-পশ্চিম লোকসভা আসন থেকে কোনওক্রমে জিতেছেন তিনি। তারপরই এল স্বস্তির খবর। ...

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুরের বধূর আধার নম্বর ব্যবহার করে দু’বছর ধরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছেন উত্তর ২৪ পরগনার এক বধূ! সূত্রের খবর, গত দু’বছর হরিরামপুর ব্লকের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন জানিয়ে আসছেন হরিরামপুরের রামকৃষ্ণপুরের বধূ সুচিত্রা দাস সরকার। ...

রথযাত্রা উপলক্ষ্যে সোনার গয়নায় আকর্ষণীয় অফার দিয়ে ক্রেতাদের টানার চেষ্টা বিভিন্ন বাজারে। বহরমপুরের শতাব্দী প্রাচীন খাগড়া মার্কেটের সোনাপট্টিতে সাজসাজ রব। সোজা রথ থেকে উল্টো রথ পর্যন্ত অধিকাংশ বিপণিতে নানা অফার দেওয়া হচ্ছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব জুনোসিস দিবস
১৬১৪ - রাজা ভগবান দাসের পালিত পুত্র রাজা মানসিংহের মৃত্যু
১৭৮১ - সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠাতা স্যার টমাস স্ট্যামফোর্ড র‍্যাফলসের জন্ম
১৮৬৬ - বাংলা ভাষায় প্রথম বিশ্বকোষের সংকলক, প্রত্নতাত্ত্বিক ও ইতিহাসবিদ নগেন্দ্রনাথ বসুর জন্ম,
১৮৮৫- জোসেফ মেইস্টারের উপর জলাতঙ্ক রোগের টিকা সফলভাবে পরীক্ষা করলেন লুই পাস্তুর
১৮৯০ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম সফল ভারতীয় বুদ্ধিজীবী ধনগোপাল মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৯২- ব্রিটেন পার্লামেন্টে প্রথম ভারতীয় হিসাবে নির্বাচিত হলেন দাদাভাই নওরোজি
১৯০১- শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯১৯ - বিশ্বের প্রথম বিমান 'ব্রিটিশ আর-৩৪' আটলান্টিক পাড়ি দেয়। লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক যেতে সময় নেয় ১০৮ ঘণ্টা
১৯৩০ - কর্ণাটকী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের কণ্ঠশিল্পী এম বালামুরলীকৃষ্ণের জন্ম
১৯৪৪ - সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ রেডিওতে গান্ধীজিকে জাতির জনক অভিধা প্রদান করেন
১৯৪৬- আমেরিকার ৪৩তম প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লু বুশের জন্ম
১৯৪৬- মার্কিন অভিনেতা সিলভেস্টার স্ট্যালোনের জন্ম
১৯৪৭ - সোভিয়েত ইউনিয়ন এ. কে. ৪৭ রাইফেল উৎপাদন শুরু করে
১৯৫২ - লন্ডন শহরে শেষবারের মতো ট্রাম চলাচল
১৯৭৯ - মিশরে নীল নদের তীরে বিনানুল মূলক নামক গুহায় মিশরের ফেরাউন দ্বিতীয় রেমেসিসের মমি আবিষ্কৃত হয়
১৯৮৫- অভিনেতা রণবীর সিংয়ের জন্ম
১৯৮৬- রাজনীতিবিদ জগজীবন রামের মৃত্যু
১৯৯১ - জার্মান টেনিস তারকা স্টেফি গ্রাফ পর পর তৃতীয়বারের মতো উইম্বলডন জেতেন
২০০২- রিলায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা ধীরুভাই আম্বানির মৃত্যু
২০০২ - মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও পরিচালক জন ফ্রাঙ্কেনহাইমারের মৃত্যু

06th  July, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৪ টাকা ৮৪.৩৮ টাকা
পাউন্ড ১০৫.২৩ টাকা ১০৮.৭২ টাকা
ইউরো ৮৯.০৪ টাকা ৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া ৫৯/৫৫ শেষরাত্রি ৫/০। পুষ্যা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১/৩৩, সূর্যাস্ত ৬/২১/১৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৮ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১০/৩৮ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৪ গতে ৫/২৭ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/১ গতে ২/২২ মধ্যে। 
২২ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া শেষরাত্রি ৪/৩৩। পুনর্বসু নক্ষত্র প্রাতঃ ৫/১৩। সূর্যোদয় ৫/১, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫১ গতে ৯/২৯ মধ্যে ও ১২/৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৪৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২ গতে ২/২২ মধ্যে।  
৩০ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পুরীতে রথযাত্রায় পদপিষ্টের পরিস্থিতি, জখম বহু

08:29:42 PM

দ্বিতীয় টি-২০ জিম্বাবোয়েকে হারিয়ে ১০০ রানে ম্যাচ জিতল ভারত

07:56:01 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ২ রানে আউট ব্লেসিং, জিম্বাবোয়ে ১২৩/৯ (১৭.৪ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:45:00 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ৪৩ রানে আউট ওয়েসলি, জিম্বাবোয়ে ১১৭/৮ (১৬.৩ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:37:00 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ১ রানে আউট মাজাকাটজা, জিম্বাবোয়ে ৭৬/৭ (১১.১ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:18:31 PM

দ্বিতীয় টি-২০: ০ রানে আউট ক্লাইভ, জিম্বাবোয়ে ৭৩/৬ (১০.৩ ওভার), টার্গেট ২৩৫

07:12:00 PM