ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
হরিয়ানায় মাত্র ১১ মাসের পুরনো একটি দল জেজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে হল বিজেপিকে। শুধু জোট গঠনই নয়, সরকার গড়তে রীতিমতো মাথা নত করতে হল তাদের। ছাড়তে হল উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ। এরপর তো বিপুল আসন নিয়ে দরজায় কড়া নাড়তে থাকা শিবসেনা রয়েইছে। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই নানাবিধভাবে বিজেপিকে বিঁধতে শুরু করেছে উদ্ধব থ্যাকারের দল। এবার আদিত্য থ্যাকারে নিজে ভোটে দাঁড়িয়েছেন এবং জিতেছেন। সব মিলিয়ে শিবসেনার আসন সংখ্যা ৫৬। অর্থাৎ ২৮৮টি আসন সমৃদ্ধ মহারাষ্ট্রে ম্যাজিক ফিগার ১৪৫-এ পৌঁছতে গেলে শিবসেনাকে তোয়াজ করা ছাড়া বিজেপির কাছে অন্য কোনও রাস্তা নেই। বিপুল ভোটে বলীয়ান শিবসেনা একদিকে যেখানে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ সব ট্যুইট করছে, অন্যদিকে সরাসরি দাবি তুলছে... যা হবে ৫০-৫০। অর্থাৎ ক্ষমতার সমবণ্টন। যদি বিজেপি না মানে? কংগ্রেসের দিকে ঢলে যাওয়ার হুমকি ঠারেঠোরে শিবসেনা দিয়ে রেখেছে।
মোদ্দা কথা, লোকসভা ভোটের পর যে হম্বিতম্বি বিজেপি শুরু করেছিল, তা আপাতত অস্তাচলে। এখন সময় সত্যিই সতর্ক হওয়ার। মানুষ আবার বুঝিয়ে দিয়েছে, রাজনীতির দরবারে ভারসাম্য অত্যন্ত প্রয়োজন। শাসকের পাশাপাশি বিরোধীকেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। বিরোধীদের হেলাফেলা করলে তার মাশুল গুনতে হবে নির্বাচনী ফলাফলে। ভাঙাচোরা কংগ্রেস তো বটেই, আঞ্চলিক দলগুলিও এবার প্রবল চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে মোদির দলকে। তার উপর ভোটপ্রচারে অর্থনীতি এবং চাষবাস নিয়ে গলা উঁচিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা ছিল, ‘সব ঠিক আছে’। আদৌ কি তাই? মানুষ কিন্তু সেটা মোটেও ভালোভাবে নেয়নি। কর্মসংস্থান নেই। বেকারত্ব বাড়ছে। অগ্নিমূল্য বাজার। তা সত্ত্বেও কীভাবে একটা শাসক দল দাবি করে যে সব ঠিক আছে? ওভার কনফিডেন্সের এই নমুনা ভোটের রাস্তায় দুর্ঘটনার আর একটা বড় কারণ। তাই হার স্বীকার করতে হয়েছে বেশ কিছু হেভিওয়েট নেতানেত্রীকেও।
ডিসেম্বরে ঝাড়ঘণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপি তো বটেই, রাজনীতির কারবারিরাও ধরে নিয়েছেন ওই রাজ্যে বিজেপি হাসতে হাসতে ক্ষমতা
দখল করবে। হরিয়ানা কিন্তু বড় একটা শিক্ষা দিয়ে গেল। এখন প্রশ্ন হল,
এর থেকে কি বিজেপি কিছু শিখবে? নাকি মোদি ঝড়ের অপেক্ষাতেই
চোখ বুজে ছড়ি ঘোরাবে? তাই যদি হয়, তাহলে কিন্তু নৌকা সামাল
দেওয়া মুশকিল হবে।