প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
কীভাবে? ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে গোবর-গোমূত্র থেকে ওষুধ তৈরির প্রয়োজনীয়তা। সেই সব ওষুধ থেকে কী কী উপকার পাওয়া যাবে, ব্যবসায় লক্ষ্মীলাভই বা হবে কী করে—সমস্ত বিষয়ে শিল্পপতিদের তথ্য জোগাচ্ছে কেন্দ্র। শুধু ওষুধ তৈরিতেই থেমে থাকতে চাইছে না তারা। গোমূত্র থেকে শ্যাম্পু ও সাবান তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে কেন্দ্রের। আর সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে যে ব্যবসার একটা নতুন দিক খুলে যাবে, তাও বোঝানো হচ্ছে শিল্পপতিদের। এতদিন গোবরের ব্যবহার ছিল ঘুঁটে তৈরিতে। পরে তাকে কাজে লাগিয়ে হল বায়ো গ্যাস উৎপাদন। সেই গোবর দিয়ে এখন গণেশ তৈরির জন্য উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্র। সামনেই গণেশ চতুর্থী। তার আগে দেশজুড়ে অন্তত পাঁচ কোটি টাকার ‘গোবর-গণেশ’ তৈরি করতে চায় মোদি সরকার।
গোবর-গোমুত্র নিয়ে মাতামাতি করতে কেন্দ্রের শাসকদলের জুড়ি নেই। গো-সম্পদ বৃদ্ধিতে গত বছরই খোলা হয় ‘রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ’। গোরুর দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি, গোপালনে উৎসাহ দান, গোবর থকে বায়ো গ্যাস উৎপাদনের উপর জোর দিতেই গৃহীত হয় এই প্রকল্প। গো-সম্পদ নির্ভর গ্রামবিকাশকেও পাখির চোখ করে কেন্দ্র। কিন্তু পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বাস্তবে ডেয়ারিশিল্প বা বায়ো গ্যাস নিয়ে তেমন কোনও চিন্তা নেই কামধেনু আয়োগের। তারচেয়ে বরং অনেক বেশি আগ্রহ গোবর ও গোমূত্র নিয়ে। গোবর থেকে কত রকমের ওষুধ তৈরি হতে পারে, গোমূত্রের কী কী গুণাগুণ, তার প্রচারকেই এখন জোর দিচ্ছে আয়োগ। ডেয়ারি ব্যবসার উন্নতি ও প্রসার নিয়ে উদ্যোগপতিদের কাছে রা কাড়ছে না তারা।
দিন কয়েক আগে কলকাতার শিল্পোদ্যোগীদের সঙ্গে বৈঠক করেন আয়োগের চেয়ারম্যান ডাঃ বল্লভভাই কাঠিরিয়া। সূত্রের খবর, সেখানেই তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন গোবর ও গোমূত্র থেকে ওষুধ তৈরির। আর তৈরি করলে সাহায্যের জন্য দরাজ থাকবে সরকার। সেই বিষয়েও আলোকপাত করেছেন তিনি। পাশাপাশি গোবরকে নষ্ট না করে, তার থেকে নানারকম হস্তশিল্প তৈরির ব্যাপারেও উদ্যোগী আয়োগ। অকপটে সে কথাও জানিয়েছেন চেয়ারম্যান। ফোনেও কাঠিরিয়া বলেছেন, ‘আমরা সর্বস্তরেই গোমূত্র ও গোবরের চিকিৎসাজনিত গুণাগুণের প্রচার করছি। পশ্চিমবঙ্গও এর থেকে ওষুধ তৈরিতে এগিয়ে আসুক। গবেষণা করুক। আমরা সেই আর্জি রেখেছি। গোবর থেকে হস্তশিল্পের নানা উপকরণ তৈরিতেও আমরা আগ্রহী। যাঁরা এই বিষয়ে পরামর্শ চান, তাঁদের আমরা সাহায্য করব। এমনকী ওয়ার্কশপেরও আয়োজন করব।’
আর ক’দিন বাদেই গণেশ চতুর্থী। কাঠিরিয়া বলেছেন, ‘আমাদের এই মুহূর্তে লক্ষ্য শুধুমাত্র গোবরের গণেশ তৈরি করে পাঁচ কোটি টাকার ব্যবসা করা। সামনেই দেওয়ালি। তাই লক্ষ্মীসহ অন্যান্য মূর্তিও যাতে তৈরি করা যায়, আমরা সেই বিষয়েও উদ্যোগ নিচ্ছি। অন্তত ৫০ রকমের হস্তশিল্পের তালিকা প্রস্তুত করেছি আমরা। সেই তালিকায় আছে প্রদীপও।’ ইতিমধ্যেই দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, মায়াপুর ও কলকাতা থেকে এই বিষয়ে অনেকেই আগ্রহ দেখিয়েছেন বলে দাবি করেছেন কামধেনু আয়োগের চেয়ারম্যান।