বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
রিয়াল মাদ্রিদের লোভনীয় অফারে সাড়া দিয়ে চেলসি ছেড়েছেন বেলজিয়ান তারকা ইডেন হ্যাজার্ড। ট্রান্সফার ব্যানের কারণে তাঁর অনুপস্থিতি ঢাকার মতো জায়গায় নেই ল্যাম্পার্ড অ্যান্ড কোং। কালাম হাডসন-ওডোই, ট্যামি আব্রাহাম এবং ম্যাসন মাউন্টের মতো প্রতিভাসম্পন্ন ফুটবলারদের উপরেই ভরসা করতে হবে চেলসির নতুন কোচকে। হ্যাজার্ডের জায়গায় আমেরিকার ক্রিশ্চিয়ান পালিসিচকে ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে ল্যাম্পার্ডের। এছাড়া তাঁর হাতে তেমন অপশন নেই। গত মরশুমে হ্যাজার্ড চেলসির জার্সিতে ২১টি গোল এবং ১৭টি অ্যাসিস্ট করেছিলেন। বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে স্টামফোর্ড ব্রিজে এসে প্রথম মরশুমেই কি হ্যাজার্ডকে স্পর্শ করতে পারবেন পালিসিচ? এই প্রসঙ্গে চেলসির ফুটবলার রস বার্কলের মন্তব্য, ‘ইডেন হ্যাজার্ডের ফুটবল দক্ষতা নিয়ে কারও মনেই সংশয় থাকা উচিত নয়। ও অসাধারণ ফুটবলার। কিন্তু হ্যাজার্ড ছাড়াও আমাদের দলে একাধিক দক্ষ প্লেয়ার রয়েছে। কালাম হাডসন-ওডোইরা যদি কোচের পরিকল্পনামাফিক খেলতে পারে তাহলে ওরাই ভবিষ্যতের তারকা হয়ে উঠবে।’
পালিসিচের পাশাপাশি ম্যাটিও কোভাসিচের পারফরম্যান্সের উপর কিছুটা হলেও নির্ভর করছে চেলসির ভাগ্য। গত মরশুমে ব্লুজে যোগ দিয়েছিলেন ক্রোয়েশিয়ান মিডিওটি। ইতিমধ্যেই তাঁর প্রশংসা শোনা গিয়েছে ল্যাম্পার্ডের মুখে। কোভাসিচকে এবার তিনি ধারাবাহিকভাবে প্রথম একাদশে ব্যবহার করার ইঙ্গিতও দিয়েছেন।
এদিন চেলসির প্রস্তুতি নিয়ে কোচ ল্যাম্পার্ডকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ফুটবলার হিসেবে চেলসির জার্সিতে কতটা সাফল্য পেয়েছি তার হিসাব মেলানোর সময় এখন আমার কাছে নেই। পিছনে তাকানো আমার স্বভাববিরুদ্ধ। কোচ হিসেবে আমার দায়িত্ব চেলসিকে একাধিক সাফল্য এনে দেওয়া। এই ক্লাবের প্রতিটি জায়গা আমার চেনা। ফুটবলাররাও অজানা নয়। তাই প্রশিক্ষকের ভূমিকা পালন করতে কোনও অসুবিধা হবে না।’
হ্যাজার্ডের সার্ভিস না পাওয়া প্রসঙ্গে ল্যাম্পার্ডের সাফ বক্তব্য, ‘ও নেই জানার পরেই আমি চেলসির দায়িত্ব নিয়েছি। তাই কোনও চাপ নেই। ফুটবল দলগত সংহতির খেলা। স্কোয়াডে যারা রয়েছে তারা প্রত্যেকেই চূড়ান্ত পেশাদার। ওদের উপর যথেষ্ট আস্থা রয়েছে। শুধু প্রয়োজন কঠিন পরিশ্রম করা। প্রাক-মরশুম প্রস্তুতি সফরে ফুটবলারদের উদ্যম এবং গতি বাড়ানোই আমার কাজ। উইথ দ্য বল এবং উইদাউট দ্য বল, দু’টি বিষয়েই বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।’