লন্ডন, ৬ আগস্ট: গত মরশুমে অল্পের জন্য ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জিততে পারেনি লিভারপুল। এক পয়েন্টে এগিয়ে থাকার সুবাদে শেষ হাসি হেসেছিল পেপ গুয়ার্দিওলার প্রশিক্ষণাধীন ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। ৩৮ ম্যাচে তাদের সংগৃহীত পয়েন্ট ছিল ৯৮। আর লিভারপুল লিগ শেষ করেছিল ৯৭ পয়েন্টে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮-১৯ মরশুমের লিগে মাত্র একটি ম্যাচ হেরেছিল জুরগেন ক্লপের দল। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, জানুয়ারি মাসে ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যান সিটির কাছে হারের কারণেই লিগ খেতাব হাতছাড়া হয়েছিল লিভারপুলের। তবে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে সেই আক্ষেপ ঘুচিয়ে দিয়েছিলেন ক্লপ অ্যান্ড কোং। এবার সেই সাফল্য নিয়ে মাথা ঘামাতে একেবারেই রাজি নন অ্যানফিল্ডের জার্মান প্রশিক্ষকটি। তাঁর সাফ বক্তব্য, ‘১৯৯০ সালের পর লিভারপুল লিগ খেতাব পায়নি। তাই এবার আমরা সর্বশক্তি দিয়ে এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চেষ্টা করব। গতবার ৩৮টি’র মধ্যে আমরা পয়েন্ট নষ্ট করেছিলাম আটটি ম্যাচে। এরমধ্যে সাতটি ম্যাচ ড্র হয়েছিল। অপর ম্যাচে ম্যান সিটির কাছে আমরা বশ মেনেছিলাম। তাই এবার আরও সতর্ক থাকতে হবে। আমার মনে হয়, ২০১৯-২০ মরশুমে লিগ জয়ের ক্ষেত্রে লিভারপুলের কঠিনতম প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যাঞ্চেস্টার সিটিই। সদ্য আমাদের হারিয়ে কমিউনিটি শিল্ড পেয়েছে পেপের দল। কিন্তু ওই ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ছেলেরা প্রমাণ করেছে, তারাও নিখুঁত ফুটবল খেলতে জানে। এই মানসিকতাই গোটা মরশুম ধরে রাখতে হবে। জানি, সমর্থকদের প্রত্যাশা ক্রমশই বাড়ছে। এটা সত্যিই ইতিবাচক দিক। ফুটবলারদেরও তাই নিজেদের ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ব্রতী থাকতে হবে।’ নতুন মরশুমে কোনও তারকা ফুটবলারকে নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি জুরগেন ক্লপ। কারণ, গত তিনটি ট্রান্সফার উইন্ডোতে তিনি পছন্দমতো দল সাজিয়ে নিয়েছেন। এবার ডাচ ডিফেন্ডার সেপ ফন ডেন বার্গ এবং হার্ভে এলিয়টকে অ্যানফিল্ডে দেখা যাবে। এই দুই প্রতিশ্রুতিসম্পন্ন ফুটবলারের ভবিষ্যৎ নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী ক্লপ। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেছেন, ‘লিভারপুলের ভবিষ্যৎ নিয়েও আমায় ভাবতে হবে। তাই ডেন বার্গ এবং এলিয়টকে নেওয়া হয়েছে। আর ফুটবলার নেওয়ার সময় তো পালিয়ে যাচ্ছে না। আগামী বছর প্রয়োজন হলে নতুন ফুটবলার নেব।’
আপফ্রন্টের ত্রয়ী অর্থাৎ সাদিও মানে, রবার্তো ফারমিনো এবং মহম্মদ সালাহ লিভারপুলের অন্যতম সম্পদ। পাশাপাশি ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডিক এবং মিডফিল্ডার জর্ডন হেন্ডারসন এবং ভিনালডামও আস্থা জুগিয়েছেন কোচকে। আসন্ন মরশুমে রক্ষণ আরও নিশ্ছিদ্র করাই লক্ষ্য ক্লপের। উল্লেখ্য, গত মরশুমে প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে কম গোল (২২) হজম করেছিল তাঁর দলই। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জার্মান কোচটির বিশ্লেষণ, ‘রক্ষণ আরও জমাট করতে হবে। পাশাপাশি দেখতে হবে গোলের সুযোগ কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে কীভাবে নিখুঁত হওয়া যায়। মরশুমের শুরুতে পরিকল্পনামাফিক কাজ করেছি। ফুটবলারদের প্রত্যেকে অনুশীলনে নিজেদের নিংড়ে দিয়েছে। তাই গতবারের থেকেও ভালো ফলের দিকে সাগ্রহে তাকিয়ে রয়েছি।’