মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
এইচডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়া বন্দরের মাধ্যমে বিদেশ থেকে সিএনজি আমদানি শুরু হবে কিছুদিনের মধ্যে। এরজন্য গেইল হলদিয়া থেকে উত্তরপ্রদেশের জগদীশপুর পর্যন্ত গ্যাস পাইপলাইন বসাচ্ছে। হলদিয়ায় জোরকদমে চলছে কাজ। হুগলি নদীর তীরে শালুকখালিতে তৈরি হচ্ছে জেটি। বন্দর ও একটি বেসরকারি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে সেটি গড়ে উঠছে। ধামড়া থেকেও হলদিয়া ও উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে বারাউনি-গুয়াহাটি পাইপলাইন পাতার কাজ করছে রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস প্রস্তুত ও সরবরাহকারী সংস্থাটি। সিএনজি বা প্রাকৃতিক গ্যাস বিভিন্ন জেলায় বণ্টনের বরাত পেয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল আদানি গ্যাস (আইওএজিপিএল), হিন্দুস্তান পেট্রলিয়াম (এইচপিসিএল) এবং বেঙ্গল গ্যাস (বিজিসিএল)। আপাতত এসার গোষ্ঠীর থেকে গ্যাস কিনে বণ্টন সংস্থাগুলিকে দিচ্ছে গেইল। তারা সিএনজি পাম্পে তা বিক্রি করছে। আইওসি সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই তারা কলকাতায় ৪টি এবং বিভিন্ন জেলা মিলিয়ে মোট ১৯টি সিএনজি ফিলিং স্টেশন বসিয়েছে। ২০২২-২৩ সালে তাদের লক্ষ্য হলদিয়া সহ রাজ্যে আরও ১০টি সিএনজি স্টেশন তৈরি করা। এই মুহূর্তে রাজ্যে ১০০টি ইভি চার্জিং স্টেশন রয়েছে আইওসির।
এইচডিএ’র ওই বৈঠকে চেয়ারম্যান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার সুধীর কোন্থাম, আইওসির এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর অতনু সান্যাল, বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) প্রবীনকুমার দাস, ভাইস চেয়ারম্যান সাধন জানা প্রমুখ। হলদিয়ার বিভিন্ন কারখানা, আবাসন এলাকায় জমি বেদখল রুখতে নয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে এইচডিএ। চেয়ারম্যান বলেন, কোনও কারখানা সংলগ্ন বা আবাসনের সামনে এইচডিএ’র জমি থাকলে এবার তা ১০ বছরের জন্য ওই সংস্থাকে লিজ দেবে এইচডিএ। ওই জমিতে তাদের সৌন্দর্যায়ন করতে উৎসাহিত করছে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। লিজ জমির টাকা এককালীন নেবে তারা। এই জমির লিজ মূল্য প্রতি বর্গমিটার ৫ হাজার ২৫৭ টাকা। ক্ষুদ্র শিল্প সংস্থাকে নতুন বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে জমির দামে বিশেষ ছাড় দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বোর্ড মিটিংয়ে। এইচডিএ জানিয়েছে, এদিন বোর্ড মিটিংয়ের পর একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পাঠানো হচ্ছে রাজ্যকে। ক্ষুদ্র উদ্যোগপতি কেউ ৩০-৫০ ডিসিমেল পর্যন্ত জমি চাইলে তাকে ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে। ৫০ ডিসিমেল থেকে এক একর পর্যন্ত জমিতে ১৭.৫ শতাংশ, এক একর থেকে দু’একর ১৫ শতাংশ এবং দুই থেকে তিন একর পর্যন্ত ১২.৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে।