মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে ধুলিয়ানের দর্জিপট্টিতে এক টেলারিংয়ের দোকানের দোতলায় বসে গল্প করছিলেন দুই বন্ধু। ওই দোকানে তাঁরা ছাড়া কেউ ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে। দোকানের মালিক নীচে গিয়েছিলেন। সেইসময় দোকানের টেলারিংয়ের কাঁচি নিয়ে হামলা চালায় অভিযুক্ত ব্যক্তি। কাঁচি দিয়ে বন্ধুর মাথা, পিঠে ও শরীরে এলোপাথাড়ি কোপায় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই ওই ব্যক্তি রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন। তারপর অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেই থানায় গিয়ে পুলিসকে বিষয়টি জানালে তাকে আটক করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জখম ব্যক্তিকে উদ্ধার করে অনুপনগর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে তাঁকে জঙ্গিপুরে মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’জনেরই বাড়ি নতুনবাজার এলাকায়। তাঁরা একে অপরের ভালো বন্ধু ছিলেন। বাড়িতে যাওয়া আসাও রয়েছে। সেই সুবাদে স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধুর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করে অভিযুক্ত ব্যক্তি। তারপর থেকেই পরিবারে অশান্তি বাধে। সেকারণে অভিযুক্ত এদিন টেলারিংয়ের দোকানে যায়। তারা দীর্ঘক্ষণ বসে গল্পও করে। দোকানের মালিক দুপুরে খেতে যান। সেই সুযোগে একা পেয়ে কাপড় কাটার কাঁচি নিয়ে হামলা চালায়।
জখম ব্যক্তির মেয়ে বলেন, ঘটনার কথা ফোনে আমাদের জানানো হয়। আমরা গরিব মানুষ। ওদের টাকাপয়সা রয়েছে। বাবা টেলারিংয়ের দোকানে কাজ করে। ও বাবাকে খুন করতে গিয়েছিল। পুলিস তদন্ত করে দেখে দোষীকে শাস্তি দিক। ধুলিয়ান পুরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মহম্মদ পারভেজ আলি বলেন, ওঁরা তো দুই বন্ধু বলেই জানি। একই এলাকায় থাকেন। টেলারিংয়ের দোকানে ওদের মধ্যে কী হয়েছে তা ওরাই বলত পারবে। জখম ব্যক্তির অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানতে পেরেছি। সুস্থ হয়ে ফিরলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।