মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
মহকুমা সেচদপ্তরের আধিকারিক দীনবন্ধু ঘোষ বলেন, মহকুমা প্রশাসনের নির্দেশে আমরা কাজটি শুরু করেছি। শহর এলাকায় খালটির সঠিক গতিপথ চিহ্নিত করাই হবে প্রধান কাজ।
আরামবাগ শহরের বাইশ মাইল এলাকায় মূল দ্বারকেশ্বর নদ থেকে এই খালটি বেরিয়েছে। এলাকায় যা কানা দ্বারকেশ্বর নামে পরিচিত। কানা দ্বারকেশ্বরের বুক দিয়ে একসময় বিপুল জলরাশি বয়ে যেত। যার স্মৃতি চিহ্ন এখনও চড়া পড়া জমিতে রয়ে গিয়েছে। খালটির উৎসমুখ পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভাঁটার মোড়ে। বর্তমানে শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার মধ্যে দিয়ে এই খাল আঁকাবাঁকা পথে গিয়েছে। শহরের ভিতর খালটি নর্দমায় পরিণত হয়েছে। একাধিক জায়গায় আবার খালের প্রবাহপথ হারিয়ে গিয়েছে। যার সন্ধানেই শুরু হচ্ছে সার্ভের কাজ। শহর থেকে বেরিয়ে খালটি মিশেছে মলয়পুর খালে। সেই খাল খানাকুলের অরোরা খালে পড়ে রূপনারায়ণ নদে মিশেছে।
আরামবাগের এসডিও সুভাষিনী ই বলেন, শহরের ভিতর খালটির গতিপথ অনেক জায়গায় হারিয়ে গিয়েছে। ঠিক কোন জায়গার উপর দিয়ে খালটি প্রবাহিত হয়েছে সেটির প্রথমে সন্ধান করা হবে। সেচদপ্তরের তরফে সার্ভের কাজ শুরু হয়েছে। সার্ভের কাজ শেষ হলে খালের পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের কাজ শুরু হবে।
আরামবাগ মাস্টার প্ল্যানে কানা দ্বারকেশ্বরে, কানা মুণ্ডেশ্বরী, ভোমরা, মলয়পুর ও অরোরা খালের বেশ কিছু অংশে সংস্কার হয়েছে। তবে শহরের ভিতর কানা দ্বারকেশ্বর বুজে যাওয়া খালের সংস্কারের কাজ সম্ভব হয়নি। জনবসতি ও দোকান বাজার বাড়ায় শহরের অধিকাংশ জায়গায় খালের অস্তিত্বই হারিয়ে গিয়েছে। নদীখাত দখল করে নির্মাণ হয়েছে। বর্জ্য ও জঞ্জালে বুজে গিয়েছে বহু জায়গা। আরামবাগ শহরের একাধিক ওয়ার্ডের ড্রেনের নিকাশি জল এই খালে পড়ে। সেই জল খাল দিয়ে বের হতে পারছে না। খালের জমা জল থেকে ছড়াচ্ছে দূষণ ও রোগ ব্যাধি। দীর্ঘদিন ধরে শহরের বাসিন্দারা খালটির সংস্কারের দাবি তুলছেন।
শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অশোক কুমার দে বলেন, শহরের নিকাশি নালার জল এই খালে পড়ে। খাল বুজে যাওয়ায় জল বের হতে পারছে না। যার জেরে অল্প বৃষ্টিতেই নর্দমার জল রাস্তা ও ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে পড়ে। অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এলাকার পরিবেশ। খালটি দ্রুত সংস্কার হওয়া দরকার।
খানাকুলের কাকনান এলাকার বাসিন্দা লক্ষ্মীকান্ত সামন্ত বলেন, অরোরা খালের কিছুটা অংশ সংস্কার হলেও বেশিরভাগ জায়গায় সংস্কার হয়নি। অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে বোজা খালের জল উপচে জমিতে উঠে আসে। আরামবাগের বাইশমাইল থেকে খানাকুলের চকভেদুয়া পর্যন্ত পুরোটা সংস্কার হলেই খালের জল রূপনারায়ণ নদে গিয়ে পড়বে। দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হবে।
আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভাণ্ডারী বলেন, শহরের নিকাশি জল বের হওয়ার দীর্ঘদিনের সমস্যা রয়েছে। কানা দ্বারকেশ্বরের পুনরুদ্ধার ও সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই উদ্যোগে শহরের নিকাশি সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।