মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তেহট্ট গ্রাম পঞ্চায়েতে ২১টি আসন রয়েছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি ১০টি, তৃণমূল সাতটি, কংগ্রেস তিনটি ও সিপিএম সমর্থিত নির্দল একটি আসন পায়। তৃণমূল ও কংগ্রেসের সমর্থনে প্রধান হন সিপিএম সমর্থিত নির্দল মুক্তি হালদার। বেশ কিছুদিন পর কংগ্রেসের সদস্যরা দলবদল করে তৃণমূলে যোগ দিলেও মুক্তিদেবীই প্রধান থেকে যান। এরই মধ্যে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যদের একাংশ তাঁর বিরুদ্ধে সরব হয়। অভিযোগ তোলে সদস্যদের অন্ধকারে রেখে প্রধান নিজের ইচ্ছামতো কাজ করেন। কয়েকদিন আগে গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা বিডিওর কাছে প্রধানের আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ জানান। তাঁদের অভিযোগ, কোনও নিয়ম না মেনে প্রধান তাঁর ইচ্ছামতো প্রায় ২১টি কাজের বিল বানিয়ে টাকা তুলে নিয়েছেন। সেই সব কাজে কোনওরকম টেন্ডার বা সাপ্লাই অর্ডার ছাড়া তিনি কাজ করিয়েছেন। বেশকিছু কাজের ক্ষেত্রে কোনওরকম স্টক এন্ট্রি করা হয়নি। কোনও বিলের পে অর্ডার নেই। এমনকী কাজ যে হয়েছে তার কোনও ছাড়পত্র নেই। সদস্যরা বিডিওর কাছে প্রধানের বিরুদ্ধে তদন্ত করার আবেদন জানান। সেই আবেদনের ভিত্তিতে ব্লক প্রশাসন দু’জনের একটি তদন্ত কমিটি তৈরি করে। সেই তদন্ত কমিটি বেশকিছু অসঙ্গতি পায়। পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল, পঞ্চদশ অর্থ কমিশন, চতুর্দশ অর্থ কমিশন, পিবিজি তহবিল থেকে ৭ লক্ষ ৭৩ হাজার ৮৪৩ টাকার আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি সামনে আসে। তারমধ্যে যেমন আছে তেলের বিল, দুয়ারে সরকারের বিল, রাস্তা তৈরির বিল সহ আরও অনেক বিল যেগুলির কোনওরকম নথি নেই। এই তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর বিডিও শুভাশিস মজুমদার ২২মার্চ তেহট্টের প্রধানকে শোকজ করেন। তাঁকে ১৪ দিনের মধ্যে শোকজের উত্তর দিতে বলা হয়েছে। প্রধান বলেন, শোকজের চিঠি পেয়েছি। ঠিক সময়ে শোকজের উত্তর দেব।
পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূলের চায়না মণ্ডল খাঁ বলেন, প্রধানের আর্থিক অনিয়মের বিরুদ্ধে আমরা বিডিওর কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছিলাম। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ব্লক প্রশাসন তদন্ত শুরু করে। সেই তদন্তে আমাদের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে।
বিডিও শুভাশিস মজুমদার বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা আমার কাছে প্রধানের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হয়। প্রাথমিকভাবে আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে। সেই কারণে প্রধানকে শোকজ করা হয়েছে।