মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
গত ২০মার্চ প্রতিটি জেলায় টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি ও সহ সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হয়। তমলুক সাংগঠনিক জেলায় সভাপতি হন প্রসেনজিৎ দে। অপরদিকে, কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হন শতদল বেরা। দু’জনেই আগে জেলা সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। তাই ওই পদে কোনওরকম রদবদল করা হয়নি। কিন্তু, সহ সভাপতি পদে পরিবর্তন হয়েছে। কাঁথি সাংগঠনিক জেলায় টিএমসিপি-র দু’জন সহ সভাপতি ছিলেন। তাঁরা হলেন তারাশঙ্কর পণ্ডা ও আলাপন দাস। নতুন সহ সভাপতি তালিকা থেকে তাঁরা দু’জনেই বাদ পড়েছেন। সেই জায়গায় নতুন সহ সভাপতি হয়েছেন বাজকুল মিলনী মহাবিদ্যালয়ের শৈবাল সাহু। তমলুক সাংগঠনিক সহ সভাপতি ছিলেন সারমিনারা বিবি, লক্ষ্মীকান্ত অধিকারী ও অনিরুদ্ধ মহাপাত্র। তাঁদের মধ্যে দু’জন বাদ পড়েছেন। নতুন সহ সভাপতি পদে এসেছেন অতনু সামন্ত।
টিএমসিপি-র ৬৮জনের রাজ্য কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে একমাত্র রাজ্য কমিটির সদস্য ছিলেন আবেদ আলি। তিনি দেশপ্রাণ মহাবিদ্যালয়ের প্রাক্তন ইউনিট সভাপতি। নতুন কমিটিতে রাজ্য কমিটি থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে এই জেলা থেকে কোনও প্রতিনিধি রাজ্য কমিটিতে ঠাঁই পাননি। বুধবার ছ’টি কলেজের ছাত্রনেতা এবং কয়েকটি ব্লক কমিটির সংগঠনের নেতারা কাঁথিতে বৈঠক করেন। তাঁদের দাবি, রাজ্যের এক মন্ত্রীপুত্রের সুপারিশ অনুযায়ী সভাপতি ও সহ সভাপতির তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল ছাত্রনেতাদের অধিকাংশ এই তালিকার সঙ্গে সহমত নন। তাই আগামী দিনে নিজেদের অধিকারের জন্য লড়াই জারি রাখতে হবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় বিক্ষুব্ধ শিবিরের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। প্রাক্তন সহ সভাপতি তারাশঙ্কর পণ্ডা বলেন, আমরা এই নাম ঘোষণার সঙ্গে একমত হতে পারিনি। তবে, আমরা অপেক্ষায় থাকব। আমরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ভরানোর জন্য সাধ্যমতো চেষ্টা করব। অবশ্যই সেটা সংগঠনের জেলা সভাপতির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নয়। টিএমসিপি-র তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ দে বলেন, শুক্রবার হলদিয়ায় তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে জেলার ছাত্রনেতারা উপস্থিত হবেন। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমাবেশ উপলক্ষে প্রস্তুতিসভা হবে।