মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
পুরুলিয়ার টামনা থানার সিমনপুর গ্রামের বাসিন্দা নবীন একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। সম্প্রতি পুরুলিয়া সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, ২০২২ সালের আগস্ট মাসে উত্তর ২৪ পরগনার এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। প্রথমে সে একটি বেসরকারি নির্মাণ সংস্থার কর্মী বলে নিজের পরিচয় দেয়। কিছুদিন পরে ওই ব্যক্তি নিজেকে শেয়ার মার্কেটের এজেন্ট ও কনসালট্যান্ট বলে দাবি করে। সে তাঁকে শেয়ার মার্কেটে লগ্নি করতে বলে। বিভিন্ন বিদেশি সংস্থায় শেয়ার মার্কেটে তিনমাসে ওই টাকা দ্বিগুণ করে ফেরত দেবে বলেছিল। সে জানিয়েছিল, অনেকের টাকা এভাবে সে ডবল করে দিয়েছে। তার কথায় তিনি বিশ্বাস করেন। ওই ব্যক্তির কথা মতো তিনি একটি একটি ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খোলেন। তবে সব কিছুই ওই ব্যক্তি দেখাশোনা করে দেওয়ার দায়িত্ব নেয়। পরে বিভিন্ন সময়ে প্যান কার্ড, আধার কার্ড সহ যাবতীয় নথিও তাঁর কাছ থেকে নেয়। এরপর লগ্নির জন্য তিনি ওই ব্যক্তির দেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোট ১০ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা পাঠান। প্রতারক মাত্র এক লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা শুরুর দিকে দিয়েছিল। তা লাভের টাকা বলে জানিয়েছিল। কিন্তু, বারবার চাওয়ার পরেও ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট নম্বর বা শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগের আইডি কিছুই দেয়নি।
গত নভেম্বর মাসের শুরুর দিকে নবীনবাবুর অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা জমা পড়েনি। এনিয়ে তিনি ওই ব্যক্তির কাছ থেকে জানতে চান। কিন্তু কোনও সদুত্তর মেলেনি। গত নভেম্বরের শেষের দিকে ওই ব্যক্তি তাঁকে এড়িয়ে যেতে থাকে। এরপর বাকি টাকা চাইলে তাঁকে ভয় দেখানো হয়। প্রতারিত হয়েছেন বুঝে তিনি সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হন।
পুরুলিয়া সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারকরা প্রতিনিয়ত নিজেদের কৌশল বদল করছে। টাকা হাতানোর জন্য একের পর এক নতুন কৌশল বের করে সাধারণ মানুষের টাকা লুট করছে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থেকে শুরু করে হোটেলে রকমারি খাবার অর্ডারে দেওয়ার বাহানাতেও প্রতারকরা টাকা হাতিয়ে নেয়। কেউ কেউ কম সময়ে অতিরিক্ত লাভের আশা, এমনকী চাকরির লোভেও প্রতারকদের খপ্পরে পড়ছেন। সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। তবেই এই ধরনের প্রতারণা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।