সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
বিশ্বভারতীর পুরনো ঘণ্টাতলা ছাত্রছাত্রীদের কাজে বিশেষ জনপ্রিয়। বিশেষ করে, পাঠভবনের ছাত্রছাত্রীদের কাছে। রবীন্দ্রনাথের বুদ্ধপ্রীতির নিদর্শন হিসেবে এই স্থাপত্য তৈরি হয়। সারনাথের বৌদ্ধ স্থাপত্যের অনুকরণে ১৯১৯ সালে এটি তৈরি হয়েছিল। পরিকল্পনায় ছিলেন শিল্পী সুরেন কর। আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে ঘণ্টাটি চুরি হয়। আবার ঘণ্টা প্রতিস্থাপন করা হয়। কিন্তু এবারের বিপর্যয়ের পর সেই ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যের করুণ অবস্থা। স্বাভাবিকভাবেই আশ্রমিকরা ক্ষুব্ধ। ক্ষোভের আঁচ পাওয়া গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একজন লিখেছেন- ‘উপাচার্য কী বর্তমানে ছুটিতে আছেন?’ যে উৎসাহে তিনি মেলার মাঠ ঘিরতে উদ্যোগ নিলেন এক্ষেত্রে তিনি নীরব কেন? জানতে ইচ্ছে হচ্ছে।’ বিশ্বভারতীর প্রাক্তন অধ্যাপিকা সবুজকলি সেন বলেন, পুরনো ঘণ্টাতলার ঐতিহ্যের কথা ভেবে দ্রুত পুনর্নির্মাণ করা উচিত। মেলার মাঠের পাঁচিলের থেকেও এর গুরুত্ব অনেক বেশি। আর এক প্রাক্তনী সুজিত চট্টোপাধ্যায় আক্ষেপের সুরে বলেন, খুব আশ্চর্য হচ্ছি। বিষয়টি সম্পর্কে সকলেই ওয়াকিবহাল। কিন্তু যাঁরা দেখলে কাজ হবে তাঁরা অদ্ভুতভাবে চুপচাপ। প্রতিক্রিয়া জানানোর ভাষা নেই। মন্দির সংস্কারের সময় অনুদানের আবেদন করেছিলেন উপাচার্য। কিন্তু পুরনো ঘণ্টাতলা এবং চৈত্য বাড়ির সংস্কারের ব্যাপারে তিনি উদাসীন। পড়ে যাওয়া প্রাচীন বটগাছ প্রতিস্থাপন বা কেটে ফেলার ব্যাপারে বনদপ্তরের বোলপুরের রেঞ্জ অফিসার কেশব চক্রবর্তী জানান, গাছটি কেটে ফেলার ব্যাপারে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তাঁদের কাছে এখনও কোনও অনুমতি নেয়নি। এব্যাপারে বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার ফোন ধরেননি। মেসেজেরও জবাব দেননি। তাই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বক্তব্যও জানা যায়নি। নিজস্ব চিত্র