সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
হলদিয়া বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক দশক ধরে নেপাল হলদিয়া ও কলকাতা বন্দরের মাধ্যমে যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করে তা ‘নেপাল কার্গো’ হিসেবে পরিচিত। হলদিয়া বন্দর দিয়ে কয়লা সহ কন্টেনার কার্গো চীন ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া থেকে আমদানি করে নেপাল। এছাড়া ভারত থেকেও যে পণ্য আমদানি করে, তা হলদিয়া বন্দর হয়ে নেপালে যায়। কন্টেনারের মাধ্যমে বিদেশ থেকে গাড়ি, বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক দ্রব্য, খাদ্য সামগ্রী আমদানি করে নেপাল। এজন্য হলদিয়া বন্দরে নেপাল কার্গো জন্য আলাদা ইয়ার্ড রয়েছে। বর্তমানে হলদিয়া বন্দর মারফৎ নেপালের বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা। এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, চীনের সাংহাই বন্দর থেকে হলদিয়া বন্দর পর্যন্ত জাহাজ আসতে যেখানে ২২দিন সময় যায়। সেখানে হলদিয়া বা কলকাতা বন্দর থেকে নেপালের বীরগঞ্জ পর্যন্ত মাত্র ৬৫০কিলোমিটার রাস্তা যেতে সময় লেগে যায় সাড়ে ১১দিন। সড়কপথে ব্যাপক যানজট, সময়মতো রেলের রেক না মেলায় দিন দিন পণ্য পরিবহণ খরচ বাড়ছে। এই সুযোগ নেয় বিশাখাপত্তনম বন্দর। তারা বন্দর থেকে ১৩৫০কিলোমিটার পথ কম সময়ে পণ্য পৌঁছে দিতে শুরু করে। এই বাণিজ্য যুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য হলদিয়া বন্দরও পথ খুঁজতে শুরু করে। এরমধ্যে কূটনৈতিক কারণে চীন সীমান্ত সড়ক পথে সরাসরি নেপালে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। সম্প্রতি চীনের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধ পরিস্থতির সময় নেপাল কার্গো কমার আশঙ্কা দেখা দেয়।
বন্দরের এক আধিকারিক বলেন, নেপাল কার্গো পরিবহণে খরচ কমাতে সড়ক ও রেল কার্গোর ক্ষেত্রে বেশকিছু ছাড় দেয় বন্দর। কন্টেনার পণ্য পরিবহণ সংস্থাও ট্যারিফে ছাড় দেয়। ভারত নেপাল সীমান্তে পণ্য শুল্ক পরীক্ষার সময় কমাতে নয়া প্রযুক্তগত ব্যবস্থা নেয় হলদিয়া ও কলকাতা বন্দর। এর জেরে বন্দরে ফের নেপাল কার্গো বাড়তে শুরু করেছে। হলদিয়া বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার(ট্রাফিক) অভয়কুমার মহাপাত্র বলেন, আশার খবর হল নেপাল কার্গো এবছর করোনার সময় ২২শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার(প্রশাসন) প্রভীনকুমার দাস বলেন, হলদিয়া থেকে বারানসী পর্যন্ত গঙ্গানদীতে যে জাতীয় জলপথ চালু হতে চলেছে, সেপথে পণ্য পরিবহণ করতে চায় নেপাল। এরফলে সড়ক পথে যানজট এড়িয়ে দ্রুত নেপালে পণ্য পৌঁছতে পারবে।