সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণামতো মঙ্গলবার জেলাজুড়ে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি শুরু হল। জেলার ১৬৭টি পঞ্চায়েত ও ছ’টি পুরসভার একটি করে ওয়ার্ডে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। কোথাও প্রাইমারি স্কুলে, কোথাও আবার পঞ্চায়েত অফিসেও এই ক্যাম্প খোলা হয়। ক্যাম্প শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন গ্রামের মানুষ নানা পরিষেবার জন্য সেইসব স্থানে আসেন। তাঁদের সমস্যার কথা জানান। বিভিন্ন দপ্তরের পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পৃথক টেবিল করা হয়। তাতে আধিকারিকরা বসে উপভোক্তাদের নানা বিষয় নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করেন।
সিউড়ি-১ নম্বর ব্লকের নগরী পঞ্চায়েত অফিস ও সংলগ্ন স্কুলে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প করা হয়। সেখানে এদিন ব্যাপক পুলিসও মোতায়েনও করা হয়। করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্যাম্প সেফ্টি সার্কেল আঁকা হয়। পাশাপাশি মাস্ক, স্যানিটাইজারের ব্যবস্থাও রাখা হয়। ক্যাম্প পরিদর্শনে সেখানে বীরভূমের অতিরিক্ত জেলাশাসক(জেলা পরিষদ) সব্যসাচী সরকার আসেন। বিডিও অফিসের কর্মীদের কাছ থেকে কাজ নিয়ে নানা প্রশ্নও জিজ্ঞাসা করেন। এদিন সেই ক্যাম্পেই মুখে গামছা ঢাকা দিয়ে খালি পায়ে ধান কাটা ফেলে পরিষেবা পেতে আসেন স্বাধীন। তিনি বলেন, কাস্ট সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য আগেই পঞ্চায়েতে আবেদন করেছি। কিন্তু, এখনও হয়নি। তাই এখন দুয়ারে সরকার কর্মসূচির কথা শুনে যদি সার্টিফিকেট পাই সেই আশায় এসেছি। পঞ্চায়েত প্রধানের সার্টিফিকেট নিয়ে আসাতে বলেছে। সেটা দিলেই হয়ে যাবে বলেছে।
স্বাধীনবাবুর মতোই এদিন ওই ক্যাম্পে বহু বাসিন্দা পরিষেবা পাওয়ার আশায় আসেন। তবে, অনেকেই আগে বিভিন্ন ধরনের পরিষেবার জন্য আবেদন করেছেন। যাঁরা সেইসব প্রকল্পের সুবিধা পাননি, তাঁরা আর একবারের জন্য ক্যাম্পে এসে নিজেদের আবেদন সংক্রান্ত খোঁজ নিয়ে যান।
নগরী গ্রামের পড়ুয়া প্রিয়া মান বলেন, আমার ঠাকুমার বার্ধক্যভাতার জন্য আবেদন আগেই করা হয়েছিল। কিন্তু, তার সুবিধা এখনও পাইনি। তাই এদিন ক্যাম্পে এসে সেব্যাপারে জানানো হয়েছে। আধিকারিকদের পরামর্শ মেনে ফের নথি জমা করেছি। ঝোড়ো গ্রামের বাসিন্দা আনন্দ পাতর দৃষ্টিহীন। তিনি তাঁর স্ত্রীর হাত ধরে এদিন নগরীর ক্যাম্পে আসেন। আনন্দবাবু বলেন, ইতিমধ্যে মানবিক প্রকল্প থেকে ভাতা পাচ্ছি। এদিন এই ক্যাম্পে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা পেতে আবেদন জানাতে এসেছি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বীরভূমে ২৫টি পয়েন্টে দুয়ারে সরকারের কর্মসূচি হয়েছে। বিকেল পর্যন্ত তাতে জেলার সবক’টি পয়েন্টে ৬২০৪ জন উপভোক্তা ক্যাম্পে এসেছেন। এদিন বীরভূমের জেলাশাসক বিজয় ভারতী, পুলিস সুপার শ্যাম সিং পুরন্দরপুর পঞ্চায়েতে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে পরিদর্শনে যান। জেলাশাসক সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, অনলাইনে কিছু প্রকল্পের সুবিধা ক্যাম্প থেকেই দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, জমির মিউটেশন, কনভার্সন, কাস্ট সার্টিফিকেট প্রভৃতি কাজগুলি খতিয়ে দেখে করা হবে।