আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
বাসিন্দাদের বক্তব্য, টানা বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে দৈনন্দিন কাজে অনেক সমস্যা তৈরি হয়। যদিও বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির কর্তাদের বক্তব্য, বেলা ৩টের পরেই ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করে দেওয়া হয়েছে। পুরাতন মালদহ শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শ্যামলী ঘোষ বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় আমরা গরমে ভোগান্তি পোহাচ্ছি। এভাবে টানা বিদ্যুৎ পরিষেবা না থাকলে খুবই অসুবিধা হয়। আগে থেকে না জানানোয় অনেকেই ব্যবস্থা নিয়ে রখতে পারেননি। ফলে ভোগান্তি আরও বেড়ে গিয়েছে। যাঁরা অসুস্থ রয়েছেন, তাঁরা আরও বিপদের মুখে পড়েছেন। বিষয়টি প্রশাসনের কর্তারা ভেবে পরিষেবা দিক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মী বলেন, এরিয়াল ব্রাঞ্চ কেবল লাগানোর কাজ চলছে। ভোটের কারণে আমরা এতদিন কাজ করতে পারিনি। যে কারণে সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির মালদহ ডিভিশনের রিজিওনাল ম্যানেজার চন্দন মণ্ডল বলেন, পরিষেবা ঠিকঠাক রাখার জন্য বহু পুরনো তার পাল্টানোর কাজ চলছে। যে কারণে শাটডাউন করে দেওয়া হয়েছিল। মানুষ যাতে ভোগান্তিতে না পড়েন, আমরা সেজন্য ব্যবস্থা নেব। কাজের জন্য কয়েক দিন সমস্যা হবে। তার আগে এলাকায় মাইকিং করে দেওয়া হবে।
পুরাতন মালদহ শহরে বেশ কিছুদিন ধরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছিল। রবিবার ছুটির দিনে সকাল থেকে টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়ে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ পরিষেবা না থাকায় শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়ায়। অনেকে বিদ্যুতের অভাবে প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারেননি। বিদ্যুত না থাকায় জলের সমস্যা দেখা দেয়। শহরে বিদ্যুৎ না থাকলে পানীয় পরিষেবা নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। সকাল থেকে পুরাতন মালদহ শহরের মির্জাপুর, রবীন্দ্রপল্লি, বাঁচামারি কলোনি, মঙ্গলবাড়ি সহ গোটা এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ ছিল। শহরের পাশাপাশি শহর লাগোয়া গ্রামীণ এলাকা নলডুবি, নারায়ণপুর ও সাহাপুরেও এদিন বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।